![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১
অক্টোবর, ২০১৫। সম্ভবত মাসের ১৭ কিংবা ১৮ তারিখ হবে। সকালবেলায় আমার মা ঘুম থেকে আমাকে উঠিয়ে দিলেন। মামার বাড়িতে একটি জরুরী কাজে যেতে হবে। মামার বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে। যানবাহন বা পায়ে হেঁটে, যেকোনভাবেই যাওয়া যায়।
আমি আমার সাইকেল বের করলাম। আমার প্রিয় সাইকেল। সাইকেলে করে মামার বাড়িতে অনেকবার আসা-যাওয়া করেছি। ভালোই লাগে এভাবে আসা-যাওয়া করতে। সাইকেল চালানোর আনন্দ যে কতটা মধুর, তা যারা সাইকেল চালান তারা ব্যতীত অন্যদের বুঝানো বোধহয় সম্ভব নয়।
সাইকেল নিয়ে বের হলাম সকাল সাতটা পনের কিংবা বিশ মিনিটের দিকে। বাসায় ফিরলাম ঠিক সাড়ে সাতটায়। পনের মিনিটের মত পার হলো মাত্র। মামার বাড়ির কাজে আর আওয়া হয়নি। এই পনের মিনিটেই যা হওয়ার হয়ে গেছে।
সাইকেল যথাস্থানে রেখে আমি বিছানায় শুয়ে পড়লাম লম্বালম্বি হয়ে। হাতের কনুই, পায়ের গোড়ালিতে জ্বালা অনুভব করছি। আমার মা কাছে এসে কিছু কথা জিজ্ঞাসা করতেই ইশারা দিয়ে তাঁকে থামিয়ে দিলাম এবং বুঝিয়ে দিলাম, আমাকে কিছুক্ষণ একা থাকতে দাও।
কনুই ও গোড়ালির ব্যথা স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয়া শুরু করেছে। শরীরের আরো বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা জানান দিচ্ছে একটু একটু করে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলাম। শোয়াবস্থা থেকে বসলাম। ছোট বোনকে বলে স্যাভলন আনালাম। একটু একটু করে ক্রিম লাগাতে শুরু করলাম ক্ষতস্থানে। কেটে যায়নি, তবে ছিলে গেছে শরীরের বিভিন্ন জায়গায়।
ধকল কাটতে শুরু করলে মাকে ডাকলাম। তাঁকে খুলে বললাম কী কী হল এই পনের মিনিটে। অন্যান্য মায়েদের মত আমার মাও এটি শুনে খুব ব্যথিত হলেন। বড় ভাইও শুনল, তবে তাঁর কোনো ভাবান্তর হলো বলে মনে হয়নি।
আমার সাইকেল চালানো বন্ধ হলো। আমি নিজেই জেদের কারণে বন্ধ করেছি। এমন নয় যে আমি সাইকেল চালানোর মত শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি। তবে আমার বাবা আমার সাইকেল চালানোর দক্ষতা নিয়ে যে ধারণা রাখতেন বলে আমি বিশ্বাস করতাম- সেটি আমি হারিয়েছি। বাবার উপর তো আর রাগ করা চলে না, তাই সাইকেলের উপর দিয়েই রাগ ঝেড়ে দিলাম।
২.
