নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার খোলস মাত্র! আমি মানে একজন নষ্ট হয়ে যাওয়া মানুষ, ব্যর্থ প্রেমিক, দারুন একজন পাঠকের অপমৃত্যু, লেখক পরিচয় দিতে লজ্বাবোধ করি। তবে আমার ভেতরে যিনি লেখালেখির চেষ্টা করতেন তিনিও শয্যাশায়ী!।।

তেলাপোকা রোমেন

যে শহরে আমি নেই আমি থাকবোনা,সেই শহরে তোমাকে ছুয়ে দেবে বিষাক্ত রোদ্দুর,ছায়াহীন মেঘ,বারুদে ঝাঝালো বাতাস,ন্যাপথলিনের উগ্রতা।

তেলাপোকা রোমেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘তোষক দিয়া জড়ায়া ধরলে বাচ্চাগুলো তো বাঁচতো’ কি করতেন আপনি ঘটনাস্থলে থাকলে?

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৫


“চিৎকার দিয়ে নামতেছি- আগুন লাগছে সাহায্য করেন। বাঁচান বাঁচান। গায়ে তো আগুন। তিন আর চার নম্বর ফ্লোর থেকে দরজা খুলছে। আমাদের দেখে দরজা বন্ধ করে দিছে। স্পষ্ট মনে আছে। সাত তলা থেকে নামছি। তিন তলার লোকেরা একটা তোষক দিয়ে যদি জড়ায়া ধরতো। একটা তোষক না হয় পুড়তো। আমার বাচ্চাগুলো তো বাঁচতো” ।

-“আমি আর শার্লিনের আব্বু নামছি। আগুন জ্বলতেছে গায়ে। চিৎকার দিয়ে নামতেছি- আগুন লাগছে সাহায্য করেন। বাঁচান বাঁচান। তিন আর চার নম্বর ফ্লোর থেকে দরজা খুলছে। আমাদের দেখে দরজা বন্ধ করে দিছে। একটা তোষক দিয়ে যদি জড়ায়া ধরতো। একটা তোষক না হয় পুড়তো। আমার বাচ্চাগুলো তো বাঁচতো। কত মানুষ সব তাকায়া আছে। কেউ আগায়না”।

-
“পরে নীচে নেমে, কাপড় তো পুড়ে গেলো। নীচে ছিলো ছালার চট। টাইনা গায়ে দিছি। কত মানুষ, সবাই তাকায়া আছে, কেউ আগায়না”।

-“বলছি আমি মহিলা একটা চাদর দেন। কেউ দেয়না। বিল্ডিং এর মহিলারা কেউ দেয়না... আল্লাহ মাফ করুক সবাইকে”।

-“পরে নীচে নেমে চিৎকার দিয়ে দারোয়ানকে বললাম আমার দু ছেলে ওপরে আটকা পড়ছে, আপনারা তাড়াতাড়ি যান। তারা যেতে যেতে শালীন পুড়ে গেছে”।

-“শার্লিন পুড়েছে বেশি, গায়ে পা থকথক হয়ে গেছে। শার্লিন বলে আমি তো বাঁচবোনা আমাকে মাফ করে দিয়ো আম্মু। আমি বলি বাবা তুই বাঁচিস, আমি মইরা যাই। মানুষ এরকম হয়। একি খারাপ না? কেউ কাউরে একটু সাহায্য করেনা। এটা কি কথা”?


উপরের লাইনগুলো সদ্য আগুনে পুড়ে স্বামী সন্তান হারানো মহিলার কথাবার্তা।

অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে ফেলে রেখে গেল টি এস স্যার হাজার হাজার লোকের মধ্যে। এরকম দেখেছিলাম। কেউ এগিয়ে আসেনি। ছবি দেখছিলাম সে রাতেই। রক্তাক্ত বন্যা সাহায্য চাইছেন। কেউ এগিয়ে আসেনি। বিশ্বজিৎ কে কুপিয়ে মারা হয়েছিল প্রকাশ্যে। কেউ এগিয়ে আসেনি।
বিক্ষিপ্ত মস্তিষ্কে পোষ্ট দিলাম। বানানে ভূল থাকতে পারে।
যারা পোষ্ট দেখছেন তাদের সবার বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম। কি করতেন আপনি ঘটনাস্থলে থাকলে?

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৮

নতুন বলেছেন: যারা পোষ্ট দেখছেন তাদের সবার বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম। কি করতেন আপনি ঘটনাস্থলে থাকলে?

বিপদে মানুষ হতভম্ব হয়ে পড়ে এবং উপরের ঘটনায় পাশের বাড়ির সবার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে... পাশের বাড়ীর মহিলারা জ্বলন্ত মানুষ দেখে সেই মুহুতে` কি করতে হবে তা বুঝতে পারেনাই।

যাদের এই রকমের সমস্যা মোকাবেলায় কি করতে হয় সেই ব্যাপারে কিছু জানাশুনা আছে তারাই পারে বিপদের সময়ে সাহাজ্যে এগিয়ে আসতে...

