নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন নিয়ে বাঁচি

দেশের জন্য উজাড় করা ভালবাসা

তানভীর আরিফ

চিন্তা সবুজ, জীবন সবুজ

তানভীর আরিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

“চেতনার আবেগে জাতি আজ অচেতন”

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০০

আজকে এই জাতির এত সমস্যার কারণ একটি, আর তা হল আমরা মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত হাজারো বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিচ্ছি বেশী। আবার এই মিথ্যা বিষয়গুলোকে সত্য হিসাবে প্রতিষ্ঠার জন্য মতলববাজ, ধান্ধাবাজ, চাটুকার ও সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবি, ব্যবসায়ী, ছাত্র ও শিক্ষকদের বড় অংশ অতি নিখুঁতভাবে ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠের মতন সুরেলা ভঙ্গিতে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। কি জঘন্য অবস্থান আমাদের। হত্যা সবসময়ই নিন্দনীয়, কিন্তু আজ আর সেটি নিন্দার পর্যায়ে নেই। আজ লাশের সংখ্যা বেশী না কম তা নিয়ে কি মিথ্যাচার। কেও বেশী হলে খুশী আবার কেও কম হলে খুশী। নিন্দা জানাই তোমাদের আর প্রশ্ন করি সভ্য সমাজে একটিও লাশ পড়বে কেন? মানুষ অসহায়ের মত মরবে কেন?



এই জাতি কখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবেনা যতদিন মিথ্যা পরিত্যাগের মাধ্যমে সত্য বলার অভ্যাস হবে না। ছাত্র এসাইনমেন্ট কপি করে জমা দেই, শিক্ষক ৬ মাসের কোর্স ৬ দিনে শেষ করেন, রাজনীতিবিদ চেতনার দোহাই দিয়ে মিথ্যাচারে লিপ্ত, ব্যবসায়ীর যেনতেন উপায়ে মুনাফার প্রয়োজন, সুশীল সমাজের উপরে উঠার বুদ্ধিবৃত্তিক বাণিজ্য, সরকারি কর্মকর্তাদের লাগামহীন দুর্নীতি আর সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার লালসে মিথ্যাচার মেনে নেওয়ার প্রবণতা আজকের এই বাংলাদেশের জন্য দায়ী।



স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারী কর্মক্ষেত্র, পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন, ভিক্ষুক-শ্রেণী, শ্রমজীবী ইউনিয়ন, সুশীলসমাজের সর্বত্র বসেছে চেতনার হাঁট। এত বেশী প্রকারের চেতনা পাওয়া যায় এই হাঁটগুলোতে সাধারণ ক্রেতারা চেতনা কিনতে গিয়ে অচেতন হওয়ার উপক্রম। বিগত বছরে এই হাঁট রাস্থা-ঘাটেও বিস্তৃতি লাভ করেছে। এখন আর কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চেতনা কিনতে হয় না, এই চেতনা এত সস্থা হয়েছে যা রাস্থার মোড়ে, অলিতে-গলিতে পাওয়া যায়। নূতন এক পেশার জন্ম দিয়েছে এই হাঁটগুলো। যেখানে-সেখানে দশ বারোজন বসে পড়বে আর চেতনার আবেগে অচেতন হয়ে সমাজে বিভক্তির বীজ বপণে ব্যস্থ থাকবে। শুনা যায় অনেক জায়গায় খাবার-দাবার ও ভালো টাকা-পয়সা পাওয়া যায়। ফলে ডান চেতনা, বাম চেতনা, ডানের মধ্যে আবার পাকী-ডান, আরবী-ডান, মাজার-ডান; বামের মধ্যে পিকিং-বাম, রুশ-বাম, গণতান্ত্রিক-বাম, সমাজতান্ত্রিক-বামের ছড়াছড়ি। এই যেন কোন একটি কাপড়ের টুকরোকে ছিঁড়ে এমনভাবে বিভক্ত করা যাতে ফুঁ দিলেই উড়ে যায়। আজ আমাদেরকেও একটি ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী হাজারো চেতনায় বিভক্ত করে ছেঁড়া কাপড়ের টুকরোর ন্যায় ফুঁ দিয়ে বাতাসে মিশিয়ে দিতে চায়। হিংসা-প্রতিহিংসায় এই জাতি রূপান্তরিত হবে পাকিস্থান বা আফগানিস্থানে।



বিভিন্ন টিভির টক-শোতে প্রচারিত বক্তব্য ও ফেইসবুকের স্ট্যাটাস দেখলেই বলে দেওয়া যায় এই দেশের কত শতাংশ মানুষ পড়াশুনা করেও সভ্য হতে পারে নি, কত নিশ্চিন্তে কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা প্রচারে ব্যস্ত নিজ কায়েমি স্বার্থ রক্ষার জন্য। যুক্তি মানি তবে তালগাছটা আমার। যুক্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় উদাসীন জাতি খুব তাড়াতাড়ি হিংস্র হয়ে উঠে যার নজির ইতিমধ্যে জাতি প্রত্যক্ষ্য করেছে। কেউ ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার নিন্দা করছে কিন্তু মানব হত্যার নিন্দা নাই, আবার কেউ মানব হত্যার নিন্দা করছে কিন্তু ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার নিন্দা নাই। এই দুদলের বাইরেও এক দল আছে যারা এইসব হতে ফাইদা লুটছে সমানে।



এই মুহূর্তে একটাই সমাধান, চলুন সবাই হিংসা-বিদ্বেষের পরিবর্তে ঐক্যবধ্য হওয়ার প্রচেষ্টা চালায়, ঐক্যবধ্য জাতি গঠনে সচেষ্ট হয়। মিথ্যা অনেক লোক বারবার বললে তা যদি সত্য রুপে প্রকাশ পায়, তাহলে আমরা যারা সত্যিকার অর্থে ঐক্য চাই তারা বারংবার এই ইচ্ছা প্রকাশ ও প্রচার করলে হিংসুকও বাধ্য হবে হিংসা পরিত্যাগ করে ঐক্যের পথ বেচে নিতে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২০

সরলপাঠ বলেছেন: হতাশ হওয়ার কিছু নেই - সময় বেশি দূরে নয় যখন সব নতুন করে গড়ে উঠবে সত্য সুন্দরে। এই আশাবাদ এখানে পাবেনঃ Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.