![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বাড়ির পাশে আজ ধর্মীয় সভায় চলছে ওয়াজ-নসিহত। গত রাতে একটু দূরে চলছিল গান-বাজনা। তার আগের দিন ওয়াজ। তার আগের দিন বাড়ির পাশে গান-বাজনা।
এসব অনুষ্ঠানে উচ্চ আওয়াজের মাইক ব্যবহার করা হয়। মাইকের সংখ্যা থাকে অনেক। মিনিমাম দুই কিলোমিটার জুড়ে এর আওয়াজ কাঁপিয়ে তোলে।
এ ধরনের অনুষ্ঠানগুলো রাত বারটা পর্যন্ত চলার কথা; ধর্মীয় ওয়াজগুলো অবশ্য তখন শেষ হয় কিন্তু অন্যগুলো রাত দু-তিনটা নাগাদ চলে।
এ মুহুর্তে আমার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘুমাতে চাচ্ছে। বিকট আওয়াজের কারণে পারছেনা। শিশু মাঝে-মধ্যে লাফিয়ে ওঠছে। পাশের বাড়িতে রোগী আছে, তিনি আওয়াজের প্রাবল্যে ছটফট করছেন। আমার নিজের ব্যক্তিগত কাজ-কর্মগুলো আওয়াজের কারণে ঠিকমত সম্পাদন করতে পারছিনা। আসলে আমি এই ওয়াজ ও গান-বাজনা শুনতেও চাইনা; যারা শুনতে চান তারা প্যান্ডেলে গিয়েই বসে আছেন বা থাকেন। খোঁজ নিয়ে জেনেছি প্যান্ডেলগুলোতে শ্রোতার সংখ্যা যা তাতে মাইক নয় একটি সাউন্ডবক্স হলেই যথেষ্ট। তাহলে এত মাইকের আয়োজন কেন?... জোর করে শোনানো হবে বলে?... যারা শুনতে চায়না তাদের শুনতে হবে বলে?...
আসলে আমাদের দেশে বিষয়টি নিয়ে সেভাবে ভাবা হয়নি; চরমোনাইর পীরের মুরিদানদের উচ্চ আওয়াজে জিকির করার কারণে আশপাশের মানুষের কাজ-কর্ম, ঘুম-বিশ্রাম, নামাজ-তাসবিহে ব্যাঘাত ঘটে বলে একে ‘হারাম’ ফতোয়া দেয়া আছে। কিন্তু একই কারণে যে ওয়াজ-নসিহত ও গান-বাজনাও হারাম সে বিষয়টি আমাদের সকলের অলক্ষ্যেই চলছে। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় আইনেও একই কারণে এগুলো নিষিদ্ধ।
মোদ্দাকথা, কোথাও সভা-সেমিনার, ওয়াজ-মাহফিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি হলে সেখানে জমায়েত লোকজনের শ্রবণ সাবলিল হয় এমন পরিমাণ সাউন্ডবক্স বা মাইক ব্যবহার (ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইনে) বিধেয়।
আশা করি বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মহল সচেতন হব্নে।
সকলকে মোবারকবাদ
©somewhere in net ltd.