কিন্তু নিচের উপস্হিত মানুষেরাও এগিয়ে আসেনাই সেটা দুখ:জনক.. :(

২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২

শায়মা বলেছেন: এই লেখাটাতে কিছু বলার ভাষা নেই।

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬

শেখ মফিজ বলেছেন: আসলে সবাই হতভম্ব হয়ে গেছিলো ।
কারো মাখায় আসেনি কি ভাবে সাহায্য করবে ।
অবশ্য কিছু পড়েই সে ভাবটা কেটে যাওয়া উচিত ছিলো ্

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হতভম্ব তো কিছূক্ষনের জন্য হয়.. এরপর সবারই উচিত ছিল এগিয়ে আসা।

আমি অবশ্যই এগিয়ে আসতাম।

দরজা বন্ধ করে দেয়ার মধ্যে অস্বাভাবিকতাই ছিল বটে.. বরং চিৎকার করে আরও লোকজন ঢেকে বা বালতি ভরে পানি ছিটিয়ে দিতে পারত.. আসরেই নাগরিক কথিত ভব্যতায় আমরা এতই ভ্যক্তি কেন্দ্রীক হয়ে গেছি.. নানা পুলিশি ঝামেলা নানা হয়রানীর ভয়ে এতই অন্তর্মূখি হয়ে গেছি পাশের ফ্ল্যাটে লাশ পঁচে গন্ধ না হলে খবরও রাখিনা বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে!
পথের পাশের অনেক ঘটনায়ও এভাবেই এড়িয়ে চলি!

খুবই দু:খজনক একটা ঘটনা।

৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: তেলাপোকা রোমেন ,



আপনার প্রশ্নের উত্তরটি কারো জানা নেই ।

তবে সহ-ব্লগার বিদ্রোহী ভৃগু র মন্তব্যে যথেষ্ট যৌক্তিকতা আছে ।

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৫

মহা সমন্বয় বলেছেন: কি বলব ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না ওহহহহহহহহ :((

৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৭

মহা সমন্বয় বলেছেন: সহ-ব্লগার নতুন @ ওনার সাথে একমত।

৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১৩

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: এখনও গ্রামের মানুষ নগরের মানুষের তুলনায় অনেক মানবিক। এই নাগরিকতাকে আমি ঘৃণা করি যেখানে আত্মকেন্দ্রিকতাই মুখ্য।

৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: সবাই নপংশক !!
মানবতা, সহমর্মিতা
ইট কাঠের চার দেয়ালে বন্দি।
এমন নিদানে যারা পাশে ছিলেন,
যারা মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন
তাদের জন্য করুণা!! ধিক আপনাদের, শত ধিক !!

১০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২২

ফয়সাল রকি বলেছেন: মানুষ মানুষের জন্য- এই কথাটা বরাবরই ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। আর কত? জানি না এর শেষ কোথায়? কবে আবার 'মানুষ মানুষের জন্য' সত্য প্রমাণিত হবে!!! শুধু ভাবি, একই ঘটনা তো আমার বা আপনার সাথেও ঘটতে পারে... তখনও তো সবাই তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে, তাই না?

১১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

হা হা হা বলেছেন: আমি অবশ্যই কিছু করতাম। মানুষ এমন হয়ে গেছে ভাবাই যায় না :(

১২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বিপদে এগিয়ে আসা চাই সবার। কিন্তু বিপদের আগে ও সবাইকে সচেতন থাকা চাই।

১৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:০১

আজিব দুনিয়ার মানুষ। বলেছেন: এখানে আসলে সাধারণ মানুষের সাইকোলজি বুঝা যাচ্ছে না, কেন তারা এগিয়ে আসল না, কেন হেল্প করল না। আমরা বাঙ্গালীরা খুবই অতিথিবৎসল, পরোপকারী ও সামাজিক জাতি হিসেবে পরিচিত। সেই আমরাই এখন এমন অনেক কাজ করছি যার কোন অর্থ খুজে পাওয়া যায় না। কেন অহেতুক হিংসা ও ঘৃনায় আমাদের মন কানায় কানায় পরিপূর্ণ? এটা কেন হল? অসহায় মানুষ আকুতি জানাচ্ছে কিন্ত কেউ এগিয়ে আসছে না, জাতির এই অবস্থা কারো কাম্য নয়। মানবিকতা বোধের চরম অধঃপতন হয়েছে বলেই এমনটা হচ্ছে।

আপনার বাড়ির পাশেই একজন অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে অথচ আপনি এসি রুমে বসে থাই-চাইনিজ ফুড আস্বাদ করবেন, এতটা ইম্ব্যালেন্স হলে আমরা নিজেদের ধ্বংসই ডেকে আনব।

সবষেশে বলি, 'মানুষ মানুষের জন্য' এটি যেন আমরা কখোনই ভুলে না যাই। ফিলিস্তিন, গাযার বিপর্যয়ে সহানুভূতি প্রকাশ করলেই মানবিক হয়ে যাওয়া যায় না, নিজের জীবন ও চারপাশের মানুষ দিয়ে একে উপলব্ধি করতে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.