নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বিনির্মাণে যাঁরা দিয়েছেন নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগ, আমরা তো কেবল তাদের পথের যাত্রী।

সৈয়দ তাজুল ইসলাম

সমাজের সন্তান

সৈয়দ তাজুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দান নয়, প্রয়োজন অধর্ম রোধন

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৮


আমরা যারা কিছুটা ধনবান তাদের মধ্যে যারা দান-খয়রাতে নিজেকে কিছুটা বা পুরোটা যুক্ত রাখতে পারছেন তারা নিজেদেরকে অনেক কিছুই ভাবছেন হয়তো। এই ভাবনটা খারাপ না, এটা আত্মশুদ্ধির কিছুটা হলেও কাজে লাগে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের দান-খয়রাত আমাদেরকে কুসংস্কার ও অধর্মের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে দাড় করাচ্ছে। আপনি হয়তো অস্বীকার করে বলবেন নাঃ 'কই, আজ থক্ দেখি নাই তো কোথাও আমায় অধর্মের প্রতিষ্ঠাতার আসন দেওয়া হয়েছে!'। হ্যা, এসব নিরবে প্রতিষ্ঠা লাভ পরবর্তী নিরবেই গায়েল করে চলেছে দারিদ্র্য পরিবারগুলোকে। এমনকি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও তার থেকে বাহিরে নয় আর দারিদ্রসীমার নিচের অবস্থানকারীদের গ্রাস তো করছেই নিত্য। আমি বলছি এসব পরিবারের কন্যাদের বিবাহের সময় আমাদের দান-খয়রাতের কথা। প্রসঙ্গত, আমাদের অনেকেই হয়ত ক্যাশ টাকাকেই যৌতুক ভাবছি অথচ তাই কেবল যৌতুক নয়। আমার মতে, কনের সাথে তার স্বামীগৃহে কাঠপালং পাঠানো, বরযাত্রী কর্তৃক কন্যার পিতার উপর ভোজনায়োজন পর্ব, কনের পিতার কাছে মোটরযান প্রাপ্তির আশা রাখা ইত্যাদি সবই যৌতুকের সজ্ঞায় পড়ে। যা আমাদের মাধ্যমেই সমাজে সৃষ্টি লাভ করেছে এবং তা ক্রমাগত চলছে।



নিম্ন মধ্যবিত্ত, দরিদ্র ও দারিদ্রসীমার নিচে অবস্থানকারী পরিবারের বিবাহযোগ্যা কন্যাদের বিবাহকালে আমরা ধনবানরা তাদেরকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে হয়ত ভাবছি 'পূন্যের সাগর আমার'। আদতেই আমরা যা ভাবছি তা কি সত্য?
আচ্ছা, কনের সাথে তার স্বামীগৃহে কাঠপালং পাঠানো বা বরযাত্রী কর্তৃক কনের পিতার উপর ভোজনায়োজনের নামে অধর্মের যে চর্চাটা আমরা চালু রেখেছি তা কি আদৌও ইসলাম সমর্থন করে কিংবা তা কি সুপরিকল্পিত সামাজ ব্যাবস্থার নিয়মের ভেতর পড়ে?

প্রথমে ইসলামের বিধান মতে বিষয়টিকে স্বল্প বিশ্লেষণ করি চলুন, তারপর করা যাবে সুপরিকল্পিত সমাজ ব্যাবস্থার আলোকে বিশ্লেষণ। সকলেই অবগত যে, ইসলাম অতিরিক্ত ব্যায়কে কখনো সমর্থন করে না। পবিত্র কোরআনে অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের অর্থ-সম্পদ অপ্রয়োজনীয় কাজে খরচ করবে না। জেনে রেখো, যারা অপব্যয় করে তারা শয়তানের ভাই।’ (বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৬-২৭)
বিবাহে অতিরিক্ত ব্যায় না হওয়ার ব্যাপারে নবীজি (সা) ছিলেন খুবই কঠোর, এবং স্বল্প খরচের প্রতি ছিলেন পূর্ণ তুষ্ট। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সর্বাধিক বরকতপূর্ণ বিয়ে হচ্ছে, যার খরচ যত সহজ ও স্বাভাবিক হয়।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৪৫২৯)
আমরা ধরবানরা আপোন অধীনস্থদের বিবাহকালে যে অধর্ম চর্চার মাধ্যমে কুসংস্কারগুলো পালন করছি তাই কিন্তু এই নিম্নপর্যায়ের পরিবারগুলোর জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা আমাদের জন্য স্পষ্ট অপ্রয়োজনীয়, অপব্যয়। কুরআনের ভাষায় যা শয়তানের কর্ম তুল্য।

