|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে প্রশ্ন-ফাঁস ইস্যুকে কেন্দ্র করে বহুনির্বাচনী পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিলের পক্ষে কথা উঠছে। "সেন্টার ফর এডুকেশনাল রিসার্চ" আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার নানা দিক নিয়ে গবেষনামূলক চমৎকার কিছু কাজ করছে। এ বিষয়ে সেখানকার বেশ কিছু লেখা পড়লাম। পড়ে মনে হলো, একজন  ট্রেইনি টিচার হিসেবে আমিও কিছু লিখি। 
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন বাদ দিলে শিক্ষার্থীদের উপর কেমন প্রভাব পড়তে পারে এ নিয়ে এডুকেশনিস্টদের থিওরির কথাগুলো আমি সহজ ভাবে বলতে চাচ্ছি। 
ফেসবুকে ইদানিং একটা কার্টুন চোখে পড়ছে। একজন শিক্ষক ‘বানর,মাছ হাতি,কুকুর এদের সবাইকে বলছে সবার জন্য একটি সমান ন্যায্য পক্ষপাতহীন পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার বিষয় -গাছে ওঠা। এখন বোঝাই যাচ্ছে যে, এক্ষেত্রে বানরই প্রথম হবে। তার মানে তো এই না যে মাছ, হাতি এরা অযোগ্য। ঠিক তেমনি একটি ক্লাসে এক একটি বাচ্চার একেক ধরনের স্কিল থাকে। তাই সবাইকে একই পাল্লায় মাপা যায় না। 
স্কুলেও তেমনি আমরা যদি আমাদের বাচাদের পরীক্ষা নিতে চাই তা হলেও একই ধরনের প্রশ্নে কখনো সেটা ভ্যালিড হবে না। পরীক্ষা নেয়ার উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট বিষয় কতটুকু শিখতে, বুঝতে, প্রয়োগ  করতে পারল সেটা যাচাই করা। একটি দুই ঘন্টার পরীক্ষা, যেখানে ১০ নাম্বারের ৫ টি প্রশ্ন থাকবে, সেটি কখনো একজন শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কতটুকু জানে তার শতভাগ রেজাল্ট দিতে পারে না। ধরুন, সে বিষয়টি জানে-বুঝে, এ্যাপ্লাই করতে পারবে; কিন্তু গুছিয়ে লিখতে পারছে না। হয়তো বলতে দিলে সে সুন্দর করে বলতে পারতো, বা তাকে একটু হিন্টস দিয়ে দিলে সে জিনিসটা ধরতে পারতো। আবার এমন হতে পারে, কেউ কেউ দীর্ঘ সময় ধৈর্য্য নিয়ে কোন রচনামূলক প্রশ্ন লিখতে পারে না--তার কন্সান্ট্রেশন কম। কম সময় থেকে তাই সে ছোট প্রশ্ন ভাল লিখতে পারে। কেউ খুটিনাটি তথ্য ভাল মনে রাখতে পারে—তাদের জন্য এক কথায় উত্তর। এর জন্যই আমাদের প্রশ্নপত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন মিলিয়ে মিশিয়ে থাকে, যাতে এক ধরনের স্কিল ভাল না থাকলেও আরেক ধরনের স্কিলের মাধ্যমে নিজের জ্ঞান প্রকাশ করতে পারে। তাই কেউ mcq তে ভালো করে মার্ক তুলে, কেউ  আবার লিখিত পরীক্ষায় ভালো মার্ক তোলে।  
 আমাদের পরীক্ষার উদ্দেশ্য একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান যাচাই, শুধু মাত্র রাইটিং স্কিল যাচাই না। তাই আমাদের প্রশ্নপত্রে  ছোট প্রশ্ন, বড় প্রশ্ন, নৈর্ব্যক্তিক, শূন্যস্থান পূরণ, ব্যাখ্যা ইত্যাদি সব ধরনের প্রশ্ন থাকে। এভাবে যত ধরনের মিলিয়ে প্রশ্ন থাকবে একটি পরীক্ষায়, সেই পরীক্ষা ততবেশি ভ্যালিড হবে। একজন শিক্ষার্থীর দক্ষতা ততো বেশি যাচাই করা যাবে। শুধুমাত্র একটি লিখিত প্রশ্নই না; আমাদের বিষয় ভিত্তিক প্রেজেন্টেশন, অ্যাসাইনমেন্ট, ডিবেট কারিকুলামে থাকা উচিত প্রত্যেক বিষয়ের জন্যই। তাহলে সব ধরনের উপায় আরো ভালো করে যাচাই করা যায়।
