নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বিনির্মাণে যাঁরা দিয়েছেন নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগ, আমরা তো কেবল তাদের পথের যাত্রী।

সৈয়দ তাজুল ইসলাম

সমাজের সন্তান

সৈয়দ তাজুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

How much benevolent religion is Islam for humanity?

১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪২


'মানবতার জন্য ইসলাম কতটুকু কল্যাণকামী?' প্রশ্নে মুসলিমরা একটু নড়েচড়ে বসবেন এটাই স্বাভাবিক। আমাদের মুসলিমদের অধিকাংশই জন্মসূত্রে মুসলিম। সে কারণে অধিকাংশজন ধর্মের ব্যাপারে শুনা কথাকেই ইশ্বরের কথা বলে ধরে নেন। আর এই সুযোগে ধর্ম ব্যবসায়ীরা হয়ে উঠেন তাদের নিকট এক-একজন ইশ্বর।

ধর্ম ব্যবসায়ী মামুনুল হক, ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, আযহারী, মাওদুদী, আহলে হাদিস, ফুলতলী, রেজবী, আটরশী, মাইজভান্ডারি, দেওয়ানভাগীদের ভক্তরা সে কারণেই নিজেদের পীর/আমীরদের বিরুদ্ধে কোন সত্য কথাকেও সহজে মেনে নিতে পারে না। আর এই না মেনে নেওয়ার স্বাভাবিক বিষয়টাই সৃষ্টির প্রতি ইশ্বরের দাবী। ইশ্বর তার সৃষ্টির নিকট যেমন প্রাপ্তির আশা করেন পূজা, তেমনি আমাদের এইসব পীরেরা নিজেদের ভক্তকুলের কাছে দাবী করেন তাদের প্রতি একক বিশ্বাস। সৃষ্টিকর্তার প্রতি ইবাদতের নাম করে ভক্তদের থেকে তারা এই একক বিশ্বাস আদায় করে নেন অতি কৌশলে। এভাবে ধর্মভীরুর নাম করে সমাজে সৃষ্টি হয় ধর্মান্ধ। সে কারণেই আমরা দেখি, এই ধর্মান্ধ ভক্তরা নিজেদের ইশ্বরদের জন্য সত্য অস্বীকারের বিশ্বাসকে হৃদয়ে লালন করেন এবং নিজেদের ইশ্বরদের অপপ্রচারে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডকে বারবার অস্থিতিশীল করে তুলেন। কেহ তা করেন নিরবে, কেহ বা করেন হট্টগোলের মাধ্যমে। সাধারণ মানুষ ধর্ম পালন করতে গিয়ে এই যে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি(এইসব পীর/আমীর)কে ইশ্বর ভেবে ধর্ম পালন করে যাচ্ছেন তা কিন্তু ইসলাম নয়। এই পন্থা বিশ্লেষণে স্পষ্ট হয়ে যায়, ইসলাম ধর্মের নামে অসংখ্য অধর্ম সৃষ্টি হয়েছে আমাদের বাংলাদেশে। এই অধর্মের ভেতর কিন্তু মানবতার বেঁচে থাকা হয়ে উঠছে না। নিজেদের অধর্ম রক্ষায় এসকল আশেকানরা মানবতারিরোধী কত যে কুকর্ম করে চলেছেন তা বর্ণনাতীত। এরা খুবই অনায়াসে নিজদের কুধর্মের জন্য যে কাউকে জবাই করতে পারেন। তারা ইসলামের নাম করে, জিহাদের নাম করে মানুষের শান্তি কেড়ে নেওয়ার মাধ্যমে সমাজকে করে তুলে উত্তপ্ত, সুষ্ঠু মানুষের জন্য বসবাসের অনুপযোগী। এভাবেই তারা সুদীর্ঘ সময় ধরে ধীরে ধীরে কেড়ে নিচ্ছে মানুষের স্বাধীনতা।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই ভিন্ন-ভিন্ন দলের প্রত্যেকে নিজেদের সাচ্চা মুসলিম দাবী করেন, তবে প্রকৃতার্থে এদের মধ্যে কে সাচ্চা মুসলিম তা বুঝা সাধারণের জন্য বিরাট দায়। মুখে মুসলিম দাবি করলেও বাস্তবে তারা যা করেন তা কিন্তু ইসলামের অংশ নয়। তারা ইসলামের নাম করে নিজেদের উগ্রতায় রাজপথে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে দাঙ্গাফাসাদের মাধ্যমে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে অতিষ্ঠ করে তুলছেন। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অনুষ্ঠানে তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে দেখা যায়। যদিও আমি আজ পর্যন্ত এদেরকে মানবতার জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় এক হতে দেখি নি। যা দেখেছি তা তাদের নিজেদের মধ্যে ডাস্টবিনের কাদাছোড়াছোড়ি ছাড়া ব্যতিক্রম কিছু নয়। যদি তারা সত্যিকার অর্থেই ইসলামকে লালন করতেন, তবে কেন তারা নিজেদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হলেন?