নিম্ন মধ্যবিত্ত, দরিদ্র ও দারিদ্রসীমার নিচে অবস্থানকারী পরিবারগুলোর মেয়েদের বিবাহের ক্ষেত্রে কনের সাথে তার স্বামীগৃহে কাঠপালং পাঠানো বা বরযাত্রী কর্তৃক কন্যার পিতার উপর ভোজনায়োজনের নামে অধর্মের কর্মগুলো শরিয়তের দৃষ্টিতে মেয়ের পরিবারের প্রতি অবিচার। সুতরাং এমন কাজ পরিহার করা উত্তম। (আস-সুনানুল কুবরা, হাদিস : ১১৫৪৫, ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম : ৭/৫২২)। তবে ওয়ালিমা সুন্নত। এই সুন্নতটি পালনের দায়বদ্ধতা পুরোপুরি বর্তায় বর ও তার অবিভাবকদের উপর; কনের পৈত্রিক খরচে নয়।

আসুন, এখন সুপরিকল্পিত সমাজ ব্যাবস্থার আলোকে বিশ্লেষণ করা যাক। আমরা যারা বিবাহে কনের সাথে কাঠপালং দেওয়া ও বরযাত্রীদের ভোজনায়োজনকে খুবই স্বাভাবিকভাবে দেখি। যাদের কাছে এ ব্যায় তেমন বেশি না। স্বাচ্ছন্দ্যে করার মত। এমনকি সমাজে যেসকল পরিবার আপোন মেয়েদের বিবাহ খরচ বহন করতে পারে না তাদেরকেও আমরা সাহায্য করি। হ্যা, এই আমরা সাহায্যকারীরাই অধর্মের রক্ষক। বলবেন কেমনে?
আমরা যারা ধনবান তারা এই অধর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিয়ে আপোন সন্তান ও অধীনস্থদের বিবাহের আয়োজনে এসকল কুকাজ করে চলেছি। এবং তাদেরকে সহযোগীতা করছি যারা এই ব্যায় টানতে পারছে না। তাদেরকে আমরা সাহায্য দিয়ে পূন্যের আশাবাদী। অথচ আমাদের স্বাভাবিকভাবে পালনীয় এই কুসংস্কার ও অধর্মের কারণেই কিন্তু এসকল পরিবার আজ অত্যাচারে পিষ্ট। তারা কিন্তু একমাত্র সমাজ রক্ষায় আপোন কন্যাদের বিবাহের ব্যায় টানতে না পেরে ভিটেমাটি পর্যন্ত বিক্রি করতে বাধ্য হয়, কেউ অন্যের কাছে হাত পেতে ঋণের পাহাড় কাঁধে নেয়। তাদের মধ্যে যারা নিজেদের বুদ্ধিমান ভাবে তারা কন্যা সন্তার জন্মের পর থেকেই ২-৩ লক্ষ টাকা সঞ্চয় করতে মরিয়া হয়ে উঠে। কিন্তু তারা এই অধর্মের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় না, যদিও তাদের দাঁড়ানো উচিত। 'কিন্তু সমাজ বলে একটা আছে না।' প্রতিষ্ঠিত কুধর্ম সমাজ পালন করে মহা উল্লাসে। সেখানে তারা বিরুদ্ধবাদী হতে পারে না। কারণ তারা সুশীলদের দ্বারাই পরিচালিত, যে সুশীলরা নিজেরা তো এ অধর্ম পালন করেই সেই সাথে তাদেরকেও পালন করতে উৎসাহিত করে; অর্থ দানে কিংবা মুলার বাতাস প্রদানে।

