![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Special theory of relativity থেকে আমরা জানি আলো হচ্ছে সবথেকে দ্রুত। অন্য কোনো কিছুই এর থেকে দ্রুত হতে পারবে না। যার গাণিতিক প্রমান ও আমাদের কাছে রয়েছে।
কিন্তু একটু ভাবলেই কিন্তু আমরা দেখি বিগব্যাং নিজেই হয়েছিল আলোর থেকে দ্রুত বেগে, এমন কি স্পেস পর্যন্ত আলোর থেকে দ্রুত বেগে প্রসারিত হচ্ছে, আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স থেকে আমরা যে কোয়ান্টাম এন্টাঙ্গেলমেন্টের কথা জানি তাও হচ্ছে আলোর থেকে দ্রুত! o.O
আচ্ছা এসবের মানে কি?? আমরা কি তাহলে প্রতিনিয়তই স্যার আইন্সস্টাইনের থিওরিকে ভুল বলছি? এত সহজ? :/
চলো দেখি
বিগব্যাং বা স্পেস সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে আমাদের প্রথমে যা বুঝতে হবে তা হচ্ছে স্পেস নিজেই প্রসারিত হচ্ছে, এটা কিন্তু এমন ন যে গ্যালাক্সি গুলো আলোর থেকে দ্রুত বেগে দৌড়চ্ছে . তো আমরা আইন্সস্টাইনের থিওরি থেকে তো আমরা জানি "Nothing can go faster than light." তো nothing টা কি? নিশ্চই শুন্য স্থান মানে স্পেস নিজেই। So, nothing can go faster than light মানে Space can go faster than light!!
তো আবার কি? হোক স্পেসের প্রসারন আলোর থেকে দ্রুত ফিজিক্সের ল ভাঙ্গছে না, কারন কোনো বস্তুই আলোর থেকে দ্রুত চলছেই না।
এবার আসি কোয়ান্টাম এন্টাঙ্গেলমেন্টে, দুটি ইলেকট্রন আমরা যদি পাশাপাশি রাখি তবে এরা একই ভাবে, একই ছন্দে কম্পিত হবে। এবার যদি এই ইলেকট্রন দুটির একটিকে আমাদের গ্যালাক্সি তে আর অন্যটিকে ১ আলোকবর্ষ দুরের অন্য কোথাও রেখে একটিকে স্পন্দিত করি অপরটিও সাথেসাথে একই ছন্দে স্পন্দিত হবে ১ আলোকবর্ষ পার্থক্য থাকা সত্যেও এটাই মূলত কোয়ান্টাম এন্টাঙ্গেলমেন্ট। এখন দেখ যেখানে আলোর দরকার হচ্ছে ১ বছর কোয়ান্টাম এন্টাঙ্গেলমেন্টে তথ্য যাচ্ছে কিন্তু সাথে সাথে!!
আর এই জিনিসটি স্যার আইন্সস্টাইনের ভীষন অপছন্দের ছিলো তিনি কোনো ভাবেই এটা মানতে পারেন নি।আর আলোর থেকে দ্রুত হওয়ার কারনে তিনি বলেছিলেন কোয়ান্টাম এন্টাঙ্গেলমেন্টই নিজেকে ভুল প্রমানিত করে। কিন্তু কোয়ান্টাম এন্টাঙ্গেলমেন্ট কিন্তু বার বার প্রমানিত আর এটা ভুল না। যার কারনে আইন্সস্টাইন কে হাসির পাত্রও হতে হয়েছিলো! :O
তাহলে এবার? আইন্সস্টাইনের থিওরি কি ভুল? আইন্সস্টাইন কোয়ান্টাম এন্টাঙ্গেলমেন্টকে ভুল বলে হাসির পাত্র হলেও এর মানে কিন্তু এই না যে তার দেয়া থিওরিকে ভুল হতে হবে B-|
এটা আইন্সস্টাইনের সূত্রকে ভুল প্রমান করতে পারেনি কারন এখানেও কোনো বস্তুই আলোর থেকে দ্রুত যাচ্ছে না যেটা যাচ্ছে সেটা অব্যবহার যোগ্য তথ্য যা কোনো কাজের নয়। যেমন ধর, তুমি জানো তোমার একবন্ধু একপায়ে সাদা আর এক পায়ে কালো মোজা পরে কিন্তু তুমি জানো না কোনটা কোন পায়ে। এখন তুমি যদি তোমার বন্ধুর একপায়ে সাদা মোজা দেখ তুমি নিমিষেই বুঝবে আলোর থেকে দ্রুত গতিতে যে অপর পায়ে কালো মোজা। কিন্তু এতে কোনো হাতি ঘোড়া হচ্ছে না কারন কোনো usable তথ্য আলোর থেকে দ্রুত বেগে চলছে না। তাহলে এবার ও আইন্সস্টাইন এবং তার তথ্য জিতে গেলো।
আসলে এভাবে দেখলে আমাদের যেন মনে হয় আমরা পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্রগুলো ভেঙ্গে ফেলছি আসলে এমনটা না। আর একটা উদাহরন হিসেবে দেখতে পারো, আমাদের দেশেই আমরা বিভিন্ন যায়গায় ছোট ছোট রং বেরং এর বাতির কাজ দেখি রাস্তায় বা বিয়ে বাড়িতে এগুলো দিয়ে বিভিন্ন ভাবে সাজানো হয়। কিন্তু এই বাতি গুলো কি নিজের জায়গায় নড়তে পারে? নিশ্চই না এরা তো স্থির! কিন্তু বাতি জ্বালানোর পদ্ধতির বা ছন্দের কারনে বিভিন্ন ধরনের নকশা নড়াচড়া করতে দেখা যায়। তো এখানে কে কাদের থেকে দ্রুত? বাতিগুলো নিজেই নিজেদের স্পিড ব্রেক করছে?
