নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নহীন বালক তামিম।।\nইসলামিক, রোমান্টিক, গোয়েন্দা, রহস্য এবং সায়েন্স ফিকশন লিখার চেষ্টায় আছি।।।

স্বপ্নহীন বালক তামিম

স্বপ্নহীন বালক তামিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আয়েশার জীবন

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪

আয়েশা অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। সে গরিব বাবা মায়ের সন্তান। এক ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সে সবার বড়। দেখতে মোটামুটি সুন্দরী। ছয় সদস্যের পরিবারে শুধু বাবাই একমাত্র উপার্জন কারী। ভাইটি মাত্র ক্লাস ফাইভে পরে। আর বাকি দুই বোনের একজন অষ্টম আরেকজন দশম শ্রেণীতে পরে। চার ভাই বোনের লেখাপড়া সহ সংসারের খরচ চালাতে তার বাবার পক্ষে অনেক কঠিন হয়ে পরেছে। আয়েশা দুইটা টিউশনি ও করে। তবে ভার্সিটিতে যাওয়া আসার গাড়ি ভাড়ায় টিউশনের সব টাকা চলে যায়।

এদিকে তার বাবা মা তাকে বিয়ে দেয়োয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ইতিমধ্যে সে তার বাবা মাকে অনেকবার বলেছে যে, সে পড়াশুনা শেষ করে একটা ভাল জব নিবে। তারপর পরিবার কে সাটেল করার পর বিয়ের কথা ভাববে। কিন্তু বাবা মা একথা মানতে চান না। মেয়ের বিয়ের বয়স হয়েছে। সমাজের মানুষ তো আর বুঝবেনা। তারা নানা রকম বাজে কথা বলবে। দেখতে দেখতে তার বাবা তার বিয়ে ঠিক করে ফেললেন। আয়েশা প্রথমে রাজি হতে চাইলো না কিন্তু বাবা মায়ের অনেক জোরাজুরিতে শেষ পর্যন্ত তাকে রাজি হতেই হল। ছেলে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান।

দেখতে সুন্দর, ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে ভাল জব করছে। তবে ছেলে পক্ষ আয়েশার বাবার কাছে এক লক্ষ টাকা যৌতুক চেয়েছে। যদিও এটা তার পক্ষে জোগার করা সহজসাধ্য নয় তবুও মেয়ের সুখের জন্য তিনি রাজি হলেন। আর বর্তমানে ভাল পাত্র পাওয়া কঠিন। আয়েশার বাবার একটি ডিপিএস ছিল সেটা থেকে ৫০,০০০টাকা পেল। বাকি টাকা চারিদিক থেকে ধারদেনা করে অনেক কষ্টে জোগাড় করলেন। নানা আয়োজন করে মেয়ের বিয়ে দিলেন। কিছুদিন পর রমজানের ঈদ তাই আয়েশার বাবা সমাজের বাধ্যবাঁধকতার কারণে নিজের অন্য ছেলেমেয়ের জন্য কেনাকাটা না করে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির সবার জন্য ঈদের কেনা কাটা করে দিলেন। এরপর কুরবানির ঈদে শ্বশুর বাড়ির ওরা বলেছে গরু কিনে দিতে হবে।

অথচ আয়েশার বাবা এক কেজি গরুর গোশত কিনতে তিন বার ভাবতে হয়। কিন্তু মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোক তো আর এত কিছু মানবেনা। অনেক চেষ্টা করেও আয়েশার বাবা টাকা যোগাড় করতে পারল না। যার ফলে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে কুরবানির গরু পাঠানো হলনা। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকজন এটা মেনে নেয়নি, শ্বশুর বাড়ির লোকজন আয়েশার উপর নানা ধরনের অমানবিক অত্যাচার করতে লাগলো। শেষ পর্যন্ত মেয়েটাকে তার স্বামী তালাক দিয়ে দিয়েছে।