আমরা বিবাহের ব্যায় টানতে না পারা এসকল অভিভাবকদের কিছু টাকা দিয়েই মনে করি কুধর্ম রক্ষায় এতটুকুই যথেষ্ট। কিন্তু ঐ পরিবারের মানুষই কেবল জানে একটি মেয়ের বিয়েতে তাকে কী পরিমাণ মর্মান্তিক অবস্থার স্বীকার হতে হয়! তাছাড়া এমন অনেক পরিবার তো আছেই যাদেরকে আমরা সাহায্য পাঠাতে পারছি না। কিন্তু তারা ঠিকই (আমাদের দ্বারা পালিত স্বাভাবিক ব্যায়ের) বিয়েকে টানতে গিয়ে তাদের সর্বস্ব হারাচ্ছে। যা পালন আমাদের কাছে স্বাভাবিক, অতি সহজতর সেটাই তাদের কাছে পাহাড়সম অসাধ্য। আমরা তাদের অবস্থা বিবেচনায় না নিয়ে ভাবার কারণে আমাদের কাছে মনে হয় তাদের জন্যও এটা সহজতর পালনীয় বিষয়।

এসব আমাদের আলেমকুল আমার চেয়ে ভালো জানেন। তারা বিয়েতে ওয়ালিমা ঠিকই পালন করেন কিন্তু পাশাপাশি অধর্ম চর্চায় সমাজের সাথেও থাকেন। তাদের এহেনোবস্থায় মনে হয় এ ব্যাপারে তাদের কোন দায়িত্ব নেই! অথচ এসকল অধর্মের বিপরীতে তাদের অবস্থান হওয়ার কথা ছিল প্রথম সারিতে। যাক, তাদের এই নিরবতা পাপকে সমর্থন করার মতই। সৃষ্টিকর্তা তাদের শুভবুদ্ধির উদয় ঘটাক।

"তুমি অধম–তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?”
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এই কথাটার যথার্থ অর্থ না তুলে একটুখানি উল্টিয়ে-পাল্টিয়ে ধরতে গেলে আলেমদের দ্বারা এসকল অধর্ম রোধনের অপেক্ষায় থাকা বোকামি। সুতরাং আমাদের উচিত আপন কাজ সম্পাদনে সচেষ্ট হয়ে উঠা। সুতরাং আমি মনে করি এই অধর্ম প্রতিহত করা একমাত্র আমাদের মত ধনবানদের দ্বারাই সম্ভব। এজন্য প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে এটা কতটুকু সমাজধ্বংসী। আমরা ধনবানরা এটা পালন করছি বিভিন্ন সহজলভ্য কারণ সামনে রেখে। কিন্তু তারা পালন করছে সমাজ রক্ষায়; বাধ্য হয়ে, যতই তারা মুখে তা অস্বীকার করুক। এটা কেবলমাত্রই আমাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি অধর্ম অপসংস্কৃতির কারণে। আমরা ধনবানরা এটাকে সহজভাবে পালন করার কারণেই আজ সমাজে এই অধর্মের এত ব্যাপকতা সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি অনেকের কাছে এই অপসংস্কৃতি পালন অসাধ্য সত্বেও তা পালন করতে বাধ্য হচ্ছে। যদি আমরা নিজ অধীনস্থদের বিয়েতে এসকল অধর্ম পালন না করে বরং সকলকে এর বিরুদ্ধে কৌশলগত অবস্থান অবলম্বনের জন্য উৎসাহিত করি, তবেই আমরা পাবো সম্প্রীতি বান্ধব এক সমাজ। আমাদের আজকের এই সমাজের পরিবর্তন ঠিকই ঘটবে; অধঃপাতের দিকে কিংবা শান্তিময় ও সুশৃঙ্খলার দিকে। আমাদের উচিত শান্তিময় ও সুশৃঙ্খলার দিকে সমাজকে এগিয়ে নিতে নিজ ভূমিকা স্পষ্ট করার পাশাপাশি এসব অধর্ম রোধনে বদ্ধপরিকর হয়ে কাজ করা।

ছবিঃঃ গুগল

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


নিজের ঢোল বাজাচ্ছেন? আরো জোরে বাজান, যাতে উহা ভেংগে যায়।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৫৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ব্লগার ল এই ব্লগ পোস্টে মন্তব্য করেছেন : বাজেরে বাজে ঢোল বাজে — ঢং ঢং

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৯

রাকু হাসান বলেছেন:


