নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘটনার শুরু যখন ঘরের কোণায় ১৫ দিন ধরে পরে থাকা চাদর ধোয়ার জন্য বের করলাম। এমনিতেই সূত্র মতে এপিঠ ওপিঠ করে ১৫-১৫ ত্রিশ দিন ব্যবহৃত হয়ে কয়েক আউন্স ওজন বাড়িয়েছে। তার উপর পরে ছিলো ঘরের কোণায়। এমন চাদরকে যখন পরিস্কার অবস্থায় পেলাম তখন ভয়ে শরীর ঠান্ডা! তবে কি ঘরের তেলাপোকা সব করুণা পাওয়ার জন্য ময়লা খেয়ে পরিস্কার করে দিলো! অথবা ঝেং এর ছা এর মতো অদৃশ্য কোনো উপকারী! মাথা ঠান্ডা করে সম্ভাব্যতা যাচাই এর কাজে নামলাম। বুয়া নিজে সদিচ্ছায় ধুয়ে দেবে- এমনটা ভাবতে পারছিনা যদিও তার পরেও জিজ্ঞাস করলাম। ঋণাত্মক উত্তর, উলটো ভাবলো তাকে এই ভালো কাজের জন্য দোষারোপ করছি। মেসের অন্য কেউ এই উদারতা দেখাবে – এটা নিয়ে Disney’র মুভি হতে পারে।
চাদরের রঙ যেহেতু গাড় তাই নিখুত ভাবে দেখেও বুঝতে পারছিলাম না ময়লা আছে কি নেই। কিন্তু ময়লা চাদর হাতে নিলেই বুঝতে পারা যায়। এই চাদর হাতে নিয়ে ময়লা মনে হচ্ছেনা। বাড়তি ওজনটাও নেই নেই মনে হচ্ছে। খুব সাধারণ ভাবে ব্যাপারটার সমাধান করা যায়, ধুয়ে। কিন্তু অবচেতন মনের প্রথমাংশ, দ্বিতীয়াংশে এই ধারণাটি আসতে দিচ্ছিলোনা; কারণ সম্ভবত - ‘ধুতে হবে’।
যাই হোক, চাদর ধোয়া থেকে নিস্তার পাওয়া গেলো তাই ম্যাজিকাল কিছুতে বিশ্বাস করে চাদর আবার বিছানায় বিছিয়ে দিলাম। আর মনের খুতখুতানি দূর করার জন্য কিছু ব্যাবহৃত জামা ঘরের সেই কোনে ফেলে রাখলাম।
কিছুদিন পর ফলাফল দেখে তাজ্জব বনে গেলাম। ময়লা কতটুকু পরিস্কার হয়েছে তা ঠিকমতো বুঝতে না পারলেও এটা পরিস্কার যে জামা গুলো আরেক দফা ব্যাবহারের জন্য প্রস্তুত। ক্যাম্পাসে গিয়ে বন্ধুসকলকে জানালাম। ছেলে গুলো স্মার্ট ফোন থেকেই মুখ তুললো না, কিন্তু মেয়েগুলো মুখ হা করে ফেললো। বুঝে নিলাম, ম্যাজিকাল ব্যারটাই তাদের অবাক করেছে (এরপর বেশ কয়দিন কেনো যে তারা দূরে সরে বসতো তার ব্যাখ্যা যদিও বের করতে পারিনি।)
কিছুদিন পর গোসল করতে গিয়ে ভিজে যাওয়া জামা বাধ্য হয়ে ধুতে গিয়ে মনে হলো কাপড় থেকে রঙ উঠছে। কিন্তু কাপড়ের রঙ আর পানির রঙ তো এক নয়! তবে কি...!! ব্যাপারটা মেনে নিতে ইচ্ছে হচ্ছিলোনা।
এরপর থেকে বুয়াকে বুঝিয়ে তার ব্যাস্ত শিডিউল থেকে কিছু সময় বের করে নিলাম আমার জামা-কাপড়ের জন্য। তবে আমি এখনো বিশ্বাস করি (কিংবা বাধ্য হই), সেই কয়দিন ঘরের কোণায় ম্যাজিকাল কিছু ঘটেছিলো।
©somewhere in net ltd.