জানেন এর জন্য দায়ী কে????
এগুলো সব কিছুর জন্য দায়ী হলাম আমরা....
এবার ভেবে দেখুন আমরা কেমন শিক্ষিত জাতি। আমাদের বর্তমান নোংরা সমাজের লোকজন যা বলে তাই মেনে নিই। কিন্তু কেন?
আর কতদিন আয়েশার মত মেয়েরা এরকম অবস্থার শিকার হবে।তারা কি মেয়ে হয়ে অপরাধ করেছে?
না অপরাধ তারা করেনি..... করেছি আমরা।আমাদের মধ্যেই কিছু মানুষ আছে যারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত কিন্তু মনুষত্যের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারিনি। আমাদের মধ্যে একদল যৌতুক দিচ্ছে আরেকদল যৌতুক নিচ্ছে। কিন্তু তারা কখনই এটাকে অপরাধ হিসেবে মানেন না। তারা বিয়ের পর টাকার জন্য মেয়েদের কে নানান অমানুষিক অত্যাচার করেন। তারা কিন্তু ভাল করেই জানেন যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি।

তাছাড়াও ইসলামের দৃষ্টিতে যৌতুক হারাম। যৌতুক দেয়া যৌতুক নেয়া সমান অপরাধ। কিন্তু আমাদের মধ্যে কয়জন এই কথা মানছেন..! বাস্তবে এটা এখন ফাশন ও বাধ্যতামূলক হয়ে দাড়িয়েছে। এসব অপরাধ গুলো বেশি করে আমাদের মধ্যে কিছু শিক্ষিত সমাজ। যারা শিক্ষিত হয়েছে ঠিক কিন্তু সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেনি।
আসুন আমরা সবাই মিলে এর প্রতিরোধের জন্য সোচ্চার হই, আওয়াজ তুলি এবং অঙ্গিকার বদ্ধ হই। এটা প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন কর্ম পদক্ষেপ নিই।
আমার লিখা পড়ে অনেকের খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন আমার কথা গুলো সত্যি কিনা।
অবশেষে বলতে চাই
যৌতুক মুক্ত বাংলাদেশ চাই।

লিখা~ স্বপ্নহীন বালক তামিম(নিশ্চুপ সমুদ্র)আয়েশা অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। সে গরিব বাবা মায়ের সন্তান। এক ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সে সবার বড়। দেখতে মোটামুটি সুন্দরী। ছয় সদস্যের পরিবারে শুধু বাবাই একমাত্র উপার্জন কারী। ভাইটি মাত্র ক্লাস ফাইভে পরে। আর বাকি দুই বোনের একজন অষ্টম আরেকজন দশম শ্রেণীতে পরে। চার ভাই বোনের লেখাপড়া সহ সংসারের খরচ চালাতে তার বাবার পক্ষে অনেক কঠিন হয়ে পরেছে। আয়েশা দুইটা টিউশনি ও করে। তবে ভার্সিটিতে যাওয়া আসার গাড়ি ভাড়ায় টিউশনের সব টাকা চলে যায়।

এদিকে তার বাবা মা তাকে বিয়ে দেয়োয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ইতিমধ্যে সে তার বাবা মাকে অনেকবার বলেছে যে, সে পড়াশুনা শেষ করে একটা ভাল জব নিবে। তারপর পরিবার কে সাটেল করার পর বিয়ের কথা ভাববে। কিন্তু বাবা মা একথা মানতে চান না। মেয়ের বিয়ের বয়স হয়েছে। সমাজের মানুষ তো আর বুঝবেনা। তারা নানা রকম বাজে কথা বলবে। দেখতে দেখতে তার বাবা তার বিয়ে ঠিক করে ফেললেন। আয়েশা প্রথমে রাজি হতে চাইলো না কিন্তু বাবা মায়ের অনেক জোরাজুরিতে শেষ পর্যন্ত তাকে রাজি হতেই হল। ছেলে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান।

