![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" স্লোগানের অর্থ ও বাস্তবায়নের উপায়
সুপ্রাচীন কাল থেকে মানুষ বিভিন্ন ধরণের উৎসব পালন করে আসছে। উৎসব মানুষের যৌথ আনন্দ প্রকাশের একটি অন্যতম প্রধান মাধ্যম। একাকী উৎসব উদযাপন সম্ভব নয়। উৎসবে বহুজনের বা গণ-অংশগ্রহণের প্রয়োজন হয়। বহুজন যখন একত্রে সম্মিলিত হয়ে তাদের নিত্যকার জীবনের চেয়ে ভিন্ন এবং আনন্দময় কোন ক্রিয়া-কর্মে অংশগ্রহণ করে, তখন সেটিই তাদের উৎসব। উৎসব শুধু আনন্দ প্রদান করে না, এটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে আস্থা, ভালোবাসা, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও বন্ধন দৃঢ় করে। এগুলো হলো 'সামাজিক পুঁজি'-র উপাদান। অর্থ্যাৎ, উৎসব আনন্দ প্রদান ও সামাজিক জীবনে একঘেয়েমি দূর করার পাশাপাশি সামাজিক পুঁজি বৃদ্ধি করে। সামাজিক পুঁজির অন্যতম ব্যাখ্যাদাতা রবার্ট পাটনাম বলেন, সামাজিক পুঁজি অর্থ্যাৎ মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক, পারস্পরিক আস্থা, ভালোবাসা, বিশ্বাস, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য দিনে দিনে হ্রাস পাচ্ছে। নিরাপদ ও আনন্দঘন পরিবেশে উৎসব উদযাপন হতে পারে সামাজিক পুঁজি সংরক্ষণের একটি ভালো মাধ্যম।
যেকোনো দেশের জাতীয় সংহতি ও ঐক্যের জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন ধরণের সর্বজনীন উৎসবের। বিশেষ করে একটি সেক্যুলার রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে সর্বজনীন উৎসব প্রণয়নের বিকল্প নেই। 'সর্বজনীন উৎসব' হচ্ছে সেই সমস্ত আচার-আচরণ ও রীতিনীতি সম্বলিত উৎসব যা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই ধারণ করতে পারে। দুঃখজনক হলেও সত্য, বাঙালী জাতির সর্বজনীন উৎসব খুব কম রয়েছে যার উদযাপনেরর মধ্যে দিয়ে ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সকলে একত্রে সম্মিলিত হয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারে। বাঙালীর উদযাপিত অধিকাংশ উৎসবসমূহই বিভিন্ন ধর্ম থেকে এসেছে এবং ধর্মীয় উপাদানে পরিপূর্ণ। এমনকি বাঙালীর একমাত্র সর্বজনীন ও সেক্যুলার উৎসব পহেলা বৈশাখও ধর্মীয় আবরণে আবৃত হতে শুরু হয়েছে। এমতাবস্থায়, বাঙালী জাতির এক্য ও সংহতির জন্য প্রয়োজন ধর্মীয় উৎসবসমূহকে যথাসম্ভব সর্বজনীনকরণ এবং সেক্যুলার উৎসবসমূহ থেকে ধর্মীয় উপাদান দূরীকরণ। ধর্মীয় উৎসবসমূহকে যথাসম্ভব সর্বজনীন করার মাধ্যমে 'ধর্ম যার যার, উৎসব সবার' নীতির বাস্তবায়ন সম্ভব। এরজন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যথাযথ সামাজিক প্রকৌশল (social Engineering) গ্রহণ।
যে উৎসবে গরু হত্যা করা হয় সেটি হিন্দু ধর্মালম্বীদের কাছে কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না, আবার যে উৎসবে মূর্তিপূজা করা হয় সেটিও ইসলাম ধর্মালম্বীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাসত্ত্বেও, সামাজিক প্রকৌশল গ্রহণের মাধ্যমে এ সমস্ত ধর্মীয় উৎসবকে সর্বজনীন রূপ দেওয়া অসম্ভব নয়।
পৃথিবীব্যাপী উৎসবসমূহের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এর রয়েছে অন্তত চারটি সাধারণ উপাদান: সজ্জা, সম্মিলন, সম্পাদন ও বিনোদন। এই উপাদানসমূহের যোগফলে সৃষ্টি হয় কোন একটি জনগোষ্ঠীর যৌথ আনন্দ।
