নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার খোলস মাত্র! আমি মানে একজন নষ্ট হয়ে যাওয়া মানুষ, ব্যর্থ প্রেমিক, দারুন একজন পাঠকের অপমৃত্যু, লেখক পরিচয় দিতে লজ্বাবোধ করি। তবে আমার ভেতরে যিনি লেখালেখির চেষ্টা করতেন তিনিও শয্যাশায়ী!।।

তেলাপোকা রোমেন

যে শহরে আমি নেই আমি থাকবোনা,সেই শহরে তোমাকে ছুয়ে দেবে বিষাক্ত রোদ্দুর,ছায়াহীন মেঘ,বারুদে ঝাঝালো বাতাস,ন্যাপথলিনের উগ্রতা।

তেলাপোকা রোমেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়েদের স্কুল-কলেজে পাঠাবেন না।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫৮



সকাল বেলা প্রথম আলোর খবরে চোখ আটকে গেল। সেখানে আহমদ শফি বলছেন-

আপনাদের মেয়েদের স্কুল-কলেজে দেবেন না। বেশি হলে ক্লাস ফোর বা ফাইভ পর্যন্ত পড়াতে পারবেন। বিয়ে দিলে স্বামীর টাকা পয়সা হিসেব করতে হবে। চিঠি লিখতে হবে স্বামীর কাছে। আর বেশি যদি পড়ান, পত্রপত্রিকায় দেখছেন আপনারা, মেয়েকে ক্লাস এইট, নাইন, টেন, এমএ, বিএ পর্যন্ত পড়ালে ওই মেয়ে আপনার মেয়ে থাকবে না। অন্য কেহ নিয়ে যাবে। পত্রপত্রিকায় এ রকম ঘটনা আছে কিনা? ওয়াদা করেন। বেশি পড়ালে মেয়ে আপনাদের থাকবে না। টানাটানি করে নিয়ে যাবে আরেকজন পুরুষ।

!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আমার গা গুলিয়ে আসছে। কিছু লিখতে পারছিনা ওনার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে। মানুষের মৌলিক চাহিদার বিপরীতে দাঁড়ানো একজন শুঁয়োরের বাংলাদেশ নামের একটা স্বাধীন দেশে বেচে থাকার অধিকার কতটুকু আছে ভেবে দেখুন। অথচ এই লোকটাই ৫ই- মে তারিখে শাহবাগে নিষ্পাপ মাদ্রাসা ছাত্রদের বুর্জোয়া রাইফেলের মুখোমুখি করে দিয়ে সরে পড়েছে। তাদের রাস্তায় নামিয়ে আনা হয়েছিল আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে!! অথচ নির্বাচনের আগে আওয়ামীলীগের পা চেটে বা আওয়ামীলীগের লোকজন তার পা চেটেছে, উনিও শেখ হাসিনার পা চেটে বলেছেনঃ প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে!!



তিনি কোন এক আলোচনা সভায় বলেছিলেনঃ কেউ কেউ বলছেন, আমি আওয়ামী লীগ হয়ে গিয়েছি। তারা মিথ্যা কথা বলছেন। তবে আওয়ামী লীগ হয়ে গেলেও কোনও আপত্তি নেই।

যেই আওয়ামিলীগ নাস্তিক ছিল। শেখ হাসিনা নাস্তিকের তোষনকারী ছিল সেই শেখ হাসিনাকে তিনি সংবর্ধনা দিতে চেয়ে বলেছিলেনঃ

কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমান স্বীকৃতি দিয়ে জাতীয় সংসদে বিল পাস করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমি সংবর্ধনা দিতে চাই!!