দেখতে সুন্দর, ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে ভাল জব করছে। তবে ছেলে পক্ষ আয়েশার বাবার কাছে এক লক্ষ টাকা যৌতুক চেয়েছে। যদিও এটা তার পক্ষে জোগার করা সহজসাধ্য নয় তবুও মেয়ের সুখের জন্য তিনি রাজি হলেন। আর বর্তমানে ভাল পাত্র পাওয়া কঠিন। আয়েশার বাবার একটি ডিপিএস ছিল সেটা থেকে ৫০,০০০টাকা পেল। বাকি টাকা চারিদিক থেকে ধারদেনা করে অনেক কষ্টে জোগাড় করলেন। নানা আয়োজন করে মেয়ের বিয়ে দিলেন। কিছুদিন পর রমজানের ঈদ তাই আয়েশার বাবা সমাজের বাধ্যবাঁধকতার কারণে নিজের অন্য ছেলেমেয়ের জন্য কেনাকাটা না করে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির সবার জন্য ঈদের কেনা কাটা করে দিলেন। এরপর কুরবানির ঈদে শ্বশুর বাড়ির ওরা বলেছে গরু কিনে দিতে হবে।

অথচ আয়েশার বাবা এক কেজি গরুর গোশত কিনতে তিন বার ভাবতে হয়। কিন্তু মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোক তো আর এত কিছু মানবেনা। অনেক চেষ্টা করেও আয়েশার বাবা টাকা যোগাড় করতে পারল না। যার ফলে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে কুরবানির গরু পাঠানো হলনা। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকজন এটা মেনে নেয়নি, শ্বশুর বাড়ির লোকজন আয়েশার উপর নানা ধরনের অমানবিক অত্যাচার করতে লাগলো। শেষ পর্যন্ত মেয়েটাকে তার স্বামী তালাক দিয়ে দিয়েছে।

জানেন এর জন্য দায়ী কে????
এগুলো সব কিছুর জন্য দায়ী হলাম আমরা....
এবার ভেবে দেখুন আমরা কেমন শিক্ষিত জাতি। আমাদের বর্তমান নোংরা সমাজের লোকজন যা বলে তাই মেনে নিই। কিন্তু কেন?
আর কতদিন আয়েশার মত মেয়েরা এরকম অবস্থার শিকার হবে।তারা কি মেয়ে হয়ে অপরাধ করেছে?
না অপরাধ তারা করেনি..... করেছি আমরা।আমাদের মধ্যেই কিছু মানুষ আছে যারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত কিন্তু মনুষত্যের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারিনি। আমাদের মধ্যে একদল যৌতুক দিচ্ছে আরেকদল যৌতুক নিচ্ছে। কিন্তু তারা কখনই এটাকে অপরাধ হিসেবে মানেন না। তারা বিয়ের পর টাকার জন্য মেয়েদের কে নানান অমানুষিক অত্যাচার করেন। তারা কিন্তু ভাল করেই জানেন যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি।

তাছাড়াও ইসলামের দৃষ্টিতে যৌতুক হারাম। যৌতুক দেয়া যৌতুক নেয়া সমান অপরাধ। কিন্তু আমাদের মধ্যে কয়জন এই কথা মানছেন..! বাস্তবে এটা এখন ফাশন ও বাধ্যতামূলক হয়ে দাড়িয়েছে। এসব অপরাধ গুলো বেশি করে আমাদের মধ্যে কিছু শিক্ষিত সমাজ। যারা শিক্ষিত হয়েছে ঠিক কিন্তু সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেনি।
আসুন আমরা সবাই মিলে এর প্রতিরোধের জন্য সোচ্চার হই, আওয়াজ তুলি এবং অঙ্গিকার বদ্ধ হই। এটা প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন কর্ম পদক্ষেপ নিই।
আমার লিখা পড়ে অনেকের খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন আমার কথা গুলো সত্যি কিনা।
অবশেষে বলতে চাই
যৌতুক মুক্ত বাংলাদেশ চাই।

লিখা~ স্বপ্নহীন বালক তামিম(নিশ্চুপ সমুদ্র)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.