![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনের ১৬ বছরের দুঃশাসন, দমন-পীড়ন, গণহত্যা ও দুর্নীতির অবসান হয়েছে, তবে ক্ষমতার পালাবদলের পরে দেশ এখন এক নতুন সংকটের মুখোমুখি। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও মৌলবাদী ইসলামপন্থীদের ক্ষমতায়নের ফলে তথাকথিত "তৌহিদি জনতা" নামক একটি গোষ্ঠীর উত্থান গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতিদিন এরা ভয়াবহ উপদ্রব সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি, বইমেলায় স্টল বন্ধ করা, বইমেলায় স্যানিটারি পণ্যের বিতরণে বাধা সৃষ্টি করা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনগুলোর নাম যেমন সত্যেন্দ্রনাথ বসু, জগদীশ চন্দ্র বসু, প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, জীবনানন্দ দাশ এর পরিবর্তন, কিংবা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিশুকে ধর্মান্তরিত করার মতো ঘটনাগুলো সামনে এসেছে।
অন্যদিকে, তৌহিদি জনতার দুষ্কর্মে সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারীরা, যারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে এসেছে যে তাদের অনুপস্থিতি মানেই দেশ আফগানিস্তানের পথে এগোনো। ইসলামপন্থীদের উগ্র কর্মকাণ্ড দেখে তারা এখন বলতে পারছে - "আমরা তো আগেই বলেছিলাম!"
বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে এখন বিএনপি ও জামাত উভয়ে খুব সক্রিয়। বিএনপি বিগত বছরগুলোতে জামাতের প্রভাবমুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছে এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে তারা নিজেদের আরও প্রগতিশীল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্পষ্টভাবে রাজনীতিকে শরিয়াতন্ত্র থেকে আলাদা রাখার কথা বলেছেন। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায়, যেখানে সমাজ বহুত্ববাদী ও বহুসাংস্কৃতিক সহাবস্থানের দিকে যাচ্ছে, সেখানে বিএনপির এই প্রচেষ্টা তাদের রাজনৈতিক বিচক্ষণতা বলে মনে করি।
আওয়ামী রাজনীতি তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে রক্ষা এবং অপকর্মের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার কারণ হিসেবে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে এটা সত্যি, তবে এটাও অস্বীকার করা যাবে না যে তাদের পলায়নের ফলে সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিএনপি যখন অসাম্প্রদায়িক শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে, তখন জামাত বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারে নেমেছে।
জামাতের রাজনীতির সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো ঘৃণা। বিভিন্ন সময়ে তারা একেকটি ঘৃণার মন্ত্র তৈরি করে, এবং এই ঘৃণার মন্ত্রের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে রাজনীতির মাঠে তাদের সাময়িক সাফল্য। ঘৃণার অংশ হিসেবে তারা বিএনপিকে "ভারতঘেঁষা" বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। জামাতের সবচেয়ে বড় কৌশল হলো সংস্কৃতির রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের মগজধোলাই করা। স্বল্পমাত্রার আফিম হিসেবে জামাতের কৌশলগুলো মোটামুটি কাজ করে। যেমন, যখন তারা জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের প্রসঙ্গ তোলে বা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সন্দেহ সৃষ্টি করে, তখন তথাকথিত একটি শ্রেণীও হুক্কাহুয়া রব তোলে।
