![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরকার দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের পরামর্শ নিয়ে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির জন্য সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের প্রণয়ন করে। নিঃসন্দেহে এটি খুব ভালো একটা উদ্যোগ। এর ফলে শিক্ষার্থীরা এখন সাজেশনের মুখস্থ থেকে বেরিয়ে এসে পুরো বই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়ছে। যারা গাইড মুখস্থ করছে, তারা কোনো লাভ পাচ্ছে না।
কিন্তু অনেক দুর্বল শিক্ষার্থীর জন্য এটা ভীতির কারণ, তাই অনেকে এর বিরুদ্ধে কথা বলে। কিন্তু এর জন্য তো ভালো একটি প্রশ্নপদ্ধতি বদলে দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তাহলে আগের মতো জোড় বছরের শিক্ষার্থীরা এক নিয়মে আর বিজোড় বছরের শিক্ষার্থীরা আরেক সাজেশনে পরীক্ষা দেবে। একজন ‘পীথাগোরাসের উপপাদ্য’ জানে না, কারণ সে ২০১০-এর পরীক্ষার্থী আর ২০০৯-এ এটা চলে আসায় সে এটা শিখেইনি। হাস্যকর হলেও এটা খুব কমন একটা উদাহরণ।
এদিকে দুর্বল ছাত্রদের তো আর ফেলে দেয়া যায় না। আর এজন্যই এতো প্রশ্ন ফাঁস, যেটা আগে চিন্তাও করা যেত না। আসলে ভূতটা সরিষার মধ্যেই।
শিক্ষার্থীরা আগে শেখে, তারপর পরীক্ষার খাতায় লেখে। আমাদের পাঠদান গৎবাঁধা নিয়মে রেখে আমরা কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের কাছে সৃজনশীলতা আশা করি? আমাদের শিক্ষকদের পড়া বোঝানোর ধরন কতটা সৃজনশীল?
যখন একটি ক্লাসে ৭০-৮০ জন ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক পড়ানোর চেয়ে হট্টগোল থামাতেই বেশি ব্যস্ত। যখন বাংলা ও ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের সৃজনশীল চিঠির চেয়ে গৎবাঁধা আবেদনপত্র লিখতেই বেশি উৎসাহী করা হয়। যখন শুধু গ্রামারের রুল মুখস্থ করানো হয় কিন্তু সময়মতো তার প্রয়োগ পারে না ছাত্র। যখন একুশ শতকেও আমাদের মাস্টার, কাছে ‘মাইরের ওপর কোনো ওষুধ নেই’। তখন কীভাবে আমরা আশা করি যে, হঠাৎ করে সে খুব সৃজনশীল হয়ে উঠবে?
উন্নত দেশগুলোর মতো আমাদের প্রশ্নপত্রে একটি নেতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু সেটা তখনই সম্পূর্ণ হবে যখন আমাদের পাঠদান পদ্ধতিও উন্নত দেশগুলোর মতোই হবে। প্রয়োজনে বিদেশ থেকে প্রশিক্ষক এনে আমাদের শিক্ষকদের গৎবাঁধা নিয়ম থেকে বেরিয়ে পড়ানোর ট্রেনিং দেয়া দরকার। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে এই আমার আবেদন। তাহলে শিক্ষার্থীরা আগের বছরের পড়া পরের বছর ভুলে না গিয়ে তা জীবনে কাজে লাগাতে শিখবে।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫২
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ। এখনি সময় পাল্টাবার।
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:০৩
পলাশের লাল রঙ বলেছেন: +++++
২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লিখেছেন । একমত ।
শুভকামনা
২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। আসলে এই ব্যাপারটা আমাকে খুব পড়াচ্ছিলো। বর্তমান শিক্ষকতায় পরিবর্তন আনা আবশ্যক বলে আমার মনে হয়।
৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: উন্নত দেশগুলোর মতো আমাদের প্রশ্নপত্রে একটি নেতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু সেটা তখনই সম্পূর্ণ হবে যখন আমাদের পাঠদান পদ্ধতিও উন্নত দেশগুলোর মতোই হবে। প্রয়োজনে বিদেশ থেকে প্রশিক্ষক এনে আমাদের শিক্ষকদের গৎবাঁধা নিয়ম থেকে বেরিয়ে পড়ানোর ট্রেনিং দেয়া দরকার।
- পুরো পোষ্টে একমত । +++++++++
২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৫
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: সমর্থনের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮
কলমের কালি শেষ বলেছেন: উচিত কথা বলেছেন ।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১০
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ,ভাল থাকবেন
৬| ২৭ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩
অবিবাহিত জাহিদ বলেছেন: Apa amgo kosto onak din por kau bujlo
hateara tho aigula pora nai bujbe kamnea?
০১ লা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:১৩
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ভাইজান এইটা শুধু আপ্নেগো না আমারো কষ্ট আর হেতেরা পড়বো না বইলা কি কষ্টের কথা না লেইখা থাকমু নাকি
৭| ৩১ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ২০১০-এর পরীক্ষার্থী আর ২০০৯-এ এটা চলে আসায় সে এটা শিখেইনি। হাস্যকর হলেও এটা খুব কমন একটা উদাহরণ।
এইরকম বোকামার্কা শিক্ষা ব্যবস্থা(!)ও আমাদের দেশে স্বাভাবিক!!
১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০১
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৫
ডি মুন বলেছেন:
আসলে ভূতটা সরিষার মধ্যেই।
ঠিক বলেছেন।
+++