নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেউ কেউ আছে যারা নিজের ঢোল নিজে বাজায় না। আবার কেউ কেউ অপরের কাছে ঢোল বাজানোর দায়িত্ব দেয়। সেখানে কিন্তু ঢোল ফেটেই যায়।

তারুণ্যের শক্তিতে জাগুক এই দেশ। ছিনিয়ে আনুক নতুন সকাল

ঠোঁটকাটা০০০৭

নিজের সাথে প্রতারণা করি না। যেটা বিশ্বাস করি, সেটাই লিখি

ঠোঁটকাটা০০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিয়ার কফিনে তারেকের পেরেক

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫

তারেক জিয়া এবং খালেদা জিয়া বলেছে- জিয়াই বাংলাদেশের প্রথম পেসিডেন্ট। কথাটা একেবারে মিথ্যে নয়, স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করার সময় তিনি নাকি ভুল করে নিজেকে প্রেসিডেন্ট বলে ফেলেছিলেন। অতএব তারেক বাবা এবং খালেদা বিবির কথাটা মিথ্যে বলবো কিভাবে। তবে--

১. জিয়া কি প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য শপথ পড়েছিলেন?

২. তিনি কি প্রেসিডেন্ট হিসেবে গার্ড অব অনার নিয়েছিলেন?

৩. তিনি কি কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্রে সীলমোহর সহ স্বাক্ষর করেছিলেন?

এগুলোর সপক্ষে একটি প্রমাণও দেখাতে পারবে না জিয়া পরিবার।

জিয়া নিজে যে বিষয়টিকে ভুল হিসেবে দেখেছে- তার পরিবার এখন সেই ব্যক্তির ভুলটা নিয়ে রাজনীতি করছে- তার প্রধান কারণ খালেদা এবং তারেক আসলেই ভুল করেই জিয়ার সংসারের লোক- অন্তত তাদের কথায় সেটাই মনে হয়।

তারেকের এবং খালেদার রাজনৈতিক দেওয়ালিয়াত্ব এর মাঝেই প্রকাশিত এবং এখন তা হাস্যকর অবস্থায় যাচ্ছে।

সন্তানরা বড় হয়ে বাবার নাম সমৃদ্ধ করে- কিন্তু আজকাল দেখি সন্তানরাই বাবার চরিত্র হরণ করে। তারেক কি বোঝে? খালেদার তো বোঝারই কথা না।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:১০

বেঙ্গলেনসিস বলেছেন: "মূর্খপুত্র যমের সমান" বলে একটা কথা প্রচলিত আছে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:১৫

ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: তা যা বলেছেন ভাই

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

আমি অপদার্থ বলেছেন: লে হালুয়া ... ঠেলা সামলা, জয় বাংলা। ;)

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪১

ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: ফাউল কথায় বার বার ঠেলা সামলাতে হয়।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮

শারমিন নাহার নিপা বলেছেন: খুবই হাস্যকর ব্যাপার। ৪৩ বছর পর হঠাৎ এই তত্ব কই থেকে আসল?? তাদেরকে কেউ বুঝান, ইতিহাস ফিল ইন দ্যা গ্যাপস নয়, সুযোগ পাইলে কোন চরিত্রকে আপনি কোন কিছুতে ঢুকিয়ে দিবেন।


২৮ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬

ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: কারে কে বোঝাবে? ওনারা তো সবজান্তা

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০১

হাফিজুর রহমান মাসুম বলেছেন: আমার মনে হয় দূর্যোধন রূপী পুত্র এবং তার মা সত্য বলেছেন। আমরাই বরং শুনতে ভুল করেছি। তারা বলেছেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম ‌'অবৈধ' রাষ্ট্রপতি!!!

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১২

ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: তা যা বলেছেন।

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৩০

নীল_সুপ্ত বলেছেন: লাইন বাই লাইন আসি, "স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করার সময় তিনি নাকি ভুল করে নিজেকে প্রেসিডেন্ট বলে ফেলেছিলেন। " এটা কোথা থেকে নাজিল করলেন?

"জিয়া নিজে যে বিষয়টিকে ভুল হিসেবে দেখেছে- তার পরিবার এখন সেই ব্যক্তির ভুলটা নিয়ে রাজনীতি করছে"
এটারও উত্থান কোত্থেকে?

আর আপনার এই ভ্রান্ত ধারণায় ভরপুর লেখাটার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর পাবেন আমার শেষ লেখাটায়...