অথচ এই তেতুল হুজুর বলেনঃ ‘আমার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। রাজনৈতিক কোনো দলের সঙ্গে আমার বা হেফাজতে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। তাই আমার কোনো সিদ্ধান্ত ও কর্মকৌশলকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার কোনো সুযোগ নেই।’

আমাদেরো আসলে দৃষ্টিকোণ পরিবর্তন করতে হবে। দৃষ্টিকোণ পরিবর্তন করতে হবে ব্লগে থাকা এদের দোসরদের মুরিদদের। যারা শফি হুজুরের এইসব কর্মকাণ্ড আর তার অর্থনৈতিক যোগানদাতাদের জামাত বা বি,এন,পি র উপর চাপিয়ে দিয়েছিলেন।

ব্লগার স্বাধীন ২০১৩ সালের এক পোস্টে বলেছিলেনঃ

খালেদা জিয়া ৯১ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখনও এই শফি এমন দাবী নিয়ে মাঠে নামেননি। কারন হিসেবে বলা যায়, তখন তারা ছিলেন বিএনপির দোসর। আল্লামা শফি সম্প্রতি বগুড়া জনসভা করলেন হেলিকপ্টারে চড়ে। যার ভাড়া ছিল প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকা। আমরা সবাই জানি কওমি মাদ্রাসা চলে দান, সদকা, যাকাত, চামড়া আর ফিতরার টাকায়। সেই টাকা দিয়ে মাদ্রাসার প্রধান যখন রাজকীয়তার সাথে বিলাস বহুল ভাবে হেলিকপ্টারে ভ্রমন করে, তখন প্রশ্ন জাগে এই টাকার উৎস কি? এর জোগান দাতা কারা? একটু লক্ষ্যে করলেই দেখা যাবে এর উৎস জামায়াতে ইসলামী। কেননা তাদের ব্যাংক, বীমা, রিয়েল এস্টেট, ফার্মেসী, কোচিং ব্যবসা রয়েছে। এই অর্থে হেফাজতের নেতারা সারা দেশে শানে রেসালত এর নামে সরকার বিরোধী জনসমাবেশ করে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন। আগামী ৫ই মে তাদের ঢাকা অবরোধ কর্মসুচী রয়েছে। এই উপলক্ষ্যে প্রচার প্রচারনার ঘাটতি নেই। মুলত ঘুম নেই জামায়াত শিবির কর্মীদের চোখে। তাদের উদ্দেশ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করা। হেফাজতের নেতারা সবাই ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মী দেশবাসী এ বিষয়ে ইতিমধ্যে অবগত হয়েছে। তাদের আন্দোলনে মানুষের কোন অর্থনৈতিক মুক্তি তথা মানব মুক্তির কথা উল্লেখ নেই। সচেতন মহল এই রাজাকারদের ডাকে কখনও সাড়া দিবে না বরং প্রতিহত করে তাদেরকে উপযুক্ত জবাব দিবে এ প্রত্যাশা দেশবাসী এখনও করে থাকে।

পোস্ট আর দীর্ঘায়িত করব না। প্রিয় কয়েকলাইন রেখে গেলাম।

বারবারা, এসো,
রবিশঙ্করের সুরে সুরে মুমূর্ষু মানবতাকে গাই-
বিবেকের জংধরা দরোজায় প্রবল করাঘাত করি
অন্যায়ের বিপুল হিমালয় দেখে এসে ক্রুদ্ধ হই, সংগঠিত হই
জল্লাদের শাণিত অস্ত্র
সভ্যতার নির্মল পুষ্পকে আহত করার পূর্বে,
দর্শন ও সাহিত্যকে হত্যা করার পূর্বে
সঙ্গীত ও চিত্রকলাকে ধ্বংস করার পূর্বে
ছাড়পত্রহীন সূর্য কিরণকে বিষাক্ত করার পূর্বে
এসো বারবারা, বজ্র হয়ে বিদ্ধ করি তাকে।



মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দেশের ধর্মান্ধ ও অকাট মূর্খ লোকদের জন্য এইসব তথাকথিত হুজুররা বহাল তবিয়তে টিকে আছে।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩২

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ধর্মপ্রাণ আর ধর্মান্ধ কথা দুটির মধ্যে বিস্তর ফারাক। আমাদের দেশের অধিকাংশ পুরুষ-ই ভেতরে ভেতরে একজন তেঁতুল হুজুর-কে ধারণ করেন। আর তাই এইসব হিপোক্রেট নির্লজ্জ আল্লামা শফি-রা এই ধরণের বাণী এখনও দিতে পারে এই দেশে।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৮

আখ্যাত বলেছেন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক সেই শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী এবং শফি সাহেব একতান কণ্ঠে নির্দেশ দিয়েছিলেন, “সোসাল মিডিয়ায় প্রচারিত কোন গুজোব বা অপপ্রচারে আপনারা কান দেবেন না।”
সেই নির্দেশ অমান্য করার জন্য আপনাকে রিমান্ডে পাঠানো যেতে পারে।

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০৭

বলেছেন: মাথা গরম হইয়া যাওয়নের কার্বার।

৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৮

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: মন্তব্য করার কিছুই নেই!!!

৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ইসলাম ধর্মে শিক্ষার অধিকার নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য উম্মুক্ত।

৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫৮

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: উনাকে জ্বীনে ধরছে।

৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: এই মানুষগুলো দেশের মুসলিমদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ভাবা যায়।

৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫

আবদুল মমিন বলেছেন: বাংলার মেলা বলেছেন ; কথা তো উনি ভুল বলেন নাই। এখনকার ফাজিল 'মাইয়া'রা তো ক্লাস ফাইভ থেকেই বয়ফ্রেন্ড খুঁজতে শুরু করে দেয়। এস এস সি পরীক্ষা দিয়েও একটা বয়ফ্রেন্ড জোটাতে না পারলে ঐ বয়েসী মেয়ের ইজ্জত থাকেনা - বান্ধবীরা হাসাহাসি করে।

তবে আপনি ঠিক করুন, শফি হুজুরের কথা শুনবেন, নাকি রাসূল (স) এর কথা শুনবেন? নবীজি (স) নারী পুরুষ সকলের উপর ইলম অর্জন ফরজ করেছেন।

১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১০

রাজীব নুর বলেছেন: ২ নিং মন্তব্যকারী আমার মনের কথা বলে দিয়েছেন।

১১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪৬

বক বলেছেন:




গতকালের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীঃ-
____________________________________________

আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার ১১৮ তম মাহফিলে দেয়া শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী'র একটি বক্ত্যবের খণ্ডাংশ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। এতে করে বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায় শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী'র কার্যালয় থেকে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
গতকাল ১১ জানুয়ারি ২০১৯ ইং তারিখে আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী'র বার্ষিক মাহফিলে দেয়া আমার বক্তব্যের একটি খণ্ডাংশ বিভিন্ন মিডিয়ায় ভুল ভাবে উপস্থাপন করায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি।

বক্তব্যে আমি মূলত বলতে চেয়েছি ইসলামের মৌলিক বিধান পর্দার লঙ্ঘন হয়, এমন প্রতিষ্ঠানে মহিলাদের পড়াশুনা করানো উচিৎ হবেনা। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এখানে শিক্ষা থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনাসহ যাবতীয় সকল কিছুই রয়েছে। ইসলামে নারীদের শিক্ষার বিষয় উৎসাহিত করা হয়েছে এবং সকলেই অবগত যে, উম্মুল মুমিনিন হজরত মা আয়িশা রাঃ ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস। তিনি শিক্ষাগ্রহণ না করলে উম্মত অনেক হাদিস থেকে মাহরুম হয়ে যেত।

তবে এর পাশাপাশি ইসলামের একটি মৌলিক বিধান হচ্ছে পর্দা। নারীদের পর্দার বিষয় ইসলামে সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। আমি আমার বক্তব্যে বলতে চেয়েছি, শিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে যেন পর্দার বিধান লঙ্ঘন করা না হয়। কারণ আমাদের দেশের বেশীরভাগ সাধারণ শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে সহশিক্ষা দেয়া হয়, অর্থাৎ ছেলে-মেয়ে একই সাথে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। এতে করে পর্দার লঙ্ঘন হয়। আমি মূলত এই সহশিক্ষা গ্রহণেই মানুষকে সতর্ক করতে চেয়েছি।