ভালো বলেছেন। সুন্দর প্রস্তাব ।যাদের সমাজ সংস্কারের জন্য আহবান জানাচ্ছেন,তারা কতটা উদার ,মানব্কি! এর চেয়ে বেশি মানবতা খোঁজে পাবেন খেটে খাওয়া মানুষদের মাঝে।অধর্মদের ধর্মের গান শুনিয়ে কতটা লাভবান হতে পারব! নারী নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলুক ,যৌতুক প্রথা কমে যাবে। ভালোর চর্চা আমরা না করলে এ থেকে মুুক্তি মিলবে না । আমাদের ব্যক্তিত্ববোধ সস্তা,সেটার মান বাড়াতে হবে। যারা যৌতুক নেয় ,তাদের সামাজিকভাবে নিরুৎসাহিত করা যায় । সমাজ নেতিবাচত ভাবে দেখলে আস্তে আস্তে কমে যাবে।এটা আছে তবে কম।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:২১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: যেটা ভালো সেটা হওয়ার কথা ছিল বৃহৎ কিন্তু সেটা কম। আমরা সমাজের অকর্মগুলোকে এভাবেই যত্নে রাখছি যে, ভুলেই যাচ্ছি একটা অকর্ম প্রতিষ্ঠা আমার পুরো জীবনের সুকর্মগুলো ধ্বংস করে দিতে পারে।


সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
তারপরআছেন কেমন?

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: কিছু কিছু নিয়ম যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এই নিয়ম গুলো ভাঙ্গা দরকার।
আপনি ভালো লিখেছেন। সমস্যা হলো- ধর্মের কথাও বলেছেন। আজকাল কেউ তো পুরোপুরি ধর্ম মানে না।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:২৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: কেউ মানুক না মানুক সত্যটা রকাশ করাই আমাদের কাজ৷ বিশেষত আমরা ব্লগাররা সমাজের অনেক অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রেখে সমাজকে সে-সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে সচেতনকরার কারণে সমাজ তা গ্রহণ করেনি। এই অধর্মের বেলায়ও যদি আমরা সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারি, তবে তা খুব দ্রতই দূর হবে নিশ্চিত।

ধন্যবাদ।

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ তাজুল ইসলাম ,





ভালো বক্তব্য এবং সঠিক।
সমাজ এই সব দান-দক্ষিনার নামে মানুষকে অকর্মণ্য আর পরমুখাপেক্ষী করে রাখছে। মেয়েরা নিজেদের সামর্থ্য আর যোগ্যতা ভুলতে বসেছে। নিজেদের দাতার ভাবমূর্তি বজায় রাখতে আমরা নিজেরাই এই অন্যায় ও পরমুখী প্রথাকে অজান্তেই জিইয়ে রাখছি এর ফলাফল কি হতে পারে তা না ভেবেই।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৫৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
আহমেদ জী এস বলেছেনঃ
সমাজ এই সব দান-দক্ষিনার নামে মানুষকে অকর্মণ্য আর পরমুখাপেক্ষী করে রাখছে। মেয়েরা নিজেদের সামর্থ্য আর যোগ্যতা ভুলতে বসেছে। নিজেদের দাতার ভাবমূর্তি বজায় রাখতে আমরা নিজেরাই এই অন্যায় ও পরমুখী প্রথাকে অজান্তেই জিইয়ে রাখছি এর ফলাফল কি হতে পারে তা না ভেবেই।


পূর্ণ সহমত আপনার সাথে। যদি আমরা একটু একটু করে হলেও এ ব্যাপারে সচেতন হতাম তাহলে ধীরে ধীরে আমাদের বিবেকই আমাদেরকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে বাধ্য করতো! কিন্তু আফসোস যে, আমরা আমাদের বিবেককে ধ্বংস করতে যত অধর্ম আর কুধর্ম আছে সেসব বাস্তবায়নে উঠে পড়ে লেগেছি।
সমাজে নিজেকে প্রগতিশীল দাবী ঠিকই করি কিন্তু এই 'প্র' গতিশীলতা আমাদের কাছে কী আশা করে তা বুঝতে পরিপূর্ণ অক্ষম হয়ে অস্পষ্ট পঙ্গুর মত সমাজে বসবাস করছি। আমাদের সকলের উচিৎ পরজীবি হয়ে বেঁচে উঠা মানুষকে কর্মমুখী করার জন্য হলেও অন্তত এসকল অধর্ম আর কুসংস্কারের বিরুদ্ধে নিজের সর্বোচ্চ কৌশলগত অবস্থান ধরে রাখা।


আপনার নিকট অনুরোধ, এই কুপ্রথার বিরুদ্ধে লিখুন প্লিজ!

