নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার খোলস মাত্র! আমি মানে একজন নষ্ট হয়ে যাওয়া মানুষ, ব্যর্থ প্রেমিক, দারুন একজন পাঠকের অপমৃত্যু, লেখক পরিচয় দিতে লজ্বাবোধ করি। তবে আমার ভেতরে যিনি লেখালেখির চেষ্টা করতেন তিনিও শয্যাশায়ী!।।

তেলাপোকা রোমেন

যে শহরে আমি নেই আমি থাকবোনা,সেই শহরে তোমাকে ছুয়ে দেবে বিষাক্ত রোদ্দুর,ছায়াহীন মেঘ,বারুদে ঝাঝালো বাতাস,ন্যাপথলিনের উগ্রতা।

তেলাপোকা রোমেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসংগঃ একটি ধইঞ্চা ব্যান্ড দল এবং কয়েকটি প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭


মাথার ভেতরে গাজা ঘোরে , গাজার ভেতরে মাথা- এসেজ
গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়, তাতে ধর্মের কি আসে যায়? - লালন

দুটো লাইনের লেখক দুইজন। প্রথম লাইন এসেজ গেয়েছে। দ্বিতীয় লাইন গেয়েছে লালন। দুটো লাইনেই দুটো নিষিদ্ধ কথা আছে। একটা গাঁজা আরেকটা বেশ্যা। এখন "মাথার ভেতরে গাজা ঘোরে , গাজার ভেতরে মাথা" এই লাইনটার সারমর্ম কি?
অথচ "গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়, তাতে ধর্মের কি আসে যায়? " লাইনটা অত্যন্ত গভীর এক মেসেজ দিয়ে এসেছে।

এখন আপনি বলবেন লালনের সাথে এসেজ এর তুলনা কেন? আমি সচেতন ভাবে স্বীকার করছি যে আমি দুই প্রান্তের দুইজনকে তুলনা করেছি। কিন্তু কারন একটাই, সারমর্ম। যার কোন সারমর্ম নেই তা গান হিসেবে কিভাবে চলে? প্রথম সারির ছাত্ররা এই গান চিৎকার করে কেন গায়? কারা শুনছে এসব বস্তাপচা গান? এত ফ্যান কারা? যেখানে মনোসরনী, শিরোনামহীন, মেঘদল এত ফ্যান পায়নি সেখানে তারা দুই লাইন গেয়েই লাখ লাখ ফ্যান বানিয়ে ফেললো !
গেলাম ইনভেস্টিগেশনে । এসেজের পেজকে ওয়াচে রাখলাম এক মাস। দেখলাম ওদের পেজের কমেন্টগুলা। বুঝতে বাকী নেই নিঃ সন্দেহে আরেফিন রুমির ফ্যানের আর টাকলারা ওখানে জড় হয়েছে। এদের বেশিরভাগের বয়স ১৩ থেকে ১৬। আপনাদের জন্য কিছু কমেন্ট তুলে দিলাম।

১) মাদকাসক্ত না হলেও ইভান ভাই এর খুব বড় রকমের ভক্ত আমিও। এবার hsc টা দিয়ে ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে গিটার হাতে আমিও নামবোই। মেয়ে ছারপোকা হবো। ইভান ভাই এর গানের সুর তুলব তখন নাহয় গিটারে। smile emoticon ইনশাআল্লহ।

২) অনেক দিন আগে তামাক দের দেশে গিয়েছিলাম সেই খানে ইবেন ভাই এর সাথে দেখা হয়েছিল । এখনো ইবেন দের সাথে দেখা হয় মদ্দো রাতে যখন কানে Hade phone থাকে, আর হাতে সিগেরেট থাকে!! আর গলা চাইরা গাইতে থাকি কেমন আছো?? কোথাই???

