নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“নিতান্ত শায়িত আমি / কোথা আছি / কেউ তা জানে না শুধু / মাছেদের / রাষ্ট্রযন্ত্র তটস্থ / সমাজ / তারা জানে আমার / স্ট্যাটাস” -(ব্রাত্য রাইসু)

তাওহিদ হিমু

.

তাওহিদ হিমু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধানমণ্ডি ৩২

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৫৪


লোকে ধানমণ্ডি-৩২ ভেঙ্গেছে, ইট'স ওকে। তবে এটি ৫ থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে হলে ভাল হত। তখন দেশে কোনো রাজা ছিল না। এখন হওয়ায় এর যদি ক্ষতিকর কোনো দিক থাকে, তা হলো নৈরাজ্য তথা রাজার নিয়ন্ত্রণের অভাব, রাজার দুর্বলতা প্রকাশ। নৈরাজ্য বহুবিধ সমস্যার জন্ম দেয়। জনগণ শান্তি চায়, গা-জোয়ারি কেউ চায় না। যদিও এদেশে রাজনীতি মানেই গা-জোয়ারি এবং কারো সীমিত মাত্রায় পেশিশক্তি না থাকলে জনগণ তাকে গুণায় ধরে না।

এই ঘটনার মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধীরা বিজয়ের ছয় মাস পরেও তাদের শক্তির জানান দিল। এই শক্তিপ্রদর্শন দরকার ছিল নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য এবং আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা থামানোর জন্য। পেশিশক্তিহীন রাজনৈতিক দল সাধারণত এদেশে জনসমর্থন পায় না, পায় শুধু বিদ্রুপ। অবশ্য এই ভাঙ্গার যজ্ঞে বিএনপি-জামাতসহ বিভিন্ন দল-মতের লোক ও কতিপয় দল-হীন জনতা শামিল হয়েছে।

এঁরা মব তথা উচ্ছৃঙ্খল জনতা না। এঁরা সংগঠিত বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীসমূহ। আওয়ামী ফ্যাসিবাদে ত্যক্ত, বিরক্ত, নিপীড়িত এই গোষ্ঠীগুলো ফ্যাসিবাদকে দমন করতে গিয়ে নিজেরাই ফ্যাসিস্ট হয়ে যাচ্ছে কিনা সেটাও দেখার বিষয়। চূড়ান্ত দমন-নিপীড়ন-হত্যা-গুম চালিয়ে যেমন জামাত-বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা যায় নি, বরং তারা অধিকতর জনসমর্থন পেয়ে ফিরে এসেছে, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের ক্ষেত্রেও তা ঘটবে না, তা কে জানে! সেটা হলে জুলাই-অভ্যুত্থান হবে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত।

অভ্যুত্থান সার্থক করতে হলে তিনটা কাজ জরুরি:
১) সিস্টেমেটিক্যালি সকল অপরাধীর দ্রুত বিচার করে শাস্তি বিধান করতে হবে। এক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদের যে লাখ লাখ কর্মী-সমর্থক, তাদের গণহারে পাকড়াও করার চাইতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর শীর্ষস্থানীয়দের, ধরেন টপ ১০০০ জনকে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া অধিক কার্যকর বলে আমার ধারণা।
২) রাষ্ট্র সংস্কার দ্রুত শেষ করতে হবে। একদিকে মধ্যযুগের ঔপনিবেশিক বিধি ও ব্যবস্থায় রাষ্ট্রটা ভঙ্গুর হয়ে আছে, অন্যদিকে প্রশাসন ও পুলিশের রন্দ্রে রন্দ্রে ফ্যাসিবাদের দোসররা ঘাপটি মেরে আছে। ছাত্রজনতার অভূতপূর্ব অভ্যুথানে যে বৈষম্যহীন কল্যাণমুখী রাষ্ট্রকল্পের চেতনা কাজ করেছে, তার রূপায়নের জন্য অপরিহার্য সংস্কারগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদের আগমনের পথ যথাসম্ভব রুদ্ধ করে দিতে হবে।
৩) সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করে নির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সসম্মানে বিদায় নিতে হবে। ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ছাত্র, জনতা ও ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বুকের রক্ত ও অকুণ্ঠ সমর্থনের মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতা অধিকার করার যে ম্যান্ডেট দিয়েছে ৫ আগস্টের পরপর, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে তারা সেই ম্যান্ডেট হারাবে। তখন সমস্যা আরো গভীর হবে। আমাদের শখের ইউনুস সরকার জাতির ক্রান্তিকালে যে গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন, তা সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করে সকলের ভালবাসা, কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা নিয়ে অবিসংবাদিত থেকে বিদায় নিন, এই কামনা রইল।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০৮

