নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বঙ্গবন্ধু পরবর্তী আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামাইত্তা সকল কুকুরেরা বাঙলার প্রধান শত্রু।

সৈয়দ তাজুল ইসলাম

সমাজের সন্তান

সৈয়দ তাজুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি!

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৩৬

আপনারা অনেকেই আমাদের ছাত্রদল ও শিবিরের মেহনতি ভাইদেরকে "ছাত্রলীগ" বলে গালি দিচ্ছেন। এটা লজ্জার। বেফাঁস লজ্জার। দীর্ঘ ১৫ বছর পর যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরায়ে দেশ স্বাধীন করেছে তাদেরকে এমন অপবাদ দেওয়া উচিৎ নয়।

আমাদের গ্রামের এক প্রফেসর সাহেব একবার বহুত গর্ব কইরা একটা গল্প বলেছিলেন। গল্পের মূল মতন হচ্ছে,
"এক মুচির ছেলে বহুত পরিশ্রম কইরা মাস্টার্স পাস দিল। ভালো চাকরি হলো; সরকারি চাকরি। কিন্তু সে প্রত্যেক ভোরে আকাশে কাকের গমনাগমন দেখত এবং গণনা করত। এর কারণ, সে উচ্চ শিক্ষিত হলেও তার বাপ দাদার থেকে প্রাপ্ত আমানত ভুলতে পারে নাই। "
এ ঘটনা বলতে গিয়ে প্রফেসর সাহেবের শ্রেণী বৈষম্য লালনের মনোভাব ও জ্ঞানের বেজাত অহংকার প্রকাশ হলেও শ্রোতারা কেউ তার সমস্যা ধরতে পারেননি। কারণ তিনি সেই গল্পটা শুনাচ্ছিলেন মাটি কাটা শ্রমিকদের। পাশে আমরা ক'জন ক্লাস ফাঁকিবাজ দর্শকদের। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে তখন যাই শুনতাম সেটাই আমাদের কাছে বড় ইলিম হয়ে দেখা দিত। মাঠে-ঘাটে পাওয়া ইলিম হলেও বছরে একবার পাওয়া এমন ইলিমের বহুত মূল্য ছিল তখন। তাই সেকালে উনারে কোন প্রশ্ন করা হয়নি। তা যাই হোক, এইখানে প্রফেসর সাহেবের গল্পের দিকে আমাদের টার্গেট রাইখা সামনে আগাই।

বাঙালি জাতীর রাজনৈতিক পথচলার মেহনত বড়ই কঠিন ছিল। তারা তা পার করেছেন এবং করছেন কিন্তু সূচনা লগ্ন থেকে বাঙালির যেই পরিবর্তনটা্র বিশেষ প্রয়োজন ছিল তার কিছুই হয়নি বলা যায়। এই দাবীটা আমার একার না, সকল পাব্লিকের।
প্রত্যেক রাজনৈতিক দল নিজেদের পরিশ্রম বা চুরিচামারির ফলে ক্ষমতায় এলেও বাঙালির চিন্তার কোন উন্নতি আনতে পারে নাই। এই না পারার পেছনের কারণটা আমাদের ক্ষুধার্ত শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি। (আমার লগে আপনের চিন্তা না মিলাটা ভালো কিছুর লক্ষণ। কারণ, আপনার চিন্তা করার ক্ষমতা সবসময়ই গ্রহণযোগ্য।) আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর চরিত্র গল্পের সেই ছেলেটির মত। এরা নিজেদেরকে উত্তম রূপে পরিবর্তন করার বিপরীতে নিজেদেরকে বারবার সেই পুরাতন অভ্যাসের দিকে ধাবিত করছে। ছেলেটি যেমন উচ্চ শিক্ষিত হয়েছে, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোও ক্ষমতায় গেলে আমাদেরকে কিছু উন্নয়ন দেখাচ্ছে। কিন্তু মৌলিক পরিবর্তনের জায়গায় উভয়ই সমান।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে হটানোর পেছনে কাদের অবদান সবচেয়ে বেশি তা দেখতে রকেট সাইন্সের কেতাব খুইলা বসার দরকার নাই। এখনও তা ইউটিউব, ব্লগ, ফেসবুকে রয়েছে। কিন্তু তারপরও বিএনপি ও জামাত শিবির সহ সকল রাজনৈতিক দলগুলো সেই অর্জনটাকে তাদের ব্যক্তিগত অর্জন হিসেবে ধরে নিয়েছে। যার ফলস্বরূপ আমরা বিএনপিকে চাঁদাবাজি শুরু করতে দেখি। ছাত্রশিবিরকে পা ভাঙতে দেখি। ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডগুলো চালিয়ে যেতে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোকে দেখি ক্যাম্পাসের দিকে আক্রমণের চিন্তায় এগিয়ে যেতে। এসব আমাদের পুরাতন অভ্যাসেরই চর্চা।

