![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্কুল পালানো,বন্ধু, আড্ডা — স্কুল জীবনের এই বিক্ষিপ্ত স্মৃতিগুলো খুব তাড়া করে বেড়ায়।জীবনের একটা অসামান্য অধ্যায়। ইদানীং খুব নস্টালজিয়ায় ভুগি।সময়টা থেমে থাকলে মন্দ হতো না।
The 400 Blows (1959),অনেকদিন আগে দেখা মুভিটা আবার দেখলাম। অসাধারণ এই মুভিটা পুরোনো দিনের অনেক কথা মনে করিয়ে দিল।হাউএভার, আপনি একজন মুভি অ্যাডিক্ট এবং আপনি এই মুভিটা দেখেননি — এটা হতেই পারে না।
Title : The 400 Blows
Original Title :Les Quatre Cents Coups
Release Date :16 November, 1959
Director :François Truffaut
Country /Language : France /French
IMDb:8.2 (http://m.imdb.com/title/tt0053198/)
Rotten Tomatoes : 100%
Running Time:99 mins
Genre: Crime, Drama
ডিরেক্টর ফ্রাঁসোয়া ত্রুফোর ডেব্যু The 400 Blows। ফ্রেঞ্চ নিউ ওয়েভে এই মুভি একটি প্রারম্ভিক ও প্রভাব বিস্তারকারী মাইলফলক। ফরাসি আর্ট ফিল্ম অভ্যুত্থানে পথপ্রদর্শক কাজগুলোর মধ্যে এটা অন্যতম। মুভির গল্পটা সদ্য কৈশোরে উপনীত একটা ছেলেকে কেন্দ্র করে।সহজ সরল মনোভাব নিয়ে সে নিরীহ কিছু দুষ্টুমি করে।কিন্তু অদ্ভুত পৃথিবীটা তার সামনে বারবার জীবনের জটিলতাগুলোকে হাজির করে।ফ্রাঁসোয়ার এই সেমি- অটোবায়োগ্রাফিক্যাল মুভি অচিরেই ক্লাসিকের মর্যাদা পায়।
১৯৫৯ সালে মুভিটা রিলিজ পায়।সিনেমা মহলে এটা তুমুল সাড়া ফেলে।তখনকার সমসাময়িক পরিচালকদের কাজে এটা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।এটা বললে মোটেও অত্যুক্তি হবে না যে The 400 Blows ফ্রেঞ্চ মুভি মুভমেন্টে যথেষ্ট আধিপত্য বিস্তার করে।
The 400 Blows অনেকগুলো অ্যাওয়ার্ড ও নমিনেশন পায়।এর মধ্যে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট ডিরেক্টর পাওয়া এবং অস্কারে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট রাইটিং বিভাগে নমিনেটেড হওয়া উল্লেখযোগ্য। প্রায় সব মুভি ক্রিটিকদের মতে, "The 400 Blows : One of the greatest films of all time"। IMDb টপ ২৫০ এর লিস্টে মুভিটা জায়গা করে নেয় ১৮১ র্যাঙ্কিং-এ।
কৈশোরে উপনীত Antoine Doinel (Jean-Pierre Léaud)কে কেন্দ্র করে গল্পটা গড়ে ওঠে।৫০ এর দশকের শুরুর দিকে প্যারিসের কোনো এক স্কুলে ক্লাস চলাকালীন মুহুর্তকে ক্যামেরাবন্দি করে মুভির পর্দা উত্থিত হয়।দুষ্টুমি বা স্কুল পালানো — কোনো কিছুতেই কম যায় না ছেলেগুলো।Antoine Doinel ও এদের ব্যতিক্রম নয়।কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সে যাই করতে যায় তাতেই শেষমেশ ধরা পড়ে যায়। প্রিয় বন্ধু René Bigey (Patrick Auffay) কে নিয়ে সে স্কুল পালায়।সারাদিন অনেক ঘোরাঘুরি, মুভি দেখা,মজা করা — জীবনকে উপভোগ করার ব্যাপারগুলো সম্ভবত এরাই পুরোপুরি আয়ত্ত করেছিল।পরে অবশ্য এই শিশুতোষ কারণে Antoine কে চড়া মূল্য দিতে হয়েছিল।
Antoine Doinel এর পারিবারিক জীবনেও জটিলতা কম ছিল না।সৎ বাবা এবং মায়ের অবহেলার কারণে ঘর কখনো তাকে তেমন টানতে পারেনি। আবার স্কুলের গৎবাঁধা আর একঘেয়ে নিয়ম কানুন, ঘুরেফিরে শিক্ষকের অত্যাচার — স্কুল লাইফের বিষাক্ত অনুভূতিগুলো তাকে স্কুলবিমুখ করার জন্য যথেষ্টই দায়ী। একারণে Antoine বারবার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়,স্কুল ছেড়ে দেয়।একেবারে স্বাধীন জীবনযাপন করার জন্য সে মুহুর্তে টাকার যথেষ্ট প্রয়োজন। Antoine ভেবেচিন্তে প্ল্যান দাঁড় করায়।বন্ধু René এর সাহায্যে Antoine তার বাবার অফিস থেকে টাইপরাইটার চুরি করে।
এবার নিজের মতো জীবনযাপন করতে আর কোনো আর্থিক সমস্যা থাকার কথা নয়।
কিন্তু সমস্যা হলো, গুরুতর সমস্যা। সারাদিন টাইপরাইটার নিয়ে বন্ধুর সাথে রাস্তায় রাস্তায় ঘোরাঘুরি হলো।একসময় Antoine ঠিক করল সে টাইপরাইটার ফিরিয়ে দিবে।এবং ফিরিয়ে দিতে গিয়ে খুব করুণভাবে ধরা পড়ে গেল।তারপর কী হলো নাহয় নাই বললাম। কাহিনীর মূল উৎকর্ষ এখনো বাকি।
মুভির শেষ দৃশ্যটা খুব বিহ্বল করে দেয়।
এই ক্লাসিক কাজ না দেখে থাকলে দেখে ফেলতে পারেন,নিজেকে বঞ্চিত করার কোনো কারণ দেখছিনা।
মুভিতে সবার অভিনয়ই ভালো হয়েছে। সমসাময়িক সমাজব্যবস্থা, জীবনাচরণগুলো খুব চমৎকারভাবে দেখানো হয়েছে। মুভির দৃশ্যায়ন মনোমুগ্ধকর।আর অনবদ্য সাউন্ডট্র্যাক যথেষ্টই চিত্তাকর্ষক।
*এফবিতে মুভি অ্যান্ড সিরিজ অ্যাডিক্টেড গ্রুপে এই রিভিউটা প্রথম লিখেছিলাম।
fb তে রিভিউ লিঙ্ক: Click This Link
©somewhere in net ltd.