এভাবেই স্পেস সম্প্রসারণ বলুন আর কোয়ান্টাম এন্টাঙ্গেলমেন্ট বলুন কেউ পদার্থ বিজ্ঞানের নিয়ম লংঘন করছে না B-|
এটা মূলত পদার্থ বিজ্ঞানের সৌন্দর্য যার নিয়ম গুলো ভাঙ্গতে গেলে এরা নিজের থেকেই জোড়া লেগে যায়
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৪
দরবেশমুসাফির বলেছেন: এটা মূলত পদার্থ বিজ্ঞানের সৌন্দর্য যার নিয়ম গুলো ভাঙ্গতে গেলে এরা নিজের থেকেই জোড়া লেগে যায়।
সবক্ষেত্রে না। উপরে কলাবাগান ভাইয়ের কমেন্টে নিলস বোরের মন্তব্য দ্রষ্টব্য।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫৮
তানজিলা রহমান বলেছেন: হুম কিন্তু খুব কম জিনিস ই random.
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৯
দরবেশমুসাফির বলেছেন: পদার্থবিজ্ঞানের কোন নিয়মের উপরই অপরিসীম আস্থা রাখা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিপন্থী। ( এর মানে এই নয় যে নিয়মগুলো ভুল )
ম্যাক্স প্লাংক কে পদার্থবিজ্ঞানের চেনা গণ্ডির বাইরেই কৃষ্ণ বস্তুর বিকিরনের ব্যাখ্যা খুঁজতে হয়েছিল।
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৬
ডাঃ নাসির বলেছেন: লেখাটি পড়ে খুব ভাল লাগল।
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৯
আজমান আন্দালিব বলেছেন: পড়ে খুব ভাল লাগল।
৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২০
প্রবাসী একজন বলেছেন: চমতকার পোষ্ট।
৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১০
অগ্নি সারথি বলেছেন: চমৎকার!
৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৪
ভারসাম্য বলেছেন: Tachyon নামে একটি কণিকার কল্পনা করা হয়েছিল যার গতি আলোর চেয়ে বেশি। সার্নের এলএইচসি-তে একবার tau neutrino-এর গতি একবার আলোর চেয়েও বেশি পাওয়া গিয়েছিল বলা হলেও পরবর্তীতে সেটা পরীক্ষণের ভুলের কারণে হয়েছিল বলা হয়েছে। অর্থাৎ যদিও Tachyon এর বাস্তবতা পাওয়া যায় নি, কিন্তু ফিকশনাল কণিকা হিসেবে এর উল্লেখ বিভিন্ন সাই-ফাইয়ে ভালভাবেই পাওয়া যায়।
কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হল, পদার্থবিজ্ঞানে ব্যাচেলর করা কেউ যখন তার লেখা বিদ্যুৎ বিষয়ক একটা বইয়ে উল্লেখ করে যে, Tachyon নামে আলোর চেয়েও বেশি বেগের কণিকাও আবিষ্কৃত হয়েছে! কোথায় আবিষ্কার, আর কোথায় ফিকশন! সংগত কারনে তার নাম উল্লেখ করছি না, কিন্তু ভিন্ন কাউকে যাতে ভেবে বসা না হয়, তাই বইটার একটা লিংক দিলাম এখানে।
আপনার লেখায় +++
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫৬
তানজিলা রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ!!
৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৫৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি ঠিক বুঝলাম না এত সুন্দর একটা টপিক কিভাবে এমন মাঠে মারা গেলো কোনো আলোচনা ছাড়াই। এই পোস্টের একটা চমকপ্রদ দিক আছে সেটা হলো আলোর গতি অতিক্রম করলেই তা পদার্থবিজ্ঞানের কোনো ল ভাঙ্গে না। এটা আইনস্টাইনের স্পেশাল থিওরী অব রিলেটিভিটির লুপহোল অনুযায়ীই ঘটে।
তবে একটা জিনিস যে অনেকে টেকিওনিক পার্টিক্যালের কথা বলেছেন কিন্তু এটা এসেছে ঐ স্পেশাল রিলেটিভিটির লুপ হোল থেকেই। তার আগে একটা চমকপ্রদ কথা বলে নেই এই যে কিছু দিন হিগস ফিল্ডের হিগস কনিকা আবিস্কার হলো এই হিগস ফিল্ডের ভর কিন্তু ইমাজিনারী। হিগস ফিল্ডের ভর ইমাজিনারী কেন এটা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে বিশাল একটা স্বতন্ত্র পোস্ট হয়ে যাবে তাই এখানে ওটার ক্যালকুলেশন নিয়ে আলোচনা করবো না।
আমি আলোচনা করবো এই স্পেশাল থিওরী অব রিলেটিভিটি অনুযায়ী কিভাবে একটা কনিকা আলোর চেয়ে দ্রুত গতি লাভ করতে পারে।
এর মূল কনসেপ্ট টা হলো যখন একটা মুখোমুখি সংঘর্ষ (অবশ্যই কোনো পার্টিক্যাল কোলাইডারের সংঘর্ষ) আলোর গতিতে ঘটে তাহলে ওখান থেকে যদি কোনো পার্টিক্যালের গতি আলোর গতির চেয়ে বেশী হতে হয় তাহলে এর জন্য কোনো অসীম ভর বা অসীম ত্বরনের প্রয়োজন নেই। তবে এসব পার্টিক্যাল খুবই ক্ষনস্থায়ী এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এদের ক্ষয় হয়ে যায় তাৎক্ষনিক ভাবেই।
এখন আমরা স্পেশাল রিলেটিভিটি অনুযায়ী লিখতে পারি:
E = mc^2...........১
এখন আমরা এমন একটা পার্টিক্যালের কথা চিন্তা করি যার মোমেন্টাম x y z বরাবর আর এনার্জী হলো E, তাহলে স্পেশাল রিলেটিভিটি অনুযায়ী নীচের ইকোয়েশনটা মেনে চলবে।
E^২- p(x )^২c^২- - p(y)^২c^২ - p( z)^২c^২ = m(০)^২c^৪
এখন আরেকটা পার্টিক্যাল যদি বিপরীত থেকে আসে তাহলে তার মোমেন্টামের মাত্রা পরিবর্তিত হবে কিন্তু মান ঠিকই থাকবে। এটা নির্নয় করা সম্গব লরেন্জ্ঞ ট্রানস্ফরমেশনের মাধ্যমে .....আর ফ্রেম অব রেফারেন্স হতে হবে v(x )= dE/ dp(x ) যদি কনিকা সমূহ হাইপারবোলা শেপের টিউবের মধ্য দিয়ে ভ্রমন করে।
যাই হোক আর ইকোয়েশন লেখার ধৈর্য্য নাই। উইকি থিকা পইড়া নিলে ভালো হয়। এই ব্লগে ইকোয়েশন লেখা আর কাগজে কলমে হিগস বোসনের ইনভ্যারিয়েন্স ডিরাইভ করা এক কথা!
m= m* [(v/c) ^2- 1]^-1 /2 এখানে m* হলো মেটা ভর আর অবসা্ভারের ফ্রেম অব রেফারেন্স হতে হবে সাবলুমিনাল ভেলোসিটিতে।
মূল কনসেপ্ট এটাই যেটা মূলত স্পেশাল রিলেটিভিটির কোনো তত্ব ভঙ্গ করে না।
আর স্পেসের ব্যাপারটা এখানে খুব একটা প্রভাব রাখে না, কারন আমাদের সকল এক্সপেরিমেন্ট কিন্তু আগেই থেকেই জন্ম নেয়া স্পেসের ওপরই ঘটবে। তবে এখানে যদি আমরা স্থানিক তিন মাত্রার জায়গায় বাকানো ৪ স্থানিক মাত্রা দিয়ে বিচার করতে যাই, তাহলে আলোর স্পিডের বেশী যাবার জন্য স্থানের প্রসারন দরকার নেই। আমরা যেভাবেই যাই না কেন তখন আলোর স্পিডই হবে আমাদের রেফারেন্স ইনার্শিয়াল ফ্রেম এবং সব কিছু ঐ গতি থেকেই ত্বরনায়িত হবে!
আশা করি বোঝানো গেছে। যদিও এগুলো পুরোপুরি গানিতিক ডিরাইভেশন নির্ভর!
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৩
কলাবাগান১ বলেছেন: "God does not play dice"- Einstein
"'Einstein, stop telling God what to do"- Bohr