নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের সাথে সবসময়

"জীবন হয়তো বা আমাকে দুঃখ পাওয়ার ১০টি কারন দেখায় কিন্তু আমি জীবনকে উপভোগ করার ১০০টি কারন দেখাই"

তানভীর৪২৭

পুরো নাম: তানভীর হোসাইন জন্ম: ২৭ এপ্রিল , ১৯৯১। শখ : ফটোগ্রাফি। লেখাপড়া : এম.বি.বি.এস (4th year) । নিজের মধ্যে ভালো লেখার চেষ্টা সবসময় থাকে..... আমি সবসময় আশা করি আমার কোন ভুল হলে সবাই আমাকে অবগত করবে.... আমার কোন ভুল যদি কেউ বলে এতে আমি অনেক বেশী খুশী হই এবং তা সংশোধনের চেষ্টা করি.......

তানভীর৪২৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই ‘পুলিশের বাড়াবাড়ি’

১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

বিএনপির কার্যালয়ে হানা দিয়ে নেতাদের গণহারে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে ‘পুলিশের বাড়াবাড়ি’ বলে মনে করা হচ্ছে। সরকার ও পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা মনে করছেন, মাঠপর্যায়ের পুলিশ সতর্ক হলে এ ঘটনা এড়ানো যেত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একাধিক পদস্থ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই পুলিশ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে।

পুলিশের এই অভিযান নিয়ে গতকাল দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে উষ্মা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতাদের এভাবে আটক করা প্রত্যাশিত নয়। সোমবারের ঘটনায় পুলিশ আরও কৌশলী হতে পারত। তারা এই পর্যায়ে না গেলেই আমরা খুশি হতাম।’

তবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বিএনপির নেতাদের গ্রেপ্তার ও পুলিশের অভিযানকে ‘যৌক্তিক’ বলেছেন। তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক যে গোষ্ঠীই হোক না কেন, যদি তারা হরতালের নামে বোমা ফেলার স্পর্ধা দেখায়, তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যেকোনো জায়গায় প্রবেশ করে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারবে। পুলিশকে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন কি না, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, পুলিশ আইন অনুযায়ী কাজ করেছে।

গত সোমবার বিকেলে বিএনপির সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণের পর সন্ধ্যায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হানা দেয় পুলিশ। দরজা ভেঙে কেন্দ্রীয় নেতাসহ ১৫৬ জনকে আটক করা হয়। এঁদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা ও আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে ১৯ ঘণ্টা আটকে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তিন নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা পুলিশের সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়, ‘তদন্তে দেখা গেছে, তিন নেতা দলের উচ্ছৃঙ্খল কর্মীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছেন।’

পুলিশের হেফাজত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যখন নেতারা ছিলেন, তখন পুলিশ ন্যক্কারজনকভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সম্ভবত সবচেয়ে কলঙ্কময় অধ্যায়ের সূচনা করে। পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে হানাদার বাহিনীর মতো আক্রমণ করেছে। এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে।

জানতে চাইলে মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন, সেখানে কী ঘটেছে, তা দেশের মানুষ সরাসরি টেলিভিশনে দেখেছে। তারা বোমা ফাটিয়েছে, অগ্নিসংযোগ করেছে, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে, নৈরাজ্য চালিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতেই এ অভিযান হয়েছে। আইন মেনেই সবকিছু করা হয়েছে।

মতিঝিল বিভাগের পুলিশের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশের সময় যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয়, সে জন্য আগেই বিএনপির নেতাদের সঙ্গে পুলিশের কর্মকর্তারা আলোচনা করেন। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কার্যালয়ের সামনে সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকা পুলিশের ৬০ জন সদস্যকে সমাবেশের আগে সরিয়ে নেওয়া হয়। শুধু ফকিরাপুল মোড় ও নাইটেঙ্গেল মোড়ে পুলিশ রাখা হয়।

সমাবেশের শেষ দিকে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই ছিল। তার পরও পুলিশ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালাল কেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) এস এম মেহেদী হাসান বলেন, রাস্তা ফাঁকা থাকলেও বিএনপির কার্যালয়ের ওপর ও আশপাশের ভবন থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হচ্ছিল। এ কারণে অপরাধীদের ধরতে কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালানো হয়।

পুলিশের এক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপির কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে ভিক্টোরিয়া হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মেহেদী হাসান। এ সময় মোবাইলে ফোন আসে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “স্যার, ছোট-বড় সবাইকে ধরব?” এর পরপরই তিনি সেখানে থাকা সব পুলিশকে ভেতরে যেতে বলেন। ভেতরে অবস্থান নেওয়া নেতা-কর্মীদের আটক করতে বলেন। তবে পুলিশ প্রথমে আটক করা নিয়ে কিছুটা দোটানায় ছিল। এ জন্য প্রথমে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করে ছেড়ে দেওয়া হয়। দুই মিনিট পর আবার তাঁকে আটক করা হয়।’ ওই সময় কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁকে আটক করা হবে কি না, তার যথাযথ নির্দেশ না থাকায় ভ্যানে না তুলে ছেড়ে দেওয়া হয়। যথাযথ নির্দেশ পাওয়ার পর তাঁকে আবার আটক করা হয়। এর পরই শুরু হয় দরজা ভেঙে নেতাদের আটক করার কাজ। দরজা ভাঙার জন্য শক্ত কিছু পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে পল্টন থানা থেকে বড় হাতুড়ি আনা হয়।’

পুলিশের অভিযানের পর বিএনপি কার্যালয়: গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় তিনতলায় মহাসচিবের দুটি কক্ষের দরজা ও বাথরুমের কাচ ভাঙা। বিএনপির কার্যালয় থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, পুলিশ প্রতিটি কক্ষে তল্লাশি চালিয়েছে। এ সময় দুটি কম্পিউটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে একটি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক পুলিশ নিয়ে গেছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেছেন, কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের জন্য আলমারিতে থাকা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, চিঠি, প্রামাণ্যচিত্র পুলিশ নিয়ে গেছে। আলমারিতে রাখা টাকা-পয়সাও লুট হয়েছে। ফটোকপি মেশিন, ফ্যাক্স মেশিন, এয়ারকুলার, টেলিভিশন, ফ্রিজ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সবগুলো রিমোট নিয়ে গেছে। সূত্র: প্রথম আলো

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

রাতপাখি বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.