নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বিনির্মাণে যাঁরা দিয়েছেন নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগ, আমরা তো কেবল তাদের পথের যাত্রী।

সৈয়দ তাজুল ইসলাম

সমাজের সন্তান

সৈয়দ তাজুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রক্ষায় এগিয়ে আসুন!

০৬ ই মে, ২০২১ সকাল ৭:৪৪


১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রমনা মাঠে (রেসকোর্স ময়দানে) নারকেলের চারা রোপণের মাধ্যমে একটি উদ্যানের জন্ম দিয়ে তার নামকরণ করেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। যা সবুজ সমারোহ গাছগাছালির ছায়াঢাকা পাখিডাকা প্রাণোচ্ছল ইতিহাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বর্তমান ও আগামি প্রজন্মের জন্য। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এতদিন পর্যন্ত নগরীর কোটি কোটি মানুষের ফুসফুস সচল রাখার গুরুদায়িত্ব পালন করে এসেছে। কিন্তু এখন সে বড়ো অসহায়। আমাদের উচিত তার পাশে দাঁড়ানো।

সম্প্রতি রেস্টুরেন্ট তৈরির নামে শত-শতাব্দীর সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই শতাধিক পুরনো গাছগুলো কেটে উজাড় করছে গণপূর্ত অধিদফতর। হাজারো সমস্যার বোঝা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে থাকা ঢাকা শহরকে সবুজ ও সতেজতাহীন করার লক্ষ্যে গণপূর্ত অধিদফতর যে নিধনযজ্ঞ চালু করেছে তা আমাদের ঢাকা শহরকে মানুষের বসবাসের অবশিষ্ট উপযোগিতা হারাতে বাধ্য করবে। জাতীয় স্বাধীনতা জাদুঘরের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান তৈরিকালে যদি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সৌন্দর্যের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকা যায়, তবে এই তুচ্ছ রেস্টুরেন্টের জন্য কেন কোটি কোটি মানুষের আশ্রয়স্থলকে নষ্ট করা হবে? ভোগবাদীদের রেস্টুরেন্টের প্রয়োজনীয়তা কি বঙ্গবন্ধুর হাতে তৈরি সবুজের মালাগাঁথা সোহরাওয়ার্দীর সৌন্দর্য্য উপেক্ষা করার মতো শক্তিধর? নিয়মানুযায়ী যেখানে আমাদের রাজধানীর জন্য প্রয়োজনীয় ২৫ ভাগ বনভূমিও নেই, সেখানে আমরা কোন যুক্তিতে বনভূমি নিধনে এত আগ্রাসী?



দ্য ইকোনমিস্টের তালিকায় থাকা বসবাসের অযোগ্য এই ঢাকা শহরের সমস্যার কোনো শেষ নেই। সমস্যার সমাধান না করে বরং সমস্যা বৃদ্ধিতেই ব্যস্ত নগর প্রতিনিধিরা। গবেষণায় দেখা গেছে, রাজধানী ঢাকার প্রধান সমস্যাগুলো মধ্যে দুটি হচ্ছে, এক. সংস্কৃতি ও পরিবেশ। দুই. অবকাঠামো। এই দুটি সমস্যার ভেতর আরো যে সমস্যাগুলো লুকিয়ে রয়েছে তা হলো, জলবায়ু ও তাপমাত্রা, দুর্নীতির মাত্রা, সামাজিক বা ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতা, খেলাধুলার সুযোগ, খাদ্য ও পানীয় দ্রব্য, ভোগ্যপণ্য ও সেবা, সড়ক-পরিবহন ব্যবস্থা, গৃহায়ন, জ্বালানী, পানি এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। এত সব সমস্যা নিয়ে খুঁড়িয়ে চলা এই নগরকে যেখানে মানুষের বসবাসের উপযোগী করার লক্ষ্যে নাগরিকদের নিয়ে যৌথভাবে কাজ করে যাওয়া প্রয়োজন সেখানে সবুজ সমারোহ ধ্বংসকারী এমন কর্মকাণ্ড কখনোই সুস্থ বিবেকের মানুষ মেনে নেওয়ার নয়। তাছাড়া হরিজনদের মতো যারা এই বাংলার এলিট বাঙালিদের ব্যবহার পেয়ে তিক্ত হয়ে আছেন সেই সব মধ্যম আয়ের লোকদের জন্য ধীরে ধীরে সেই শীতলাশ্রয়ের জায়গাটুকুও খোওয়া যাবে নিশ্চিত।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই অপকর্মের বিরুদ্ধে আয়োজন করেছে শিল্প প্রদর্শনীর। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে কেবল একটি শ্রেণিই নয়। সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। দেশের নতুন প্রজন্ম, পরবর্তী প্রজন্ম যেন এই সবুজ সমারোহ গাছগাছালির ছায়াঢাকা পাখিডাকা পরিবেশ থেকে বঞ্চিত না হয়। সে লক্ষ্যে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই নিধনযজ্ঞের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া আবশ্যক। জানতে পারলাম, সরকারি গণপূর্ত অধিদফতরের মাধ্যমে নিধনযজ্ঞ নাকি এখন রাতের অন্ধকারে ঘটানো হচ্ছে! একটুও কি বুঝতে পারছেন, তারা ধ্বংসের জন্য কী পরিমাণ মরিয়া হয়ে উঠেছে! আমাদের এখনই সময় রুখে দাঁড়ানোর। না হয় আমরা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বিবেকহীনতার উপাধি নিয়ে বেঁচে থাকবো।

