![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেমন আছ?
মুচকি হেসে নিসা বলল পুরো কাকভেজা হয়ে গেছ, ছাতার নিচে এসো।
আলিফ মাটির দিকে তাকিয়ে বলল, বৃষ্টি তো শেষ। নিজে তো ছাতা নিয়েও ভিজে একাকার। ম্যাডাম, আপনাকে দেখে তো চেনারই উপায় নেই। এতো ফর্শা হয়েছ কিভবে?
তোমারও তো অনেক চেইঞ্জ।
হুম। বয়স বেড়েছে না।
আমার তো মনে হচ্ছে আমরা এখনো স্কুলে।
হুম, সেই ঝগড়াটে মেয়েটা....
আর নিজে যে শুধু মারামারি করতে। গুন্ডা কোথাকার! ইউনির্ভাসির্টতে গিয়ে নিশ্চয়ই পলিটিকসে জড়িয়েছ,
তোমার পকপকি নামটার গুণগত মান এখনো অক্ষুন্ন আছে বোঝা যাচ্ছে।
আলিফকে চড় দিতে গেল নিসা। চোখে চোখ পড়তেই লজ্জা পেয়ে চোখ সরিয়ে নিল দুজনই।
আলিফ বলল, চলো কোথাও বসি। তোমার তো ঠান্ডার সমস্যা। ভিজে না এলেও পারতে। আমাকে এসএমএস করে দিতে। অন্য কোনো দিন দেখা করতাম। আরে, আকাশি ড্রেস পরেছ তুমি!
নিসা তাকিয়ে দেখল আলিফও চেক শার্ট পরেছে। একটা ভালো লাগা খেলে গেল দুজনের মনে। এখনো একে অপররের পছন্দ মনে রেখেছে তারা। এরপর কিছু সময় দুজনই চুপ।
টেলিফোন নাম্বারটা এখনো চেইঞ্জ হয়নি?
বুঝলে কিভাবে? তোমার মনে আছে?
এক সময় তো মুখস্ত ছিল। সেদিন বায়োডাটায় খেয়াল করে দেখলাম এখনো ভুলিনি।
উফ, সেদিনের ধরা খাওয়ার কথা মনে হলে এখনো বুক কেপে ওঠে।
আর তুমি, মায়ের ইনকোয়েরিতে নাম পাল্টে বলেছিলে লিমন। বলেই হাসল নিসা।
তোমার হাসিটা এখনো একই রকম আছে। থৃ সেটপ হাসি। হি-হি-হি শেষ। আচ্ছা,
এই মিরাকলটা কি করে হলো বলো তো?
জানি না। প্রথমে একটু খটকা লাগল। পরে পাত্রীর ছবি দেখে আর বায়োডাটা পড়তে গিয়ে তো চোখ কপালে উঠে গেল। তুমি তো মডেলিং করতে চাইতে। হয়েছ তো সাংবাদিক।
তুমি তো ইনজিনিয়ার হতে চাইতে।
তোমার মতামত কি? আমার ব্লাড গ্রুপ কিন্তু ’এ’ নেগেটিভ, মনে আছে তো? দুষ্টু হেসে আলিফ বলল।
সেইম ব্লাড গ্রুপে সমস্যা নেই। আমি নেটে সার্চ দিয়ে দেখেছি। Rh ফ্যাক্টর অন্য জিনিস।
ইশ, তখন যদি আমাদের হাতে নেট থাকত। কি ঝামেলাটাই না করেছিলে তুমি এ নিয়ে।
আমার কি দোষ! বিজ্ঞান বইয়ে তো এমনটাই লেখা ছিল-স্বামী-স্ত্রীর একই রক্তের গ্র“প হলে সমস্যা হয়।
মনে আছে, বিয়ের পর আমরা দুজন ঘরের কাজ ভাগাভাগি করে কাজ করব, এমন প্ল্যান করতাম? আমি ভাত লাাধতে পারব না বলেছিলাম বলে তোমার সে কি রাগ!
নিসা বলল, তুমি আমাকে একটা চিরকুট দেবে, তাও ভালো কাগজে দিতে পারতে না! গ্রাফ পেপারের পেছনে লিখে দিতে। ছাগল আর কাকে বলে!
আর তা নিয়ে ধরা পড়ে সে স্যারের প্যাদানি খেতে হয়ছিল আমার। নিজে তো দোষটা আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছিলে।
পরে তোমার জন্য অনেক মায়া লেগেছিল। যাও, আজ আবার সরি বললাম।
কি খাবে বলো। তুমি না রোজ ললি আইসক্রিম খেতে? জিভ একদিন সবুজ, একদিন কমলা বানিয়ে রাখতে। এখানে তোমার প্রিয় খাবার নেই, সরি ।দুটো লাসসির অর্ডার দিলাম।
নিসা...
