নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজের সন্তান
ব্লগ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রকাশিত,
সার সংক্ষেপ,
সামহোয়্যারইন ব্লগ তার সূচনালগ্ন থেকেই বাংলাদেশের সবধরনের দূর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করে গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আকষ্মিকভাবে আগত ২০২৪ এর এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ব্লগারদের সহযোগিতা পৌঁছে দিতে ব্লগ সেচ্ছাসেবী টিম অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আমরা স্থানীয় পর্যায়ে খবর নিয়ে যা জানতে পারলাম, ফেনীর বিভিন্ন অঞ্চলে এখনও অনেক মানুষ আটকে পড়ে আছে। পানিবন্দীদের উদ্ধার করতে বিভিন্ন টিম কাজ করছে।
আমরা একটি টিম নিয়ে ফেনী সংলগ্ন এলাকায় পৌছানোর চেষ্টা করব আগামীকাল।
ইতিমধ্যে যারা ত্রান নিয়েছেন তারা সবাই শুকনো খাবার পর্যাপ্ত ভাবে নিয়েছেন, সেখানে রান্নাও হচ্ছে। আমরা প্রায়োরিটি দিচ্ছি:
১। আটকে পড়াদের উদ্ধারের বিষয়টিকে। কারণ মানুষ না বাচলে আমরা ত্রান কাকে দিবো। প্রচুর মানুষ এখনও পানিবন্দী।
২। আমরা প্রাথমিকভাবে বিশুদ্ধ পানি, পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট, স্যালাইন, দড়ি এবং টর্চ লাইটের গুরুত্ব দিচ্ছি।
৩। উদ্ধারকারী দল এবং আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে আমরা প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র সংগ্রহ করছি, যেমন বয়া, দড়ি, লাইফ জ্যাকেট, ইত্যাদি।
৪। আমরা আগামীকাল সকাল নাগাদ রওনা হবার চেষ্টা করছি। কিন্তু পিকাপের সমস্যা। মেইন রুটে পানি ও জ্যাম থাকায় বিকল্প পথে অনেকেই যেতে চাইছে না। এর সাথে ভাড়ার ইস্যু প্রকট।
৫। আমি ২০০০ বোতল পানি, ২০ টা লাইফ জ্যাকেট এর ব্যবস্থা করেছি। যদি কেউ পানি বা কোন প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমাদের মাধ্যমে পাঠাতে চান তাহলে দ্রুত আমাকে জানান অথবা ০১৭০৭০০৮২১৭ নাম্বারে আমার সাথে যোগাযোগ করুন। এটা আমার বিকাশ নাম্বার। যদি কেউ কোন সাহায্য পাঠান, এই (ফেসবুক কিংবা ব্লগের) পোস্টে এবং আমাকে ম্যাসেজ করে লিখবেন - সামু ব্লগার।
৬। যারা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে চান, তারা মন্তব্যের ঘরে জানালে আমরা আপনাকে ব্যাংক ডিটেইলস জানিয়ে দিব।
৭। আমরা কিছু ফান্ড রেডী করেছি। সেই অনুসারে আমরা কাজ করছি। ব্লগাররা যদি এই উদোগে যুক্ত হতে চান, তাহলে আমাকে জানান। হাতে খুবই সময় কম থাকায় এই ব্যাপারে হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ফান্ড রাইজের কেউ দায়িত্ব নিলে আমি কিছুটা চাপমুক্ত হব।
৮। যদি কেউ আমার সাথে যেতে চায় তিনি আমাকে জানাবেন। সাতার না জানা কাউকে আমরা যেতে উতসাহ দিচ্ছি না।
সম্মানিত ব্লগার, আকষ্মিকভাবে আগত এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতায় আমরা কীভাবে আরও ভালো কাজ করতে পারি, সে বিষয়ে আপনাদের মতামত জানা খুবই জরুরি।
বিগত দুর্যোগগুলোর মোকাবেলায় যেভাবে আমরা একত্রে কাজ করেছি, এবারের দুর্যোগেও আমরা আপনাদের সার্বিক উপস্থিতির মাধ্যমে আমাদের ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে এগিয়ে যেতে চাই। সুতরাং আপনারা আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত জানিয়ে আমাদের সাহায্য করুন।
(কা_ভা ভাই ব্লগে প্রবেশ করতে পারছেন না। আমি উনার সাথে যোগাযোগ করলে আমাকে এটা প্রকাশ করতে বলেন)