জানুয়ারি, ২০১৬। প্রায় তিন মাস হতে চলল আমার সেই ঘটনার। সাইকেল চালানো পুরোপুরি বন্ধ। জেদ কাটেনি। মামার বাড়িতে বিভিন্ন কাজে যাই। হেঁটেই যাই। তাছাড়া শীতকাল, শরীর গরম রাখতে এর চেয়ে ভালো কোনো উপায় আছে বলে মনে হয় না।
বড় ভাই রোজকার মত সকালবেলা কাজে যায় আর রাতের বেলায় ফিরে আসে। সে যে দোকানের কর্মচারী, সেটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রতিদিনই ট্রাক-বাসসহ অন্যান্য যানবাহন দোকানের সামনে দিয়ে আসা-যাওয়া করে।
বড় ভাই বাসায় ফিরে রাতের খাবার খাওয়ার পূর্বে এবং ঘুমিয়ে যাওয়ার পূর্বে প্রতিদিনই বর্ণনা করে সারাদিনে তাঁর কর্মস্থলে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার কী কী ঘটেছে।
একরাতে সে এমন একটি ঘটনা বর্ণনা করছিল। ঘটনা নয়, বরং দুর্ঘটনা বললে সঠিক হবে।
দুর্ঘটনাটি ছিল রিকশা-ট্রাক কলিশন। একটি যাত্রীবাহী রিকশা। তাতে যাত্রী হিসেবে ছিল এক মধ্যবয়স্ক লোক এবং তাঁর সাথে একটি বাচ্চা ছেলে। রিকশাটি অন্য একটি রোডে বাঁক নিচ্ছিল। একই সময়ে সেই রোড থেকে একটি ট্রাক এগিয়ে আসছিল। কিন্তু রিকশাটি ব্রেক কষলেও ট্রাকটি তা করেনি। রিকশার উপর দিয়ে সেটি চলে যায় কিছুদূর।
ঘটনা ঘটাকালীন রিকশাচালক রিকশা থেকে লাফ দেন। রিকশা-আরোহী লোকটি বাচ্চাটিকে তৎক্ষণাৎ রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলেন। তাই এ দুর্ঘটনার ক্ষতি থেকে রিকশা-চালক এবং সেই বাচ্চাটি রেহাই পেলেও লোকটি পাননি। তাঁর বাম অথবা ডান পায়ের উরুর উপর দিয়ে ট্রাকটি চলে যায়, এবং একটি বীভৎস দৃশ্যের অবতারণা করে।
আশেপাশের মানুষ ভীড় করে তখন ভয়ার্ত চোখে তাঁর বিধ্বস্ত দেহের দিকে তাকিয়ে ছিল। কেউ ভয়ে এগিয়ে আসছে না। শেষমেশ লোকজন সম্বিত ফিরে পেলে তাঁকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে।
আমার ভাই এ ঘটনা বর্ণনার পর রাতের খাবার খেতে চলে গেল। এদিকে আমি ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে গেলাম। আমার মনে হতে লাগল যে কিছুক্ষণ পূর্বে যে লোকটি অন্য দশজন সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের মত ছিলেন, তিনি এক পলকেই দেহের একটি অংশ হারালেন।
আমার কল্পনায় দু’টো দৃশ্যপট ভেসে ওঠলো। একটি কিছুক্ষণ আগে শোনা দুর্ঘটনাটির অদেখা দৃশ্যপট, অন্যটি অক্টোবর ’১৫-এর শেষদিকে ঘটে যাওয়া আমার সাইকেল দুর্ঘটনার দৃশ্যপট। দু’টোকে তুলনা করতে লাগলাম, আর বারবার শিউরে ওঠলাম।
৩.
