নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বঙ্গবন্ধু পরবর্তী আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামাইত্তা সকল কুকুরেরা বাঙলার প্রধান শত্রু।

সৈয়দ তাজুল ইসলাম

সমাজের সন্তান

সৈয়দ তাজুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

"গোড়া কেটে আগায় পানি ঢালা"

২০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:০৬


ক্যাপ্টেন আশিকেরা অনেক চেষ্টা করছেন শেখ হাসিনাকে দেশ ত্যাগে সাহায্য করার বিষয়টির প্রায়শ্চিত্ত দিতে। প্রায়শ্চিত্তের মিছিলে সেনাদের উৎসাহিত করতে কিংবা জনগণের চিন্তাকে ভিন্ন খাতে ব্যস্ত রাখতে স্বয়ং সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান ক্যাপ্টেন আশিককে পুরস্কৃত করে SGP সম্মাননা দিলেন।

বিগত ১৫ বছর যাবত আওয়ামী সরকারের স্বৈরাচারকে সেনাবাহিনী যে সমর্থন দিয়ে এসেছে, তারই নানন্দিক ইতি টানার চেষ্টা করতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে বিমানে তুলে দেশ ছাড়তে সাহায্য করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এটা দিনের বেলা আকাশে উদিত সূর্যের মতো সত্য।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্মানের যে জায়গাটায় থাকার কথা সেখানে তারা আজ আর নেই। চাইলে তারা তা ফিরিয়ে আনতে পারত। কিন্তু তারা তা করেনি। আলোচনার সুবিধার্থে তারা যা করেছে তার সামান্য কয়েকটি নিচে তুলে ধরছি,

• সেনাবাহিনী বিগত ১৫ বছর যাবত আওয়ামী স্বৈরাচার কর্তৃক জুলুম, নির্যাতন, ঘুম, খুন, দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও লুণ্ঠনে সহযোগিতা প্রদান করলো। যার প্রমাণ হিসেবে বলা যায়, স্বৈরাচার চলাকালে নিরবতা পালনের মাধ্যমে স্বৈরশাসককে সমর্থন ও শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় না করিয়ে, দেশ ত্যাগে সাহায্য করার মাধ্যমে স্বৈরাচারী প্রভূর মন রক্ষার সর্বশেষ চেষ্টা করলো।

* আন্তর্জাতিক মহলে নিজেদের মর্যাদা বৃদ্ধির চেয়ে অবশিষ্ট মর্যাদা রক্ষার দিকেই তারা মনোযোগী হয়েছে। এতে করে দীর্ঘদিনের প্রভু আওয়ামী স্বৈরশাসককে নারাজ করা থেকেও তারা মুক্ত থেকে গেলো। যদি তারা নিজেদের মর্যাদা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করত, তবে শেখ হাসিনাকে দেশ ত্যাগের সুযোগ না দিয়ে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করত।

• মর্যাদা রক্ষার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলমান মিশনগুলোতে নিজেদের টিকিয়ে রাখাও গেল। সুতরাং স্বৈরশাসকের বিপরীতে গিয়ে মর্যাদা বৃদ্ধির চেষ্টাও করল না। ঝুঁকি নেয়া থেকে নিরাপদ থাকল।

• শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পরপর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে জাতির দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার মাধ্যমে জাতীয় দরদী পার্টিতে নিজেদের দাঁড় করানো গেল।

• বাঙালিরা নিজেদের পুলিশের বর্বরতায় দিশেহারা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুলিশি দায়িত্ব আদায়ের চেষ্টা করল। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামি ও ক্ষমতা প্রত্যাশী বিএনপির উগ্রতা রুখতে সর্বোচ্চ চেষ্ঠা করলো। জনগণের সহযোগিতায় তা করতে সফলও হলো।

• আশাবাদী ছিল, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুরোপুরি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কিন্তু সেখানে ছাত্রজনতার কারণে তারা ব্যর্থ হলো।

• পুলিশি হামলায় মারা যাওয়া ছাত্রজনতার বিচারের আওয়তায় আসা পুলিশদেরকে না খোঁজে গণহারে সকল পুলিশকে নিরাপত্তা দেওয়ার মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত নিরাপত্তা দিতে শুরু করলো।

• সেনাবাহিনী প্রধানের উপস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকল থানা পূর্বের দায়িত্বশীল অসিদের অধিনে রেখেই চালু করার যে বিচারবহির্ভূত অবস্থা তৈরি করছেন সেই অপরাধ থেকেও তারা মুক্ত নন।