____________________________________________________
____________________________________________________
আপডেট: বিকেল ৩.৪৫, তাং:২৫/৮/২৪ (বন্যার্তদের কাছে ব্লগারদের সহযোগিতা পৌছে দেওয়ার চিত্র। )
প্রচন্ড ক্লান্ত, তাই সংক্ষিপ্ত ভাবেই সব কিছু লিখছিঃ
ব্লগারদের পক্ষ থেকে ফেনীতে বন্যা কবলিত মানুষদের মাঝে বিতরনের জন্য দুই হাজার পাঁচশ বোতল পানি, দুইশটি পরিবারের জন্য ম্যাচ লাইটার, সাবান, কয়েল বিতরনের জন্য প্রদান করা হয়েছে। আমরা এই মুহুর্তে কোন শুকনা খাবার প্রদান করি নাই। আমাদের এই কাজে স্থানীয় কিছু স্বেচ্ছাসেবক সাহায্য করেছে পাশাপাশি প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইকরাম উদ্দিন আবিরও আমাদের অনেক হেল্প করেছেন। আমরা এই ক্যাম্প থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ত্রান নিয়ে গেছি।
শহরের ভেতরে স্টেশন রোডের কোমর পানির স্রোত ঠেলে যেতেই প্রচন্ড কষ্ট হয়েছে। সেখানে গলা সমান পানিতে গেলে কি পরিমান কষ্ট সেটা অনুধাবন করলেই বুঝতে পারবেন কেন এখনও সবাইকে উদ্ধার করা যাচ্ছে না। এই স্থানে ইঞ্জিন বিহীন নৌকার কোন ভুমিকা নাই। অর্থাৎ শহরের ভেতরে নৌকা দিয়ে যাওয়া আসা করা গেলেও শহরের বাইরে ইঞ্জিন বিহীন নৌকা নিয়ে যাওয়া মানে অহেতুক বিপদ ডেকে আনা।
তবে অনুগ্রহ করে হুজুগে ১০/১২ জন মিলে কাউকে ত্রান দিতে আসতে মানা করুন।
একই স্থানে বার বার ত্রান দেয়া থেকে বিরত থাকুন। সামনে আরো অনেক ত্রানের প্রয়োজন পড়বে। আমি স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে আপনাদের জন্য সঠিক তথ্যের ব্যবস্থা করছি।
যে সকল ব্লগাররা সাহায্য পাঠিয়েছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। এখন পর্যন্ত আমাদের মোট সংগ্রহীত অর্থঃ ৩২,৫০০/-
পানিঃ ২৪০০ x ৯.৫ = ২২,৮০০/- ১০০ পিস ফ্রি।
মোমবাতিঃ ৪০০ x ১০ = ৪,০০০/-
সাবানঃ ২০০ x ২০ = ৪,০০০/-
মশার কয়েলঃ ২ কার্টুন = ১৪৪০ টাকা
ম্যাচ লাইটঃ ৪ বক্স = ২০০০ টাকা
লাইফ জ্যাকেট ১০ টা = ৬৫০০ টাকা
পিকাপ ভাড়া = ১৩,০০০ টাকা
মোট খরচঃ ৫৩ হাজার ৭৪০ টাকা।
আমার মোবাইলের ক্যামেরার ভেতর সম্ভবত বৃষ্টির পানি বা ঘাম প্রবেশ করায় তা ঠিক মত কাজ করছে না। সত্যি বলতে, আমার এখানে ছবি তোলার কোন মন মানসিকতা ছিলো না। তাই আপনাদের জন্য প্রয়োজনীয় ছবি সংগ্রহ করতে পারলাম বলে ক্ষমা প্রার্থী। ভিডিওটা লিংকে যুক্ত করলাম।
____________________________________________________
____________________________________________________
আপডেট: সোমবার রাত, ০১:০৭ (২৬-০৮-২৪)
নোয়াখালী বা লক্ষীপুরে আছেন এমন ব্লগারদের নিকট অনুরোধ, অনুগ্রহ করে আমাকে কিছু তথ্য দিয়ে সাহায্য করুন।
১। আপনার এলাকার বন্যা পরিস্থিতি।
২। দুর্গত মানুষদের মধ্যে কোন গণ ত্রান সাহায্যের প্রয়োজন আছে কি না? প্রতিটি এলাকায় কিছু পরিবার থাকে দরিদ্র, তাদেরকে কেন্দ্র করে এই ধরনের দাবি করবেন না।
৩। এমনটা হলে, আপনার এলাকার নাম, যোগাযোগের নাম্বার জানাবেন এবং আপনার এলাকায় পৌছানোর বিস্তারিত জানাবেন। আমাদের স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে কেউ আপনার এলাকা ভিজিট এ যাবে।
____________________________________________________
____________________________________________________
আপডেট: সোমবার, বিকেল, ৫:৫৮ (২৬,০৮.২৪)