আসুন, আর নত না করি শির। নিজের জন্য, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কিছু একটা করি। আমাদের এক একজনের স্বল্প চেষ্টাই যৌথভাবে বৃহদাকার লাভ করবে।

(অনুরোধ থাকবে ব্লগারদের নিকট: দয়া করে বলুন, এই সবুজ সমারোহে ঘেরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনতে আমাদের কোন কাজগুলো করা আবশ্যক বলে আপনি মনে করে!)

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০২১ সকাল ৯:০৯

জটিল ভাই বলেছেন: সবার আগে দরকার নিজেদের সেইস্থলে একতা প্রদর্শন যে, "আমাদের রুচিবোধ উন্নত। আমরা চাই একটি সুন্দর বাংলাদেশ!"

০৭ ই মে, ২০২১ রাত ৩:২০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য। আসলে সমাজে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার প্রধান উপযোগী পরিবেশকে রক্ষার জন্য এই মুহূর্তেই আমাদের উচিৎ ঐক্যবদ্ধতা পরিস্কারভাবে প্রকাশ করা। আপনার সাথে সহমত।
আমরা যে বা যারা এর আশপাশে রয়েছি, যখনই দেখি এর প্রতিবাদ হচ্ছে তখনই আমাদের উচিত সেখানে উপস্থিত হওয়া। এবং এ সম্পর্কিত কোন প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়েছে এরকম জানতে পারলে, সাথেসাথে আশপাশের মানুষদের অবগত করুন, সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিন।

২| ০৬ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ তাজুল ইসলাম,




দেশের পরিবেশকে নিধন করে গণপূর্ত বিভাগের যারা যারা পকেট ভারী করার ধান্ধায় ব্যস্ত , সবার আগে নিধন করা উচিৎ তাদেরকেই।
এদের কর্মকান্ডকে নিধন করাই প্রতিটি সচেতন মানুষেরই ফরজে আইন। এ জন্যে সংঘবদ্ধ হতে হবে। কিছু কিছু বিষয়ে আমরা ফেসবুক, টুইটার, ব্লগ ইত্যাদি ফাঁটিয়ে ফেলি লেকচারে লেকচারে। কিন্তু নির্বিচারে গাছকাটা নিয়ে এরকম সরব হতে কেন পারছিনে আমরা ? তার মানে কি এই যে, আমরা ইটের পাঁজরে বন্দি হয়ে ধুলোময়ই থাকতে চাই ? সবুজের মাঝে থাকতে দোষটা কোথায়, নাকি সবুজের মাঝে থাকলে গা চুলকানি বাড়ে ?
অনেক আগেই সোচ্চার হবার সময় পেরিয়ে গেছে। এখন ?????????????