ক্লাস টেস্ট নেয়ার সময টিচার যদি জিজ্ঞেস করে-তোমরা mcq প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে চাও নাকি বড় প্রশ্নে, দেখবেন অর্ধেক শিক্ষার্থী হাত তুলবে যারা বড় প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে চায় এবং বাকি অর্ধেক ছাত্র-ছাত্রী হাত তুলবে যারা MCQ দিতে চায়। দুই ধরনের ছাত্র-ছাত্রী দুই দিক দিয়ে ভাল। কেউ ছোট ছোট ইনফরমেশন মনে রাখতে পারে আবার কেউ মেইন থিম মনে রাখতে পারে, কিন্তু স্পেসিফিক ইনফরমেশন মনে রাখতে পারে না। দুই গ্রুপ দুই ধরনের , কারো স্কিল কিন্তু ছোট করে দেখার উপায় নাই ।  
MCQ পদ্ধতিতে পরীক্ষায় বিশেষ কিছু সুবিধা আছে। এই যেমন-খাতা দেখার জন্য এক্সপার্ট শিক্ষক প্রয়োজন হয় না,অনেক কম সময়ে কম্পিউটার বা যে কেউ উত্তর মিলিয়ে রেজাল্ট দিয়ে দিতে পারে। তাই এখানে খরচ কম হয়। বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে একই সাথে অনেক কম সময়ে যাচাই করা যায় এবং অনেক বড় একটা সিলেবাসের পরীক্ষা অনেক কম সময়ে নেয়া যায়। এজন্য বিসিএস,বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি,বড় চাকরির পরীক্ষাগুলোর প্রথম ধাপ mcq হয়।   
অনেকেই বলে থাকেন যে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের মাধ্যমে শুধুমাত্র মুখস্থবিদ্যা যাচাই হয়; আরও গভীর জ্ঞান যাচাই হয়না । কিন্তু বর্তমানে সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতিতে mcq প্রশ্নেও জ্ঞান ,অনুধাবন, প্রয়োগ এবং উচ্চতর দক্ষতার স্টেজগুলো মেইন্টেইন করা হয়। তাই এই ব্যাপারটি আর থাকছে না।
 
রচনামূলক প্রশ্ন পড়লে স্টুডেন্টরা শুধু সাজেশনের কিছু প্রশ্ন পড়ে। দুই-একটা চ্যাপ্টার একেবারেই বাদ দিয়ে দেয়। কিন্তু mcq প্রশ্নের ক্ষেত্রে তাকে সবগুলো চ্যাপ্টারই পড়তে হচ্ছে, যেহেতু এখানে অপশন নেই। 
এমসিকিউ প্রশ্নে কোন সাজেশন থাকে না। একজন যদি শুরু থেকে লাইন ধরে একটা চ্যাপ্টার-এর সবগুলো mcq প্রশ্ন পড়ে যায়, তাহলে কিন্তু তার ঐ চ্যাপ্টার সম্পর্কে মোটামোটি ভালো ধারনা হয়। 
mcq প্রশ্ন করা যতটা সহজ মনে করা হয়; কেউ যদি একটা ভ্যালিড mcq প্রশ্ন করতে চায়, তাহলে কিন্তু এটা অতটা সহজ না। mcq প্রশ্ন কিভাবে করতে হবে তার কিছু ক্রাইটেরিয়া আছে—যে কোন অপশন দিয়ে রাখলেই হবে না। ডিস্ট্রাক্টার যেগুলো থাকবে সেগুলো যেন অনুমান করে দেয়া না যায় সেটা খেয়াল রাখতে হয়। ধরুন, প্রশ্ন করা হলো- “জাতীয় ফলের নাম কী?” এখন যদি অপশন দেয়া হয়- “ক)কাঁঠাল খ)গোলাপ গ)জবা ঘ) আমলকি”—পরীক্ষার্থী শুরুতেই গোলাপ-জবা বাদ দিয়ে দিবে, কারণ-এই দুইটা ফল না, ফুল। তাহলে তার জন্য আমলকি অথবা কাঁঠাল থেকে একটি করা অনেক সহজ হয়ে গেল। এদিকে আমলকি অতো পপুলার না, আবার কাঁঠাল সাইজে বড়, তাই এক্ষেত্রেও অনুমান করা সহজ। তাই এখানে যদি সবগুলো ফলের নাম থাকত, যেমন- আম, কাঠাল, নারিকেল, পেয়ারা; তাহলে সহজে অনুমান করা যেত না।। 