তবে আফিমের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয় না বলেই আমার বিশ্বাস। বাঙালি সংস্কৃতির শিকড় মাটির গভীরে প্রোথিত এবং সেই গভীরে গিয়ে ইসলাম ধর্মের সঙ্গে এর মিলন ঘটেছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতির এই তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
জামাতের সংকীর্ণ মতাদর্শ কলুর বলদের মতো একই অন্ধকারে ঘুরপাক খায়, সামনে এগোতে পারে না। আর মানুষের সত্য ধর্ম হলো ভবঘুরে পরিব্রাজকের মতো, যা যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলে। পথ চলতে গিয়ে বাধা আসে কখনো, তবু সামনের দিকেই তার লক্ষ। তাই ইসলামপন্থীরা মিথ্যা প্রচারণা ও জনমনের মগজধোলাই করে ক্ষমতায় যেতে পারবে, এমনটা মনে করি না।
(বিঃদ্রঃ - ইসলামিস্ট বলতে তাদের বোঝানো হয়, যারা ইসলামী মৌলবাদকে সমর্থন করেন এবং রাষ্ট্রনীতি, সরকারব্যবস্থা, রাজনীতি ও সমাজে শরিয়াতন্ত্র বা ইসলামী আইনের পক্ষে মত দেন।)
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০১
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ, সৈয়দ কুতুব। আপনার মন্তব্যটি প্রণিধানযোগ্য।
তৌহিদি জনতার রাজনীতি সম্পর্কে আপনি কিছুটা স্পষ্টতা এনেছেন। দেখতে পাচ্ছি, বৈষম্যবিরোধীরা কখনো কখনো এদের উসকে দিচ্ছে, আবার কখনো তিরস্কার করছে। পাশাপাশি, জেলা ভেদে এদের পৃষ্ঠপোষকতা ও সমর্থনের পার্থক্যও আপনি তুলে ধরেছেন। বর্তমান বাস্তবতায় এদের রাজনীতি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধরেন বইমেলায় যেসব তৌহিদি জনতা গিয়েছিলো ময়মনসিংহে সাবেক এমপি মমতাজের প্রথম স্বামী .... বয়াতির ঔরস শরীফে তাদের গ্রুপ ছিলো না। এখানে বিএনপি সমর্থিত তৌহিদি জনতা গিয়েছিল ঔরস শরীফ বন্ধ করতে। আপনাকে আরো সতর্ক ভাবে লক্ষ্য করতে হবে যে বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অনেক ভুয়া মাজার শরীফ ও ঔরস শরীফ ইমপ্লিমেন্টশন করা হয়েছিলো যাতে আজকের মতো সময়ে সেগুলো কাজে লাগে। । মমতাজের প্রথম জামাই বয়াতি মানুষের আবার কিসের ঔরস শরীফ হয় ? হেতে কি পীর, দরবেশ নাকি ?
আমি অনেক লালন উৎসব দেখেছি যেগুলো আওয়ামী লীগের এই টার্মে শুরু হয়েছে। এসব উৎসবে নারীদের নৃত্য ও কল্কি ছাড়া কিছুই চলে না। এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত। এগুলো যেহেতু অনাদিকাল থেকে পালন হচ্ছে না এগুলো সরকার নিজ দায়িত্ব নিয়ে বন্ধ করা উচিত। না হলে ভালোর সাথে মন্দের মিশ্রণ হয়ে ভালো খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: এই মন্তব্যটিও গুরুত্বপূর্ণ।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভুয়া মাজার ও ঔরস শরীফের বাস্তবায়ন বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। আওয়ামী রাজনীতির পুরো কাঠামোই বৃহৎ শয়তানি চিন্তার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে। সেই শয়তানি কর্মকাণ্ডের অনেক কিছু প্রকাশিত হলেও, ভুয়া মাজার শরীফ বা আওয়ামী লীগের শাসনামলে শুরু হওয়া লালন উৎসবগুলোর বিষয়ে আমরা এখনো অন্ধকারে রয়েছি।