বন্যায় আমাদের কোন ব্লগার যদি ক্ষতিগ্রস্থ থাকেন, তাহলে প্লীজ আমার সাথে দ্রুত যোগাযোগ করুন। আমরা স্থানীয় পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করতেছি। আপনারা সম্ভব হলে তথ্য দিয়ে সাহায্য করুন।
নোয়াখালীর বন্যা তথ্য দিয়ে সাহায্য করার জন্য ব্লগার এরিসকে ধন্যবাদ।
অনুগ্রহ করে কেউ যদি আমাকে কোন সাহায্য পাঠান, নিজের নাম প্রকাশ করতে না চাইলেও আমাকে বিষয়টি জানান, এসএমএস করুন অথবা ইমেইল করুন।
নতুন করে প্রাপ্ত ডোনেশনঃ ৩৫,০০০/-
____________________________________________________
____________________________________________________
সর্বশেষ আপডেট: মঙ্গলবার: ০০:৩৩ (২৭,০৮.২৪)
এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপে সর্বমোট ৪০,৭২০ টাকা সংগ্রীহত হয়েছে। আমাদের পরবর্তী গন্তব্য নোয়াখালী জেলার সেনবাগ এবং মাইজদী। স্থানীয় পর্যায় থেকে আমরা দুর্গম ও দুর্গত অঞ্চলের সংবাদ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। সেটা নিশ্চিত হলেই আমরা মুভ করব। ইতিমধ্যে সেনবাগ থানার অম্বরনগর গ্রামের একটি আশ্রয়কেন্দ্র ( স্থানীয় চারতলা মাদ্রাসা) এর সাথে যোগাযোগ হয়েছে, সেখানে ৩০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের এই মুহুর্তে দুই দিনের খাবার সংগ্রহে আছে। যদি সেখানে নতুন করে কোন সাহায্য না আসে, তাহলে আমরা সেখানে ত্রান হিসাবে খাবারের ব্যবস্থা করব।
আগামীকাল সংবাদ নিশ্চিত হলে, আমি পুনরায় উক্ত অঞ্চলগুলোতে সরেজমিন ভিজিট করব।
পাশাপাশি যেসকল ব্লগারগণ বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে চান, তারা আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
বিনীত,
সামহোয়্যারইন ব্লগ টিমের পক্ষ থেকে
কাল্পনিক_ভালোবাসা
০১৭০৭০০৮২১৭
২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:২৩
অস্বাধীন মানুষ বলেছেন: বেস্টঅফ লাখ । সবাইকে আল্লাহু হেফাজত করুক এই দোয়া করি।
৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বিঃদ্রঃ বৃষ্টির পানি আর ঘামের কারনে মোবাইলের ক্যামেরাতে ঝামেলা হওয়ায় প্রকাশিত ভিডিওগুলো অসস্পষ্ট দেখা গেছে।
ফেনী আপডেট এবং যারা ত্রান নিয়ে আসবেনঃ
১। ফেনী শহর থেকে পানি ধীরে ধীরে নামছে। তবে শহর থেকে পানি সরে যেতে আরো কিছুটা সময় লাগবে। এর অন্যতম প্রধান কারন অপকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে নির্মিত রাস্তা ঘাট, ঘর বাড়ি এবং পানিতে ভাসমান প্রচুর পলেথিন এবং আবর্জনা।
২। গতকাল সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত হালকা বৃষ্টি হয়েছে। এতে প্যানিক হবার কিছু নেই। এই বৃষ্টি পানি নামায় তেমন কোন প্রভাব ফেলবে না বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
৩। সকলের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, অনুগ্রহ করে ত্রান সামগ্রী বিতরন করতে বেশি মানুষ আসবেন না। আসার আগে পরিকল্পনা করুন, স্থান নির্বাচন করুন এবং যারা সেখানে কাজ করছে তাদের সাথে সমন্বয় করুন। এই মুহুর্তে ত্রান সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ফেনীর বাইরের মানুষের বিশেষ করে সোনাগাজী, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া এবং ফেনী শহরের বাইরের মানুষের। এখানে কিছু এলাকা বিশেষ করে পশুরামপুর ও চাঁদগাজী এলাকা সীমান্তের নিকটবর্তী। কাউকে না জানিয়ে, সঠিক লোকেশন না জেনে ইচ্ছেমত ইঞ্জিন নৌকা ভাসিয়ে এই সব অঞ্চলে গিয়ে ভুলে সীমান্ত পার হয়ে আবার নতুন বিপদে পইড়েন না। আমি আমি বার বার স্থানীয় মানুষের সাথে যোগাযোগের উপর গুরুত্ব দিচ্ছি।