একটা গল্প দিয়ে শেষ করলে বুঝে আসবে তা খুব সহজে।
একবার সন্ত্রাসি জঙ্গিরা রাস্তায় এমন একটা গাড়ি থামায় যে গাড়ির ভিতরে এক খ্রিষ্টান দম্পতী ছিলেন। এরকম গাড়ি থামিয়ে নির্যাতন করা তাদের নিত্যকার আমল। তো জঙ্গিরা তাদের গাড়ি থেকে টেনে বের করে জিজ্ঞেস করল,
– মুসলমান নাকি?
ভদ্রলোক উত্তর দিলেন,
– হ্যাঁ।
এবার বুদ্ধি করে জিজ্ঞেস করল,
– কোরআনের একটা আয়াত বলো তো?
ভদ্রলোক চোখ বন্ধ করে, বাইবেলের একটা বড় প্যারাগ্রাফ বলে গেলেন!
জঙ্গিরা খুশিতে গদগদকণ্ঠে বলল,
– আলহামদুলিল্লাহ.. তোমরা যেতে পারো।

গাড়িতে উঠে ভদ্রলোকের স্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন,
– তোমার সাহস তো কম না... যদি জঙ্গিরা বুঝে যেত যে এটা কোরআনের কোন আয়াত না! তবে কী হতো একবার ভেবে দেখেছো?
ভদ্রলোক উত্তর দিলেন,
– যদি তারা আসলেই কোরআন জানতো, তাহলে আজ জঙ্গি হতো না।



ছবিঃ সামু

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খুবই কঠিন হলেও- তেতো সত্য!

মুসলমান হতে হয়। বিশ্বাসে, কর্মে, জ্ঞানে, প্রেমে, আচরণে সর্বাঙ্গীন ভাবে।

মুসলিম ধ্বজাধারীরাতো তাদের স্বার্থেই প্রকৃত জ্ঞানকে আড়াল করে রাখে
কিন্তু যে সত্য সন্ধানী তারও বড্ড দোষ আছে। সে চেষ্টাই করেনা। সাহস করেনা
অচলায়তনের আগল ভেঙ্গে সত্যকে অনুভবের তীব্র জিগিষা নেই তার!
ফলে সহজেই শিকার হয়ে পড়ে -বক ধার্মিকদের। তা স্বজাতি-বিজাতী সকল ক্ষেত্রেই সমানভাবে।

যে ধর্মের প্রথম পাঠ ইকরা।
তারাই আজ জ্ঞান বিজ্ঞান থেকে শত যোজন দূরে!
আর তাই পরিণতিও যা হবার তাই!