সেদিনকার সাইকেল দুর্ঘটনাটি কেমন ছিল, তা জানতে সময়টাকে রিভার্স করলাম।
সকাল সাতটা বেজে পনের কি বিশ মিনিট। সাইকেল বের করলাম। গন্তব্য মামার বাড়ি। আমাদের বাড়ি থেকে প্রধান সড়ক অর্থাৎ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হেঁটে যেতে লাগে পাঁচ মিনিট। যেখানে সাইকেলে যেতে লাগে প্রায় দু’মিনিটের মত। লোকাল সড়ক থেকে মহাসড়ক একটু উঁচু। আমি সাধারণত মহাসড়কে উঠার আগে সাইকেল থামিয়ে একটু এদিক-সেদিক তাকিয়ে তারপর সাইকেল চালাতে শুরু করে দেই।
সেদিনও তাই হয়ত করতাম। তবে সড়কের ডানদিকে তাকানোর সময় দেখলাম একটি টেম্পু থেমে আছে। এর পেছনে কোনো গাড়ি নেই। আমি নিশ্চিন্ত মনেই তাই সাইকেল না থামিয়েই মহাসড়কে উঠিয়ে নিলাম।
যেই আমি সড়কে সাইকেল উঠালাম, অমনি ডানদিকে থাকা টেম্পুর পাশ থেকে এক বিদ্যুৎচালিত চলন্ত রিকশা আমাকে প্রচণ্ডভাবে ধাক্কা দিল। টেম্পুর কারণে সেই রিকশাটি আমার চোখ থেকে তখন আড়াল হয়ে ছিল।
সেই যে কেমন অনুভূতি, তা আমি এখনও চোখ বন্ধ করে মনে করতে পারি। ধাক্কা লাগার সময়ে আমার মনে হল এটি বাস্তব নয়, হয়ত বা স্বপ্ন। তখন আমার মনে হল আমি চোখে কিছুই দেখছি না। শুধু সংঘর্ষের শব্দটি শুনতে পেলাম। আর বুঝতে পারলাম যে, আমাকে অনেক দূরে ছিটকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যেখান থেকে রিকশার সাথে সংঘর্ষ হলো, তা থেকে প্রায় ২০-২৫ ফুট দূরে গিয়ে আমি উলটে পড়ে গেলাম। আধশোয়াবস্থায় রাস্তার মাঝে বসে রইলাম। দু-তিন সেকেন্ড সময় লাগল ঘোর অবস্থা কেটে যেতে।
সাথেসাথেই আমি উঠে দাঁড়ালাম। সাইকেলটি একপাশে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। সেটির দিকে ছুটে গিয়ে সেটিকে উঠয়ে রোড ডিভাইডারের পাশে এনে রাখলাম। এরপর চোখ পড়ল রোডের ওপর। এক ঝাঁক ইলিশ মাছ রাস্তার উপর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। ডিভাইডারের পাশে এক লোক চোখ বন্ধ করে বসে রয়েছেন এবং ঘন ঘন নিঃশ্বাস ফেলছেন। প্রথমবার মনে হল, ইনিই রিকশাচালক। পরে লোকজনের কথাবার্তায় বুঝলাম তিনি ছিলেন রিকশা-আরোহী।
মনে মনে নিজেকে প্রস্তত করছিলাম আশেপাশের মানুষজনের গালাগাল শোনার জন্যে। কিন্তু দুর্ঘটনার ধকলে আমিও বিধ্বস্ত। আমার চোখেমুখে তখন বিধ্বস্ততার ছাপ ছড়িয়ে পড়ছে। শরীরের ব্যথা তখনো অনুভব করা শুরু করিনি।
আমার সাইকেলের মুখ আসলেই থুবড়ে গেছে। সেটি স্বাভাবিকভাবে চালানো সম্ভব নয়। আমি দ্রুত চলে যেতে চাইছিলাম। লোকজন আমাকে কিছু বলল না, সম্ভবত আমার মুখের বিধ্বস্ত ভাব দেখে তাদের মায়াই লেগেছিল। তবে মুখে না বললেও ইশারা-ইঙ্গিতে তারা আমার দোষ বর্ণনা করছিল।
এক লোক আমাকে পরামর্শ দিল যেন মাজারে গিয়ে পাঁচ টাকা দান করে বিপদ দূর হওয়ার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আসি। মনে মনে তার পরামর্শকে নাকচ করে আমি সাইকেল নিয়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরে আসলাম। তখন ঘড়িতে সাড়ে সাতটা বাজছিল।
আমার শরীরের কয়েকটি জায়গায় ছিলে যাওয়া ছাড়া আর কোনো ক্ষতি হয়নি।
৪.