• ক্যাপ্টেন আশিককে SGP সম্মাননা দেওয়ার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর বাকি সদস্যদের উৎসাহিত করা হচ্ছে যেন তারা জনগণের সাথে সৌহার্দ্য পূর্ণ ব্যবহার দেখান। এখানে এমন প্রশ্ন আশা স্বাভাবিক যে, তাহলে বিচারবহির্ভূত ভাবে শেখ হাসিনাকে সাহায্য করার জন্য সেনাপ্রধানের উপর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ায় জরুরী। নাকি সেনা প্রধান নিজেদের দুর্নীতি ও স্বৈরাচারীর সাহায্যকারী হিসেবে নিজে যে অপরাধ করেছেন তা লুকিয়ে রাখতেই সেনাদেরকে উৎসাহ দিচ্ছেন জনগণের প্রতি "ভদ্র ব্যবহার" করার জন্য।

• সেনাবাহিনী নিজেদেরকে বিচারবহির্ভূত অবস্থানে রাখার মাধ্যমে সংবিধানের প্রতি যে কৌশলগত বিরোধিতা করছে তা যদি সমাধান না হয়, তবে বাংলাদেশের ভাগ্যের পরিবর্তনটা অপরিপক্ক ও অসচ্ছ থেকেই যাবে।

যদি সেনাবাহিনী নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন না আনে, তাহলে যে কেউ তাদেরকে প্রশ্ন করে বসতে পারেন, জনগণের সাথে "গোড়া কেটে আগায় পানি ঢালা"র ব্যবহার তাহলে করছে না কে?


ছবি: প্রথম আলো

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:৫০

কামাল১৮ বলেছেন: সেনাবাহিনী তাকে দেশ ত্যাগে বাধ্য না করলে আরো অনেক লোক হতাহত হতো।প্রশাসন সরকারের পক্ষে ছিলো।দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হতো।আর্মি নামার পর পুলিশ নিশক্রিয় হয়ে যায়।সরকারই আর্মিকে ডেকে নিয়ে আসে উপকারের জন্য।কিন্তু তারা উপকারের বদলে হাসিনাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়।এতে উপকারই হলো।দেশ বড় রকমের হতাহত থেকে রক্ষা পেলো।

২০ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:২৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে সুনাগরিক থেকে সাধারণ জনগণ কেউই টু শব্দ করেন নি সেনা শাসনের ভয়ে। কিন্তু ভেতরে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা ঠিকই কাজ করছিল। হয়তো অনেকে বলবেন, ভালোবাসা ভেতরে কাজ করলে বঙ্গবন্ধুকে মরতে হতো না। এই আলোচনা বিশ্লেষণের দিকে নিয়ে যায়।
যেটা বলা যায় তা হলো, শেখ হাসিনাকে সেনাবাহিনী নিজের হেফাজতে নিয়ে এলে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার লজিকটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ দেশ ছাড়ার পূর্বেই শেখ হাসিনা ও তার দল নিজেদের পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন। (৪৫ মিনিট পূর্বে) । এই সময়ের ভেতর সেনাবাহিনী চাইলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে সুষ্ঠু বিচারের ঘোষণা দিয়ে জনগণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারত। সেনাবাহিনী এরকমটা করলে বিএনপি, জামাত, জাতীয় পার্টি সহ সকল দলের সহযোগিতায় দেশে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাও রুখতে পারত।
আপনারা যে গৃহযুদ্ধের কথা বলছেন, সেটা সেনাবাহিনী জীবনেও বাংলাদেশে ঘটতে দিতো না। আন্তর্জাতিক মহলে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে এতটুকু তাদেরকে করতেই হত। দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে এগুলো দেশকে রক্ষা করতে ছাত্রজনতা নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে দিতে পিছ পা হতো না। আওয়ামী সরকারের আমলে নির্যাতনের স্বীকার হওয়া রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সকল দলগুলোর ভেতর এই ক'দিনে যে আশা জেগে উঠেছিল তার উদ্দীপনায় তারাই আওয়ামিলীগকে সামলে নিতে পারত।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:১৫

আহলান বলেছেন: আপনার কথায় লজিক আছে। তবে এই প্রাপ্তিও কম নয় ... !