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: রাখাল সাহা ও মির্জা গালিবের কবিতা পড়েছেন ? ফরহাদ মাজারের একটি কবিতা অনলাইনে ঘোরাঘুরি করছে। এখন কেন এসব এত আলোচিত হচ্ছে ? রাখাল সাহার সাথে আমি ফেইসবুকে যুক্ত আছি। সে একটা কবিতা স্টাটাস দিয়ে তৌহিদি জনতার কাছে জানতে চেয়েছে এই কবিতায় কি আল্লাহকে অপমান করা হয়েছে ? অত্যন্ত নিম্নমানের লেখা ! তো এখন তৌহিদি জনতার কি করা উচিত ? মির্জা গালিব সরকারি চাকুরি করে খুব সম্ভবত। উনার দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে কেন নবী কে অপমান করে কবিতা লেখা লাগে ? এসব কিছু মেটিকুলাস ডিজাইন।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:১৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: ফরহাদ মজহারের লেখা কবিতাটি পড়েছি, তবে রাখাল সাহা ও মির্জা গালিবের কবিতা পড়িনি। পরের দুজন সম্পর্কে আমার জানা নেই। একসময় ফরহাদ মজহারের কিছু ভালো লেখা পড়েছি। তার একটি বই ছিল রক্তের দাগ মুছে রবীন্দ্রপাঠ। এই বইয়েই সম্ভবত দার্শনিক স্পিনোজাকে নিয়ে একটি প্রবন্ধ ছিল যেটি বেশ মানসম্পন্ন।
আর হ্যাঁ, তার সেই লালমাটিয়ার দেশীয় ধরনের অভিজাত রেস্তোরাঁয় দু-একবার খেতে গিয়েছিলাম, মনে পড়ে।
মজহারের যে কবিতাটি পড়েছি, সেটি আজান নিয়ে। আমার কাছে এটি কিছুটা নিম্নমানের কবিতা মনে হয়েছে। একজন লেখকের সব লেখা উচ্চমানের হবে, তা তো নয়। তবে মজহারের তৌহিদি জনতার প্রতি সমর্থন হতাশাব্যঞ্জক মনে হয়েছে।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোন ইসলামী দল বা দলসমুহ যদি ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য রাজনীতি করে এবং নির্বাচনে জয়ী হয়ে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করে সেই ক্ষেত্রে জনগণের উচিত হবে সেটা মেনে নেয়া। কারণ জনগণের সায় নিয়েই তারা ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু আমাদের দেশে ইসলামী দলগুলি ক্ষমতায় যাওয়ার মত পর্যায়ে আসেনি। আসার সম্ভবনাও নাই বললেই চলে। কারণ আমরা মুলত নামে মুসলমান। খুব কম নারী ইসলামী দলগুলিকে ভোট দিবে। কারণ তারা ভয় পায় যে ইসলামী দল ক্ষমতায় আসলে তাদেরকে বোরকা পড়তে হবে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন হিন্দু মেয়ে জিজ্ঞেস করেছে যে সত্যি জামায়াত ক্ষমতায় আসলে কি বোরকা পড়তে হবে কি না। আমি বললাম যে জামায়াত ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আর আসলেও সমস্যা নাই। কারণ এই দেশের হিন্দু মেয়ে তো দূরের কথা শতকরা কয়টা মুসলমান মেয়ে বোরকা পড়তে চাবে। আর তারা যদি আসেও পোষাকের ব্যাপারে এই সব বিধিনিষেধ দিবে না।
খেয়াল রাখতে হবে যে ভোটারের অর্ধেক হল নারী। তাই ইসলামী দল নারীদের ভোট তেমন পাবে না। আর পুরুষেরা অনেকে ভাববে যে ইসলামী দল আসলে পার্টি করা যাবে না, মদ খাওয়া যাবে না, জুয়া খেলা যাবে না, ম্যাসাজ পার্লারে যাওয়া যাবে না, ঘুষ খাওয়া যাবে না, মৌজ মাস্তি করা যাবে না। সেই দলকে কোন ব্যাটা ভোট দিবে।
এই কারণে ইসলামী দলগুলি নিকট ভবিষ্যতে নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ভোট পাবে না। তাই তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