৩) যাদের গার্ল ফ্রেন্ড আছে তাদের ধারোনা তাদের ভালোবাসার মানুষটি ই সবচেয়ে সুন্দরী তার থেকেও সুন্দরী মেয়েও অনেক আছে। ব্যাপারটা আসলে তুলোনা দিয়ে হয়না। এশেজ কেও ভালোবাসার ব্যান্ড বলতে পারেন তাই কাওকে ছোট না করেই এশেজ কে বেস্ট ভাবি

৪)আপনি এশ্যাজ এর চ্যাচড়া বক্ত গুলো কে বাশ দিতে গিয়ে কয়েকটা দিখে এশ্যাজ কে ও হেয় করেছেন। এশ্যাজ এর কনো ব্যান্ড ম্যামবার কখনো বলে নাই যে এশ্যাজ সাইকেডেলিক রক এর পিতা । এই ব্যাপার টা বুঝা দরখার, #Apollo ভাই এই টা চাড়া পুরো লিখা টা ভালো লিখেছে।

৫) ভাই বুকে নিবেন ভাই????আমি তো মরব না আপনার সাথে বসে এক কাপ চা না খেয়ে,,,,আমার মত একটা পাগল ফ্যান আপনাকে জড়িয়ে ধরতে চায়,,,,plz vai

৬) ভাই অনেক ভালবাসি ভাই আপনাকে একবার জরিয়ে ধরতে চাই ভাই.....তাহলে জীবন সার্থক ভাই আমার

৭) ২০ তারিখের অপেক্ষায় আছি ভাইয়া। সন্ধায় লোডশেডিং হবে। জ্বালিয়ে দেয়া হবে তামাক পাতা। ঐচ্ছালে! grin emoticon

৮)এই ৬ মাসই ছারপোকা নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বাসার এই ছাদে রাত তিনটাই একা ছিলাম আর তুমি ছিলে।,, প্লে লিস্টে এখন ১৭ prista চলতেছে।

৯) ভাই আমি তোমার লাইফ story শুনে বাক-প্রতিবন্দি।
আমি আপনার মত স্কুল পলাতক এবং গান পাগলা।
প্রতিদিন আপনার সব গান অন্তত পাঁচবার প্লে করি।

১০) একদিন আমি বাংলাদেশী শিল্পীদের গান-ই শুনতাম না।বেশির ভাগ ভারতীয় শিল্পীদের গান শুনেছি।নচিকেতা,কবির সুমন,পংকজ উদাস,শ্রীকান্ত সহ আরো অনেকের কিন্তু যেদিন হলুদ ল্যাম্পপোষ্ট শুনেছিলাম সেদিন আমার নেশা ধরেছে।এখন শুদু-ই ছারপোকা।লাব ইয়্যু ashes heart emoticon

১১) চবিতে প্রথম দেখা,মানুষটির সাথে।মানুষটির গান তার কিছুদিন আগে থেকেই শোনা।অল্প দিনেই ভাললাগা,তাই মানুষ্টিকে সামনে থেকে দেখার জন্য স্টেইজের সামনে ছুটে গেলাম।
মানুষটি তখন কেমন আছো কোথায় গাইছিল,আমি স্টেইজের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলাম।
মানুষটি যখন গান শেষ করে চলে যাই,স্টেশনে গিয়ে শুয়ে কেঁদেছি। মানুষটা কি আর কিছুক্ষণ থাকতে পারত না??
মানুষটি কে বলার প্রয়োজন নেই।
ভাই তোমাকে অনেক ভালবাসি।
আর প্লে-লিস্টে তুমি ছাড়া আর কেও নাই ভাই।

১২)ভাইরে আমার সারাটাদিন যায় ছাড়পোকা গানটাই শুনে।।।।। অন্নেক বেশি ভালবাসি ভাই আপ্নাকে

এভাবে সারাদিন লিখলেও শেষ হবেনা। যেতে হবে তাদের পেজে। বাকীটা কমেন্ট পড়েই বুঝে যাবেন।
রক রেভ্যুলেশান পেজের একটা লেখা হুবহু তুলে দিলাম ঃ

