![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবতা বিবেচনায় মায়ানমারের রোহিঙ্গা বাংলাদেশে জায়গা দেয়া হোক।
যদি মায়ানমারের অত্যাচারিত রোহিঙ্গাদের যদি আমরা জায়গা দেই, তবে ভারতের অত্যাচারিত জনগোষ্ঠীকেও আমাদের জায়গা দেয়া উচিত। '৭১-এ ভারত বাংলাদেশের মানুষকে জায়গা দিয়েছিল। তবে তখনকার পরিস্থিতি ছিল আমরা যুদ্ধাবস্থায় ছিলাম, যুদ্ধ শেষে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু রোহিঙ্গারা একবার বাংলাদেশে প্রবেশ করলে তারা আর নিজ দেশে ফিরবে না।
--
রোহিঙ্গারা মুসলিম, বাংলাদেশ ও মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ রাষ্ট্র। সেই খাতিরে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাংলাদেশে জায়গা দেয়া হোক।
সংবিধানে আমাদের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম (২ক) উল্লেখ থাকলেও আমরা ঘোষিত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করে (২ক) (যদিও আমরা দেখেছি যে বর্তমানে সংখ্যালঘু নামে একটি ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টি করা হয়েছে, এবং বিশেষ বিবেচনায় তাদেরকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে)। রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের ধর্ম বিবেচনায় নাগরিক আদানপ্রদানের চুক্তি নেই। এজন্য রোহিঙ্গাদের ধর্ম বিবেচনায় বাংলাদেশে প্রবেশাধিকার দেয়া সম্ভব না।
--
তাছাড়া বাংলাদেশ অতিরিক্ত জনগোষ্ঠী নেয়ার মত অবস্থাতেও নেই। রোহিঙ্গাদের শুধু বাংলাদেশে ঢুকতে দিলেই তো হবে না, তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ও করতে হবে।
যেখানে নিজ দেশের মানুষ বন্যায় ডুবে যাওয়ার পর আমরা পর্যাপ্ত সাহায্য করতে পারছি না, সেখানে অন্য দেশ থেকে আসা মানুষকে কিভাবে সাহায্য করবো?
এমনিতেই বেকারত্ব আমাদের দেশের একটি বিরাট সমস্যা। তার উপর আবার নতুন জনগোষ্ঠীকে কাজের সুযোগ করে দিবো কিভাবে?
আপনার আমার আবেগ দিয়ে তো রাষ্ট্র চলবে না!
--
নিজস্ব নিরাপত্তা (অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক সরবরাহ) অথবা পার্শ্ববর্তী দেশে বিশৃঙ্খলার অজুহাতে মায়ানমারে সামরিক অভিযান চালানো এখন বাংলাদেশের সময়ের দাবি।
সামরিক শক্তির বিবেচনায় মায়ানমার বাংলাদেশের চাইতে শক্তিশালী। GlobalFirePower.com নামের একটি রাঙ্কিং সংস্থার হিসেব মতে সামরিক শক্তির বিবেচনায় পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৭, যেখানে মায়ানমারের অবস্থান ৩১। সুতরাং মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে তাদের উপর আক্রমণ করা হলে তারা তা প্রতিরোধ তো করবেই, পাশাপাশি পাল্টা আক্রমণও করবে। আর পার্শ্ববর্তী দেশ বিধায় তাদের পাল্টা আক্রমণ অবশ্যই আমাদের অনেক ক্ষতি করবে।
--
বাকি থাকে কূটনৈতিক উপায়ে সমস্যা সমাধান করা।
স্বাধীনতা লাভের ৪৬ বছর পরের আজ পর্যন্ত আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারি নি। যেহেতু আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি স্থিতিশীল নয়, সেহেতু আমরা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এখনও একটি শক্তিশালী অবস্থা তৈরি করতে পারি নি। এ জন্য ভারত আমাদের একের পর এক অত্যাচার করলেও (সীমান্ত হত্যা, পানি প্রত্যাহার, বাধ খুলে বন্যা তৈরি করা) আমরা এক রকম চুপ থেকেছি।
ভারত আমাদের এতো বড় ক্ষতি করার পরেও যেখানে আমরা প্রতিবাদ করতে পারছি না, সেখানে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ (বাংলাদেশের উপরও সেই প্রভাব পরছে) বিষয়ে আমাদের নাক গলানো আদৌ কি সম্ভব?
তার উপর দেড় বছরের মাথায় আমাদের জাতীয় নির্বাচন। সব রাজনৈতিক নেতারা এখন সেই দিকেই বেশি ব্যস্ত। অন্য দিকে চলছে নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের দ্বন্দ্ব। এতো অভ্যন্তরীণ ইস্যুর ভীরে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কি সময় হবে মিয়ানমারের মানবতা লঙ্ঘনের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া, ব্যবস্থা নেওয়া? হয়তো না।
--
রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানের পথ হয়তো একটাই। সেটা হচ্ছে জোট বদ্ধ হয়ে মায়ানমার সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করা। OIC, সার্ক, জাতিসংঘ সহ সব রাষ্ট্রীয় সংগঠন গুলোর অতিদ্রুত মিয়ানমারে এই সমস্যা সমাধানে চাপ দিতে হবে। আর পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উচিত এসব সংগঠন গুলোতে মিয়ানমারের মানবিক বিপর্যয়কে তুলে ধরা ও তাদেরকে একত্রিত করে নেতৃত্ব দেয়া। একা বাংলাদেশের পক্ষে হয়তো তেমন কিছুই করা সম্ভব না।
তানভির ইসরাক
২৯ আগস্ট, ২০১৭
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের নিজেদের সরকারের অবস্হা শোচনীয়; ফলে, রহিংগাদের জন্য কিছু করা প্রায় অসম্ভব।
সামনে বড় সমস্যা, রোহিংগারা অস্ত্র হাতে নিচ্ছে।
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫১
শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: এই চরম ও নির্মম অত্যাচারিরা অবশ্যই তার প্রতিদান পাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।
৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০৫
রওশন_মনি বলেছেন: যেকোনো উপায়ে হোক মায়ানমারের নিষ্ঠুরতা,বর্বরতা বন্ধ করতে হবে।
৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০৮
আবু তালেব শেখ বলেছেন: সামরিক ব্যবস্হা ছাড়া কথায় কাজ হবে না মনে হচ্ছে। পরাশক্তি রাষ্ট্র যদি ইচ্ছা করে তাহলে হবে। বাংলাদেশি শক্তি দিয়ে কাজ হবে না।
৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:১২
রওশন_মনি বলেছেন: এদের আগে রক্ষা করতে হবে, বাঁচাতে হবে বাকি চিন্তা পরে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রথমে আমজনতার উচিত প্রতিবাদ জানানো।
লাখ দশেক লোক নিয়ে ঢাকাস্থ বার্মা দূতাবাস ঘেরাও করে সুচিকে প্রতিবাদ লিপি দিন। তারপর আরো কর্মসূচী দিতে পারেন।