হুম, চিরকুটগুলো আছে তোমার কাছে? আমার গুলো বাসা বদলের সময় হারিয়ে গেছে।
সব নেই, দুটো আছে।
আলিফের ফোন এলো। ওহ নিসা, আমার জরুরি মিটিং আছে। এখনই রওনা দিতে হবে।
নিসার যে যেতে মন চাইছিল না তা তার চেহারায় স্পষ্ট ফুটে উঠেছিল।
আলিফ বলল, তোমার সাঙ্গে বিয়েটা হলে মন্দ হবে না। গর্ব করে বলতে পারব, জীবনে প্রথম যার সঙ্গে প্রেম করেছি, তাকেই বিয়ে করেছি।
ইশ, আর মাঝে এতগুলো বছর যে কি অকাজ করেছ আল্লাহ ভালো জানেন। আর কি বললে, তোমার সঙ্গে আমার প্রেম ছিল? বলো ঝগড়া ছিল। আবার আলিফের বসের ফোন এলো তখন আলিফ বলল, নিসা শোনা, আমি পরে বুজেছি, আমাদের বন্ধুরা চাইত না আমাদের সম্পর্ক টিকুক। ওরাই আমাদের মধ্যে প্যাচ লাগাত।আমি আর বসতে পারছি না।এখন ব্যাপারটা পুরোটাই তোমার ওপর। আমি বাড়িতে জানিয়েছি আমার মত আছে।
বিয়ের স্টেইজে বসে কেমন একটা অনুভূতি হচ্ছিল নিসার। পরিবারের ইচ্ছাতেই বিয়েটা হচ্ছিল। আলিফের বাবা অসুস্থ থাকায় বেশ তাড়াহুড়ো করে মাত্র সাত দিনের কথায় বিয়ে। সুখী হবে তো সে? নিসা ক্লাস এইটে আর আলিফ টেনে থাকার সময় তাদের মধ্যে যেটা ছিল তাকে ভালোবাসা বলে না। তা ছিল কৈশোরের একটা পাকামি। ভুল বোঝাবুঝিতে অল্প কয়েক দিনের মদ্যে তা ভেঙ্গেও যায়। আলিফ এস.এস.সির পর ঢাকায় চলে গেল। আর কোনো যোগযোগ ছিল না দুজনের । এতটা বছর পর আবার যোগাযোগ হবে আশাও করেনি সে। কিন্তু কি আশ্চর্য, মাঝে, মাঝেই আলিফকে মনে পড়ত নিসার। আচ্ছা আলিফেরও কি এমন হতো? তারপর ভালোবাবে কথাও হয়নি ওর সঙ্গে। এমন ভয় ভয় লাগছে কেন তার? বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় আর ভাবার অবকাশ পেল না সে।
বর-বধুকে বাসর ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে সবাই চলে গেল।খাটের এক কোনায় দাড়িয়ে ছিল নিসা।তার সামনে হাটু গেড়ে বসল আলিফ। খুব সাধারণ একটা রূপার আংটি বের করে বলল, ভাবিনি কখনো তোমাকে এটা দিতে পারব।টিফিনের টাকা জমিয়ে কিনেছিলাম।কিন্তু যত দিনে টাকা জমেছিল তত দিনে..... নিসা থামিয়ে দিয়ে বলল, থাক,আজ আর ওসব কথা নয়।হয়তো বিধঅতা এই দিনটি ঠিক করে রেখেছিলেন এটা দেয়ার জন্য।নিসার অনামিকায় আংটিটি পরাতে গেল আলিফ।কিন্তু সেই নিসা যে এখন অনেক বড় হয়ে গেছে।তাই আংটি লাগছিল না। নিসা মুচকি হেসে সেটা কনিষ্ঠ আঙ্গুলে পরল।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৮
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন
২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:২০
সকাল হাসান বলেছেন: বাহ! শেষটা তো বেশ!
ভাল লাগল!
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৮
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, ভাল থাকবেন
৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০
আমিনুর রহমান বলেছেন:
শেষের টুইস্টটা ভালো লাগলো
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন
৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৬
কলমের কালি শেষ বলেছেন: গল্পটা ভাল লেগেছে ।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৮
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০১
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: নিসার অনামিকায় আংটিটি পরাতে গেল আলিফ।কিন্তু সেই নিসা যে এখন অনেক বড় হয়ে গেছে।তাই আংটি লাগছিল না। নিসা মুচকি হেসে সেটা কনিষ্ঠ আঙ্গুলে পরল।
এই পোরশনটা অসম্ভব ভালো লাগল।
ভালো থাকবেন।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৯
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৭
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লাগলো