(১) সজ্জা হচ্ছে বাহ্যিক উপকরণ সহযোগে নিত্যকার জীবনের রূপের পরিবর্তন ও পরিবর্ধন; (২) সম্মিলন হচ্ছে উৎসবের কার্যসম্পাদনের উদ্দেশ্যে সর্বসাধারণের প্রবেশযোগ্য কোন নির্দিষ্ট স্থানে বহুজনের বা গণ-অংশগ্রহণ; (৩) সম্পাদন হলো উৎসবের মৌলিক কার্যাদি সংঘটন করা; (৪) বিনোদন হলো উৎসবকেন্দ্রীক ভোজ, ক্রীড়া, শুভেচ্ছা (আলিঙ্গন, উপহার প্রদান) বিনিময় ইত্যাদী আনন্দদায়ক কাজে অংশগ্রহণ করা।
ধর্মীয়, জাতিগত সকল ধরনের উৎসবেই উপরোক্ত উপাদানগুলো বিদ্যমান। তাই, কোন উৎসবকে সর্বজনীন করতে হলে প্রয়োজন এই সমস্ত উপাদানকে সর্বজনের দ্বারা গ্রহণযোগ্য করে তোলা। 'সম্পাদন' ছাড়া অন্য সকল উপাদান খুব সহজে সর্বজন গ্রাহ্য করা সম্ভব।
ঈদ, পূজা কিংবা পহেলা বৈশাখের সজ্জা হবে এমন যেন তা সকলে ধারণ করতে পারে। ঈদ উৎসবে টুপি, পূজায় চন্দনের টিপ, পহেলা বৈশাখে প্যাচার মূর্তি যেন উৎসবের সজ্জা হিসেবে অপরিহার্য না হয়ে ওঠে সেদিক নিশ্চিত করতে হবে। ধর্মীয় চিহ্ন বা ধর্মীয় উপাদান বহন করা ছাড়াও যেন একজন ব্যক্তি নিজেকে সেই উৎসবের অংশগ্রহণকারী ভাবতে পারেন। যেমন ঈদ উদযাপনের কোন নির্দিষ্ট পোশাক নেই। যদি ঈদ উৎযাপনে ধর্মীয় চিহ্ন বহনকারী পোশাকের পরিবর্তে অন্যান্য পোশাকের প্রচলন করা হয় তাহলে ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই নিজেকে এই উৎসবের একজন সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ভাবতে পারবেন।
'সম্মিলন' হতে হবে এমন স্থানে যেখানে সবাই প্রবেশ করতে পারে। ঈদের নামাজে বা পূজার আরতিতে অর্থ্যাৎ 'সম্পাদন'-এ ভিন্নধর্মালম্বীরা যেন অংশগ্রহণ ব্যতিরেকেই সম্মিলনে অংশগ্রহণ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। পূজা মণ্ডপ বা ঈদগাহের পাশে অনুষ্ঠিত মেলা হতে পারে সম্মিলনের সর্বজনীন স্থান।
বিনোদনের জন্য শুভেচ্ছা বিনিময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুভেচ্ছা বিনিময়ের কথামালা হতে হবে সর্বজন গ্রহণযোগ্য। 'অগ্নিস্নানে সূচী হোক ধরা' বা 'তুমি, মঙ্গল করো, নির্মল করে' এধরণের ধর্মীয় আবহযুক্ত শুভেচ্ছা বার্তা ত্যাগ করতে হবে যাতে কোন গোষ্ঠী তা ধারণে নিজেদের অপরাগ না মনে করে। এছাড়াও শুভেচ্ছা বিনিময়ের ক্ষেত্রে আলিঙ্গণ ও উপহার বিনিময় সংঘঠিত হতে পারে। ভোজে আমন্ত্রণ এবং ভোজে অংশগ্রহণ ব্যক্তিকে উৎসবে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী বলে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে।
বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে পারস্পরিক সম্মতিতে বা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর দায়বোধ থেকে উৎসবের রূপের সর্বজনীনকরণ শুরু হতে পারে। সেক্যুলার জাতি বিনির্মাণ, জাতীয় ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা এবং রক্ষায় সর্বজনীন উৎসবের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের উচিৎ সঙ্কীর্ণতা ত্যাগ করে নিজেদের উৎসবসমূহে অন্যদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা। এভাবে, পারস্পরিক মেলামেশা সামাজিক ও জাতীয় বন্ধন এবং নিজেদের মধ্যে সংহতি সুদৃঢ় হবে।
ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" স্লোগানের অর্থ ও বাস্তবায়নের উপায়
সুপ্রাচীন কাল থেকে মানুষ বিভিন্ন ধরণের উৎসব পালন করে আসছে। উৎসব মানুষের যৌথ আনন্দ প্রকাশের একটি অন্যতম প্রধান মাধ্যম। একাকী উৎসব উদযাপন সম্ভব নয়। উৎসবে বহুজনের বা গণ-অংশগ্রহণের প্রয়োজন হয়। বহুজন যখন একত্রে সম্মিলিত হয়ে তাদের নিত্যকার জীবনের চেয়ে ভিন্ন এবং আনন্দময় কোন ক্রিয়া-কর্মে অংশগ্রহণ করে, তখন সেটিই তাদের উৎসব। উৎসব শুধু আনন্দ প্রদান করে না, এটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে আস্থা, ভালোবাসা, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও বন্ধন দৃঢ় করে। এগুলো হলো 'সামাজিক পুঁজি'-র উপাদান। অর্থ্যাৎ, উৎসব আনন্দ প্রদান ও সামাজিক জীবনে একঘেয়েমি দূর করার পাশাপাশি সামাজিক পুঁজি বৃদ্ধি করে। সামাজিক পুঁজির অন্যতম ব্যাখ্যাদাতা রবার্ট পাটনাম বলেন, সামাজিক পুঁজি অর্থ্যাৎ মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক, পারস্পরিক আস্থা, ভালোবাসা, বিশ্বাস, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য দিনে দিনে হ্রাস পাচ্ছে। নিরাপদ ও আনন্দঘন পরিবেশে উৎসব উদযাপন হতে পারে সামাজিক পুঁজি সংরক্ষণের একটি ভালো মাধ্যম।
যেকোনো দেশের জাতীয় সংহতি ও ঐক্যের জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন ধরণের সর্বজনীন উৎসবের। বিশেষ করে একটি সেক্যুলার রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে সর্বজনীন উৎসব প্রণয়নের বিকল্প নেই। 'সর্বজনীন উৎসব' হচ্ছে সেই সমস্ত আচার-আচরণ ও রীতিনীতি সম্বলিত উৎসব যা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই ধারণ করতে পারে। দুঃখজনক হলেও সত্য, বাঙালী জাতির সর্বজনীন উৎসব খুব কম রয়েছে যার উদযাপনেরর মধ্যে দিয়ে ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সকলে একত্রে সম্মিলিত হয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারে। বাঙালীর উদযাপিত অধিকাংশ উৎসবসমূহই বিভিন্ন ধর্ম থেকে এসেছে এবং ধর্মীয় উপাদানে পরিপূর্ণ। এমনকি বাঙালীর একমাত্র সর্বজনীন ও সেক্যুলার উৎসব পহেলা বৈশাখও ধর্মীয় আবরণে আবৃত হতে শুরু হয়েছে। এমতাবস্থায়, বাঙালী জাতির এক্য ও সংহতির জন্য প্রয়োজন ধর্মীয় উৎসবসমূহকে যথাসম্ভব সর্বজনীনকরণ এবং সেক্যুলার উৎসবসমূহ থেকে ধর্মীয় উপাদান দূরীকরণ। ধর্মীয় উৎসবসমূহকে যথাসম্ভব সর্বজনীন করার মাধ্যমে 'ধর্ম যার যার, উৎসব সবার' নীতির বাস্তবায়ন সম্ভব। এরজন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যথাযথ সামাজিক প্রকৌশল (social Engineering) গ্রহণ।
যে উৎসবে গরু হত্যা করা হয় সেটি হিন্দু ধর্মালম্বীদের কাছে কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না, আবার যে উৎসবে মূর্তিপূজা করা হয় সেটিও ইসলাম ধর্মালম্বীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাসত্ত্বেও, সামাজিক প্রকৌশল গ্রহণের মাধ্যমে এ সমস্ত ধর্মীয় উৎসবকে সর্বজনীন রূপ দেওয়া অসম্ভব নয়।
পৃথিবীব্যাপী উৎসবসমূহের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এর রয়েছে অন্তত চারটি সাধারণ উপাদান: সজ্জা, সম্মিলন, সম্পাদন ও বিনোদন। এই উপাদানসমূহের যোগফলে সৃষ্টি হয় কোন একটি জনগোষ্ঠীর যৌথ আনন্দ।
