নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভেবেছিলাম, সামুতে ঢুকেই দেখবো ব্যাপারটা নিয়ে বন্যা বয়ে যাবে। কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ দেখতে পাচ্ছিনা। একটা দেশের শিক্ষ ব্যবস্থার একটা বড় অংশের উপর ভ্যাট বসিয়ে দেওয়া হলো, যেখানে হাসিনা ক্ষমতায় আসার সময় বলেছিলো পর্যায়ক্রমে স্নাতক পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করা হবে।
প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ি মানেই আমার বাবার অঢেল টাকা, ব্যাপারটা সত্য না। আর যদি অঢেল টাকা থাকেও, তাহলেও কেন আমি ভ্যাট দিবো? তারমানে, শিক্ষা একটা ব্যাবসা- এটাকে justify করবো? কক্ষনোই না।
আর এই ব্যাপার গুলো নিয়েই গত দুই মাস যাবত আন্দোলন চলছে। শুধুমাত্র প্রাইভেট ভার্সিটির আন্দোলন হওয়ার কারণেই হয়তবা এই আন্দোলন মিডিয়া কাভারেজ পায়নি সেইভাবে। (প্রাইভেট ভার্সিটির মডেলদের খবর কিন্তু আবার তারা পুরো পাতা জুড়ে ছাপায়)।
আজ সেই আন্দোলনই চলছিলো ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে। মানব্বন্ধন করতে করতে যখন আমাদের হাত ক্লান্ত তখন আমরা বাধ্য হয়েছি রাস্তায় নামতে, রাস্তা অবরোধ করতে। আর সরকার, যারা সমাজকল্যাণ মন্ত্রী (যার নাম আমি জানিনা)'র মতো মানুষদের মন্ত্রী বানায় (আবুলের প্রসঙ্গে পরে আসছি) তারা লেলিয়ে দিলো পুলিশ। কথা নেই বার্তা নেই, যখন আমাদের রেজিস্টার, ডেপুটি রেজিস্টার স্যারেরা আমাদের শান্ত করতে ব্যাস্ত, তখন সরকারের এই গুন্ডা বাহিনী স্যারদের মাথার উপর দিয়েই রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করলো। মুহুর্তে তারা আন্দোলনকে রক্তাত্ত করলো। তারা আবার ছাত্রদের গায়ে গুলি চালালো একই কারণে যা তারা করেছিলো ২০০৯ সালে, ভ্যাট এর বিরোধি আন্দোলনে। এইবার তারা শুধুমাত্র ছাত্র নয়, রক্তাত্ত করলো আমাদের শিক্ষকদের ও।
ছবিঃ ২০০৯ এর আন্দোলনের ছবি।
ছবিঃ আজকের আন্দোলনে আহত ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্টার।
রাস্তা আবরোধের পরেও যারা পায়ে হেঁটে রাস্তা পার হচ্ছিলেন তাদের মুখে এক ফোঁটাও বিরক্তির ছাপ ছিলোনা, বরং অনেকেই এসে আমাদের সাথে স্লোগান ধরেছেন। কারণ তাদের সন্তানরাই পড়ছে এখানে, তাদের পকেট থেকেই যাচ্ছে ভ্যাট এর এই বাড়তি টাকা।
আজ রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত সড়ক আবরোধ করা হয়েছে। কাল সারা দেশের সকল প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি রাস্তায় নামবে। সাবেক স্বৈরশাসকের মন্ত্রী যার নাম নিতেও ঘৃণা হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচাইতে ঘৃণিত মন্ত্রীদের তালিকায় যার নাম সবার উপরে থাকবে, সে হাত জোড় করে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
পড়তে এসেছি, পন্য কিনতে নয়।
আজকের আন্দোলনের কিছু ছবি এইখানেঃ
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৩
শূন্য সময় বলেছেন: লীয় ব্যাপার তো অবশ্যই। গুলি ছোড়ার আগ পর্যন্ত তো সাংবাদিকের দেখাই পাওয়া গেলো না। "পুলিশ আসতে দেয়নি" তারা বলে।
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪১
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এই তথাকথিত সাংবাদিকদের কথা না বললেই কি নয়।।
৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫২
ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন:
৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০২
ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট দিতেই হবে বলে জানিয়েছেন সজিব ওয়াজেদ জয়। উনি বলেছেন, "দেশের ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়া লেখা করে সরকার তাদের জন্য কোন ধরেন ভর্তুকি দিবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দিলে এটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেয়ার হোল্ডারদের পকেটে চলে যাবে। শিক্ষার্থীদের কোনো লাভ হবে না।"
উনি তো দেখি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোন ধারণাই রাখেন না, অথবা না জেনে-শুনে সবাইকে বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য দিয়েছেন। সঠিক তথ্য হচ্ছে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার কোন ভর্তুকি দেয় না। বরং শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে- তার পূর্ন নাম 'Value-Added Tax' বা 'মূল্য সংযোজন কর'। ২০টাকা কেজি আলু কিনে তা ১১০টাকা কেজি সয়াবিন তেলে ভেজে ফার্স্টফুডের দোকানে যখন সেই পটেটো চিপস ১২০০টাকা কেজি দরে বিক্রী করা হয় তখন এই সযোজিত মূল্যের ওপর ভ্যাট ধার্য করা হয়। শিক্ষা কী পটেটো চিপসের মত পন্য? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী ফার্স্টফুডের দোকান? এখানে মিথ্যা ভর্তুকির দোহাই দিয়ে উনি কেমন করে ভ্যাট বসানোকে বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছেন?
উনি না আমাদের তরুন প্রজন্মকে নিয়ে 'ইয়ং বাংলা' গড়েছেন? এই তার আসল চেহারা? যেহেতু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সরকারী ভর্তুকী দেয়া হয় না, তাই তার লাভের ভাগ তো কখনোই শিক্ষার্থীদের পকেটে আসার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু উনার আরোপ করা এই ভ্যাটের টাকা তো আমাদের মত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পকেট থেকেই দিতে হবে। উনি আমাদের লাভ না দেখলেও লোকসানটা ঠিকই বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। ৮৩টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭৫টিই মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তদের উচ্চ শিক্ষার বিকল্প প্রতিষ্ঠান। এখানকার প্রায় ৭৫% শিক্ষার্থী প্রাইভেট ট্যুশনি করে বা খণ্ডকালীন চাকরী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগাড় করে। তাদের ওপর বছরে আরো ৩০/৪০ হাজার টাকার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে উনি কেমন কাজ করলেন?
উনি কী তাহলে আমাদের পকেট কাটা জবরদস্তি ভ্যাটের টাকা দিয়ে উনার 'ইয়ং বাংলা' চালাবেন? সেইক্ষেত্রে উনার ইয়ং বাংলায় বাংলাদেশের ৯৫% তরুণের কোন অংশদারিত্ব থাকবে না।
-সংগ্রহ।
৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৮
ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এই ব্যাপারটা তেমন কাভারেজ পাচ্ছে না।। বোধহয় এখানেও দলীয় ব্যাপার-স্যাপার!!আসলে আমাদের মাঝে পচন ধরেছে।। গ্যাংগ্রিন!!