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আত্মশুদ্ধিটা কি?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৪২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: চিত্তশোধন

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:০২

সোহানী বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। আসলে এ বিষয়গুলো এমনভাবে আমাদের মগজে ঢুকে আছে যে এটি যে কোন অপরাধ বা অমানবিক কাজের মাঝে পরে তা আমরা জানিই না। কনের বাড়ি থেকে জিনিসপত্র নেয়া, গোষ্ঠী সহ লোকজন খাওয়া, গিফটের নামে জিনিস আদায় করা ..........এটা যেন খুব স্বাভাবিক। অথচ কেউই ভেবে দেখে না একটা গরীব পিতার কষ্ট।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৫২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: সর্ব ব্যাপারে আমরা অধর্ম পালনে কৌশলী। কিন্তু অধর্ম প্রতিহত করার বেলায় খুবই বাজে অবস্থা আমাদের৷ আমাদের আলেমকুল বলুন আর সুশীলকুল বলুন সবাই একই সারির পাপী। অধর্ম বুঝতে না পারা মানুষগুলোকে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি আসল মূর্খ বলে৷ আর যারা তা জেনেও নিরবতা পালন করছে তারা বক ধার্মিক ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন বিবেকহীন অকর্মা ছাড়া অন্য কিছু নয়।
অথচ এই অধর্ম রোধনে আমরা সামান্য কৌশল অবলম্বন করলেই ধীরে ধীরে সমাজ থেকে তা দূর হয়ে যাবে নিশ্চিত।

আপনাদের নিকট অনুরোধ, এই অধর্মের বিরুদ্ধে লিখুন প্লিজ!

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৩২

বলেছেন: বাজেরে বাজে ঢোল বাজে — ঢং ঢং

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৫৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: চাঁদগাজী এই ব্লগ পোস্টে মন্তব্য করেছেন:
'নিজের ঢোল বাজাচ্ছেন? আরো জোরে বাজান, যাতে উহা ভেংগে যায়।'



তা যাই হোক, এতো দিন কই ছিলেন দেশি বন্ধু! কোন খবর নাই, অনেক খোঁজার পরও লাপাত্ত!
তা আছেন কেমন?

৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:০১

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: সুন্দর আলোচনা সেই সাথে আশাকরি ব্লগাররা নিজেদের জীবনে এমন চিন্তা ভাবনার প্রতিফলন ঘটাবেন।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: এমনটাই আশা। ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৫

এমেরিকা বলেছেন: আমার কিছু জানার ছিল। আমি যেখানে বিয়ে করেছি, সেটা আমার স্ট্যাটাসের সাথে মেলেনা। আমার বৌ দামি গাড়িতে চড়ে অভ্যস্ত। এসি না চালিয়ে ঘুমাতে পারেনা। বিয়ের সময় তাই আমার শ্বশুর তার আদরের মেয়ের জন্য যা যা প্রয়োজন তা দিয়ে দিয়েছেন। আমার পক্ষে তা নিতে না চাওয়ার মত অবস্থাই ছিলনা। এগুলো জোগাড় করতে আমাকে আরো ৩/৪ বছর চাকরি করতে হত। এম্নিতেই বিয়ের দেনমোহরের অর্ধেক নগদে পরিশোধ এবং বিয়ের আয়োজন করতে গিয়ে আমি সারা জীবনের সঞ্চয় দু হাতে খরচ করে ফতুর হয়ে গিয়েছিলাম। এ অবস্থায় আমার করণীয় কি ছিল?

১০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৩

দ্যা প্রেসিডেন্ট বলেছেন: ইহা প্রকৃত গণতান্ত্রিক শান্তিময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক ভূমিকা রাখবে প্রিয় নাগরিক।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাল লিখেছেন। + +
দান দক্ষিণার ক্ষেত্রেও মধ্যপন্থা অবলম্বন করা উচিত। ছেলেরা অবস্থাপন্ন হয়ে থাকলে মেয়েপক্ষের উপর সমপর্যায়ের চাপ প্রয়োগ করা অনুচিত। উল্টো ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
কয়েকটি জায়গায় আপনি "কাঠপালং" লিখেছেন। সঠিক শব্দটি হবে খাটপালং

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.