“সবগুলো” “কোনটাই না” “ক এবং খ দুটোই”- টিচাররা আলসেমি করে এই ধরনের ডিস্ট্রাক্টার দিয়ে থাকে। এমন অপশন গুলো সবসময় নিরুৎসাহিত করা হয় । 
টিচার্স ট্রেনিং এর সময় এগুলো সব শেখানো হয়। সমস্যা হচ্ছে, ট্রেনিং-এর সময় সবকিছু শিখে কাজের বেলায় আলসেমি করে সেগুলো এ্যাপ্লাই করতে চান না আমাদের অধিকাংশ শিক্ষক  বা তারা কর্ম ক্ষেত্রে সেরকম সুযোগ সুবিধা , পরিবেশও পান না। 
mcq খাতা কাটা অনেক সহজ তাই প্রশ্ন করাটা না হয় একটু সময় নিয়েই করা হলো।   
পরীক্ষার হলে দেখাদেখি করে mcq উত্তর মেলানোর ব্যাপারটা কঠিন করার জন্য প্রশ্নপত্রে বিভিন্ন সেটের প্রশ্ন করা, mcq প্রশ্নে  ক্রমানুসারে নাম্বার না থাকা (মানে ১,২,৩,৪ এভাবে না দিয়ে বক্স বা স্টার চিহ্ন দেয়া। তাহলে ১ নাম্বার প্রশ্নের উত্তর, ১ নং প্রশ্নের উত্তর, এভাবে মিলাতে পারবে না), কড়া গার্ড দেয়া ইত্যাদি ব্যবস্থা নিতে হবে।
দুর্নীতিমুক্ত পরীক্ষার পরিবেশ আনার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। কিন্তু মাথা ব্যথায় মাথা কেটে ফেলার মত করে mcq প্রশ্ন বাদ দেয়ার পক্ষে আমি নই।  
 
 ১৯ টি
    	১৯ টি    	 +১/-০
    	+১/-০  ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৩৫
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৩৫
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ 
২|  ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১২:২৭
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১২:২৭
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সহমত।
 mcq বাতিল না করে আরো একটু উন্নত করা যেতে পারে। যাতে নকল বা দেখাদেখি না করে লিখতে পারে। সেট (ক,খ,গ,ঘ) এভাবে চিহ্নিত না করে 'বারকোড' বা QR কোড করা যেতে পারে। 
  ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৩৭
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৩৭
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ভাল পরামর্শ। আমাদের প্রস্নপত্রের ডিজাইন আরো আধুনিকায়ন প্রয়োজ।
৩|  ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১২:৪৩
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১২:৪৩
চোরাবালি- বলেছেন: নকল দেখা দেখি যাই হউক কোন সমস্যা নাই যদি ভর্তি পরীক্ষাটা লিখিত পরীক্ষা উপরই নির্ভরশীল হত এবং নিয়োগটা স্বচ্ছ থাকতো। নকল করবি তো বাদাম বেচবি ব্যাস-- @জুনায়েদ বি রাহমান
  ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৩৮
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৩৮
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ
৪|  ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:১১
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:১১
নতুন বলেছেন: ভাল ভাবনা...
  ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৩৮
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৩৮
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন
৫|  ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:৩৫
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:৩৫
ফেনা বলেছেন: পোষ্ট ভাল। কিন্তু জানেন কি বাংলাদেশের সম্পূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থাটাই খুব বাজে। এখানে শিখানো হয় কিভাবে মুখস্থ করতে হয়, কিভাবে নকল অরতে হয়। কিন্তু শিখানো হয় না কিভাবে জ্ঞান অর্জন করতে ছাত্র ছাত্রী তাদের ব্রেইন বযভার করতে পারে এমন শিক্ষা ব্যবস্থা দরকার। পরিক্ষা পদ্ধতি হতে হবে উন্মুক্ত। তাদের ব্রেইনকে যাচাই করুন, দয়া করে  যুদ্ধ জয়ের পথ দেখাবেনা। তাদের বিবেক আর ব্রেইনের সম্বনয়ে বাস্তব মুখী কর্ম সম্পাদনের  রাস্তা দেখান। দেশ এমনিতেই এগিয়ে যাবে। 
ভাল থাকবেন সবসময়।
  ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৪০
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৪০
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: সেই স্বপ্ন নিয়েই তো শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে কাজ করতে চাই। 
৬|  ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:৩৮
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা ভালো বিষয়ের উপর লিখেছেন। এ বিষয়ের উপর তাঁদের মতামতই অধিক গঠনমূলক হবে যারা এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত বা অভিজ্ঞতা আছে; অন্যদের একমত/দ্বিমত/সহমত একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোনো গুরুত্ব আছে বলে মনে হয় না। তবু, সাধারণ জ্ঞান থেকে আমজনতারা মতামত দিতে পারেন।
প্রশ্নপদ্ধতি, আদিতে যা ছিল এবং বর্তমানে যা আছে, কোনো খাদ বা ত্রুটি দেখি না। ত্রুটিগুলো প্রকট ভাবে ধরা পড়ে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো প্রশ্নপত্র প্রণয়ন- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ও পাবলিক পরীক্ষা বোর্ডে, উভয় ক্ষেত্রে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব এবং শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠানের বাইরেও নানাবিধ কাজে প্রচণ্ড ব্যস্ততার কারণে (টিউশনি, অন্যান্য কর্তব্য) শিক্ষকগণ একটা মানসম্পন্ন প্রশ্নপত্র বানানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় ও শ্রম দিতে পারেন না; ফলে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সবাই দায়সারা গোছের প্রশ্ন তৈরি করে জমা দিয়ে থাকেন। একটা বিষয়ের জন্য হয়ত ২/৩ সেট করে প্রশ্ন তৈরির বিধান থাকে, একই কারণে একই প্রশ্নই ঘুরে ফিরে সবগুলো সেটের মধ্যে ঢুকে পড়ে। শিক্ষকদের হাতে তেমন সময় না থাকায় তারা নিজেরা কিছু প্রশ্নব্যাংক তৈরি করেন, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সেগুলো শেয়ার করেন, নিজস্ব কোচিং সেন্টারে সেগুলো বিতরণ করেন, ফলে হয় কী, ছাত্রদের ক্রিয়েটিভি টেস্ট করার আর কোনো অবকাশ থাকে না, দিনের পর দিন একই চোতা বিভিন্ন হাতে ঘুরতে থাকে। ছাত্রদের সৃজনশীলতা মুখস্থ বিদ্যার মধ্যেই পড়ে থাকে।
