নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার খোলস মাত্র! আমি মানে একজন নষ্ট হয়ে যাওয়া মানুষ, ব্যর্থ প্রেমিক, দারুন একজন পাঠকের অপমৃত্যু, লেখক পরিচয় দিতে লজ্বাবোধ করি। তবে আমার ভেতরে যিনি লেখালেখির চেষ্টা করতেন তিনিও শয্যাশায়ী!।।

তেলাপোকা রোমেন

যে শহরে আমি নেই আমি থাকবোনা,সেই শহরে তোমাকে ছুয়ে দেবে বিষাক্ত রোদ্দুর,ছায়াহীন মেঘ,বারুদে ঝাঝালো বাতাস,ন্যাপথলিনের উগ্রতা।

তেলাপোকা রোমেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাপিত জীবনের গল্প।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩০



১। শফিক ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরছিলেন। প্রচুর খাওয়াদাওয়া করেছেন। ট্রেন আসতে ঘন্টাখানেক লেগে যাবে। সময়টাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। স্টেশনে এসে চা খাওয়ার পর সিগারেটে দুটো টান দেবার পর পেটের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠেছিল। তিনি টুপ করে টয়লেটে ঢুকে পড়লেন।

টয়লেট শেষ করে করে স্বস্তি নিয়ে তিনি বের হলেন। শফিকের হাতে একটা ট্যিসুপেপারে মোড়া দুটো পাচ টাকার কয়েন। কয়েনগুলো টিস্যু দিয়ে মোড়ানো কারন এগুলো প্যান্ট পরার সময় নোংরা ফ্লোরে পড়ে গিয়ে গু-মুত মেখে গেছে। যেহেতু টাকা, চট করে ফেলে দেয়া যাচ্ছেনা। প্লাটফর্মের দক্ষিণ পাশে শরবত বিক্রি হচ্ছে। শফিকের শরবত প্রিয়। এই দশ টাকা দিয়ে শরবত খেয়ে উদ্ধার পাওয়া যেতে পারে।

শফিক শরবতের অর্ডার দিয়ে ট্যিসু থেকে কয়েন গুলো শরব ওয়ালার সামনে রাখলো। শরব্ত ওয়ালা চটপট কয়েনগুলো হাতে নিয়ে ক্যাশে ঢুকালো। স্টেশনে চারিদিকে চোরছ্যাঁচড়। শরবত ওয়ালা সেই হাত দিয়ে বরফ কাটা শুরু করেছন। শফিকের গা গুলাচ্ছে, পেটের মধ্যে মোচড় দিয়ে উঠছে।

২। শফিকের ভাই রফিক। রফিকের একটা ইন্টারেস্টিং গল্প আছে। কিন্তু সে এই গল্প বলতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেনা। শফিক তখন সবেমাত্র ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে রাজশাহী ইন্যুভার্সিটির ফর্ম কিনেছে। কিন্তু কোনমতে পাশ করে আসা রফিক কিভাবে ভার্সিটি ভর্তি পরিক্ষাতে পাশ করবে বুঝতে পারছেনা এগিয়ে এলেন বড়ভাই শফিক। তিনি রফিকের হয়ে ভর্তি পরীক্ষাটা দিয়ে দিলেন! রফিক ফাইনালি একটা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে গেল!!

এদিকে ১০ বছর পেরিয়ে গেছে। শফিক এখন একজন সরকারি কর্মকর্তা। পড়াশোনা করে বিসিএস নামের সোনার হরিণ বাগিয়ে নিয়েছে! রফিক ও এলাকায় দেমাগ নিয়ে চলে। রফিক অপেক্ষা করছে একদিন সে ও ...................

৩। রফিকের খালাতো ভাই সুমন। পড়াশোনার পার্ট চুকিয়ে সে স্থানীয় পাটকলের ম্যানেজার। টাকাপয়সা এশ আছে। কিন্তু সুমনের কোন সন্তান নেই। সুমন হতাশায় ভোগে। পীরবাড়ি হাটাপেটা করতে করতে সে ক্লান্ত।

একদিন হুট করে জানা গেল সুমনের স্ত্রী সন্তান সম্ভাবা। এই দারুণ খবরে সবাই বেজায় খুশি। এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হল। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সুমন পুত্রসন্তানের বাবা হল। প্রচণ্ড আদর যত্নে ছেলেটি বড় হচ্ছে।

অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে সুমনের ছেলেটি দেখতে হুবহু রফিকের মত। রফিকের মত ছেলেটিরও বাম চোখটা একটু ছোট।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা হায়----- মানে কি!!!!

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা হায়----- মানে কি!!!!

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৫

হাবিব বলেছেন: ভালো লাগলো

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: টুইস্ট আছে B-))

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.