বাংলাদেশের কোন ইসলামী দলই হিন্দু বা অন্য কোন অমুসলিমের জন্য হুমকি না। হিন্দুরাও সেটা জানে। জামায়াতে ইসলামীর হিন্দু শাখা আছে। ইসলামী কোন বক্তা হিন্দু বা অন্য কোন অমুসলিম সম্পর্কে আক্রমণাত্মক কথা বলে না। হিন্দুদের সবচেয়ে বেশী শোষণ করেছে আওয়ামীলীগ। এটা হিন্দুরাও জানে। আমি একজন হিন্দুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে আপনারা জানেন যে আওয়ামীলীগ আপনাদেরকে নির্যাতন করে তারপরেও আপনাদের অনেকে কেন আওয়ামীলীগকে সমর্থন দেন। উত্তরে সে বলে যে আমাদের সমর্থন করার মত আর কোন দল নাই, আওয়ামীলীগ নির্যাতন করলেও আমাদের কিছুটা দেখার চেষ্টা করে। অন্য কোন দলের উপর সেই ভরসা পাই না। ওনার কথার অর্থ হল যে আওয়ামীলীগ চেনা শয়তান, অন্য নতুন কোন শয়তানের পাল্লায় তারা পড়তে চান না। মূল বিষয় হল অবিশ্বাস। কিন্তু পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যাবে যে গত ৫৪ বছরে আওয়ামীলীগ সব চেয়ে বেশী শোষণ করেছে হিন্দুদের।
মাজারে এবং লালন উৎসবে অনেক অসামাজিক কর্মকাণ্ড ঘটে। ধর্মের কথা বাদ দেন, সামাজিক কারণেই মাজার এবং বাউল উৎসবগুলিকে নিয়মের মধ্যে আনা প্রয়োজন। নেশা আর নারী ভোগের আড্ডা হল এই সব জায়গা।
তসলিমা নাসরিনকে শেখ হাসিনার মত আয়রন লেডি দেশে আনার সাহস পাননি। বুঝতেই পাড়ছেন তসলিমা কোন মাত্রার সমস্যা। তার কারণে দেশে অনেক বিশৃঙ্খলা হয়েছে। ধর্ম অবমাননার জন্য দেশের প্রচলিত আইনে তার শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আমাদের দেশের প্রচলিত আইনেই সে অপরাধী।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: নির্বাচনে জয়ী হয়ে যদি ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়, সেটি মেনে নেওয়া কঠিন হলেও জনগণের সঙ্গে আমিও মেনে নেব।
ভারতে আরএসএস মতাদর্শি বিজেপি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রভাব বিস্তার করে ক্ষমতায় এসেছে। জামাতও হয়তো একইভাবে সেই প্রভাবগুলো কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করবে। তবে আমাদের নারীরা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠী এদের সমর্থন করবে না। নারীদের এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জামাতের প্রতি অবিশ্বাস ও অনাস্থার বিষয়টি আপনি খুব সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছেন।
"ইসলামী দল আসলে পার্টি করা যাবে না, মদ খাওয়া যাবে না, জুয়া খেলা যাবে না, ম্যাসাজ পার্লারে যাওয়া যাবে না, ঘুষ খাওয়া যাবে না, মৌজ-মাস্তি করা যাবে না" - আপনার এই ভাবনাটি সঠিক মনে হয়নি। সরকারি চাকরি ছাড়া অন্য পেশায় তো ঘুষ নেওয়ার সুযোগ নেই। আর যদি আমাদের বৃহৎ পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের বিবেচনায় নিই, তাহলে দেখি মদ খাওয়া, জুয়া খেলা বা পার্লারে যাওয়ার মানুষের সংখ্যা খুবই কম। বরং আত্মীয় পরিজনের মধ্যে যেটা বেশি দেখতে পাই, তা হলো নিদারুণ দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব, চিকিৎসার অভাব এবং কঠিন জীবনসংগ্রাম করে একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা। মদ খাওয়া বা মাস্তি করা লোক আমাদের সমাজে খুব বেশি নেই; তারা শতকরা ১ ভাগও হবে না।
আমি তসলিমা নাসরিনের ভক্ত নই, তবে তার বই নিষিদ্ধ করার পক্ষেও নই। বহুত্ববাদী ও গণতান্ত্রিক চিন্তায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা একটি জরুরি বিষয়।
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:২১