(১) সজ্জা হচ্ছে বাহ্যিক উপকরণ সহযোগে নিত্যকার জীবনের রূপের পরিবর্তন ও পরিবর্ধন; (২) সম্মিলন হচ্ছে উৎসবের কার্যসম্পাদনের উদ্দেশ্যে সর্বসাধারণের প্রবেশযোগ্য কোন নির্দিষ্ট স্থানে বহুজনের বা গণ-অংশগ্রহণ; (৩) সম্পাদন হলো উৎসবের মৌলিক কার্যাদি সংঘটন করা; (৪) বিনোদন হলো উৎসবকেন্দ্রীক ভোজ, ক্রীড়া, শুভেচ্ছা (আলিঙ্গন, উপহার প্রদান) বিনিময় ইত্যাদী আনন্দদায়ক কাজে অংশগ্রহণ করা।
ধর্মীয়, জাতিগত সকল ধরনের উৎসবেই উপরোক্ত উপাদানগুলো বিদ্যমান। তাই, কোন উৎসবকে সর্বজনীন করতে হলে প্রয়োজন এই সমস্ত উপাদানকে সর্বজনের দ্বারা গ্রহণযোগ্য করে তোলা। 'সম্পাদন' ছাড়া অন্য সকল উপাদান খুব সহজে সর্বজন গ্রাহ্য করা সম্ভব।
ঈদ, পূজা কিংবা পহেলা বৈশাখের সজ্জা হবে এমন যেন তা সকলে ধারণ করতে পারে। ঈদ উৎসবে টুপি, পূজায় চন্দনের টিপ, পহেলা বৈশাখে প্যাচার মূর্তি যেন উৎসবের সজ্জা হিসেবে অপরিহার্য না হয়ে ওঠে সেদিক নিশ্চিত করতে হবে। ধর্মীয় চিহ্ন বা ধর্মীয় উপাদান বহন করা ছাড়াও যেন একজন ব্যক্তি নিজেকে সেই উৎসবের অংশগ্রহণকারী ভাবতে পারেন। যেমন ঈদ উদযাপনের কোন নির্দিষ্ট পোশাক নেই। যদি ঈদ উৎযাপনে ধর্মীয় চিহ্ন বহনকারী পোশাকের পরিবর্তে অন্যান্য পোশাকের প্রচলন করা হয় তাহলে ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই নিজেকে এই উৎসবের একজন সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ভাবতে পারবেন।
'সম্মিলন' হতে হবে এমন স্থানে যেখানে সবাই প্রবেশ করতে পারে। ঈদের নামাজে বা পূজার আরতিতে অর্থ্যাৎ 'সম্পাদন'-এ ভিন্নধর্মালম্বীরা যেন অংশগ্রহণ ব্যতিরেকেই সম্মিলনে অংশগ্রহণ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। পূজা মণ্ডপ বা ঈদগাহের পাশে অনুষ্ঠিত মেলা হতে পারে সম্মিলনের সর্বজনীন স্থান।
বিনোদনের জন্য শুভেচ্ছা বিনিময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুভেচ্ছা বিনিময়ের কথামালা হতে হবে সর্বজন গ্রহণযোগ্য। 'অগ্নিস্নানে সূচী হোক ধরা' বা 'তুমি, মঙ্গল করো, নির্মল করে' এধরণের ধর্মীয় আবহযুক্ত শুভেচ্ছা বার্তা ত্যাগ করতে হবে যাতে কোন গোষ্ঠী তা ধারণে নিজেদের অপরাগ না মনে করে। এছাড়াও শুভেচ্ছা বিনিময়ের ক্ষেত্রে আলিঙ্গণ ও উপহার বিনিময় সংঘঠিত হতে পারে। ভোজে আমন্ত্রণ এবং ভোজে অংশগ্রহণ ব্যক্তিকে উৎসবে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী বলে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে।
বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে পারস্পরিক সম্মতিতে বা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর দায়বোধ থেকে উৎসবের রূপের সর্বজনীনকরণ শুরু হতে পারে। সেক্যুলার জাতি বিনির্মাণ, জাতীয় ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা এবং রক্ষায় সর্বজনীন উৎসবের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের উচিৎ সঙ্কীর্ণতা ত্যাগ করে নিজেদের উৎসবসমূহে অন্যদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা। এভাবে, পারস্পরিক মেলামেশা সামাজিক ও জাতীয় বন্ধন এবং নিজেদের মধ্যে সংহতি সুদৃঢ় হবে।
©somewhere in net ltd.