২০ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:

আপনার কথারও লজিক আছে,
যেমন
"স্বৈরশাসক নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখতে উন্নয়নের মুলা দেখিয়ে জনগণকে নিয়ন্ত্রণে রাখে!"
জনগণ তখন ভাবে, নাই মামু থেকে কানা মামু ভালো। যেমনটা আপনি বলছেন। এই প্রাপ্তিও কম নয়।
হাজারো ছাত্র জনতার জীবনের বিনিময়ে অর্জিত এই অধিকার অবশ্যই এমন বিচারবহির্ভূত প্রাপ্তি চায়নি। আপনি যখন সুষ্ঠু বিচার , গনতন্ত্র ও সংবিধান ইত্যাদি শব্দ উচ্চারণ করবেন, তখন সেগুলোর সচ্ছতা নিয়েও আপনাকে ভাবতে হবে।

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৫৩

ধুলো মেঘ বলেছেন: ভাই, লজিক্যালি চিন্তা করেন। শেখ হাসিনাকে যদি বিচারের মুখোমুখি করা হত, তাহলে সেই বিচার প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক চাপের মুখে পড়ত। বিশেষ করে হাসিনার প্রভু ভারত এই নিয়ে মারাত্মক প্রেশার দিত। তাতে নিরপেক্ষভাবে বিচার কাজ সম্পন্ন করতে বেশ বেগ পেতে হত।

তার চেয়ে সেনাবাহিনী যা করেছে, আখেরে তা ভালোই হয়েছে। শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিপদে পড়ে ভারত এখন বুঝতে পারছে - এই আপদ যত তাড়াতাড়ি বিদায় হয়, তাদের জন্য ততই মঙ্গল। এই সুযোগে হাসিনার বিরুদ্ধে কেস খুব শক্ত পোক্তভাবে রেডি করা যাবে।

২০ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: অতীত নিয়ে আমরা কথা বলি কেবল সামনে চলার পথের প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য। শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত দেশে যে পরিমাণ হত্যা ঘুম দুর্নীতি করেছেন, তা সামনে তুলে ধরার পর ভারত যদি চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করতো, তবে ভারতকেও আন্তর্জাতিক মহলে জবাবের মুখোমুখি হতে হত এবং শেখ হাসিনা সরকারের সাথে করা তাদের সকল চুক্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠতো। ভারত এখানে শেখ হাসিনাকে রক্ষার চেয়ে নিজ দেশের সুবিধাকেই বেশি অগ্রাধিকার দিত। কারণ শেখ হাসিনাকে চাইলেই তারা রক্ষা করতে পারতো না। তারা নিজ দেশে সমর্থন আদায়ের জন্য আমাদের দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইদের ব্যবহারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইয়েরা নিজেদের বাঙালি পরিচয়কে এবারও উঁচুতে তুলে ধরার চেষ্টায় সফল হয়েছেন। ভারত ও আওয়ামীলীগের এই ব্যর্থতায় ভারত সরকার এখন চাইলেই শেখ হাসিনাকে চিন্তাবহীর্ভূত ভাবে আশ্রয় দিতে পারবে না। একই ভাবে তখনও পারত না।

এটা ঠিক, যা ঘটেছে তা অতি মন্দের চেয়ে ভালো। কিন্তু নিজেদের অর্জনের জায়গায় সেনাবাহিনী যে ব্যর্থতার দায় নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে, তা আজ হোক কিংবা কাল ঠিকই এর সঠিক আলোচনা ও বিচার হবে।

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: শেখ হাসিনাকে যদি ক্ষমতাচ্যুত না করতো তাহলে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসতো না, প্রতিদিন শত শত লাশ পড়তো। যা হয়েছে ভালোই হয়েছে।

২০ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
এটা ক্ষমতাচ্যুত করা নয়, এটাকে 'বিচারবহীর্ভূত ভাবে মনিবের জানের নিরাপত্তা দেওয়' বলে। যেটা আমাদের সেনাবাহিনী ধন্যবাদ পাওয়ার মত একটা কাজ করে দেখিয়েছে :)

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৫০

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আমাদের কোনভাবেই ভুলে যাওয়া উচিত না যে, সেনাপ্রধান শেখ পরিবারের একজন। ইনি অপসারন না হওয়া পর্যন্ত স্বস্তিতে থাকার কোন অবকাশই নাই। বিগত ১৫ বছর সহ সেনাবাহিনীর বর্তমান কর্মকান্ড অবস্যই প্রশ্নবিদ্ধ।

২০ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: সেখ হাসিনার আত্মীয় বলে তাকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে এই নীতির বাহিরে গিয়ে সেনাবাহিনীর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠালেই সেনাবাহিনীর বর্তমান পরিস্থিতি পরিষ্কার হয়ে যায়।

ধন্যবাদ আপনাকে।

এবং যারা যৌক্তিক মন্তব্য করেছেন তাদের সবাইকে।

৬| ২০ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:১৬

কামাল১৮ বলেছেন: সেনাবাহিনী দুই ভাগে বিবক্ত ছিলো।এখনো আছে।একদল চাচ্ছিলো তাকে জনতার হাতে তুলে দিতে।আরেকদল চাচ্ছিলো না।এই দ্বন্দ্ব এখনো সেনাবাহিনীতে চলছে।যে পক্ষ জয়ী হবে সেই দিকে দেশ গড়াবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.