সম্ভবত এটা এখন পর্যন্ত এই বছরের সবথেকে বিতর্কিত পোস্ট হতে চলেছে। সত্যি বলতে, আমরা বেশ বিতর্কে আছি বেশ আগে থেকেই, যা ভাবি সেটা বলার ইচ্ছা এবং স্বাধীনতাটুকু জোর করে অবশিষ্ট হিসেবে রেখে দেয়ার কারনেই হয়ত বিতর্ক পিছু ছাড়ে না।
সে যাই হোক, গতদিন সাইকেডেলিক রকের উপর পোস্টটায় এত মানুষের এঙ্গেজমেন্ট দেখে ভালই লেগেছে, হিন্দি/হিপহপ/ডাবস্টেপের যুগে কেউ কেউ জীবনের গানগুলি শুনছে, শুনতে চাচ্ছে, কারো কানে বাজছে ভাবতেই আমি বেশ আশাবাদী হয়ে উঠতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু একটু পরে সাইকেডেলিক রক বলতে অধিকাংশ বাংলাদেশী শ্রোতা "এ্যাশেজ"কেই বোঝে সেটা অনুধাবন করেই খারাপ লাগল। তো বাংলাদেশের সাইকেডেলিক রক নিয়ে কিছু বলার ইচ্ছা থেকেই এই পোস্ট করা।
বিশ্বে সাইকেডেলিক রকের আগমন ১৯৬০এর দশকে, মুলত বব ডিলানের গানের কথায় এই আবেশি প্রভাব প্রথম পাওয়া যায়, কিছুদিন পরেই বিটেলস তাদের নিয়মিত ব্লুজ স্টাইলের সাথে সাথে সাইকেডেলিক রক আনে তাদের গীতিতে, পরে ব্রিচ বয়েজ, জিমি হেন্ড্রিক্স, পিঙ্ক ফ্লয়েড, ডোরস সহ আরো অনেক সাইকেডেলিক রকের লিজেন্ড ব্যান্ড/সিঙ্গার এসেছে, বলাই বাহুল্য আজকের অতি জনপ্রিয় মেটাল জনরার পিতাও এই সাইকেডেলিক রক।
বাংলেদেশে প্রথম সাইকেডেলিক রক ব্যান্ড ফর্ম করা হয় ১৯৮০এর দশকের একেবারে শুরুর দিকে, ব্যান্ডটা নগর বাউল, লিড সিঙ্গার মাহফুজ আনাম জেমস, সবাই চেনে। কিছু বছর পরে ১৯৮৬সালে সাইকেডেলিক রকের আরেকটি ব্যন্ড "নোভা" ফর্ম করা হয়, নোভা কয়েকটা জনরায় গাইত, তার মধ্যে সাইকেডেলিক রকও ছিল, ৯০এর দশকের প্রথম দিকে ফর্ম করা অল্টারনেটিভ রক ব্যান্ড এলআরবি'ওকিছু সাইকেডেলিক রক গীতিতে এনেছিল, ১৯৯৬তে আসল শিরোনামহীন, যদিও শিরোনামহীন ফোক রক সহ আরো অনেক ধাচের ফিউশন করেছে পরবর্তীতে। মোটামুটি ২০০০ সালের আগে এগুলোই বাংলাদেশের সাইকেডেলিক রক, সে সময়ে অবশ্য এত জনরার জ্ঞান ছিল না শ্রোতাদের, ব্যান্ড সঙ্গীত নামেই চিনত সবাই গানগুলো।
২০০২ সালে ফর্ম করা হয় মেঘদল, মেঘদলের কথায় বেশ কাব্যিক এবং সহজভাবে ব্যাক্ত হয়েছিল আবেগ, মেঘদলের গানে ইলেকট্রিক গিটারের সাথে দেশীয় বাদ্যও ব্যবহৃত হয় বেশ ভালভাবেই, বেশ জনপ্রিয়তাও আছে ব্যান্ডটির, তবে তাদের শ্রোতাদের বেশিরভাগই আরটিস্টিক মানুষজন, কেন বললাম? আমি যতদুর দেখেছি তাদের ফ্যানরা হয় কবি, নাহয় পেইন্টার, নাহয় মিউজিক করে, অথবা ফাইন আর্টসে পড়ে, একেবারে সাধারন শ্রোতারা খুব বেশি পায়নি মেঘদলের গান। এদের সাইকেডেলিক রকের সাথে বেশ সাংস্কৃতিক কবি কবি ব্যাপারটা আছে।
২০০৬ সালে গঠিত হয় এ্যাসেজ, প্রথম এ্যালবাম "ছারপোকা" রিলিজ করে ২০১৪ এর শেষের দিকে... এই ব্যান্ড নিয়ে অজানা কিছু থাকার কথা না, অনেক জনপ্রিয় (এবং ওভাররেটেড) ব্যান্ড।
২০০৭ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশে আমার দেখা এই পর্যন্ত সবথেকে জেন্যুইন সাইকেডেলিক ব্যান্ড "মনোসরণী", ২০১৩ সালের প্রথম দিকে তাদের প্রথম সেলফ টাইটেলড এ্যালবাম "মনোসরণী" রিলিজ হয়। এদের গানের কথা যেমন অনবদ্য, তেমন মিউজিকেও মাঝে মাঝে ব্লুজ রকের ছোয়া থাকে যা বিটেলসের কথা মনে করিয়ে দিতে পারে, মিউজিক তো শোনানো সম্ভব না, কিছু গানের কথা দেখা যাক, মন দিয়ে দেখলে ব্যাপারগুলো ধরা দেবে...