সচেতনতার পোস্ট। মানুষ জাগুক ..........................

০৭ ই মে, ২০২১ রাত ৯:০৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: সোস্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি অফলাইনেও আমাদের একটিভেটিস বৃদ্ধি প্রয়োজন। বিশেষত, যখন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই সমাজ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারবো তখনই এরকম কর্মকাণ্ডের মৃত্যু ঘটানো সম্ভব।

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেল, শুক্রবার (৭ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উল্টো দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ পথ ছবির হাটে আয়োজিত এক মানববন্ধনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বৃক্ষ নিধন না করে বৃক্ষময় করার দাবি জানিয়েছেন কবি, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মীরা।
তারা দাবী করেছেন, যে গাছগুলো আটা হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ স্বরূপ যেন ১০ হাজার চারা রোপন করা হয়।

আমাদের উচিত সকলেই এসকল মানববন্ধনে উপস্থিত হওয়া।

যদি কেউ এরকম কোন মানববন্ধনের হওয়ার সংবাদ পান, তহলে এখানে জানালে এই পোস্টে এড করে নেওয়া হবে।

৩| ০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ঢাকা শহরে রেষ্টুরেন্টের অভাব আছে এটি অবিশ্বাস্য বিষয় তারপরও প্রতিটি উদ্যানে রেষ্টেুরেন্ট করতে হবে? এসব বন্ধ করার জন্য যা যা প্রয়োজন তা সরকার যেমন জানেন সাধারণ মানুষও জানেন - কিন্তু কেউ মানেন না।


০৭ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৪৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ১ম কথা রেস্টুরেন্টের প্রয়োজনীয়তা কি উদ্যানের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?, ২য় কথা গাছ না কেটে কি রেস্টুরেন্ট তৈরি করা যেতো না?
গাছ না কেটেও কিন্তু রেস্টুরেন্ট তৈরি করা যেতো। কিন্যু গণপূর্ত অধিদফতর দুর্নীতিবাজদের কবলে চলে যাওয়ায় এই অবস্থা হয়েছে।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণেরেকমাত্র উপায় ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ।

দেখুন কী করুন অবস্থার দিকে এগুচ্ছে,



৪| ০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:১৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কঠোর ভাবে বিরোধীতা করছি এই গাছ কাটার। কাদের স্বার্থে এই গাছ কাটা হচ্ছে তাদেরকে আগে দমন করা দরকার।

০৮ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: এই বৃক্ষ রক্ষায় আমাদের প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ তৈরি করা। কে কী বললো সেদিকে খেয়াল না দিয়ে উদ্যান রক্ষায় প্রত্যেকেই নিজ অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করা।


দেখুন কী করুণ অবস্থা! অর্ধশত বছরের পুরনো গাছগুলোকে মৃত্যুর রঙে মার্ক করা হয়েছে। এখনো আমাদের কাছে সময় আছে প্রতিরোধ করার। সচেতন থাকুন, নিজ অবস্থানের জানান দিন!

৫| ০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মানুষ খুন করে পার পেয়ে যায় সেখানে হয়তো বৃক্ষ নিদন মামুলী ব্যাপার ।

০৮ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সরকার নগরবাসীর জন্য এরকম কোন উদ্যান তৈরি করতে পারে নি। নগরির জন্য যতটুকু বনভূমি প্রয়োজন ততটুকুই নেই তারউপর নিধনযজ্ঞ!

আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধই বৃক্ষগুলো রক্ষার প্রধান শক্তি।

৬| ০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: গাছ কাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ভীষন অন্যায়।

০৮ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক রাজীব ভাই।
আপনি নিজে ও আপনার পরিচিতজনদেরকে এর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি পরবর্তী প্রতিরোধে উৎসাহিত করুন।

৭| ০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: জোড় প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

০৮ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ প্রয়োজন। সেটা সম্ভব হোক বা না হোক, আমাদের উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই নিধনযজ্ঞের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হওয়া।

৮| ০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মানুষ এমন নির্দ্বিধায় গাছ কাটে কেমনে কে জানে!

