নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তাজুল ইসলাম জুয়েল 007

আমার আদর্শ যে কারো সাথে মিশতে আমাকে বাধা দেয়না, যে কারো মতামত আগ্রহের সাথে শুনতে পড়তে নিষেধ করেনা। আমার আদর্শের ফলে আমি সকল মানুষকে নিজ পরিবারের সদস্য বিবেচনা করি, কোন কিছুই এর মধ্যে ফাটল ধরাতে পারেনা।

তাজুল ইসলাম জুয়েল 007 › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনতা ‍যুদ্ধ বনাম জালিমশাহীর বিরুদ্ধে মজলুমের জিহাদ

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪২

স্বাধীনতা ‍যুদ্ধ বনাম জালিমশাহীর বিরুদ্ধে মজলুমের জিহাদ

আজ ২৬ মার্চ। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে শুরু হয়েছিল স্বাধীনতা ‍যুদ্ধ বনাম জালিমশাহীর বিরুদ্ধে মজলুম জনতার জিহাদ।
শত্রু কর্তৃক দেশ আক্রান্ত হলে, দেশের নর-নারী, আবাল, বৃদ্ধ বণিতার জীবন বিপন্ন হলে, রাস্ট্র বা জনগণের সম্পদ বিনষ্ট হলে তাদের বিরুদ্ধে সামর্থবান সকল পুরুষের ওপর জিহাদ [যুদ্ধ] করা ফরজ। আল্লাহ বলেন- তোমরা যুদ্ধ কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা যুদ্ধ করে তোমাদের সাথে, তবে বাড়াবাড়ি করোনা; কেননা আল্লাহ বাড়াবাড়িকারীদের পছন্দ করেন না।
এ বিষয়ে একটি হাদিস প্রণিধানযোগ্য। হযরত সাঈদ Bবনে যায়েদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সা. এরশাদ করেন, নিজের সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে যে নিহত হয় সে শহিদ, নিজের পরিবার-পরিজন রক্ষা করতে গিয়ে যে নিহত হয় সে শহিদ, নিজের জীবন অথবা ধর্ম রক্ষা করতে গিয়ে যে নিহত হয় সেও শহিদ। [তিরমিযি শরিফ]
আর এ যুদ্ধ কতক্ষণ নাগাদ চলবে তাও আল্লাহ পাক নির্দেশ করেছেন। এরশাদ হচ্ছে, আর তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক ততক্ষণ, যতক্ষণ না সন্ত্রাস দূরীভূত হয়ে যায় এবং দ্বীন অর্থাৎ ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়। [সুরা বাকারা : ১৯৩]
কেউ কেউ বলে থাকেন, সেদিন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ওপর হামলা করা রাস্ট্রযন্ত্রের পক্ষে ন্যায় সঙ্গত ছিল, কারণ তারা রাস্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে রাস্ট্রদ্রোহিতা করেছিল! কথা ঠিক, কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, কেন করেছিল?... এটা কি এ জন্য নয় যে, নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে রাস্ট্রযন্ত্রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছিলনা এবং বুঝিয়ে দেয়ার কোন লক্ষণও দেখা যাচ্ছিলনা? যদি তাB হয়, তাহলে এটা তো জনদ্রোহিতা! রাস্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে রাস্ট্রযন্ত্র যদি জনগণের ওপর আক্রমণ করতে পারে, তাহলে জনদ্রোহিতার অভিযোগে জনগণ কেন এ রকম রাস্ট্র হতে স্বাধীনতা চাBতে পারবে না্? বরং এ ধরনের অন্যায় দ্রোহের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো Bমানের প্রকৃত লক্ষণ। আল্লাহ বলেন, অতএব তোমাদের যা দেয়া হয়েছে তা পার্থিব জীবনের ভোগমাত্র। আর আমার কাছে যা রয়েছে, তা উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী তাদের জন্য- যারা দ্রোহের শিকার হলে প্রতিরোধ করে। [সুরা আশশুরা: ৩৯]
হযরত আব্দুল্লাহ Bবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল সা. বলেছেন, নিজের অধিকার আদায় করতে গিয়ে যে নিহত হয় সে শহিদ।[নাসায়ি শরিফ]
সুতরাং প্রোক্ত আয়াত ও হাদিস দ্বারা এটিB প্রতীয়মান হয় যে, অন্যায়ের শিকার ও অধিকার বঞ্চিত হলে যুদ্ধ করা ন্যায় সঙ্গত।
অতএব ২৫ মার্চ কাল রাত হতে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পূর্বক্ষণ পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছেন, Bসলামী শরিয়াহ মতে তারা শহিদ।
আজকের এB দিনে আমরা তাদের শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করছি, বিধাতার কাছে তাদের আত্মার মাগফেরাত এবং উচ্চ মর্যাদার প্রার্থনা করছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.