"আমি আর এক মাকড়সা এই ঘরে থাকি
দুজনে মিলে স্বপ্নের জাল বুনে যাই
দেহের গুহায় ওড়ে মায়ার পাখি
চোখের দেয়ালে কাঁপে খাচার ছায়া
সারারাত শিয়রে জ্বলে মোমের আগুন
গলে গলে জড়ো হই আবার পোড়ার আশায়
স্বপ্নের আকাশে ওড়ে জাতিস্মর শকুন
মায়ার পৃথিবীর তন্তু ছেড়ে হৃদয়ের আভায়।
পৃথিবী ছুটে চলে ভীষণ ভুল পথে
ফিরতে বললে জানি ফিরবে না সে
আকাশের পরিত্রান সে তো নীলের নির্জনে
কালোছড়ি হাতে অন্ধরা হাঁটে মহাকালের চোরাপথে" [নির্জন অভয়ারন্য]
স্পার্টায় আমিও ছিলাম সেই হেলট জারজ ক্রীতদাস
কোলিঙ্গের রণাঙ্গনে অশোকের তীরে
যার পাঁজরে এখনো রক্তক্ষরন,
আমি কোন্ প্রজাতি
মানুষ না ক্রীতদাস?
আমার চোখের জ্যোতি কেড়ে দেখছো বিশ্ব সার্বজনীন
আর আমার হাড়ের স্তুপে মরুতে গড়েছো
এ কোন পিরামিড!!?
আমি কোন্ প্রজাতি
মানুষ না ক্রীতদাস? [ক্রীতদাসের চিৎকার]
"মা, আমার একটা মুখোশ দরকার
সবাই পরে রঙ্গীন মুখোশ, হাসে দেখে আমার ক্ষত বিক্ষত মুখ
মুখোশ জব্দ করে এটে যাই কাছাকাছি
তবে হৃদয়-এর নৃশংসতা কি দিয়ে ঢাকি?
মা, শহর থেকে লিখছি তোমাকে এই চিঠি
শহরে থাকতে এগুলো নাকি ভীষণ দরকারী !!! [মাকে লেখা চিঠি]
চোখ দুটো বাঁধা আছে তোমায় ধরতে চাই
এই জীবন ঘোর কানামাছি
তোমায় ধরতে গিয়ে অন্যকে ছুয়ে ফেলি, শিশুতোষ ভুল বোঝাবুঝি
কিংবা এমন, ধরো চোর নই তুমি আমি, পালিয়ে বেড়াই প্রতিদিন
চোখদুটো খোলা আছে তোমায় দেখতে চাই
দেখিনি তোমায় কোনদিন [জন্মান্ধের কানামাছি]
কিন্তু মনোসরণী এত ভাল গেয়ে এবং বাজিয়েও প্রচার পায়নি, যদি সাইকেডেলিকের বাংলেদেশি বেস্ট/বস/যা বলেন আপনারা... বলতে চান তবে এই ব্যান্ডটাই থাকে সবার সামনে, এদের কন্ঠ অত সুরেলা না, চিল্লায়ও না তেমন, তবে গানগুলো অন্য লেভেলের, এরা কভার'ও করেছে বব ডিলান , ভুপেন হাজারিকা, মহিনের ঘোড়াগুলি'র গান। এরা প্রচার পায় না, এদের রকস্টার হবার ইচ্ছাও নাই, তাই আপনারাও হয়ত পাত্তা দেন না...... দেবার দরকারও নেই।
কিন্তু বস ব্যান্ড একটাই, এ্যাসেজ, এইগুলা বলার আগে অনুধাবন করা উচিত আসলে আপনি "সাইকেডেলিক রক" শব্দটা শুনছেন ঠিক কদ্দিন আগে? কদ্দুর শুনেছেন? কয়টা ব্যান্ড চেনেন? কয়টা গান শুনেছেন? কয়টা গান বুঝেছেন? বা বুঝতে পেরেছেন?... নাকি জুনায়েদ ইভান রেডিও ফুর্তিতে "আমাদের জনরা সাইকেডেলিক রক" বলার পরেই আপনার এই জনরার সাথে পরিচয়? squint emoticon এ্যা? ইংলিশ ব্যান্ডের কথা বাদ দিলাম, এ্যাসেজ ব্যান্ডটা অঞ্জন দত্ত থেকে খুব ইনফ্লুয়েন্সড, অঞ্জন দত্তের কটা গান শুনেছেন? মহিনের ঘোড়াগুলি, শহরতলি, সহজিয়া নামগুলির কোন অর্থ আছে আপনাদের কাছে?
মনে হতে পারে আমি অ্যাাশেজ বিরোধী, ব্যাপারটা ঠিক তা না, এ্যাসেজ ভালো গায়, তবে বাংলাদেশের বেস্ট ব্যান্ড না, অবশ্যই না। বরং ওভাররেটেড, হঠাত করে ফেম পাওয়া একটা ব্যান্ড। যদিও এ্যাসেজের (ঠিকভাবে বললে জুনায়েদ ইভানের) ফ্যানেরা সেটা মানতে নারাজ। ঠিক করে ভেবে বলুন তো ছারপোকার আগে দুইটা মিক্সড এ্যালবামে এ্যাসেজের গান রিলিজ হবার সময় আপনারা এ্যাসেজ চিনতেন কিনা?
যদি মনে করেন মনোসরনীর পাবলিসিটি করলাম, আসলে এর থেকে ভালো উদাহরন সামনে পাচ্ছিলাম না, শুনে দেখতে পারেন, জ্ঞান বাড়বে, জীবন এবং সাইকেডেলিক রক দুটোর'ই।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০১