এ অচলায়তন বেঙ্গে যাক। প্রকৃত সত্য আর জ্ঞানের বিকাশ হোক হৃদয়ে হৃদয়ে
অলি আউলিয়াগণ যে প্রেমের আহবানে, রাসূল সাল্লে আলার প্রকৃত অনুসরনে সত্যকে দেশকালের সীমানা পেরিয়ে
ইসলামের মহান বাণীকে ছড়িয়ে দিয়েছৈন বিশ্বময় - সেই শক্তির পুনরুত্থান এখন সময়ের দাবী।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: সত্য অকপটে অস্বীকার করায় আমরা এখন এগিয়ে। ধর্মান্ধরা। নিজদের বিপরীতে আসা যে কোন সত্যকে মিথ বলে সমাজে অগ্রাহ্যের আবরনে ঢেকে দেওয়াই হয়ে উঠেছে আমাদের ধর্মান্ধদের প্রধান কর্ম। আর এই অবস্থান থেকে বেড়িয়ে আসতে না পারার কারণেই আমরা না পারছি সামনে এগুতে না পারছি ধর্মের সাথে মানবতার মিশ্রণ ঘটিয়ে ইসলামকে মানবতার ধর্ম বলে সমাজে পরিচয় করিয়ে দিতে৷


বিশ্বের অসংখ্য ধর্মালম্বীদের মধ্যে একমাত্র ইসলাম ধর্মালম্বীরাই বেশি পালন করে নিজ ধর্ম। ব্যবহারিক ভাবে। এসব বিষয়কে আমরা বাঙালিরা প্রশংসার দৃষ্টিতে দেখে নিজেরা ডুবে আছি অধর্মের বেড়াজালে। ধর্ম পালনে আমাদের সমাজের শিক্ষিত অশিক্ষিত সকলেই এক তরিকার অনুসারী। অন্ধানুসরণ।


আপনি বলেছেন কবিতার ভাষায়:
যে ধর্মের প্রথম পাঠ ইকরা।
তারাই আজ জ্ঞান বিজ্ঞান থেকে শত যোজন দূরে!
আর তাই পরিণতিও যা হবার তাই!


আসলেই ঘটছে আমাদের ক্ষেত্রে এমনটা। ইসলাম ধর্মের দাবীদারেরা যেখানে পাঠে- পাঠোদ্ধারে হওয়ার কথা সবার চেয়ে আগ্রহী সেখানে তারা হয়ে আছেন পরনির্ভরশীল। আর ঠিক এজন্যই তাদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে জঙ্গি, দুস্কৃতিকারী, কুধার্মীক, বকধার্মীক, ও অরাজকতা সৃষ্টির প্রধান হাতিয়ার হিসেবে।

ইসলাম ধর্মের প্রকৃত ধর্মভীরু হয়ে ওঠার জন্য আবশ্যক হচ্ছে জানা এবং আমল করা। আর জানার জন্য প্রয়োজন রিসার্চ করা। অতপর আমল। কিন্তু আমাদের সর্ব প্রকারের ধর্মালম্বীরা ধর্মভীরু হওয়ার পরিবর্তে হয়ে উঠছেন ধর্মান্ধ। আর এর থেকে তাদের বের হয়ে আসতে না পারার প্রধান কারণ নিজেদের মধ্যে না থাকা চেষ্টা।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:১২

রাজীব নুর বলেছেন: সুরা লাহাব।
ধ্বংস হোক আবুলাহাবের দুহাত এবং ধ্বংস হোক সে নিজে!
আল্লা নিজেই অভিশাপ দিয়ে আবুলাহাবের একটা লোমও ছিড়তে পারে নাই কিন্তু।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৩৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনার দুমুখো মন্তব্য আপনার পরিচয় পরিস্কার করছে না!

আপনাকে অভিনন্দন কিসে জানাবো বুঝতে পারছি না!

