নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজের সন্তান
বন্যার পানিতে মারা যাওয়া সুনামগঞ্জের তিনটি শিশু!
বন্যা বৃহৎ সুনামগঞ্জ বাসীর কপালের লিখন নয়। এটা আমাদেরই সুপরিকল্পিত কার্যক্রমের অভাবের কারণে আমাদের মাথায় প্রত্যেক বছর আছড়ে পড়ে। প্রত্যেক বছর আসা মানব সৃষ্ট বন্যার পানি আমাদের সুনামগঞ্জ বাসীর জন্য দুর্ভোগ ছাড়া অন্য কিছু নয়।
আমরা লক্ষ্য করলে দেখব, প্রত্যেক বছর এই এলাকাগুলোর সরকারি নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা বন্যা মোকাবেলায় বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়ে থাকেন। কিন্তু বছর ঘুরতেই যেই লাউ সেই কদু। কোন কোন এলাকায় চতুর্দিকে পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাঁধ দাঁড় করানো হয়। কিন্তু এলাকার পানি নিষ্কাশনের দুর্বল ব্যবস্থার কারণে এলাকার ভেতরকার বৃষ্টির পানিই সেই এলাকার জন্য বন্যার কারণ হয়ে উঠে। আবার কিছু এলাকার মানুষ বছরের পর বছর বন্যার দুর্ভোগ সহ্য করে থাকেন ভাগ্যের উপর দোষারোপ করে। তারা ভাবেন এটাই তাদের ভাগ্য।
এ বিষয়ে অনেকের সাথে আলোচনা করতে গেলে নিচের প্রশ্নগুলো বারবার উঠে আসে। যেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি, পাশাপাশি নিকটস্থ জনদরদী মানুষদের সাথে নিয়ে উদ্যোগ নিতে পারি।
প্রশ্নগুলো এরকম:
#বন্যার কারণে যে মানুষগুলো মারা যাচ্ছে তার দায় কার?
#মানব সৃষ্ট বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য নেওয়া কার্যক্রম প্রত্যেক বছর ব্যর্থ হয় কেন?
#বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য নেওয়া কার্যক্রমের মধ্যে যে ভুলগুলো থাকে সেগুলো সংশোধন হচ্ছে না কেন? হলে তা বন্যা মোকালবেলায় ব্যর্থ কেন?
#কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরবর্তী এক-দুই বছরের মধ্যে কেন আবার সাধারণ মানুষকে বন্যার জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হয়?
#বছরের পর বছর একইভাবে বন্যার কারণে দুর্ভোগ পোহানোর দায় কি কেবলই জনপ্রতিনিধিদের?
#বন্যার পানি মোকাবেলায় কি সাধারণ মানুষের কিছু করার নেই?
#বন্যার দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে সাধারণ মানুষকে কেন যথেষ্ট পরিমাণে সচেতন করা হচ্ছে না?
#সাধারণ মানুষকে কীভাবে সহজে সচেতন করা যায়?
#কিভাবে সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে বন্যার দুর্ভোগ থেকে নিজ নিজ এলাকাকে মুক্তি দেওয়া যায়!