০৮ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: যাদের পরিচালনায় এই নিধনযজ্ঞ পরিচালিত হচ্ছে তারা আর কেউ নয়! আমাদেরই কারো না কারো পরিবারের সদস্য কিংবা আত্মীয়। যদিও দৃশ্যমান আমরা এদেরকে সরকারী কর্মকর্তা বলেই দেখি। আমাদের উচিত সম্ভব হলে ওদের সাথে সম্পর্ক থাকলে তাকে বিষয়টির প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বুঝানো। আর না হলে প্রতবাদ করা।

৯| ০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৪৬

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: ঢাকা শহরের প্রতি অলিতে গলিতে রেস্টুরেন্ট বিদ্যমান। বাগানের মধ্যে রেস্টুরেন্ট করার এত প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলো কেন? নগরবিদদের উচিৎ ছিলো ঢাকা শহরে এরকম আরো কিছু উদ্যান গড়ে তোলা। কার সার্থে এভাবে সবুজ উজাড় করে দেয়া হচ্ছে তা তদন্ত করে তাদের শাস্তির আওতায় আনা জরুরী।

০৮ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
বিভিন্ন পেশার বিভিন্ন লোকজন বিভিন্নভাবে নিজেদের অবস্থান থেকে বৃক্ষ রক্ষায় প্রতিরোধ সৃষ্টির মাধ্যমে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কাটার জন্য চিহ্নিত গাছগুলোর একেকটিকে একেকজন বীরশ্রেষ্ঠদের নামে নামকরণ করা হয়েছে। প্রত্যেকেই নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বৃক্ষ নিধনের বিপক্ষে প্রতিরোধ তৈরি করছে। আমাদের সবার উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো ও প্রতিবাদকে সফল করা।

১০| ০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: গাছ কাটার বিরুদ্ধে আমাদের সবার কথা বলা উচিত।
এই জানোয়ারদের বিচার দরকার।

১১| ০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৫

রানার ব্লগ বলেছেন: গাছ না কেটেও স্থাপনা নির্মানের ভুড়িভুড়ি উধাহারন পৃথিবীতে আছে। বাংলাদেশের নগর পরিকল্পনাবীদদের চিড়িয়াখানায় নিয়ে বেধে রাখা উচিৎ গাধার সাথে।

১২| ০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

পরিবেশবাদীরা কই ?
আসুন আমরা সবাই একজোট
হয়ে অর্বাচিনদের প্রতিহত করি।

১৩| ০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: এই উদ্যান ধ্বংসে বড় ভূমিকা পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই কিছু ছাত্র-ছাত্রী নামধারী নেশাখোর ও মাদক ব্যাবসায়ী।
প্রায় সারাদিন-রাতই এরা চারুকলার বিপরীতে উদ্যানের ভিতরে গাজাসহ বিভিন্ন ধরনের নেশা করে এবং মাদক ব্যবসা করার জন্য দোকানদারদের বাধ্য করে। এছাড়ার এরা বিভিন্ন আপত্তিকর আচরণকে করে
এরাই যদি এসব করে তাহলে আর অশিক্ষিত-ভবঘুরেদের দোষ দিয়ে কি লাভ ?

১৪| ০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

স্থিতধী বলেছেন: আমি যতদূর জানি, বঙ্গবন্ধু যখন সেখানে বৃক্ষ রোপণ করেন তখন তিনি বলেছিলেন যে আর পাকিস্তানি আমলের মতো এখানে কখনো ঘোরাদৌড় আর জুয়াখেলার চর্চা চলতে দেওয়া হবেনা । দেশ আজ অনেক কিছুতেই উল্টা যাত্রা শুরু করেছে। আজকে সরকারের একটা অধিদফতরের এমন সিদ্ধান্ত সেই উল্টা যাত্রার আরেকটা অংশ। আজকে রেস্টুরেন্ট, কাল কে একটা বার আর পরশু আবার ঘোড়ার রেস শুরু হয়ে যাক! অল্প কিছু ভুইফোড়দের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাদের এসব আত্নঘাতী হঠকারী প্রজেক্ট চলতেই থাকুক! এসবের বিহিত হওয়া দরকার। কাদের স্বার্থে অধিদফতর ঢাকা শহরের মত একটা রেস্টুরেন্ট আর শপিং মল দিয়ে ঘেরা শহড়ে থাকা এক টুকরো ঐতিহাসিক সবুজ উদ্দ্যানেও গাছ কেটে রেস্টুরেন্ট বানাতে আগ্রহী সেটা জানা দরকার।