পবন সরকার বলেছেন: তালেবানের দেশ এখন দুর্নীতিমুক্ত এবং তারা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ভারত বাংলাদেশের চেয়েও তাদের টাকার মান বেশি। কয়েকজন বাংলাদেশি ও ভারতীয় ইউটিউবারের ভিডিও থেকে যা দেখলাম মিডিয়াতে যা প্রচার করে তারা তার চেয়ে অনেক ভালো আছে এবং সেখানে চোর গুন্ডা দুর্নীতিবাজ নাই।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৩৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
তালেবানের শাসনে দেশ কতটা উন্নতি করছে, তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। তবে অর্থনৈতিক উন্নতিই কোনো সমাজের একমাত্র লক্ষ্য নয়। মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ব্যক্তির বহুমাত্রিক পরিচয় এবং ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বিজেপি শাসিত ভারতও অর্থনৈতিক মাপকাঠিতে উন্নতি করছে। একইভাবে, জার্মানিতে নাৎসিরা অর্থনীতিতে, এমনকি বিজ্ঞানেও অনেক এগিয়ে গিয়েছিল। তবু তারা একটি সর্বগ্রাসী শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভয়ঙ্কর, বিধ্বংসী এবং অন্ধ অনুসারী একটি সমাজ গড়ে তুলেছিল।
আপনি যদি কোনো দেশকে প্রবল ঘৃণা করেন তাহলে সেখানে মৌলবাদ প্রতিষ্ঠা হোক এই কামনা করতে পারেন। একটি সমাজের জন্য মৌলবাদ প্রতিষ্ঠার চেয়ে বড় ক্ষতি আর কিছু হতে পারে না।
৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:২২
কাঁউটাল বলেছেন: ফেয়ার নির্বাচন হওয়া উচিত। দেশের মানুষ যদি চায় ইসলামি আদর্শের শাষন, তাইলে সেটাই হওয়া উচিত। ঘুষ-দুর্নীতি মাত্রা ছাড়িয়ে গ্যাংগ্রিন হয়ে গেছে, এটা যদি বন্ধ করতে পারে খারাপ কি? ক্যানসার অপারেশন কষ্টকর হয়েই থাকে, বৃহত্তর স্বার্থে এটা সবাইকে মেনে নিতে হবে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:১৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ, কাউটাল। সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। দেশের মানুষ যদি স্বাধীনভাবে ভোট দিয়ে শরিয়াতন্ত্র চায়, জনগণের সিদ্ধান্ত হিসেবে তাতে আমার আপত্তি নেই।
তবে মাত্রা ছাড়া ঘুষ ও দুর্নীতির সঙ্গে শরিয়াতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আওয়ামী লীগ নিজেদের ক্ষমতার স্বার্থে ধ্বংস করেছে। এগুলোকে আবার পুনরুদ্ধার করতে একটি গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক সরকারের বিকল্প নেই। এর জন্য দম বন্ধকর তালেবানি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করিনা।
৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এরকম টানটান উত্তেজনার পোস্ট দিয়ে লেখক উধাও হয়ে গিয়াছেন। যদি আপনার সময়ের অভাব থাকে এমন পোস্ট কেন দিবেন? এসব পোস্টে প্রতিমন্তব্য করা জরুরি।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৪৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: দুঃখিত সৈয়দ কুতুব, মন্তব্যের উত্তর দিতে একটু দেরি হয়ে গেল। আপনার মন্তব্যগুলো আমার পোস্টকে সমৃদ্ধ করেছে।
৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৯
মেঘনা বলেছেন: তথাকথিত "তৌহিদি জনতা চাইলেও মহান আল্লাহ বাংলাদেশ কে তালিবানি টাইপের ইসলামিক রাষ্ট্র বানাবে না। কারণ বৌদ্ধ রাষ্ট্র মায়ানমার এবং হিন্দু-গরিষ্ঠ ভারতের চিপার মধ্যে থাইকা আরবদের কামলা খাটাই বাঙালি তৌহিদী জানতার একমাত্র ইমানী কাম।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:০২