এমসিকিউ পদ্ধতির ব্যাপারে যে সুপারিশ দিয়েছেন সেটা বাস্তবায়ন করা গেলে সর্বোত্তম। অল্পসংখ্যক ছাত্র, ধরুন ৫০ জন, হলে ৫০ সেট আলাদা প্রশ্ন করেও পরীক্ষা নেয়া যায়। কিন্তু পাবলিক পরীক্ষায় লাখ লাখ স্টুডেন্ট থাকে। ঐগুলো মার্কিঙের জন্য একযামিনারদের কাছে অতগুলো করে মেশিন সাপ্লাই দেয়া সম্ভব কিনা সেটা এক বিরাট প্রশ্ন।
এস এস সি লেভেল পর্যন্ত 'এসো নিজে করি' ধরনের কারিকুলাম থাকতো কোনো এক সময়ে, যাতে ছাত্ররা থিউরির সাথে হাতেকলমে জ্ঞান লাভ করতে পারে। কিন্তু ওগুলোর সাকসেস রেট হতাশাজনক। পরীক্ষায় গতানুগতিক ধারার প্রশ্ন থাকায় ছাত্ররা ওগুলো বাদ দিয়ে নোটেই আশ্রয় খুঁজতো। আমাদের দেশে তথাকথিত 'প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস' দ্বারা প্রয়োজনীয় জ্ঞান লাভ করা সম্ভব না। সরঞ্জাম, স্থান, সময়, শিক্ষক- প্রায় সব ক্ষেত্রেই অনেক লিমিটেশন আছে।
প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য প্রথমত শিক্ষকদের হতে হবে আন্তরিক। তার প্রতিষ্ঠানকে জিপিএ ফাইভ-এর সংখ্যা বাড়ানোর দিকে নজর না দিয়ে প্রকৃত শিক্ষাদানের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। আপনি ট্রেইনি শিক্ষক, অভিজ্ঞতা কতটুকু হয়েছে জানি না, ক্রমেই হয়ত দেখতে পাবেন পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ-এর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কত রকম পন্থ অবলম্বন করা হয়ে থাকে। শিক্ষকরা হলেন সততার উৎস- এটা মনে রাখা খুব প্রয়োজন। ছাত্ররা যেন কখনো নকলের দিকে না ঝুঁকে পড়ে, সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। নকলমুক্ত শিক্ষাঙ্গন গড়ে তোলা গেলে প্রশ্নফাঁস বন্ধ হবে, শিক্ষার মান বাড়বে,   সর্বোপরি, একটা আদর্শ প্রজন্ম গড়ে উঠবে, যারা একটা সৎ ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরো অনেক কিছু লেখার ছিল। 
আপনার লেখাটা গঠনমূলক হয়েছে। তবে, এমসিকিউ ৫০% না, আরো কম করা উচিত। সত্য/মিথ্যা, শূন্যস্থান পূরণ, এগুলোও যোগ করা উচিত। লিখিত অংশ যদিও ক্রিয়েটিভ বলা হয়, কিন্তু ছাত্ররা নোট পড়েই ওগুলোর উত্তর দিয়ে থাকে। ক্রিয়েটিভ প্রশ্নও ৫০% না করে এর মধ্যে আগের নিয়মের কিছু প্রশ্ন করা যেতে পারে, যেমন ব্যাখ্যা, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, ডাইরেক্ট প্রশ্ন, ইত্যাদি।
শুভেচ্ছা রইল।
  ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৪৩
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৪৩
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: সুচিন্তিত মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। 
আপনি স্পেসিফিক ভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরেছেন যেগুলোর সাথে সহমত।
৭|  ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৪:১১
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৪:১১
টারজান০০০০৭ বলেছেন: প্রশ্ন করার অনেক পদ্ধতি আছে। এমসিকিউ তাহার একটি।  তবে শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা ও জ্ঞানের গভীরতা পরিমাপের জন্য এমসিকিউ সহায়ক নয়। ইহা ব্যৱহৃত হইতে পারে সেই ধরণের জ্ঞান যাচাইয়ের ক্ষেত্রে যেখানে সৃজনশীলতা মুখ্য নহে, বরং জ্ঞান আছে কিনা তাহাই যাচাই করা মুখ্য। গণিত ও বিজ্ঞানের কিছু বিষয়েও ব্যাবহার করা যাইতে পারে যেখানে ফলাফলটাই মুখ্য ! 