সকল "পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনে" আমরা সাথে থাকতে চাই।

১৫| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১০:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




উদ্যানে সবুজের সমারোহ ধংস করার মত জগন্য কাজ পৃথিবীতে আর দ্বিতিয়টি নেই ।
এই বৃক্ষ কর্তনের নীল নকশা প্রনয়নকারী থেকে শুরু করে এর বাস্তবায়নকারী সকলের
জবাবিদিহীতা আদায় করা হোক । কাজটি যে জগন্য সেটা চিহ্নিত করা হলে বাকি
কুশিলবগন এমনিতেই লাইমলাইটে চলে আসবে । পরিবেশবাদীগন সকলকেই
এই জগন্য ও নিন্দনীয় কাজটির বিপক্ষে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন ।

১৬| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এইখানে লিখে বা ফেসবুকে লিখে যতটা লাভ হবে তার চেয়ে অনেক বেশী লাভ হবে ঐখানে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদটা জানালে।
হয়তো আপনি গিয়েছেন!

১৭| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: সরকারের যা ইচ্ছা তাই করে। কারো সাথে আলাপ আলোচনা করে নেয় না।

১৮| ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ১২:০১

ঢুকিচেপা বলেছেন: গতকাল দেখলাম এই নিউজটা।
ইতোমধ্যে অনেক কাজ হয়েছে। তবে এখনো যদি গাছ কাটা বন্ধ হয় তাহলে অনেক গাছ বেঁচে যাবে।

১৯| ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ২:২২

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খইর। অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। অনেকেই এখনো এই বিষয়টি সম্পর্কে অজ্ঞ্যাত যা আপনি সামুতে তুলে ধরলেন। আসুন সবাই এর প্রতিবাদ জানাই। তা না হলে সবুজহীন বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে হবে আগামী প্রজন্মের কাছে।আমরা লাল সবুজের বাংলাদেশে সবুজের মৃত্যু চাইনা।

২০| ০৭ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



বিষয়টি উদ্বেগজনক। বৃক্ষ নিধন বন্ধ হোক।

২১| ০৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:১৩

অধীতি বলেছেন: নান্দনিকতা বোধ নেই তাদের। সবুজাভ পরিবেশ তাদের সহ্য হয়না। এরকম হলে রমনাও একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে।

২২| ০৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গাছ না কেটেও উন্নয়ন হতে পারে - এই কথা বুঝার জন্য মাথায় যেটা থাকার প্রয়োজন সেটা নেই কর্তৃপক্ষের।

২৩| ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ১১:১৯

সভ্য বলেছেন: আজব এক দেশে বাস করছি, শুধু লোভ আর লোভ, এদের থামানো দরকার। সবাইকে একত্রিত হয়ে এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং গর্জে উঠা দরকার।

২৪| ০৮ ই মে, ২০২১ রাত ১২:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: লোকচক্ষুর আড়ালে ঘটে যাওয়া একটি বর্বরতা্র প্রতি আলোকপাত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন!

আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে গণপূর্ত বিভাগের তখনকার প্রধান আরবোরিকালচারিস্ট এর সাথে ব্যক্তিগত পরিচয় হয়েছিল। আলাপে আলাপে খেয়াল করতাম, প্রতিটি দুর্বাঘাসের জন্যেও ওনার কতটা নিবিড় মায়া! তার নলেজে থেকে গাছ কর্তনের কথা কল্পনাও করা যেত না। আর আজ এতটাই নিষ্ঠুরভাবে এ প্রাচীন গাছগুলোর উপর করাত চালানো হচ্ছে, অথচ নাগরিকেয়া সবাই নিশ্চুপ!