কামাল১৮ বলেছেন: চরম ফ্যাসিবাদী কান্ড।এতে ক্ষতি ছারা কারো লাভ হবে না।বিশ্বে নিন্দিত হবে সরকার।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪১

তাওহিদ হিমু বলেছেন: নৈরাজ্য ছাড়া আর কোন ক্ষতি দেখছি না

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১৭

এ পথের পথিক বলেছেন: যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ ভাল কাজ হয়েছে । হাজার হাজার মানুষের চেয়ে ইট বালু কখনই দামী নয় । তবে এখানে সুশীলরা চুশীলগিরি করে মায়া কান্না করছে ।
আপনার উল্লেখিত ১,২ নাম্বারের সাথে আমি একমত । কিন্তু ৩ নাম্বারের সাথে একমত নই ।
ধন্যবাদ ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৩

তাওহিদ হিমু বলেছেন: এই বছরের শেষ নাগাদ ইলেকশন না হলে তিন নাম্বারের বিষয়ে আপনার মত পাল্টে যেতে পারে। আমিও মনেপ্রাণে চাই ইউনুস সরকার সফল হোক

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৬

ধুলো মেঘ বলেছেন: একটা ছোট্ট আশঙ্কার কথা ভাবছি। যদি সেনাবাহিনীতে ক্যু হয় এবং সেনাপ্রধান ভারতের চাপে দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়, তখন কি বিদ্রোহী জনতার সাহস হবে সেনাবাহিনীর ভারী অস্ত্র ও কামানের সামনে বুক পেতে দাড়ানোর?

সেনাবাহিনীর এই বিদ্রোহী অংশ হবে আওয়ামী সমর্থিত। তাদের মধ্যে যে ক্ষোভ উস্কে দেয়া হয়েছে, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটলে পালিয়ে থাকা আওয়ামী নেতাকর্মীরাও চাপাতি হাতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়বে। তারপর যে লড়াই হবে, সেটাতে এই সুযোগসন্ধানী জনতার টিকে থাকার সম্ভাবনা হবে কতটুকু?

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৫

তাওহিদ হিমু বলেছেন: আজগুবি কল্পনা। আরো কল্পনা করেন এভাবে যে, ভারত বাংলাদেশে হামলা করে হাসিনাকে ইন্সটল করে দিয়ে যাবে

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এখন ভেঙে যে বিপদে পড়েছে আগে ভাঙলেও একই বিপদে পড়তো। সঠিক সময় ছিলো একটি নির্বাচনের পর এমন কাজ করা। কিন্তু বাঙালি হিসাবে আমরা সব কিছুই দ্রুত করতে চাই। তাই বারবার বিপদে পড়ি।

A এবং B মাছের তেলে মাছ ভেজেছে। :P

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৬

তাওহিদ হিমু বলেছেন: হা হা হা

৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩৯

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: @ ধুলো মেঘ ,এ ধরনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারন আমেরিকা সেনা শাষন সমর্থন করে না।

৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ ধুলোমেঘ - সেনাবাহিনীর উঁচু এবং মধ্যম পর্যায়ের কিছু অফিসার ছাড়া আওয়ামীপন্থী লোকজনের হার সেনাবাহিনীতে খুব বেশী না। নীচের দিকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির পেশাদার অফিসার বেশী। জুনিয়র এবং মধ্য পর্যায়ের পেশাদার অফিসারেরা আওয়ামীলীগের বাড়াবাড়ি পছন্দ করে নাই বলেই জেনারেল ওয়াকার এবং অন্যান্য জেনারেলরা বাধ্য হয়েছিল শেখ হাসিনার পক্ষ ত্যাগ করতে। ৩ আগস্ট অফিসারদের সাথে মিটিংয়ের দ্বারা সেনাপ্রধান প্রয়োজন বোধ করেন সেনা অফিসারদের মনোভাব বোঝার। উনি বুঝতে পারেন যে অধিকাংশ সেনা আওয়ামীলীগের হত্যা এবং নির্যাতনের পক্ষে না।

এই মুহূর্তে আওয়ামীলীগের পক্ষে ক্যু হওয়ার কোন সম্ভবনা দেখি না। অতীত কাল (পাকিস্তান আমল) থেকেই আওয়ামীলীগের সাথে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক শীতল। শেখ হাসিনা কয়েক শ সিনিয়ার অফিসারকে কিনতে পারলেও সেনাবাহিনীর সিংহভাগ আওয়ামীলীগের পক্ষে না বরং তারা পেশাদারী মনোভাবের অধিকারী। শেখ হাসিনার অস্ত্র ছিল সেনা গোয়েন্দা, বেসামরিক গোয়েন্দা, পুলিশ, রাব, বিজিবি, বেসামরিক প্রশাসন, ছাত্রলীগ আর যুবলীগ। আর্মির বড় অংশ তার পক্ষে থাকলে হাসিনার পতন হতো না। যদিও বেশী পারফর্মেন্স দেখাতে গিয়ে কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিল। কিন্তু তাদের সংখ্যা কম। শেখ হাসিনা জুলাই আন্দোলনে আর্মি নামিয়ে এবং কারফিউ দিয়ে বড় ভুল করেছিল।

৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৩৯

OndhokarBD বলেছেন: বাংলাদেশ একটা দীর্ঘমেয়াদি অস্থিতিশীল অবস্থার দিকে যাচ্ছে। কিন্তু এর জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্য দিবে তথাকথিত ইসলাম পন্থিরা। যারা বর্তমানে পাঠার বলি হচ্ছে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০৭

তাওহিদ হিমু বলেছেন: ফ্যাসিবাদী ও ভোটাধিকারহীন স্থিতিশীল অবস্থার চাইতে মুক্ত দেশের অস্থিতিশীল অবস্থাও বেটার। স্বৈরাচারের বিকট আঁধার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশ ভালর পথেই আছে।

৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:১২

আহরণ বলেছেন: টোকাইদের ভাঙ্গারী ব্যবসা এখন তুঙ্গে................ @ ভাইয়া?

৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার লিখা প্রথম লাইনের সাথে আমিও একমত তবে আমি বরাবরই সম্পদ নষ্টের পক্ষে নই। বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে কোন সমাধান আসবে না। ক'দিন পরপর দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তা বন্ধ করে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ানোরও কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখি না। জাতি হিসেবে আমাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ ও সভ্য হওয়া জরুরী। ধন্যবাদ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯

তাওহিদ হিমু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পৃথিবীর কোন আইনে আরেকজনের বাড়ি ঘর আরেক জনের সম্পদ বিনষ্ট করা ধ্বংস করা যায়?
যদি শত্রুরও হয় এরপরেও সেই সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।
কিন্তু এখানে একদিন আগে ঘোষণা দেয় ধ্বংসকান্ড চালাবে, কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
উল্টো রাষ্ট্র সরকারি বুলডোজার সাপ্লাই দিয়েছে। শুধু ৩২ নয়, সারাদেশে শত শত বাড়ীঘরে ভাংচুর লুটপাট অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে হচ্ছে।

এই উইনুস সরকারের কাছে এখনো ভাল কিছু আশা করছেন?
উপদেষ্টা পরিষদ ইউনুস নিয়োগ দেন নাই। ইউনুসের হাতে অতটা ক্ষমতাও নেই।
উপদেষ্টা পরিষদ নিয়োগ দিছে জামাত-হিজবুত হাইকমান্ড।
এরা বিজয়ের প্রথমদিনই শতাধিক জঙ্গিকে ছেড়ে দেয়াহয়, এরপর চোর ডাকাত খুনি প্রায় সবাইকে।
আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ব্রীগেডিয়ার সাখাওয়াত ও আন্দোলনে সবচেয়ে সোচ্চার আসিফ নজরুল সবইচেয়ে শক্তিশালি।
এক সপ্তাহেই ভুল ভেংগেছে।
ইউনুসে নিজস্য কয়েকজন অগুরুত্বপুর্ন উপদেষ্টা দয়া করে নেয়া হলেও সবচেয়ে ক্ষমতাবান ৩ কিশোর উপদেষ্টাকে উনি চিনতোও না।
একজন সিনিয়র সম্মানিত ব্রীগেডিয়ার উপদেষ্টাকে তুচ্ছ কারনে অসম্মানের সাথে সরিয়ে দিয়েছিল এই হাই কমান্ড।
এখন দেশে ডাকাতি ছিন্তাই বেড়ে যাওয়াতে সীমান্তে লোকজন পাঠগিয়ে অরাজগতা করা। এখন অরাজগতা ইচ্ছে করেই করা হচ্ছে।
এই জঙ্গি সরকার নিজেরাই চেষ্টা করে জঙ্গি কিশোর গ্যাং লেলিয়ে দিয়ে চারিদিকে ভাংচুর লুটপাট অগ্নিসংযোগ, আর প্রতিবেশী দেশের সাথে গুতোগুতি করা আর চেষ্টা করে যাতে দেশে দাঙ্গা হানাহানি অশিক্ষা বেকারত্ব ও দারিদ্রতা অব্যাহত থাকে।
দেশে পর্যাপ্ত অভাব হানাহানি ও দারিদ্রতা না থাকলে তো দেশে মৌলবাদের চাষাবাদ হয় না।

১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: যারা ৩২ নম্বর গুড়িয়ে দিয়েছে, তাদের চাবকে পিঠের ছাল তুলে ফেলা দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.