![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা বাঙালিরা আর যা-ই হই-না-হই সবাই আর্দশ ছাত্র। স্যারের কথার বাইরে জীবনে আমরা এক পা-ও এগোই না। কাসে যার রেজাল্ট যেমনি হোক না কেন, জীবন চলাতে আমরা সবাই স্যারের দেখানো পথেই চলি। তা সে অফিসের বড় সাহেব বা পাড়ার ছিঁচকে চোর যে-ই হোক না কেন। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? চলেন তবে প্রমাণ সমেত উপস্থাপন করি:
বের হতে-না-হতেই সামনে পড়ল ‘টো টো মকবুল’।
-কিরে তুই সারা দিন আড্ডা, ঘোরাঘুরি আর অন্ন ধ্বংস ছাড়া জীবনে কি কিছুই করবি না? মানলাম তিনবার অঙ্কে ফেল মারছিস, অন্য কিছু তো চেষ্টা করবি, নাকি?
-কস কী মমিন ! স্যারই তো কইছিল যে, ‘তর দ্বারা কিচ্ছু হইব না’। আমি কি উনার ভবিষ্যৎবাণী বৃথা যাইতে দিতে পারি, ক?
বহু দিন পর গ্রামের চায়ের দোকানে দেখা গেল এককালের ভালো ছাত্র জামিল সাহেবকে। ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পর থেকে তিনি আর কোনো যোগাযোগ রাখেননি পুরনো বন্ধুদের সাথে। কেন এমন স্বার্থপরের মতো কাজ করেছিলেন প্রশ্ন ছুড়তেই কবি নীরব হয়ে গেলেন। তাকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচাতে তার সাবেক বন্ধু চায়ের দোকানদার বলে উঠল, ‘হের কোনো দোষ নাই। ছোটোকালে স্যারই তো কইত, ভালোমতো লেখাপড়া কর, নাইলে এখন যারা তোগো দোস্ত; তারা যখন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হইব, তখন তগোরে চিনবই না। তরা ওগোরে তখন স্যার স্যার করবি।’
-মানলাম। উনি নাইলে যোগাযোগ করে নাই কিন্তু আপনাদের দিক থেকেও তো রাখতে পারতেন।
-ইয়ে মানে, আসলে আমাগো মাথায়ও স্যারের ওই কথাগুলাই ঘুর ঘুর করত, তাই আর সাহসে কুলায় নাই।
এরই মধ্যে চায়ের দোকানে হাজির ছাত্রনেতা শামসু ভাই। অপনেন্ট পার্টি থেকে শুরু করে অবাধ্য জুনিয়র, বাকির টাকা চাইলে দোকানদার যে কাউকে পেটাতে তিনি সিদ্ধহস্ত। ‘মাইরের ওপরে ওষুধ নাই’ স্কুলের স্যারের সেই ডায়ালগই এখন তার পথ চলার মূলমন্ত্র।
সামনে শোরগোল শোনা যাচ্ছে, উফ্ ‘মন্টু চোরা’ আবার ধরা পড়েছে। আচ্ছা তুই কি আর মানুষ হবি না? এই যে চুরির কারণে মানুষ তরে জুতাপেটা করে তর কি শরম নাই?
-‘আরে ওই শিক্ষা তো আমি ইস্কুলেই পাইয়া গেছি। যেই দুই-এক দিন ইস্কুলে গেছিলাম কান ধইরা দাঁড়াইতে দাঁড়াইতে আর মাইর সহ্য করতে করতে ইজ্জতের ওপরে ফরমালিন পইড়া গেছে’। স্যারে ভাবতো অপমান করলেই বুঝি আমি ঠিক হইয়া যামু, আর হইল উল্টা। অতিষ্ঠ হইয়া ইস্কুলই ছাইড়া দিলাম।
এবার দেখলেন তো, ছাত্রদের ওপর শিকক্ষের প্রভাব কতটা ?
২| ১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:০৮
দীপংকর চন্দ বলেছেন: হা হা হা হা
অনেক ভালো লাগলো।
অনেক সত্যি কথা অবলীলায় বলেছেন!
অনিঃশেষ শুভকামনা।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:১৬
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দেশের শিক্ষা পদ্ধতির দৈন্যদশা আমাকে খুব ভাবায়।
৩| ২৭ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:২৮
অবিবাহিত জাহিদ বলেছেন: Amra adorsho chatro hoy bastha chai
২৭ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: সেক্ষেত্রে আগে আদর্শ শিক্ষকের কাছে যেতে হবে
৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৫২
ধমনী বলেছেন: সবক্ষেত্রে গুরুর কথা 'ফলে' না। তবে ছোট বয়সে বড়দের যে কোন আচরণই প্রভাব ফেলে।
প্রথম স্যাটায়ার হিসেবে ভালো।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৫
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় লেখক
৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: যখন গ্রামে ছিলাম মানে ছোটবেলায় ভাবতাম এই টাইপের চিন্তাভাবনার মানুষ শুধু গ্রামেই বেশি।কিন্তু এখন দেখছি শহরেও অহরহ।একটু সূক্ষভাবে চিন্তা করলে সবাই বুঝতে পারি সমাজে এত বৈষম্য কেন।সমাজে যে হারে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষিতের হার বাড়ছে সে হারে মনুষ্যত্ববোধে উদ্বুদ্ধ মানুষের হার বাড়ছে না।ভাবতেই খুব খারাপ লাগে!আইনস্টাইনের একটা কথা শেয়ার করি...
পুঁজিবাদের সবচেয়ে অনিষ্টকর ফল হল মানুষের মনুষ্যত্ব বিকাশের সম্ভাবনাকে
পঙ্গু করে দেওয়া।আমাদের সব শিক্ষা পদ্ধতিতে এই অমঙ্গল বর্তমান।বেশির ভাগ
ছাত্রের মনে একটি তীব্র প্রতিযোগিতার ভাব জন্মায় এবং তাদের শিক্ষালাভের
একমাত্র উদ্দেশ্য হল কী করে প্রতিযোগিতায় সিদ্ধিলাভ করে ভবিষ্যৎ জীবনে
কর্মক্ষেত্রে উন্নতির শিখরে আরোহণ করা যায়।এরা হল ক্যারিয়ারিস্ট,নিজেদের
জীবনে উন্নতি করে সুখে ও সম্মানে থাকতে চায়।এদের মন সংকীর্ণ ও স্বার্থপর।
-আলবার্ট আইনস্টাইন
আপুনি বলেছে এটা উনার লেখা প্রথম স্যাটায়ার।চমৎকার হয়েছে++++
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়্যামনি।
ভাল থাকা হয় যেন
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:০৬
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: এই প্রথম ব্যঙ্গাত্নক লেখা লিখতে চেষ্টা করলাম