নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার খোলস মাত্র! আমি মানে একজন নষ্ট হয়ে যাওয়া মানুষ, ব্যর্থ প্রেমিক, দারুন একজন পাঠকের অপমৃত্যু, লেখক পরিচয় দিতে লজ্বাবোধ করি। তবে আমার ভেতরে যিনি লেখালেখির চেষ্টা করতেন তিনিও শয্যাশায়ী!।।

তেলাপোকা রোমেন

যে শহরে আমি নেই আমি থাকবোনা,সেই শহরে তোমাকে ছুয়ে দেবে বিষাক্ত রোদ্দুর,ছায়াহীন মেঘ,বারুদে ঝাঝালো বাতাস,ন্যাপথলিনের উগ্রতা।

তেলাপোকা রোমেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমজান শেষ। আসুন একটি ইনটেক গল্প পড়ি (পুরোটাই ১৮+)

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২৪

পকটপকট করে টিনের চালে বৃষ্টি পড়ছে । আমি আমার মেস 'নিউ বোর্ডিং' এর বিছানায় উপ্তা হয়ে হুতে আছি । কাছেই কোথাও প্রচন্ড শব্দ করে বীর্যপাত হলো । হিমুদের বৃষ্টিতে কাকভেজা হওয়ার নিয়ম । তবে আমার ভিজতে ইচ্ছা করছেনা । কারণ এইমুহুর্তে আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছি

আমার বাপ হালার মহাপুরুষ গড়ার স্কুলের একমাত্র ছাত্র ছিলাম আমি । আমাকে মহাপুরুষ বানাতে গিয়ে আমার পুরুষত্বের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে হালায় । হালার নীতিবাক্যের একটা ডায়েরীতে আমার উদ্দেশ্যে একটা উপদেশ ছিলো এমনঃ "বাবা হিমু , মেয়ে সম্প্রদায় হইতে সর্বদা দূরে থাকিবে । উহারা কেবলই মায়া ।"

মনেমনে নিজের বাবাকে "তাপস পাল" বলে গালি দিলাম । মেয়েদের কাছে যেতে পারলে আজ বিছানায় বসে বসে গীটার বাজানো লাগতোনা ।

দরজায় পুংপুং করে কে যেন কড়া নাড়ছে । হিমুদের নির্লিপ্ত থাকতে হয় । আমিও যথাসম্ভব চেষ্টা করলাম । কিন্তু দরজার ওপাশের লোকটা কড়া নাড়তেই থাকলো । আমাকে দরজা খুলতে হলো ।

ওহ ইয়েস !

দরজায় বেগুনী লুঙ্গী পিন্দে আক্কাস দাঁড়িয়ে । হালায় এতক্ষণ ধরে নির্লিপ্ত ভঙ্গীতে কড়া নেড়েছে ! হালার নির্লিপ্ততার কাছে আমারটা ফ্লপ
খেয়ে গেল । একমাত্র আক্কাসরাই পারে হিমুদের সাথে টেক্কা দিতে ।

পকাত করে ঘরে হান্দিয়েই ভিজা লুঙ্গীটা খুলে চিপড়ায়ে পানি বের করতে লাগলো আক্কাস । আমি ওর মেশিনের দিকে তাকিয়ে আছি । মনেমনে ওকে "নুনুম্যান" উপাধি দিয়ে দিলাম । নিজের মেশিনের কথা ভেবে দুঃখে বাইংমাছ হয়ে গেলাম । মহাপুরুষ না
বলে মহাহিজড়া বলতে ইচ্ছা করছে নিজেকে । বাপ হালাকে এবার মনেমনে How are pola বলে চুইদ্দোবার গালি দিলাম ।

লুঙ্গী চিপড়ানো শেষে ওটা শক্ত করে মাথায় বাঁধলো আক্কাস । তারপর আমার দিকে তাকায়ে বললো ,
-বৃষ্টিবিলাস করবেন হিমুভাই ? আকাশ মুততেছে । সেই ফিলিংস সেইই...
=আকাশ মুততেছে ?
-হ হিমুভাই । যেনতেন মুত না । একেবারে জন্ডিসমূত্র । হাঃহাঃহাঃ
আক্কাসের চিন্তাধারা দেখে সত্যিই অবাক হলাম । বৃষ্টিকে বলছে "আকাশের মুত" । রুপক অর্থে ব্যবহার করছে মুতকে ! মনেমনে আক্কাসের প্রশংসা না করে পারলাম না ।

বৃষ্টিভেজা রাস্তায় আমরা পুচুতপুচুত করে হাঁটছি । আক্কাসের বেগুণী লুঙ্গী ভিজে ওর ব্যাকসাইডে এঁটে গেছে । আমার খুব ইচ্ছা করছে ওখানে হাত রাখতে । কিন্তু আমি অপারগ । হিমুদের অনেককিছুই করতে নেই । বাপ হালায় আমার সাধ-আহ্লাদের পকপক
মেরে দিয়েছে ।

হাঁটতে হাঁটতে আমরা জিয়া উদ্যানের ভিত্রে চলে আসলাম । আক্কাস আমাকে একটা কদমগাছের নিচে বসায়ে দিয়ে বৃষ্টিবিলাস করতে বললো । তারপর
পকটপকট করে গাছপালার ভিত্রে হান্দিয়ে গেল হালায় ।
বসে থাকতে থাকতে মাল মাথায় উঠার জোগাড় । এমনসময় দেখি ঝোঁপের ভিতর হতে এক চ্যাগা দিয়ে আক্কাস বেরিয়ে আসলো । হাতে বিশেষ পলিথিনে
সাদা পদার্থ ।
একটু দূরে একটা বুড়া ব্যাডা ছাউনির তলে বসে হাঁ করে ঝিমুচ্ছিলো । আক্কাসকে লোকটার মুখ সই
করে বিশেষ পলিথিনটা ছুড়তে দেখে আঁতকে উঠলাম আমি । কারণ আক্কাসের নিশানা বরাবরই
অসাধারণ ।

আমার কাছে এসে আক্কাস বললোঃ "কেমন বৃষ্টিবিলাস করলেন হিমু ভাইজান ? আমিতো বৃষ্টির লগে বৃষ্টি বিলাস কইরা আইলাম । Life
পকড without her."

আক্কাসরা আসলেই মহাপুরুষদের উর্ধে । দুঃখে বাইংচোদ হয়ে আমি আপনমনে আক্কাসের মতো করেই বলে উঠলামঃ "বৃষ্টিবিলাসের মায় ঘুমায়..."

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.