"যে গাছগুলো কাটা হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ স্বরূপ যেন ১০ হাজার চারা রোপন করা হয়" - এ দাবীর প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করছি এবং এ নিধন প্রক্রিয়ার যারা আদেশ ও ইন্ধনদাতা, তাদের প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

২৫| ০৮ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২০

সোহানী বলেছেন: আমরা একটা অসভ্য ইতর! কারন সভ্য হলে এ ধরনের কাজ করার মতো সাহস করতো না। আমাদের মাথার মগজ সব মনে হয় কোল্ড স্টোরেজ এ রেখে দিয়েছি!!!

সরি, আবারো কানাডার গল্প বলতে হচ্ছে। এখানে নিজের উঠানের কোন গাছ কেউই কাটতে পারে না। কাটতে হলে সিটি কর্পোরেশান থেকে পারমিশন লাগে। মারাত্বক এক্সপেন্সিভ। একটা গাছ কাটতে কয়েক হাজার ডলার লাগে। অথচ কানাডার প্রতি মোড়ে মোড়ে পার্ক, বন, শত শত গাছের সমারোহ। গাছতো দূরে থাক সামান্য ছোট গাছের পাতাও কেউ ছিড়ে না।

আর আমরা............. ইতর শ্রেণি!!!

২৬| ০৮ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:১৬

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: আসলে খুবি দুখজনক ব্যপার কি করার আছে সরকারের কাছে অনুরোধ এভাবে গাছ কেটে রেস্টুরেন্ট না বানালেই ভাল
বহু জায়গা আছে সেখানে রেস্টুরেন্ট বানান-------

২৭| ০৮ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৪৬

মানিক_চন্দ্র_দাস বলেছেন: গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান।

২৮| ০৮ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: রেস্টুরেন্ট করার জায়গার অভাব হয়ে গেল!

২৯| ০৮ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:


গাছ কাটার মহৎসব
গাছ কাটার মহৎসব চলছে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে !!

৩০| ০৯ ই মে, ২০২১ রাত ২:৪৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: একটু খানি সবুজ ঢাকার মাঝে সেটাও শেষ করে দিবে বিলাসী খাবার প্রয়োজনে

৩১| ০৯ ই মে, ২০২১ ভোর ৫:০১

নির্বাক কাকতাড়ুয়া বলেছেন: অনলাইন, অফলাইন দুই অবস্থান থেকেই সকলের প্রতিবাদ জানানো । এছাড়াও মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া যেতে পারে ।

৩২| ০৯ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:০০

আরাফআহনাফ বলেছেন: আপনার সাথে সহমত।

আর একটিও গাছ যেন কাটা না পড়ে -সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
গাছ কাটার বিরুদ্ধে আমাদের সবার কথা বলা উচিত - পরিবেশ বাঁচলে আমরা বাঁচবো

৩৩| ১০ ই মে, ২০২১ সকাল ৯:৩৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: উন্নয়ন হোক তবে ঐতিয্য ক্ষতিসাধন করে নয়, উন্নয়ন হোক সবুজায়ন বন্ধ করে নয়, উন্নয় হোক গাছ কেটে নয়।+++++

প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

৩৪| ১০ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৫৮

নির্জন অঙ্কন বলেছেন: সঠিক কথা গুলো বলেছেন।
তবে এই সঠিক কথা বলে লাভ কি?
আপনি কার কাছে বিচার দিচ্ছেন?
যাদের কাছে বিচার দিচ্ছেন তারাই তো এই সমস্যা করেছে

৩৫| ১১ ই মে, ২০২১ রাত ১২:০৭

বোবাকান্না বলেছেন: পরিবেশবাদীদের দরকার নাই, আমরাই একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিই

৩৬| ১১ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:১০

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: গাছ কাটার তীব্র প্রতিবাদ জানাই । গাছ কাটা বন্ধ হোক

৩৭| ১১ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:০৯

নজসু বলেছেন:


সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আপাতত গাছ কাটা বন্ধ থাকবে। পরিবেশবিদসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

আজ মঙ্গলবার (১১ মে) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলমান স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্প বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.