দুর্ঘটনাটির ইতিবাচক ব্যাপারগুলো আমার চোখে এতদিন ভালো করে পড়েনি। তবে সেই ট্রাক-রিকশা সংঘর্ষের ঘটনা শোনার পর তা অনেক স্পষ্টভাবে প্রতিভাত হলো।
আমি যে সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হই, সেটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। প্রতিদিন-প্রতিরাতে ঢাকা থেকে এবং ঢাকার পথে যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাক এবং লরি আসা-যাওয়া করে।
ট্রাক-রিকশার সংঘর্ষের সেই সড়কটিও গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেখানে ঢাকা-চট্টগ্রামের বাস-ট্রাকের আনাগোনা খুব বেশি নয়। একেবারেই যে নেই তা নয়, তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এর তুলনায় কম।
যদি আমার সাইকেল দুর্ঘটনার সময়ে সেখানে কোনো বাস বা ট্রাক চলত, তবে ঘটনাটা কী ঘটত! আমি ছিটকে পড়েছিলাম রাস্তার মাঝে, এবং তখন যদি কোনো ট্রাক আমার দিকে ধেয়ে আসত, আমি নির্ঘাত মারা পড়তাম। অথবা পায়ের উপর দিয়ে গেলে আমি পঙ্গু হয়ে যেতাম। কিন্তু আল্লাহ্র অশেষ মেহেরবাণী যে সেদিন সকালবেলায় রোডে কোনো বাস-ট্রাক বা অন্য যানবাহন চলাচল করছিল না।
তবে ট্রাক-রিকশার কলিশনের সে ঘটনায় লোকটি মারাত্মকভাবে আহত হন, যদিও সে সড়কটি তেমন ব্যস্ত সড়ক নয়।
এখানে ভাগ্যের বিষয়টি স্পষ্ট। আল্লাহ সে লোকটির ভাগ্যে সেই দুর্ঘটনাটি রেখেছিলেন। তবে আমার ভাগ্যে দুর্ঘটনা রাখলেও এর ক্ষতি রাখেননি।
আমার ভাগ্য এবার আল্লাহ সুপ্রসন্ন রেখেছিলেন, কিন্তু ভবিষ্যতে যে রাখবেন তা তো নয়। এই দুর্ঘটনা দ্বারা তিনি আমাকে সতর্ক করেছেন যেন আমি তাঁর দিকে ফিরে যাই।
ভাগ্যের কথা বলে আমি বলতে চাচ্ছি না যে রাস্তায় সাবধান হয়ে চলবেন না। অবশ্যই রাস্তায় সাবধান হয়ে চলতে হবে। তবে সাবধানতার উপর জীবন-মৃত্যু নির্ভর করে না। সে লোকটি যে রিকশায় ছিলেন, সেটি সাবধান হয়ে ব্রেক কষেছিল। কিন্তু তিনি সেই সাবধানতার ফল পাননি। ট্রাকচালকের অসাবধানতার ফল লোকটির উপর দিয়ে চলে গেল। লোকটির ভাগ্যই তাঁকে সে স্থানে এনেছিল।
হয়ত আমার ভাগ্যেও এমন কোনো দুর্ঘটনা অপেক্ষা করছে। সেটি হয়ত আজ হয়নি কিন্তু কাল, পরশু, এক মাস পর কিংবা এক বছর পর হতে পারে। সেই সময় আসার আগেই আমার উচিত নিজেকে সংশোধন করা। আমার এ জীবনটাই শেষ নয়, পরবর্তী জীবনেও আমাকে যেতে হবে।
অবশ্য দুর্ঘটনায় কারো মৃত্যু হলে কিংবা অঙ্গহানি হলে তা দিয়ে সৌভাগ্য-দুর্ভাগ্য যাচাই করাটা বোকামি। প্রকৃত সৌভাগ্যশীল ব্যক্তি তো তাঁরাই, যাঁদের নাম জান্নাতে দাখিলের তালিকায় ইতোমধ্যে লিখে ফেলা হয়েছে।
পার্থিব জীবনে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হোক বা না হোক, পরবর্তী জীবনের ভাগ্য যেন আমাদের সুপ্রসন্ন হয় সে কামনাই করি।
শেষ কথা :
আমি জানি না লোকটির অবস্থা এখন কেমন। তিনি বেঁচে আছেন কি নেই, তাও জানা নেই। মারা গিয়ে থাকলে আল্লাহ তাঁর গোনাহ ক্ষমা করুন (যদি মুসলিম হয়ে থাকেন) এবং তাঁকে জান্নাত নসিব করুন। আর বেঁচে থাকলে তাঁকে তাঁর অবস্থা মেনে নেয়ার মত ধৈর্য্যশক্তি দান করুন এবং তাঁকে এর উত্তর বিনিময় দিন।