শ্রাবণধারা বলেছেন: বৌদ্ধ রাষ্ট্র বলে কিছু আছে, এমন শুনিনি। মায়ানমারে সামরিক শাসন চলছে, তবে ভারতকে আপনি হিন্দু-গরিষ্ঠ রাষ্ট্র না বলে, হিন্দু রাষ্ট্র বলতে পারেন, কারণ সেখানে হিন্দুত্ববাদী সংকীর্ণ ভাবধারায় বিশ্বাসী গান্ধীর হত্যাকারী আরএসএস এর মদদপুষ্ট বিজেপি এখন ক্ষমতায় আছে।
তবে প্রতিবেশী দেশের প্রভাব রাজনীতিতে একটি বড় প্রভাবক, এবং আপনার কথার কিছু যৌক্তিকতা রয়েছে।
৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১২
কু-ক-রা বলেছেন: উহা (মেঘনা) ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:০৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
কামাল১৮ বলেছেন: আফগানরা পারলে বঙ্গ মোমিনরা অবশ্যই পারবে।বঙ্গ মোমিনরা আফগানদের থেকে কম কিসে।বরং এক কাঠি সরেস।
ধর্ম মানুষে মানুষে বিভেধ শৃষ্টি করে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:০৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আফগানরা পারলেও বঙ্গের র্যাডিকাল ইসলামিস্টরা কেন পারবেনা, এই বিষয়টি নিয়েই আমার পোস্টে আলোচনা করেছি।
আপনি যেটিকে কিছু ধর্মবিদ্বেষী বা বিরোধী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন, আমি খোলামনের সঙ্গে সেটি দেখার চেষ্টা করেছি। জানি না কতটুকু সফল হয়েছি।
১১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২২
কামাল১৮ বলেছেন: @কুতুব,লেখক কানাডায় থাকে।যখন পোষ্ট দিয়েছে কানাডায় তখন গভীর রাত।লেখক ভাল একটা চাকরি করেন।সময়করে হয়তো উত্তর দিবেন।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:১০
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে কাজের সাথে এই পোস্টটি তো সম্পর্কিত নয়।
১২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৫
কামাল১৮ বলেছেন: @কুতুব,আপনি লাইক দিয়েছেন কি সমর্থন করে নাকি বিরোধিতা করে।আপনার লাইকের মাথামুন্ড কিছু বোঝা যায় না।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:১৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: তার মন্তব্য পড়ে আমার মনে হয়েছে যে তিনি মোটের উপর লেখার মূল কথাটি হয়তো সমর্থন করেছেন। তবে তৌহিদি জনতা বিষয়ক আমার আলোচনা তিনি সরলীকৃত মনে করছেন। তার মন্তব্যের বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত। তবে দেশের রাজনীতি বিষয়ে তিনি আমার চেয়ে অনেক বেশি তথ্য রাখেন।
১৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কামাল১৮@এই বিষয়ে আমাকে আরো সচেতন হতে হবে। লাইক ফিরিয়ে নেয়ার উপায় থাকা উচিত সামুতে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:১৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার লাইকটি আপনাকে ফিরিয়ে দেওয়া হল। হা হা
১৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬
এ পথের পথিক বলেছেন: আমি জানিনা আপনি কি বুঝতে চাইছেন ?
তবে আপনার পোস্টে ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি জনাব ।
-------
আর শিরোনাম দিয়েছেন " ইসলামিস্টরা কি বাংলাদেশে তালেবানি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে? "
উত্তরঃ বাংলাদেশে ইসলামিস্টরা তালেবানি রাষ্ট্র না ইসলামী শরিয়া আইন কায়েম করবে ইনশাআল্লাহ্ ।
---------
ছবি টা কি গণতন্ত্রের বাপ আমেরিকার ডলার খাওয়া পাবলিকের কাছে থেকে কিনেছেন ?