আমি জানতে পেরেছি যে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আমাকে নারী বিদ্বেষী ও নারী শিক্ষা বিদ্বেষী বলে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দাড় করাচ্ছে। আমি হাইয়াতুল উলইয়ালিল জামিয়াতিল কওমিয়া'র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আপনারা জানেন যে হাইয়ার অধীনে হাজার হাজার নারী শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার সনদ গ্রহণ করে থাকেন। ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান প্রধান করেছেন। এতে করে আমাদের দেশের লাখো মাদরাসা ছাত্র ও ছাত্রীরা দাওয়ারে হাদিস পাশ করে মাস্টার্সের সমমান অর্জন করছেন।

যে সম্মিলিত বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়ে হাজার হাজার নারী রাষ্ট্র স্বীকৃত উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত বলে পরিগণিত হচ্ছে, সেই বোর্ডের প্রধান হয়ে আমি কিভাবে নারী শিক্ষার বিরোধী হলাম তা বোধগম্য নয়।

আমি আবারো বলছি যে, আমি বা আমরা নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে নই, তবে নারীর জন্য নিরাপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয় আমরা আগেও সতর্ক করেছি, এখনো করছি। আমরা চাই নারীরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হোক, তবে সেটা অবশ্যই নিরাপদ পরিবেশে থেকে এবং ইসলামের মৌলিক বিধানকে লঙ্ঘন না করে। শিক্ষা গ্রহণ অবশ্যই জরুরী, তবে সেটা গ্রহণের জন্য আমরা আমাদের কন্যাদের অনিরাপদ পরিবেশে পাঠাতে পারিনা।

আমরা যেমন নিরাপদ পরিবেশে রেখে নারীদের সর্বোচ্চ শিক্ষায় (দাওরায়ে হাদিস সমমান মাস্টার্স) শিক্ষিত করে যাচ্ছি, আপনারাও সেভাবে নিরাপদ ব্যবস্থা করে শিক্ষা দান করুন। আমরা উৎসাহিত করব আপনাদের।

আমরা চাই এ দেশের নারীরা শিক্ষিত হোক, কারণ মা শিক্ষিত হলেও সন্তান সঠিক শিক্ষা পাবে। নারীদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য পরিবেশ তৈরি করুন। যেখানে পরিচালক থেকে শুরু করে কর্মকর্তারা সকলেই নারী থাকবেন। সে ধরনের শিক্ষা দানের ব্যবস্থা থাকলে আমরা তাতে উৎসাহিত করবো ইন শা আল্লাহ।
হেফাজতের ১৩ দফা দাবীতেও নারীদের জন্য নিরাপদ শিক্ষার কথা উল্লেখ আছে। তাছাড়াও কথাটি আমি মাহফিলে আগত মেহমানদের উদ্দেশ্যে বলেছি। তারা যেন ধর্মীয় বিধান সম্পর্কে অবগত হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে তা বাস্তবায়নের জন্য নয়।

পরিশেষে আমি অনুরোধ করব যে, আমার বক্তব্যের খণ্ডাংশ প্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করবেন না।

(শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ) আহমদ শফী
১২/০১/২০১৯
গতকালের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীঃ-
____________________________________________

আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার ১১৮ তম মাহফিলে দেয়া শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী'র একটি বক্ত্যবের খণ্ডাংশ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। এতে করে বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায় শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী'র কার্যালয় থেকে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
গতকাল ১১ জানুয়ারি ২০১৯ ইং তারিখে আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী'র বার্ষিক মাহফিলে দেয়া আমার বক্তব্যের একটি খণ্ডাংশ বিভিন্ন মিডিয়ায় ভুল ভাবে উপস্থাপন করায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি।

বক্তব্যে আমি মূলত বলতে চেয়েছি ইসলামের মৌলিক বিধান পর্দার লঙ্ঘন হয়, এমন প্রতিষ্ঠানে মহিলাদের পড়াশুনা করানো উচিৎ হবেনা। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এখানে শিক্ষা থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনাসহ যাবতীয় সকল কিছুই রয়েছে। ইসলামে নারীদের শিক্ষার বিষয় উৎসাহিত করা হয়েছে এবং সকলেই অবগত যে, উম্মুল মুমিনিন হজরত মা আয়িশা রাঃ ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস। তিনি শিক্ষাগ্রহণ না করলে উম্মত অনেক হাদিস থেকে মাহরুম হয়ে যেত।