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৬:৫৭

ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: বড় জ্ঞানী মানুষ আপনি। এক ২৬ তারিখ নিজেরে প্রেসিডেন্ট কইলো আর ২৭ তারিখ সেটা উল্টায়া নতুন ঘোষণা দিল। তাইলে কি সেটা ভল না শুদ্ধ নিজেই বিচার করেন। ঐ একদিন কি জিয়া কোনো সরকার গঠন করেছিলেন।
রাস্তার পাশের পাগল ড্রামের উপর খাড়াইয়া নিজেরে প্রেসিডেন্ট কইলো আর ঞয়া গেল?
জিয়া নিজের জীবদ্দশায় কখনো এটারে সঠিক কইছে।
নিজের লেখা পড়ানোর বিজ্ঞাপন দেওয়া চেয়ে আমার তিনটার উত্তর দেন।
১. জিয়া কি প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য শপথ পড়েছিলেন?
২. তিনি কি প্রেসিডেন্ট হিসেবে গার্ড অব অনার নিয়েছিলেন?
৩. তিনি কি কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্রে সীলমোহর সহ স্বাক্ষর করেছিলেন?

৬| ১১ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

কালের সময় বলেছেন: তা আপনি সেই সময় কোথাই ছিলেন জিয়াউ রহমান এমন একটি ভূল করলেন আপনে একটু সংসোদন
করে দিতেন ।

১১ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: ওটা আপনার দায়িত্ব। আমার না। জিয়ার ভুল শোধনের জণ্য তার চেলা চামুন্ডা কম নাই

৭| ১১ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

মিতক্ষরা বলেছেন: তারেক জিয়াকে প্রথম প্রেসিডেন্ট বলার কথাগুলো বিরক্তিকর লাগলেও মুজিব সম্পর্কে যা যা বলেছে তা তথ্যের ভিত্তিতেই বলেছে। জিয়াকে প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবী করা তার ভুল হয়েছে।

১১ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৮

ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: জেনে শুনে যুক্তি দিয়ে কিছু বললে অন্যরা তার উত্তর দেওয়ূার চেষ্টা করবে। কেউ তো ধোয়া তুলসী পাতা নয়। দেশের রাষ্ট্রুপতি বা বিচারপতি হরিনকে ছাগল বললেও সেটা হরিনই থাকে।

৮| ১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ২:৪১

কালের সময় বলেছেন: কোন বিরোধী দলের পক্ষে সঠিক কথা বললেই চামচা হয়ে গেলে তাহলে সরকারের পক্ষ হয়ে কথা বললে সে কি হয়
সরকারের চামুচ

৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: আপনে নিজেই তো উত্তর দিয়ে দিলেন। আপনি যদি বিরোধী দলের চামচা না হন- তাহলে আমিও সরকারের চামচ ন্ই।

৯| ১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ২:৪৮

ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: তারেকের মাত্র একটি কথায় কচি কাচা হাম্বাদের ফিতা কৃমির যন্ত্রনা শুরু হয়ে গেছে। আহারে!!

তারেকের কথায় এই অবস্থা? অই দিকে তাজউদ্দিনের কন্যা জাতির কাকুর সকল সত্য ফাস করে দিচ্ছে। সেই দিকে যেয়ে লাফান

৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: এইটা তো ঠিক কইলেন না। ১০০০০০০০০০০০০০০০ জন যদি কয়- আপনি ভূয়া- তাইলে কি আপনি ভূয়া হয়ে গেলেন। অবশ্য আপনার নামটাই ভূয়া

১০| ৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১

াহো বলেছেন:
বই / ভিডিও প্রয়োজন নেই .বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কে, প্রথম রাষ্ট্রপতি কে এসবই বলা আছে .
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ ১০ এপ্রিল ১৯৭১
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিব নগর থেকে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র জারি করা হয় এবং এর মাধ্যমে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। শপথ গ্রহণ করেন ১৭ এপ্রিল।
স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর । যতদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলেছে ততদিন মুজিবনগর সরকার পরিচালনার অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান হিসেবে এই ঘোষণাপত্র কার্যকর ছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পরও এই ঘোষণাপত্র সংবিধান হিসেবে কার্যকর ছিল। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান প্রণীত হয় তখন সংবিধান হিসেবে এর কার্যকারিতার সমাপ্তি ঘটে।

সেদিন মুজিবনগরে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার। তবে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।

এপ্রিল ১৭ তারিখে গণপরিষদের সদস্য এম ইউসুফ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন.