এখনও পর্যন্ত আমাদের অনেকেই বিএনপি ও জামাতকে জনগণের সামনে জেব্রার রূপে দেখানোর চেষ্টা করছেন, যা মূলত গাধাকে রাঙিয়ে জেব্রা বানিয়ে চিড়িয়াখানায় প্রদর্শনের ঘটনার মত লজ্জার ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ধবংসের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সমান। সবচেয়ে বড় লজ্জা ও ধিক্কারের সাবজেক্ট হচ্ছে, এখনো পর্যন্ত বিএনপি, জামাত, জমিয়ত, মজলিস, জাতীয় পার্টি সহ কোন রাজনৈতিক দলই নিজেদের কর্মীদের ভেতর সত্যিকারের দেশ প্রেমের প্রয়োগ শিখাতে পারেনি। তাদের এই ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশের অতপতনের রাস্তা ক্রমশ বড় হয়ে উঠছে। এমন রাজনীতি চলতে থাকলে দেখা যাবে নতুন আরেক ফ্যাসিস্ট সরকার জন্ম নিচ্ছে, নতুন ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটাতে আবারও ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসছে। এই যদি হয় আমাদের চলমান পরিবর্তন, তবে আমাদের মৌলিক উন্নয়ন আসবে কবে। জনগণের স্বার্থ আদায় হবে কখন। নাকি আমরা জাতীয় স্বার্থ পিছনে ফেলে বারবার গাধাকেই দেখব জেব্রার রঙে।


০১:৩৪
১০ই ফাল্গুন
১৪৩১ বাংলা
আলেজান্দ্রিয়া, তুরিন

ছবি: ইন্টারনেট

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৪৭

কু-ক-রা বলেছেন: উহা (সৈয়দ তাজুল ইসলাম) ভাল লিখিয়াছে। উহাদের (রাজনৈতিক দল সমূহের) গুনগত মান, বিশেষ করিয়া সততা ও দেশপ্রেম প্রশ্নবিদ্ধ।উহাদের অধিকাংশই দলকানা এবং অসৎ লোকে পরিপুর্ন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৩০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: এটাও ঠিক, রাজনৈতিক অঙ্গনে সৎ লোকের প্রয়োজন।
আপনাকে ধন্যবাদ

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: মাত্র ছয় মাসেই বিএনপি এটা বেশ ভাল ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে যে আওয়ামীলীগের সাথে তাদের মূলত বৈশিষ্ট্যগতট কোন পার্থক্য নেই।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ছাত্রদল তাদের উচিৎ কর্ম ভুলে লুটপাটের রাজনীতির ছাত্র। এরা যদি নিজেরা নিজেদের পরিবর্তন না করে, তবে বাংলাদেশ আরেকবার ফ্যাসিস্ট দেখবে। যা জনসাধারণের জন্য খুবই বিপদজনক ।

আপনার কী মনে হয়, এই সমস্যা থেকে বেরুনোর রাস্তা কোথায়?

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জনগণের মধ্যে দেশপ্রেম কেমন আছে বলে মনে করেন?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: কেমন থাকা প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?

৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বিএনপির অনেকেই এখন চাঁদাবাজির জড়িত হয়েছে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: এরা এটাকে বৈধ করণ ও স্বাধীনভাবে করার জন্য নিজেদের দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে চাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি এরা নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তবে ক্ষমতায় গেলে কী দুর্বিষহ অবস্থা তৈরি করবে তা ভাবলেই অবাক হতে হয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.