তবে এর পাশাপাশি ইসলামের একটি মৌলিক বিধান হচ্ছে পর্দা। নারীদের পর্দার বিষয় ইসলামে সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। আমি আমার বক্তব্যে বলতে চেয়েছি, শিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে যেন পর্দার বিধান লঙ্ঘন করা না হয়। কারণ আমাদের দেশের বেশীরভাগ সাধারণ শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে সহশিক্ষা দেয়া হয়, অর্থাৎ ছেলে-মেয়ে একই সাথে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। এতে করে পর্দার লঙ্ঘন হয়। আমি মূলত এই সহশিক্ষা গ্রহণেই মানুষকে সতর্ক করতে চেয়েছি।

আমি জানতে পেরেছি যে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আমাকে নারী বিদ্বেষী ও নারী শিক্ষা বিদ্বেষী বলে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দাড় করাচ্ছে। আমি হাইয়াতুল উলইয়ালিল জামিয়াতিল কওমিয়া'র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আপনারা জানেন যে হাইয়ার অধীনে হাজার হাজার নারী শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার সনদ গ্রহণ করে থাকেন। ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান প্রধান করেছেন। এতে করে আমাদের দেশের লাখো মাদরাসা ছাত্র ও ছাত্রীরা দাওয়ারে হাদিস পাশ করে মাস্টার্সের সমমান অর্জন করছেন।

যে সম্মিলিত বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়ে হাজার হাজার নারী রাষ্ট্র স্বীকৃত উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত বলে পরিগণিত হচ্ছে, সেই বোর্ডের প্রধান হয়ে আমি কিভাবে নারী শিক্ষার বিরোধী হলাম তা বোধগম্য নয়।

আমি আবারো বলছি যে, আমি বা আমরা নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে নই, তবে নারীর জন্য নিরাপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয় আমরা আগেও সতর্ক করেছি, এখনো করছি। আমরা চাই নারীরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হোক, তবে সেটা অবশ্যই নিরাপদ পরিবেশে থেকে এবং ইসলামের মৌলিক বিধানকে লঙ্ঘন না করে। শিক্ষা গ্রহণ অবশ্যই জরুরী, তবে সেটা গ্রহণের জন্য আমরা আমাদের কন্যাদের অনিরাপদ পরিবেশে পাঠাতে পারিনা।

আমরা যেমন নিরাপদ পরিবেশে রেখে নারীদের সর্বোচ্চ শিক্ষায় (দাওরায়ে হাদিস সমমান মাস্টার্স) শিক্ষিত করে যাচ্ছি, আপনারাও সেভাবে নিরাপদ ব্যবস্থা করে শিক্ষা দান করুন। আমরা উৎসাহিত করব আপনাদের।

আমরা চাই এ দেশের নারীরা শিক্ষিত হোক, কারণ মা শিক্ষিত হলেও সন্তান সঠিক শিক্ষা পাবে। নারীদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য পরিবেশ তৈরি করুন। যেখানে পরিচালক থেকে শুরু করে কর্মকর্তারা সকলেই নারী থাকবেন। সে ধরনের শিক্ষা দানের ব্যবস্থা থাকলে আমরা তাতে উৎসাহিত করবো ইন শা আল্লাহ।
হেফাজতের ১৩ দফা দাবীতেও নারীদের জন্য নিরাপদ শিক্ষার কথা উল্লেখ আছে। তাছাড়াও কথাটি আমি মাহফিলে আগত মেহমানদের উদ্দেশ্যে বলেছি। তারা যেন ধর্মীয় বিধান সম্পর্কে অবগত হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে তা বাস্তবায়নের জন্য নয়।

পরিশেষে আমি অনুরোধ করব যে, আমার বক্তব্যের খণ্ডাংশ প্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করবেন না।

(শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ) আহমদ শফী
১২/০১/২০১৯

১২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫০

মুহাম্মাদ খাইরুল ইসলাম বলেছেন: ধর্মান্ধদের পরিমান আসলেই বেশী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.