৪। ফেনী শহরে বিশুদ্ধ পানি অভাব আছে। তবে গতকাল শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পানি নেমে যাওয়ায় কিছু কিছু টিউব ওয়েল থেকে মানুষ পানি সংগ্রহ করছে, যেমন মিজান রোডের কিছু মার্কেটের সামনে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু প্রচুর পানির চাহিদা আছে।
৫। যারা ত্রান দিতে চাচ্ছেন, তারা অনুগ্রহ করে মাঠ পর্যায়ে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়ে প্রয়োজনীয় ত্রান সামগ্রী ক্রয় করুন। যারা মানুষের কাছে হাত পেতে সাহায্য নিচ্ছেন তাদের চাহিদার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে সাহায্য করুন। কারন এদের মধ্যে সবাই নন কিছু অংশ এই সকল ত্রান সামগ্রী যারা সকলের কাছে হাত পেতে নিতে পারছে না বা অন্য দুর্গতের মাঝে বিক্রি করে নগদ টাকা সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। এদের সামনে পেলে বুঝিয়ে বলুন অথবা বাধ্য হলে প্রতিরোধ করুন। তবে একা একা এই সব কাজ করবেন না, স্থানীয় মানুষজন এই সব প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছে এবং তারা প্রচন্ড বিরক্ত যারা এই ধরনের অন্যায় কাজ করছে। অপরিচিত এলাকায় বেশি হইচই কিংবা কাউকে মারধোর করার মত ভুল করবেন না, এতে পরিস্থিতি আপনার অনুকুলে নাও থাকতে পারে। যে কোন সিচুয়েশনে মাথা ঠান্ডা রেখে সিদ্ধান্ত নিন।
৫। যথাযথ সমন্বয়হীনতার কারনে একই এলাকায় অনেকেই ত্রান দিয়ে চলে যাচ্ছেন। আপনাদের বুঝতে হবে, ত্রান শুধু ফেনী শহর বা শহরের আশেপাশের এলাকায় নয় বরং ফেনীর বাইরে অনেকে এলাকাতেও প্রচন্ড প্রয়োজন। কিন্তু সেখানে কেউ যাচ্ছেন না। সবাই হাস্যকরভাবে বিভিন্ন সাইজের ইঞ্জিনবিহীন নৌকা নিয়ে টাকা পয়সা খরচ করে ফেনীতে যাচ্ছেন, যে সকল নৌকা দিয়ে দুরের কোন অঞ্চলে যাওয়া যাবে না। তাছাড়া বড় নৌকা বহন করে মহিপালের পর ফেনীতে পৌছানোর মত রাস্তার কন্ডিশন নেই। বিভিন ট্রাক ড্রাইভারা এলেমেলো লাইন করে দাঁড়িয়ে আছেন। সেনাবাহিনী, স্থানীয় ভলান্টিয়াররা আন্তরিকভাবে রাত দিন কাজ করছেন রাস্তা চলমান রাখতে। কিন্তু আপনি আমি যদি সচেতন না হই, তাহলে এইগুলো কোন একক বিষয় নয়।
৬। যারা ঢাকা থেকে যাবেন, তাদের লোকবল যদি বেশি হয় এবং প্রয়োজনীয় উদ্ধার সরঞ্জাম থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে কুমিল্লা বিভাগের চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, লাকসাম সহ বিভিন্ন এলাকায় একটি টিম পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে সেখানে ত্রান দিন বা আশ্রয় কেন্দ্রে খাবারের ব্যবস্থা করুন। এছাড়া নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে একদিন সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে এলাকার প্রয়োজন বুঝে তারপর ত্রান দিন এই সব এলাকাতে প্রচন্ড পানির অভাব আছে, খাবারের অভাব আছে। আপনাদের প্রচেষ্টা সফল হোক এই প্রার্থনা করি।
৭। যারা পানিতে নেমে ত্রান দিতে ভীষন আগ্রহী তাদের সর্তক করতে চাই – বিষয়টির মধ্যে কোন হিরোইজম নেই। সামান্য এক কিলোমিটার রাস্তা হাটু সমান পানি ডিঙিয়ে যেতেও অনেক কষ্ট হয়। ফলে না জেনে কোন পানিতে নেমে পড়বেন না, ইতিমধ্যে অনেকেই মারা গেছে।