আল্লাহ তা’আলা তাঁর মাধ্যমে তাঁর বান্দাদের সতর্ক করেছেন, তাই আল্লাহ তাঁকে এর বিনিময় অবশ্যই দিবেন।
আল্লাহ্র প্রতি নিজের যাবতীয় অবস্থানের জন্যে কৃতজ্ঞ হওয়াটাই আমাদের উচিত।
মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
তাদের দিকে তুমি তাকাও, যারা তোমার চেয়ে নিচু স্তরে আছে। তাদের দিকে তাকিও না, যারা উঁচু স্তরে আছে। এভাবেই আল্লাহ তোমাকে যে নি’আমতরাজি দ্বারা পরিবেষ্টন করে রেখেছেন, তাঁর কৃতজ্ঞতা তুমি প্রকাশ করতে সক্ষম হবে।
[সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম]
আল্লাহ আমাদের সতর্ক করুন এবং প্রত্যেক অবস্থায় তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার ক্ষমতা প্রদান করুন, আমীন।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪
তানসীরুল আলম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। ইনশাআল্লাহ সামনের দিকে আরো কিছু অভিজ্ঞতা ভাগ করতে পারি।
হ্যাঁ, আমি মাজারের ব্যাপারটি জানি। সেখানে অযথা টাকা দান করে আমি শিরকে লিপ্ত হতে চাই না। মানুষকে সাবধান করার চেষ্টা করি, নিজেও সাবধানে থাকি।
জাজাকাল্লাহ খা'ইর (আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন) যে আপনি আমার লেখাটি পড়েছেন। ব্যস্ততার কারণে এবং সাথে ব্যক্তিগত কিছু বিচ্ছিন্ন কারণে ইন্টারনেটে আসা হয়নি। আজ এসেই আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুব আনন্দিত হলাম বোন। :-)
আমি কিছু লেখালেখি করি। আমার ব্লগসাইট আছে (http://www.tansirul.wordpress.com)। সেখানে সময় হলে ঘুরে আসুন, দরজা খোলা থাকে সর্বদা।
আমি সামুতে নতুন, তাই জানি না কীভাবে লিখলে তা এই ব্লগের পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হবে। দু'আ প্রার্থনীয়, যেন ভালো লেখা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারি।
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইল আপনার জন্যে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১০
মানবী বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্, সেদিন বড় আঘাত থেকে মহান আল্লাহ্ আপনাকে রক্ষা করেছেন।
"এক লোক আমাকে পরামর্শ দিল যেন মাজারে গিয়ে পাঁচ টাকা দান করে বিপদ দূর হওয়ার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আসি। মনে মনে তার পরামর্শকে নাকচ করে আমি সাইকেল নিয়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরে আসলাম।"
- খুব ভালো করেছেন। মাজারে পয়সা দিয়ে বিপদ আল্লাহ্ রাব্বুলআলামীনকে অসন্তোষ্ট না করে চলে এসেছেন। সাদকা দিতে হলে গরীব দুঃখী, এতিমদের তা দেয়া যায়, মাজারের মতো অ্রচর্চাকে নয়।
শেষের হাদীসটা জানা সত্ত্বেও বারংবারই মনে করিয়ে দিতে হয় সকলকে, আমাদের উচ্চাশা এই সুন্দর শিক্ষাটা ভুলিয়ে রাখতে চায়।
সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ তানসীরুল আলম।