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৭

আমি নই বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: সুরা লাহাব।
ধ্বংস হোক আবুলাহাবের দুহাত এবং ধ্বংস হোক সে নিজে!
আল্লা নিজেই অভিশাপ দিয়ে আবুলাহাবের একটা লোমও ছিড়তে পারে নাই কিন্তু।


এই ব্যাক্তি কিন্তু ইসলাম বিদ্বেশি না!!!! এনারে সবাই ভুল বোঝে, ইনি এইসব কথা মাঝে মাঝে রংগ করে বলেন, হা হা হা।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৩৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: এটা উনার সরলতার প্রকাশ নাকি না জানার বুঝতে পারি না!

তা এই সুদীর্ঘ পোস্ট পড়ে আপনার মন্তব্য কীরক!

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৭

আমি রানা বলেছেন: তাহলে আসল ইসলাম কার কাছে আছে? কিভাবে পাব?

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৪১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আসল ইসলাম অবশ্যই আল্লাহ প্রেরিত আল কুরআন ও নবীজির হাদিসে পাবেন। যা পরবর্তীতে ওলী-আউলিয়ারা রিসার্চের মাধ্যমে মানুষের জন্য ধর্ম পালনকে সহজ করার লক্ষ্যে বের করেছেন। কিন্তু এগুলো পেতে যেমন আপনাকে এগুলো রিসার্চ করতে হবে তেমনি সঠিক আল্লাহর ওয়ালীর শরণাপন্ন হতে হবে। সঠিক আল্লাহর ওলী নিরূপণে আপনাকে অবশ্যই রিসার্চ করতে হবে৷ কুরআন হাদিস সবার জন্য কিন্তু উন্মুক্ত। যদি আপনি নিজে থেকে কিছুটা জানার চেষ্টা না করেন, তবে ধর্মের নামে আপনার মাধ্যমে অধর্ম তথা মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ড আদায় করে নিবেন আমাদের বকধার্মিকেরা।

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যারা বিশ্বাসের সাথে পড়ে তারা জংঙ্গী।যারা পড়ে এবং চিন্তা করে তারা সংশয়ে থাকে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৪৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: যারা সঠিক বিশ্বাসের সন্ধানে পড়ে তারা জঙ্গি হয় না৷ পাঠ ও পাঠোদ্ধার কখনো কাউকে সংশয়ে ফেলে সংশয়বাদীতে তৈরি করে না।

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:২৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: খুব সুন্দর কথা লিখেছেন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:০৫

খাঁজা বাবা বলেছেন: মামুনুল সার্বজনীন স্বীকৃত কোন ব্যক্তি নন। হ্যা একটা গোষ্ঠির মধ্যে ওনার সমর্থন আছে। আপনারা ওনাকে সবার মাথার মুকুট হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন, আবার ওনাকে পচিয়ে ফেলছেন। সাধারন মানুষ আপনাদের এই রাজনীতির বিষয়টা সাধারন ভাবে নিচ্ছে না।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আমরা কেবল তাদের পরিচয় তুলে ধরছি। সেটাকে আপনি কোন দৃষ্টিতে দাঁড় করাবেন তা আপনার মনোভাবের প্রকাশ মাত্র। আপনার ব্যক্তিচিন্তাকে সাধারণের চিন্তা বলে চালিয়ে দিতে চাইলে ব্যর্থই হবেন বলে মনে হয়। পোস্টটি আবার পড়ুন।

৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:২৬

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: মন্তব্যে পরিচয় স্পষ্ট, রাজীব নুর একজন অমার্জিত গোঁয়ার, অশালীন অশিক্ষিত, স্বভাবগত উগ্র।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: 'আমরা উনার উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করি।' এটাই উনার কামনা।

৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৩৪

লাতিনো বলেছেন: রাজীব নুরের মন্তব্য পড়ে বিস্মিত হয়ে গেলাম। এটা তার চরিত্রের সাথে যায়না। তিনি যদি নাস্তিক হয়েও থাকেন, তাহলেও দুনিয়ার সব নাস্তিকের চেয়ে আলাদা। তার মন্তব্যে বরাবর বিনয় প্রকাশ পেয়ে আসছে, যেটা নাস্তিকদের মধ্যে খুব বিরল। আবু লাহাবের পরিণতি তার না জানার কথা না। তারপরেও কেন এরকম মন্তব্য করলেন - সেটা চিন্তার বিষয়।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: যদি আপনি উনার ব্যাপারে এই ধারণা লালন করে থাকেন তবে সেটা ভুল৷হ্যা, উনি বিনয়ী বটে কিন্তু জ্ঞানের পরিধি অপরিপক্ক থাকার পরেও তিনি পরিপক্বতার প্রকাশ ঘটাতে চান। 'আমরা উনার উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করি। ' এটাই উনার কামনা৷

উনি কিন্তু নাস্তিক-টাস্তিক না। উনি সত্যিকার অর্থেই একজন ভালো মানুষ।

১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। করোনা ভাইরাস থেকে সাবধান থাকুন। বাইরে গেলে মাস্ক মাস্ট। এবং ঘরে বাইরে সব সময় সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনার নিকট একই অনুরোধ থাকলো।

১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পোস্টের বক্তব্য খুব ভালো লেগেছে। যে গল্পটা দিয়ে শেষ করেছেন, সেটাও খুবই উপযুক্ত একটা উদাহরণ, আমাদের মিসগাইডেড মুসলিমদের বোঝার জন্য।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের মুল সমস্যা আমরা অলস। আমাদের মধ্যে যারা বর্ণ চিনেন তারা বানান শিখেন 'টাকা' পর্যন্ত। তারা এর চেয়ে বেশি শিক্ষিত হন তারাও জীবনটাকে ভাবেন টাকার কারক। এখানেই মিসগাইটের শুরু। টাকার জন্য অন্যজনকে বিক্রি করতে আমরা পিছ পা হই না। সো, ফহর্ম কর্ম এগুলো ঠিকঠাক আমাদের কাছে না পৌছার মুল কারনই স্বার্থান্ধতা।

সুন্দর উৎসাহক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ধর্ম ব্যাবসায়ীদের রমরমা ব্যাবসার দায় সাধারণ লোকের উপরও বর্তায়। সবাই যদি তাদের কথা স্ট্যান্ডার্ড না মেনে বরং অর্থসহ কুরান শরীফ এবং হাদিস পড়ত তাহলে তারা ধর্মান্ধদের প্রভু বনে যেতে পারত না।

আপনার পোস্টের সাথে সহমত।লাস্টের ঘটনাটি চমৎকার লেগেছে।আসলেই তারা ইসলাম জানে না।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন৷ ভালো লাগলো অনেক।

ধর্ম ব্যাবসায়ীদের রমরমা ব্যাবসার দায় সাধারণ লোকের উপরও বর্তায়। আপনার এই কথার সাথে সহমত । ধর্মী কার্যকলাপ পালনে জানার গুরুত্ব অপরিসীম । ব্লগার বিদ্রোহী ভৃগু ভাইর কথাটা স্মরণে রাখার মত। তিনি আল্লাহর প্রেরিত সূরা ইক্বরা সুরার প্রথম আয়াত দ্বারা জানার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। যদি আমরা কুরআনের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারতাম তবে প্রথমে জানার চেষ্টা করতাম। আর আমাদের সাধারণের জানার চেষ্টা ধর্মব্যবসায়ী সৃষ্টির অন্তরায় হয়ে উঠতো৷

১৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মাহিরাহি বলেছেন: রাজীব নুরের মত এমন নীচ এটেনশন সিকার দেখি নাই।

মাঝে মাঝে দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য বৌ সহ পরিবারের সবাইকে হাজির করে।