৮। আমরা লক্ষ্য করেছি ত্রান দিতে দল বেঁধে অনেকেই আসছেন, আমি তাদের আগ্রহ এবং সৎ ইচ্ছার প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই – তারা এসে স্থানীয় উদ্ধারকর্মীদের আরো বিপদে ফেলছেন। অনেকেই দৃষ্টিকটু ভাবে মেকি কিছু সেলফি তুলছেন – এই সকল কাজে আমাদের সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্রও পর্যন্ত আছেন। বিশেষ করে ফেনীতে বর্তমানে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসসহ খাদ্য সামগ্রীর সংকট চলছে। এর মধ্যে অতিরিক্ত মানুষগুলো এসে সেখানে চকটেল চিপস, কোক, পান ইত্যাদি দোকান থেকে কিনে খেয়ে শেষ করে দিচ্ছেন। সাপ্লাই যথাযথ থাকলে এই সব নিয়ে কেউ প্রশ্নও তুলত না। তাই আপনারা যারা যাবেন, তারা নিজেদের খাবারের ব্যবস্থা ঢাকা থেকেই করে নিয়ে যাবেন।
৯। ত্রান দিতে গিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় কয়েকশ মানুষ ভীড় করছে কুমিল্লার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে। সেখানেও খাবারের মুল্য বৃদ্ধি করেছে কিছু কিছু রেস্টুরেন্ট। এমটা হলে সেখানে খাবেন না, প্রয়োজনে প্রশাসন ও স্থানীয় জনগনকে জানান। অনুগ্রহ করে ত্রান দিতে গিয়ে কেউ বা স্বেচ্চাসেবীরা কারো সাথে বাজে ব্যবহার করবেন না।
১০। আর সর্বশেষ, যারা ত্রান নিয়ে যাবেন তারা পথের পাশে আটকে থাকা কয়েকশ ট্রাক বা লরি ড্রাইভারদের সম্ভব হলে কিছু খাবার বা পানি দিয়ে সাহায্য করবেন, তারা বন্যা পিড়িত না হয়েও তারা খাবার পাচ্ছে না। কারন গাড়ি ফেলে যাবার কোন সুযোগ নাই, আশেপাশে কোন দোকানপাট খোলা নেই, তারা চাইতেও পারছে না। একই সাথে আছে ডাকাতির আশংকা। যদি কেউ খাবার চায়, তাহলে অবশ্যই তাদেরকে সাহায্য করুন।
৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
বন্যার্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই মহতি উদ্যোগের সফলতা কামনা করছি। পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ দ্রুত লাঘব হোক। এই কাজে প্রত্যেকের অংশগ্রহণ একান্তভাবে প্রত্যাশা করছি।
৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমি এবার সুযোগ পাইনি। ছুটি থাকার কারণে। ইংশাআল্লাহ সামনে গেলে থাকবো পাশে
৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৫১
নজসু বলেছেন:
মাশাল্লাহ আমরা মানুষের বিপদে অবশ্যই এগিয়ে আসতে জানি
৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩৫
কামাল১৮ বলেছেন: মানুষ যে ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এটা প্রশংসনীয়।দরকার হলো সঠিক বিতরণ।
৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১১
কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে যারা কস্ট করে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে, ব্লগকে দেশের এই দুর্দিনে উদ্যোগ এর জন্য সাধুবাদ জানাই।
৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১৪
করুণাধারা বলেছেন: আকস্মিক বন্যা জনিত দুর্যোগ কেটে যাক।
১০| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২২
কথামৃত বলেছেন: আমাদের বাড়ি পানিতে ডুবে গেছে।
২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:০২
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
যদি আপনি এই রিপ্লেটি দেখে থাকেন, তাহলে দ্রুত কা_ভা ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করুন।
কাল্পনিক_ভালোবাসা +880 1707-008217
আর না হয়, আপনার বাড়ির ঠিকানা জানান প্লিজ। অবশ্যই আপনি অগ্রাধিকার পাবেন।
১১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। ব্লগ অথোরিটিকেও সাধুবাদ জানাই এ মহতী উদ্যোগের জন্য।