--------
বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চার ফলে কি হয়েছে তা জানি, অপকর্মের লিস্ট যদি সব ব্লগাররা দেয়া শুরু করি ১০ বছরেও শেষ হবে না আশা করছি । ডলার দিয়ে ছবি বানিয়ে ডলার দিয়ে কিনে কি বুঝাতে চেয়েছেন জানি না তবে বুঝতে পারছি ইসলামকে আক্রমন করেছেন । নিচে আমি সত্য কিছু ছবি দিচ্ছি যা গণতন্ত্রের চর্চার ফলঃ
১। New York Times এর রিপোর্ট, ১৯৭৪
২। ২৮ অক্টোবর লগি বৈঠায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম
৩। ২০১৩ শাপলায় গনহত্যা
৪। বিডিআর গনহত্যা
৫। আয়নাঘর
৬। জুলাই ২০২৪ ছাত্রদের গনহত্যা
৭। ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় গৃহবধূকে গণধর্ষণ
এই গুলা সব কিন্তু আপনার প্রিয় গনতন্ত্রের সুফল । এতো গেল শুধুমাত্র আমাদের দেশের হাতে গোনা কিছু উদাহরণ । বাংলাদেশে এমন কোটি কোটি অপকর্ম রয়েছে গণতন্ত্রের, তাইলে পুরা পৃথিবীতে কত । জানি এসব দেখেও না দেখার ভনিতা করবেন ।
জানি চোখে টিনের চশমা পরে আলকাতরা মেখে থাকবে, তাহলে তো দেখনো সম্ভব না ।
----------------
গণতন্ত্র একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র পরিচালনা ব্যবস্থা । মুক্তির পথ, শান্তির পথ ইসলামী খেলাফত ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৩২
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হলো, আমার এই লেখাটি কিছুটা হলেও সফল হয়েছে।
আমার এই লেখাটি র্যাডিকাল ইসলামিস্টদের ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আমার চিন্তাভাবনা মাত্র। এটিকে "ইসলাম বিদ্বেষী" বলে ট্যাগ করাও র্যাডিকাল ইসলামিস্টদের রাজনৈতিক শয়তানির একটি অংশ। তাদের মতে, যা কিছু তাদের মতবাদের বিপক্ষে, সেটাই অনৈসলামিক এবং ইসলাম বিদ্বেষী।
আওয়ামী লীগকে গণতান্ত্রিক দল বলার জন্যও এক ধরনের ধর্মোন্মাদতা প্রয়োজন। কোনো গণতান্ত্রিক দল কখনো আয়নাঘর তৈরি করতে পারে না এবং গণহত্যার মতো অপরাধ সংঘটিত করতে পারে না। তবে এদের কঠোরভাবে বিচারের আওতায় আনার নৈতিক শক্তি কেবল গণতান্ত্রিক শক্তিরই আছে বলে মনে করি।
পোস্টের ছবিটি খুবই শক্তিশালী। আপনি যদি তালেবানদের সমাজ সম্পর্কে জানেন, তাহলে বুঝবেন যে এটি একটি প্রামাণ্য ছবি, বানানো নয়।
১৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯
এ পথের পথিক বলেছেন: জানি ইসলাম নিয়ে অনেকের চুলকানি আছে ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:১৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: এই মন্তব্যটি প্রাসঙ্গিক নয়, ইসলাম ধর্ম এই লেখার বিষয়বস্তু নয়, লেখার বিষয়বস্তু র্যাডিকাল ইসলামিস্টদের রাজনীতি।
১৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২৪
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
দেশ বাদ দিন, ছবিটা নিয়ে কিছু বলুন।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৩৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: ছবিটা বাদ দেন লেখাটা নিয়ে কিছু বলুন। হা হা
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তৌহিদি জনতা ও বৈষম্য বিরোধীদের মধ্যে একটু সুসম্পর্ক রয়েছে । ঔরস শরীফ বন্ধ, কনসার্ট বন্ধ, নারীদের খেলা বন্ধ, লালন উৎসব বন্ধের পিছনে তৌহিদি জনতার হাত রয়েছে বলে অনেকের ধারণা। কিন্তু প্রতিটি ঘটনা ভিন্ন ভিন্ন জেলায় ঘটেছে। একেক জেলায় একেক দলের ও মতের তৌহিদি জনতা শক্তিশালী। আবার ভিন্ন দলের ও মতের তৌহিদি জনতার সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। যখন ক্ষমতায় ছিলো প্রচুর পরিমাণ ডোনেশন পাইছে মসজিদ ও মাদরাসায়। আওয়ামী লীগ নেতাদের টাকায় ও অনেক মাদরাসা আছে। আবার উত্তর বঙ্গের জেলাগুলোতে জাপার নেতাদের সাথে সেখানের তৌহিদি জনতার সম্পর্ক আছে। সাবোটাজ করা খুবই ইজি।