ডা: শরীফুল ইসলাম বলেছেন: কড়া হইছে

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

মহা সমন্বয় বলেছেন: নিঃ সন্দেহে আরেফিন রুমির ফ্যানের আর টাকলারা ওখানে জড় হয়েছে। =p~

দারুণ ইনভেষ্টিগেশন

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২২

কিউপিড রিটার্নস বলেছেন: অ্যাশেজের গান শুনলে মনে হয়, ছাগলে তামাক পাতা চিবাইতাসে!!

[ কারো দ্বিমত থাকলে কিচ্ছু করার নাই, আমার পছন্দ না, আপনার কি, এই ছাগলগুলারে পছন্দ করার কিছু নাই ]

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

জন রাসেল বলেছেন: অ্যাসেজের প্রথম মিক্সড অ্যালবাম ছিল সিক্সটি নাইন। রেডিও তুফান থেকে বের হয়েছিল অ্যালবামটা। রেডিও তুফানের পরের মিক্সড অ্যালবামটি ছিল 'রেডিও মিক্সড'। ওখানে আমরা আমাদের প্রথম গানটি দিয়েছিলাম (সাদা তুলির আঁচড়) যেটি ছিল এ্যালবামের সাত নাম্বার ট্রাক। সেই গানটি শুনে জুনায়েদ ইভান বলেছিল, এগুলো কমারশিয়াল গান।