বাবার মৃত্যুকেও পুজি বানায়।

আমাদের দেশের শিক্ষিতদের এই অধ:পতনের মূল কারণ, অর্থ আর যশ।

অশিক্ষিতরা অর্থ আর যশের জন্য এত নিচে নামে না।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: অশিক্ষিতরা অর্থ আর যশ চায় না যে এমন না। তারা চায়, কিন্তু তেমন সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় তাদেরকে আমরা সেরকম হেডলাইনে দেখি না৷ তবে, তাদের মধ্যে অধিকাংশরাই মনে হয়, অল্প তুষ্ট থাকয়ে পারে।

১৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টে কেউ কেউ আমাকে মন্দ কথা বলছে, এটা দুঃখজনক।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: তাদের সবার ও আমার পক্ষ থেকে আমি দুঃখিত। আপনি দয়া করে নই পড়ার পর পাঠপ্রতিক্রিয়া লিখুন। ব্যক্তিগত ভাবে আপনার নিকট আমার এটাই চাওয়া।

ভালো থাকুন সবসময় । পরবারকে বেশি বেশি সময় দিন। ধন্যবাদ

১৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:৪০

সোহানী বলেছেন: তাজুল, তোমার প্রতিটি লিখাই আমি পড়েছি অফলাইনে। কিন্তু সময়ের অভাবে কমেন্ট করতে পারিনি। সবসময় বলেছি, আবারো বলি আমি তোমার প্রতিটি ভাবনার সাথে একমত। এখনো সময় আছে আমাদেরকে এ থেকে উঠে দাড়াঁতে হবে, কঠোর হতে হবে। নতুবা একদিন এর জন্য ভয়াবহ ফল ভোগ করতে হবে।

আমি লিখবো শীঘ্রই এ নিয়ে। ভালো থাকো আর সাবধানে থাকো সব কিছু থেকে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপু, আপনার অকৃত্রিম অনুপ্রেরণাই আমার আগামীর পাথেয়। দু'আ করবেন যেন সত্যের বিশ্বাস হৃদয়ে শেষ থক থাকে।

এখনো সময় আছে আমাদেরকে এ থেকে উঠে দাড়াঁতে হবে, কঠোর হতে হবে। নতুবা একদিন এর জন্য ভয়াবহ ফল ভোগ করতে হবে। ধর্ম যে কী বিশাল সেন্সিটিবিটি লালন করে তা আমাদের ধর্মিকেরাই বুঝেন না। যে ধর্মাবলম্বীরা ধর্ম পালনেই অলস সেই ধর্মালম্বীদের নিয়ে জিহাদ কায়েমের নামে নিজেদের স্বার্থ আদায় করা দেখে বড্ড অবাক হতে হয় আপু। আমাদের এই সকল নেতারা যদি এই সাধারণ মানুষদের মধ্যে ধর্মের প্রকৃত অর্থ ঢুকিয়ে দিতে পারতেন, তবে দেশের এই অবস্থা হতো না। অন্তত নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটতো না।

আপু, আমার জন্য দু'আ করবেন। দেশে থাকাকালীন, অকাধিক হামলার কারণে এখন দেশ থেকে, এই অশান্ত মানুষগুলো থেকে দূরে চলে যেতে ইচ্ছে করে; অন্তত নিজের জীবন, পরিবারের জন্য।

১৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:০৫

সোহানী বলেছেন: আমি জানি ও বুঝি তাজুল, সাধারন মানুষ হিসেবে আমাদের কোথাও স্থান নেই। আমরা না পারি শয়তান হতে, না পারি শয়তানী সহ্য করতে। আর এ কারনেই আমি চলে এসেছি আমার সুযোগ ছিল বলে। আমি একা পুরো প্রথার বিরুদ্ধে লড়তে পারবো না, তুমিও পারবে না। তবে তোমাকে বলি, আগে নিজের জীবন, নিজের পরিবারের জীবন তারপর অন্য কিছু। আমি যদি বেচেঁই না থাকি, আমার পরিবার যদি আমার কারনে অসহায় হয়ে পরে তাহলে এ অবস্থা আমি চাই না। কথাটা স্বার্থপরের মতো শুনালেও এটাই সত্য, এটাই বাস্তবতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.