![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কাঠখোট্টা অসামাজিক একটা মানুষ। কথা বলার মতো বিরক্তিকর কাজ দ্বিতীয়টা নেই, তাই লেখালেখি বেছে নিয়েছি। বর্তমানে পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগে।
আমার একটা গোঁয়ারের মত ধারণা আছে। হাজার তর্ক করেও কেউ আজ অবধি আমাকে এই ধারণা/অন্ধ বিশ্বাস থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেনি। সেটা হলো, বাঙালীদের এই তেল মশলাযুক্ত, ভারী খাদ্যাভাসের কারণেই আমাদের এত ব্যারাম-পীড়া হয়, কথায় কথায় মুড়ি মুড়কির মত পেইন কিলার আর এন্টিবায়োটিক গিলতে গিলতে ভেতরের কলকব্জা সব তেজপাতা হয়ে যায় এবং সর্বোপরি, লাইফ এক্সপেকটেন্সি বিনাশ্চর্যভাবে কমে যায়।
জাপানীরা যে সুশি খেয়ে অভ্যস্ত সেটা কিন্তু পরিপাটি করে পরিবেশন করা মশলাবিহীন ফ্রেশ মাছ, ভাত আর সবজী বৈ অন্য কিছু না। ওই কাঁচা মাছ খেয়েও যদি জাপানীদের গড় আয়ু ৮৪ বছর হতে পারে তাহলে আমি কেন মশলা ছাড়া খাবার খেয়ে একটা মাসও টিকে থাকতে পারব না?
তাই পণ করলাম, এই মাসে আর মশলাযুক্ত খাবার পাতে পড়বেনা। স্রেফ সবজী খেয়ে দিনাতিপাত করব। এই মিশনের অংশ হিসেবেই আজ রান্না করলাম এই... বিশেষ মশলা ছাড়া সবজী। উল্লেখ্য, আমি সেইরকম রান্নাবান্না পারিনা। টিভিতে মাস্টারশেফ আর ইউটিউবে রান্নার ভিডিও দেখে একটু ঢংঢাং করি আরকি, কিন্তু এই অধম মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্তই। কাজেই অভিজ্ঞ রাঁধুনি ব্লগার ভাইবোনেরা আমার রেসিপি দেখে চোখ কপালে তুললেও তুলতে পারেন।
যা যা আমি ব্যবহার করেছি এই সবজী রাঁধতে, তা নিচের ছবিগুলোতে যতটুকু কিপ্টুস পরিমাণে দেখছেন, ঠিক ততটুকুইঃ
টমেটো, নতুন আলু, মরিচ, কাজুবাদাম বা আলমন্ড, পেঁয়াজ এবং রসুনের এক কোয়া।
(সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ফোন দিয়ে তোলা তো, তাই ছবির কোয়ালিটি এহেন চমৎকার এসেছে। কোয়ালিটির জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।)
ফকিরের মত একটা বরবটি দিয়ে রান্না করার জন্য আমি একদমই দুঃখ প্রকাশ করব না। ফ্রিজের এক কোণায় অসহায়ের মত এই একটা বরবটিই পড়ে ছিল। আর ফুলকপিখানার চোখ ধাঁধানো ফকফকে হাসি দেখে অবাক হবার কিছু নেই, ওটা গোপালগঞ্জের কপি। আর শালগমটার যে ডাঁটগুলো দেখছেন, খোসাসহ ওগুলো ফেলে দিয়ে রান্না করা হয়- সেটাই স্বাভাবিক মানুষের কাজ। কিন্তু আমি যেহেতু তা নই, কাজে ওই ডাঁটগুলোও এই সবজীতে দিয়ে দিয়েছি। খেতে খারাপ লাগেনি।
রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ এবং এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। রান্নার জন্য সবচে' স্বাস্থ্যকর তেল হলো এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল।
যে সবজীগুলো সেদ্ধ করে নিতে হবে, সেগুলো সেদ্ধ করে নিয়েছি। ফুলকপি, শালগম, আলু, কাজুবাদাম সেদ্ধ করে নিয়েছি এমনভাবে যেন বেশী নরম না হয়ে যায় এবং সবজীগুলো চাবানোর মত সলিড থাকে। তারপর পানি ঝরিয়ে সবজীগুলো আলাদা পাত্রে পরিমাণমত লবণ মেখে রেখে দিয়েছি। এরপর ফ্রাইপ্যানে অল্পখানিকটা তেল দিয়ে রসুনটা হালকা বাদামী করে ভেজেছি।
আমরা যে ভুলটা সাধারণত করি সেটা হলো, পেঁয়াজ আর রসুন একইসাথে তেলে ভেঁজে নেই কিছু রাঁধতে দরকার হলে। অথচ পেঁয়াজ এবং রসুনের দুটা সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদ। একইসাথে যখন দুটা ভিন্ন স্বাদের জিনিষ ফুটন্ত তেলে দিয়ে ভেঁজে নিচ্ছি, কোনোটারই ডিসটিঙ্গুইশড ফ্লেভারটা কিন্তু পাচ্ছিনা। কাজেই আমি আগে রসুনটা খানিকক্ষণ নেড়ে বাদামী করে নিয়ে পরে পেঁয়াজকুচিটা দিয়ে বরবটি আর শালগমের ডাটগুলো কিছুটা মুচমুচে করে ভেঁজে নিয়েছি।
তারপর সেদ্ধ করে রাখা সবজীগুলো ওর মধ্যেই sauté করে নিয়েছি।
ব্যস!
পরিবেশনের কোনো ছবি না দিতে পারার জন্য দুঃখিত, রান্না শেষে কড়াই থেকেই তুলে খেয়ে ফেলেছিলাম।
খেতে খুবই মজা হয়েছিল, বাই দ্য ওয়ে।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার রেসিপি তো ভালোই। মশলা ছাড়া খাবার খেতে পারলে অসুখ বিসুখ অনেক কমে যেত। আমি একবার অয়েল ফ্রি কুকিং খাওয়ার জন্য ওয়াইফের কাছে বায়না ধরেছিলাম। কিন্তু এই ভদ্রমহিলা আমার আবদার শুনে এমনভাবে আমার দিকে তাকিয়েছিলেন যেন আমি অন্য কোন গ্রহ থেকে এসেছি। হাঃ হাঃ হাঃ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪৪
দ্যা গার্ল ইন ব্লু গ্লাসেস বলেছেন: আসলে স্পাইসি খাবারদাবার আমাদের মধ্যে এমনভাবে প্রোথিত হয়ে গিয়েছে যে চাইলেও এখন স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসে মানিয়ে নেওয়াটা কঠিন। আমার উদ্ভট রেসিপি পড়া এবং কষ্ট করে কমেন্ট করবার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই!
৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫৭
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: এই খাবার গলা দিয়ে নামবে না আপু ।
ধন্যবাদ তবুও রেসিপি শেয়ার করার জন্য ।
বর্ননা দারুন ছিল ।
৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই সবজি গুলো এমন সিম্পল করে খাবার জন্য পারফেক্ট !!
আপনার রান্না ভালো হয়েছে বোঝা যাচ্ছে ।
৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৯
সনেট কবি বলেছেন: কিছুটা পড়লাম।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি ঢ়েড়স রান্না করি বিনা মসলায়