========================

২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনার বিষয়ে ১৯৭১ সালের অনেক আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া, আমেরিকান বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের নানা রিপোর্ট রয়েছে। যা রিপোর্ট করা হয়েছিল সেটা অবিকৃতভাবে দেয়া হলো
এখানে ।

লিস্টের কয়েকটি নাম উল্লেখ করা হল রিপোর্টিং ডেইটসহ:

১. আমেরিকান ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সী (২৬শে মার্চ, ১৯৭১)

২. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট টেলিগ্রাম (৩১শে মার্চ, ১৯৭১)

৩. আমেরিকান সিনেট রিপোর্ট (জুলাই ২৭, ১৯৭১)

৪. নিউ ইয়র্ক টাইমস ,The Times UK(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)

৫. ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল (২৯শে মার্চ, ১৯৭১)

৬. টাইম, নিউজউইক (৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৭. বাল্টিমোর সান (৪ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৮. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট- রিসার্চ স্টাডি (ফেব্রুয়ারী ২,১৯৭২)
9-Times of India 27 March 1971


===========================

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন,


যেহেতু উল্লিখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান; এবং
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ
তারিখ: ১০ এপ্রিল ১৯৭১




=======================



তাজউদ্দীনের ভাষণ ও তার মেয়ের লেখায় গড়মিল

২৫শে মার্চ মাঝরাতে ইয়াহিয়া খান তার রক্তলোলুপ সাঁজোয়া বাহিনীকে বাংলাদেশের নিরস্থ মানুষের ওপর লেলিয়ে দিয়ে যে নরহত্যাযজ্ঞের শুরু করেন তা প্রতিরোধ করবার আহ্বান জানিয়ে আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের যুদ্ধকালীন প্রথম ভাষণ
জিয়া সহ পাঁচ সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ তাদের যুদ্ধের জন্য
তাজউদ্দীনের ভাষণ link---http://www.samakal.net/2013/07/23/7512
Click This Link
তাজউদ্দীনের ভাষণ ও তার মেয়ের লেখায় গড়মিল




=========================
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)


(১০ এপ্রিল, ১৯৭১)

যেহেতু ১৯৭০ সালের ০৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি শাসনতন্ত্র রচনার অভিপ্রায়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল

এবং

যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ১৬৯ জন প্রতিনিধির মধ্যে ১৬৭ জনই আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত করেছিলেন

এবং

যেহেতু জেনারেল ইয়াহিয়া খান একটি শাসনতন্ত্র রচনার জন্য ১৯৭১ সালের ০৩ মার্চ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন আহ্বান করেন

এবং

যেহেতু আহূত এ পরিষদ স্বেচ্ছাচার ও বেআইনিভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়

এবং

যেহেতু পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের প্রতিশ্রুতি পালনের পরিবর্তে বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলাকালে একটি অন্যায় ও বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ ঘোষণা করে

এবং

যেহেতু উল্লেখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্যে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী একটি বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনাকালে বাংলাদেশের অসামরিক ও নিরস্ত্র জনসাধারণের বিরুদ্ধে অগুনতি গণহত্যা ও নজিরবিহীন নির্যাতন চালিয়েছে এবং এখনো চালাচ্ছে

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অন্যায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একত্র হয়ে একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে ও নিজেদের সরকার গঠন করতে সুযোগ করে দিয়েছে

এবং

যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের দ্বারা বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের উপর তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে

সেহেতু

সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষে যে রায় দিয়েছে, সে মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য বিবেচনা করে আমরা বাংলাদেশকে সার্বভৌম গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি এবং এতদ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি

এবং

এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন

এবং

রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক হবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানই ক্ষমা প্রদর্শনসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী হবেন,

তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী ও প্রয়োজনবোধে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য নিয়োগ করতে পারবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানের কর ধার্য ও অর্থব্যয়ের এবং গণপরিষদের অধিবেশন আহ্বান ও মুলতবির ক্ষমতা থাকবে এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্যে আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যান্য সকল ক্ষমতারও তিনি অধিকারী হবেন।

বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি, যে কোনো কারণে যদি রাষ্ট্রপ্রধান না থাকেন অথবা কাজে যোগদান করতে না পারেন অথবা তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যদি অক্ষম হন, তবে রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা ও দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পালন করবেন।

আমরা আরও ঘোষণা করছি যে, বিশ্বের একটি জাতি হিসেবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য আরোপিত হয়েছে তা আমরা যথাযথভাবে পালন করব।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি যে, আমাদের স্বাধীনতার এ ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকরী বলে গণ্য হবে।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার জন্যে আমরা অধ্যাপক ইউসুফ আলীকে ক্ষমতা দিলাম এবং রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করলাম।

===================================

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.