প্রিয় কথামৃত@ আপনার কথা শুনে খুবই ব্যথিত হলাম। জানি না আপনি এবং আপনার পরিবার, গ্রামবাসী এখন কোন অবস্থায় আছেন, যেভাবেই থাকুন না কেন, আপনাদের অবস্থার দ্রুত উন্নতি আশা করছি। ব্লগারদের ত্রাণ পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার পরিবার নিশ্চয়ই একটু অগ্রাধিকার পাবে বলে আশা রাখি। সম্ভব হলে ব্লগারদের নাম্বারে যোগাযোগ করুন। আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।
১২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:১৩
এম ডি মুসা বলেছেন: ভালো আরো সমৃদ্ধ হোক
১৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:২৬
শায়মা বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষেরা একাই একশো! নিজেদের পাশে নিজেরা এইভাবে থাকলে কাউকেই লাগবে না। প্রার্থনা তাড়াতাড়ি এই দূর্যোগ কেটে যাক।
১৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দেশের সকল শ্রেনীর মানুষ যে ভাবে বন্যার্তদের পাশে এসে দাড়িয়েছে আশা করি এই দুর্যোগ খুব সহজেই কেটে যাবে।
১৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:১০
প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: আমরা আমাদের মত করে চেষ্টা করেছি।
১৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:২১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপডেটঃ
এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপে সর্বমোট ৪০,৭২০ টাকা সংগ্রীহত হয়েছে। আমাদের পরবর্তী গন্তব্য নোয়াখালী জেলার সেনবাগ এবং মাইজদী। স্থানীয় পর্যায় থেকে আমরা দুর্গম ও দুর্গত অঞ্চলের সংবাদ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। সেটা নিশ্চিত হলেই আমরা মুভ করব। ইতিমধ্যে সেনবাগ থানার অম্বরনগর গ্রামের একটি আশ্রয়কেন্দ্র ( স্থানীয় চারতলা মাদ্রাসা) এর সাথে যোগাযোগ হয়েছে, সেখানে ৩০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের এই মুহুর্তে দুই দিনের খাবার সংগ্রহে আছে। যদি সেখানে নতুন করে কোন সাহায্য না আসে, তাহলে আমরা সেখানে ত্রান হিসাবে খাবারের ব্যবস্থা করব।
আগামীকাল সংবাদ নিশ্চিত হলে, আমি পুনরায় উক্ত অঞ্চলগুলোতে সরেজমিন ভিজিট করব।
১৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: অনেক ভালো একটা উদ্যোগ নিয়েছেন। মন থেকে সাধুবাদ জানাই।
১৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৫১
নব অভিযান বলেছেন: আমিতো এখনো ব্লগার হয়ে উঠতে পারলাম না!
১৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:২৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি টুকটাক সহায়তা করেছি। আপনাদের সাফল্য কামনা করছি ।
২০| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৫২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
বন্যায় সামু টিম সত্যিই দারুণ কাজ করছেন। এথকে ভালো কাজ করার অনেক শক্তি পাই।
২১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:১৮
মিরোরডডল বলেছেন:
কাভা এবং তার টিমের সবাই কেমন আছে?
আশা করি সবাই সুস্থ শরীরে ফিরে এসেছে।
It's very hard job.
Well done guys.
সবার জন্য শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:৫৪
মিথমেকার বলেছেন: ২। দাগ এ
সাবান অ্যাড করে নিয়েন প্লিজ! এটা অত্যান্ত প্রয়োজনীয় জিনিস। এই সিম্পল জিনিসটার জন্য বন্যা চলাকালীন এবং পরবর্তী সময়ে মানুষ অসুস্থ হয় বেশি।
বেস্ট অফ লাক!