নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এখনও আমি আমিই আছি।

কোনও একদিন বছর গেলে শুনি কোথাও সে বৃক্ষ হতে চেয়ে চেয়ে হয়েছেও, আমি ঘাস, ঘাসই রয়ে গেছি, ফুল ফোটাই, দিনভর আকাশ দেখি, বাঁচি।

তমসো দীপ

আমি তমসো দুঃখী দীপ। সারাদিন পারলে কাটাই বাসায়,কূপমণ্ডুকের মতো। বাইরেও যাই, কখনো সখনো। সারাদিন ব্লগিং করেই কাটাই, অবসরে অন্য কাজ করি। কম্পিউটারে সারাদিন হাই ভল্যুমে রবীন্দ্রসংগীত শুনি, পাড়াপ্রতিবেশী আমার ওপর তাই মহা ক্ষ্যাপা। এই নিয়েই আছি, আকাশের কাছাকাছি। টান টান টান টানছে সুতো ফিরছে ঘুড়ি আহা ঘর ঘর ঘর ফিরছে ঘরে আকাশে ঘর বাঁধা হোলো না তো [email protected] [email protected] [email protected] [email protected] [email protected]

তমসো দীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই গ্রহের মিঠাই বাতাসার মরে যাওয়া মেহমানঃ জুলহাজ মান্নান

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

পুঙ্খানুপুঙ্খ পাঠঃ http://chronicle-of-xulhaz.blogspot.com

আস্ত একটা গ্যে! শালায় লাশ হইয়া গ্যালো!

এইসব কথার সৌরভে ভরে উঠেছিলো চারপাশ। মৃত্যুর সৌরভে আমরাও বুঁদ হয়ে ছিলাম।

আস্ত একটা গ্যে! তাই তো! আমিও তো তাই! আমিও তো আস্ত একটা গ্যে!

আমার কি হবে তাহলে? একবার আমার কথাটা ভাবলো না জুলহাজ ভাই



লোকটার মৃত্যুর পরে জানতে পারলাম, এই বিশাল পৃথিবীটায় প্রেমিক ছিলো একটা । সেই প্রেমিকটাকে আর কোনওদিন আমি খুঁজেও পাবো না। তার সাথে ঝগড়া ঘৃণা রাগ অভিমান কথা কাটাকাটি - সবকিছু বকেয়া রয়ে গ্যালো।

জানলা দিয়ে উঁকি মারে পাহাড় ছোঁয়া মেঘ...

আমি রিপিটেডলি গানটা শুনি। ছায়া মানুষ ফিল্মটা আর অনলাইনে রিলিজ হলো না। বাংলাদেশের সিনেপ্লেক্সের তো প্রশ্নই ওঠে না! যদিও বাস্তুশাপটা এসেছিলো ইউটিউবে - দেখছিলামও সিনেমাটা, অরল্যাণ্ডো'র দিনে।



ছায়া মানুষ নামটাও তো অদ্ভুত, তাই না? জুলহাজ ভাই কি ছায়ামানুষ? নাকি অন্য কিছু?

অন্য একটা প্রাণী হয়ে জুলহাজ মান্নান যদি আবার জন্মায় - থাক, কি দরকার? আবার জন্মালে আবারও তো মরে যেতে হয়! তিরাশি লক্ষ যোনি ভ্রমণ করে মানবজন্ম অর্জন করতে হয়। জুলহাজ ভাই তো আস্ত একটা গ্যে! তিরাশি লক্ষ যোনিতে লোকটা নামবে কিভাবে?

যোনিপ্রিয় লালনেরা তাও বেশ আছে। শুধু জুলহাজ ভাই ফুট্টুস হয়ে গ্যালো। একদম উধাও।

নাকি লোকটা আসলে বেঈমান? লুকোচুরি খেলছে আমার সাথে, ধানের ক্ষেতের রৌদ্রছায়ায়? রৌদ্রছায়ার দাপট দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। রৌদ্র জ্বলবে, রৌদ্র নিভে যাবে। এটাই নাকি চিরন্তনী। যোনিপ্রিয়রা কই, নেভে কই?

অসম্ভব একটা লড়াইয়ে নেমেছিলো জুলহাজ ভাই। আমরাও সেই লড়াইয়ে শামিল হয়েছিলাম। কি করে নিজেকে ঠকাতে হয়, কে কারচে' বেশি ঠকাতে পারে নিজেকে - সেই লড়াইয়ে।



সবচে' বেশি ঠকলোটা কে? আমি? নাকি জুলহাজ ভাই?

নাকি মৃত্যু? মৃত্যুর মতো ঠগবাজের সাথে জুলহাজ ভাই এক দান পাশা খেলে গ্যালো। সেই খেলায় মৃত্যু জিতে গ্যাছে বলে তো শুনিনি আমি এখনও!

সেই খেলার স্কোরে ট্রফিটা ছিনিয়ে নিয়েছে জুলহাজ ভাই। শুধু সেই সংবাদটা এখনও অপ্রকাশিত। রিপোর্টারদের ভিড় ছিলো না খুব একটা, ওই স্টেডিয়ামে। মৃত্যুর স্টেডিয়ামে কয়টা লোকই বা বেড়াতে যায়? ক'জনের সেই সাহস আছে?

সেই স্টেডিয়ামে যেসব ঘটনা ঘটে গ্যাছে, যেসব ল্যাম্প ভেঙে গ্যাছে, যেসব ঘাস পুড়ে গ্যাছে - এই ব্লগটা সেসবেরই একটা রেকর্ড। ফ্রম জুলহাজ টু অরল্যাণ্ডো। সেখান থেকে গুলশান ইশরাত ফারাজ আহমেদ।

যোদ্ধা-জয়ী-বিজয়ীর পাঁচ ফুট জমিনের পাশাপাশি
জিতিয়া রয়েছে আজ তাহাদের খুলির অট্টহাসি!
সে-সব পেঁচারা আজ বিকালের নিশ্চলতা দেখে
তাহাদের নাম ধরে যায় ডেকে ডেকে।
আমার চোখের পাশে আনিও না সৈন্যদের মশালের আগুনের রং,
দামামা থামায়ে ফেল- পেঁচার পাখার মতো অন্ধকারে ডুবে যাক রাজ্য আর সাম্রাজ্যের সঙ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.