মোটকথা হচ্ছে, আমরা আমাদের দায়িত্ব আদায়ে সচেষ্ট হলে কি সম্ভব নয় আমাদের আপনজনদের এই বন্যা থেকে মুক্তি দেওয়া।
ছবিতে প্রকাশিত এই তিনটি শিশু (বয়স যথাক্রমে ১২-৮-৩) কিছুদিন পূর্বে বন্যার কারণে মারা গিয়েছেন।
জ্ঞাতব্য, আমার পূর্বে অনেকেই বন্যা মোকাবেলায় কী করা যায় সে বিষয়ে সুপরিকল্পিত, তথ্যবহুল ও বিশ্লেষণধর্মী লেখা প্রকাশ করেছেন, তাদের সবার নিকট কৃতজ্ঞতা আদায় করছি। তাদের মধ্যে এই মুহুর্তে ব্লগার আহমেদ জী এস দা'র “এখানে এক নদী ছিলো” সাম্প্রতিক বন্যা নিয়ে একটি হুতাশন ..........." শিরোনামের লেখাটি মনে পড়ছে, সকলের পড়া প্রয়োজন মনে করছি।
২| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৫:৪২
আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ তাজুল ইসলাম,
সুনামগঞ্জের সাম্প্রতিক সময়ের বন্যার কারন নিয়ে ছবি সহ (যদিও ছবিটি ইফতেখার ভূইয়ার পরামর্শ মোতাবেক হয়নি) আবেদনময়ী লেখা। পড়তে পড়তে মনুষ্যসৃষ্ট কারনগুলো সম্পর্কে মানুষের দায়িত্ব জাগরণের কথা বলাতে আমার নিজের লেখা যে পোস্টটি মন্তব্যে লিংক হিসেবে দেবো ভাবছিলুম, শেষে এসে দেখি আপনি সে লেখাটাই লিংক করে এখানেই দিয়ে দিয়েছেন। ধন্যবাদ।
আশা করবো, সুনামগঞ্জ এলাকায় মনুষ্যসৃষ্ট বন্যার পেছনে স্থানীয় কি কি কারনগুলো আছে এবং সমস্যা সমাধানে সেখানকার মানুষেরা কি ভাবছেন, কেনই বা সরকার গৃহীত প্রকল্পগুলো কোনও কাজেই আসছেনা তা বিশদ উল্লেখ করে যদি একটি পোস্ট দিতেন তবে আর কিছু না হোক ব্লগের সুনামগঞ্জনিবাসী কিম্বা বন্যা কবলিত অন্যান্য অঞ্চলের ব্লগারেরা সরব হতে পারতেন। সমাধানের অনেক পথই হয়তো তাতে বেরিয়ে আসতে পারতো।
ভালো থাকুন।
৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৪৮
সোহানী বলেছেন: প্লিজ ছবিটি সরিয়ে নেন। কোনভাবেই এ ধরনের ছবি কাম্য নয়।
৪| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের মত সাধারণ মানুষের আগুন ঝড়ানো চেষ্টা করার জন্য দু চারখান মন্তব্য আর পোষ্ট দেয়া ছাড়া কিছুই করার নেই।
ও আর বিনে পয়সায় দুঃখ প্রকাশ !
৫| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:১১
বিজন রয় বলেছেন: আহা রে!
শুধু সুনামগঞ্জের বন্য নয়। আমাদের পুরোদেশ বন্যার মতো অন্যান্য খারাপ পরিস্থিতি দিয়ে ডুবিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
যেটা মানুষই করছে।
কর্তৃপক্ষের সাথে সাথে আমরা সবাই কম-বেশি দায়ী।
আমরা কেউ দেশে কথা সেভাবে ভাবি না।
৬| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯
রানার ব্লগ বলেছেন: ৯০ ভাগ দাদারা বাকি দশ ভাগ আমাদের দায় । আমরা লোভী এবং স্বার্থপর !!!
৭| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: এই আধুনিক যুগে এসেও বন্যায় মানুষ মারা যায়। ইহা দুঃখজনক।
৮| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬
আরোগ্য বলেছেন: বন্যা নয় উন্নয়নের জোয়ার। এবার কোরবানি ঈদে ঢাকা শহরের রাস্তায় রক্তের পানি দিয়ে বেহাল অবস্থা ছিলো। খবরে দেখে থাকতে পারেন।
না জানি এরকম কত বাচ্চার মৃত্যুর খবর অলক্ষ্যে থেকে যায়।
৯| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ইন্ডিয়াতে প্রায় নদীতে বাঁধ দেয়াই এই সব বন্যার কারন। সময়ে পানি নাই, অসময়ে পানি, এতে তারা নিজেরাও মরছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৩৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এই অকাল প্রাণহানী কোনভাবেই গ্রহণ যোগ্য নয়। আপনার বক্তব্যের সাথে সমর্থন জ্ঞাপন করছি। মহান রাব্বুল আলামিন এই বাচ্চাগুলোর পরিবারকে এই কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা দিন। ওদের রূহের মাগফেরাত ও পরকালীন শান্তি কামনা করছি।
সম্ভব হলে মৃত ব্যক্তির ছবি শেয়ার না করাটাই উত্তম। করতেই যদি হয়, তবে কিছু ব্লার করে দিন। ধন্যবাদ।