বাস্তব জীবনেও দেখা যাইতেছে , শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা গড়িয়া না ওঠার কারণে অধীত বিষয়গুলো তাহারা খুব অল্প সময়েই ভুলিয়া যায় ! বর্ণনা বা বিশ্লেষণমূলক পরীক্ষা পদ্ধতি না থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা বিস্তারিত জ্ঞান আহরণ করে না, ফলে  ইনটেনসিভ লার্নিং অর্জন হয় না, যাহার কারণেই এমন বিস্মৃতি! তাই সীমিত ক্ষেত্রে এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ব্যাতিত এমসিকিউ ভালো কোন পদ্ধতি নহে। ইহাকে সীমিত করাই ভালো হইবে।
  ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৪৪
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৪৪
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ
৮|  ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৫:৪৩
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৫:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: ‘ডোভার বিচ’ ইংরেজি ভাষার শ্রেষ্ঠ কবিতা; কিন্তু এর রচয়িতা 
ম্যাথু আর্নল্ড শ্রেষ্ঠ কবি নন।
  ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৪৫
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৪৫
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: পোস্টের সাথে মন্তব্যের সম্পৃক্ততা বুঝিনি !
৯|  ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৫:১৭
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৫:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো একটা টপিকে লিখেছেন। আমিও লিখবো।
  ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৪৬
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৪৬
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়েছিলাম। অনেক প্র্যাক্টিকাল কিছু পয়েন্ট ছিলো।
১০|  ১২ ই জুন, ২০২০  রাত ৮:০৬
১২ ই জুন, ২০২০  রাত ৮:০৬
পাকাচুল বলেছেন: এমসিকিউ ভালো পদ্ধতি কুইক ইভালু্য়্যাশনের জন্য। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এর সমস্যা অন্যখানে। ১০ নাম্বারের একটা বড় প্রশ্ন সেট করতে একজন অভিজ্ঞ শিক্ষকের ৫-১০ মিনিটের বেশি লাগে না। কিন্তু ১০ নাম্বারের ১০টা এমসিকিউ সেট করতে ঘন্টারও উপর চলে যেতে পারে। এমন কি দুই ঘন্টা লাগলেও অবাক হবো না। 
বিষয়টা হচ্ছে একজন শিক্ষক কতটা পরিশ্রম দিচ্ছেন এই এমসিকিউ তৈরী করার জন্য? উনি কি সরাসরি কোন গাইড বই থেকে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন নাকি নিজের মেধা কাজে লাগাচ্ছেন?  
এমনকি ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার অনেক প্রশ্নও হুবহু বিভিন্ন গাইড বই থেকে কপি পেস্ট করা পাওয়া যায়। এটা শিক্ষকদের ব্যর্থতা।
একটা বিশেষ কাজে কিছুদিন আগে আমার ৩০টা এমসিকিউ তৈরি করতে হয়েছিল, যার জন্য আমাকে প্রায় ১টা পুরোদিন সময় দিতে হয়েছে। 
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১২:১৪
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১২:১৪
বিজন রয় বলেছেন: সহমত নই।
ভাল-মন্দ দুটোই আছে।