রেডিও মিক্সড অ্যালবামটি বের করার সময় এ্যালবামের দায়িত্বে থাকা আদনান জামান নামক এক ভন্ড রেজিস্ট্রেশানের নামে বেশ কিছু টাকা আমাদের থেকে হাতিয়ে নেয়। বলে যে, আপনাদের গান আমরা সিলেক্ট করেছি তবে রেজিস্ট্রেশান ফি বাবদ কিছু টাকা আমাদের দিতে হবে। বর্তমানে সেই আদনান জামানই অ্যাসেজের কিবোরডিষ্ট। আদনান জামান নিজেও আগে এক কমারশিয়াল ব্যান্ডে ছিল। এমন একটি মেম্বার নিয়ে সাইডেইলিক রক করে অ্যাসেজ শুনে কিছু হাসি পেয়েছিল।

কিছু বিচ্ছিন্ন শব্দকে একবার সোজা করে বলে, এরপর আবার উল্টা দিক থেকে বললেই লিরিক্স হয়ে যায় এই ধারণাও আমি প্রথম পেয়েছিলাম অ্যাসেজের কয়েকটা গান শুনে। বাঙ্গালী শ্রোতারা মূলত সার্বিক অর্থ খোজেনা গানে। কোন একটা লাইন ভালো লাগলেই সেটাকে পুরা গানের অর্থ ধরে নেয়। পরের লাইন থেকে যে কোন বাক্যই হচ্ছেনা গানে তা আর গবেষনা করেনা। হিন্দি গান থেকে বাঙ্গালী শ্রোতারা প্রভাবিত বলেই এই ব্যাপারটা ঘটে।

বাংলাদেশে দু'টি ব্যান্ডই মন কেড়েছিল। শিরোনামহীন আর আর্টসেল। আর বাকিগুলোকে মনে হয় হাইব্রিড। এদের নিজস্ব কিছু নেই। নিজস্ব কিছু না থাকাটাকেই এরা নিজস্বতা ভাবছে।



৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

জন রাসেল বলেছেন: আর গান হিট করার জন্য কিছু সাবজেক্ট লাগে যে সাবজেক্ট সবার সাথেই মিলে। মনোসরণীর গানের যে লিরিক্স তা অনেক উচুদরের হলেও সাধারণ মানুষের বুঝ ক্ষমতা থেকে অনেক দূরে এবং নিষিদ্ধ আনন্দবর্জিত। একটি তরুণ ছেলের মনে বিপ্লব কিংবা ফিলোসফি খুব কমই কাজ করে। সবচেয়ে বেশি কাজ করে নারী, বেশ্যা, পতিতা, গাজা ইত্যাদি জাতীয় শব্দ। এই জিনিসগুলোকেই অ্যাসেজ গানের লিরিক্সে ব্যবহার করছে। ফলে সবাই শুনেই ভাবছে, আমার জীবনের সাথে তো খুব মিল।

অনেক উচু দরের জিনিস মর্যাদা পায় কিন্তু জনপ্রিয়তা পায়না। জনপ্রিয়তা পায় মানূষের সাইকোলজির কাছাকাছি জিনিসগুলো যা সহজবোধ্য এবং প্রতিনিয়ত ঘটমান। প্রেম নিয়ে সুড়সুড়িমূলক উপমা শুনে তরুন প্রজন্ম খুব সহজেই সেটাকে গ্রহন করবে। একটি ছেলে কিংবা মেয়ে ছ্যাকা খাওয়ার পর সে নেশা এবং ছ্যাকা বিষয়ক গানগুলোকে মহান সৃষ্টি ভাবা শুরু করবে। ওরা গানে এই জিনিসগুলো ইউজ করেছে। আর সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে হঠাতই ব্যান্ড মিউজিকে প্রতিভার সংকট দেখা দিয়েছে। আন্ডারগ্রাউন্ড জেনারেশানের যে বিপ্লব শুরু হয়েছিল আর্টসেল, ব্লাক, শিরোনামহীন, অর্থহীনকে দিয়ে সেটা হঠাতই মিইয়ে গেছে। প্রফেশানল মিউজিশিয়ানরা মিউজিক ছেড়ে চাকরি কিংবা ব্যবসায় জড়িয়ে গেছে। কেউ কেউ হয়ে গেছে মডেল কিংবা রাধুনি (তাহসানরে কিছু বলা হয় নাই, হে হে)। ফলে খেলার মাঠ ফাকাই ছিল।



৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম। অনেক কিছু জানলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.