নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অলস বিড়ালের মস্তিস্ক

শূন্য সময়

খুবই অলস...প্রচন্ড রকমের ঘুম ও বিশ্রাম প্রিয়......

শূন্য সময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাগরিবের আজানের কিছুক্ষণ পরেই মন্দিরের ঘন্টার আওয়াজ পাওয়া যায়

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯

স্কুলের ম্যাম মিনু শীল আপা। কট্টর হিন্দু। ক্লাসে বাংলা পড়ানো থেকে বেশি সময় কাটতো ক্লাসের এই পাশে সামনের দুই ব্যাঞ্চের ছেলেদের সাথে গল্প করে, ধর্মীয় গল্প। রামায়নের গল্প, সীতার গল্প...

বাকি ক্লাসে বিকাশ আর পাভেল মিলে হয়তো সজল কে গুতাচ্ছে, কিছুক্ষণ পর পর আমরা সজলের আর্তচিতকার শুনতে পাই -"যাহ ব্যাডা গুতাইস না"... অথবা তানভীর ম্যামের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নিজের নাকে কাগজ দিয়ে সুরসুরি দিয়ে একটার পর একটা হাঁচি দিয়ে যাচ্ছে... ঐদিকে জীতম এর মতোন ভদ্র মুখোশধারীর মুখোশ উন্মোচন হয়ে যায় সে যখন ধরা পরে ম্যাম এর চোখে, মুখ হাতে ঢেকে 'উইইই' শব্দ করতে গিয়ে... আর ম্যাম এর ধমকানোর সময় পান মাখানো থুথুর ছিটা সামনে বসা আমাদের গোসল করিয়ে দেয়... "অমুকের পোলা... তোরে কত ভালো ভাবসি... তুই জীতইম্মাও সব গুলার মতোন...টুট টুট টুট..."

আপামনি একদিন ক্লাসে এসে - "ড্রাইডকের ঐদিকে এক হুজুরে আজান দেয় ... এতো সুন্দর করে দেয় যে কি কইতাম... মনে হয় যেন স্বর্গ থেকে সুর বেসে আসসে যে... ছারদিকে এতো মসজিদে আজান দেয় কিন্তু বোরবেলা এই আজানটা শুনলে মন একদম বরে যায়। আমি বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে তেকে শুনি...
আইচ্ছা বাদ দে... কি ফরা সিলো বল...

বিঃদ্রঃ চট্টগ্রামের স্কুল, আঞ্চলিক ভাষার টান।।

এই বাসার কাছে এক মসজিদের আজান বুকের এই পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়, এফোঁড়-অফোর করে দেয়। এই সুরগুলো পার্থিব কোনো সুর যে নয় এটাতে মিনু শীল আপার সাথে আমার কোন দ্বিমত নেই।
..........................

মানুষজন ইদানিং বলে বেড়ার বাংলাদেশের মানুষ নাকি সাম্প্রদায়িক হয়ে যাচ্ছে। তাদের যখন বলি, যারা হিঁন্দুর ঘরে আগুন দেয়, তারাই সাওতাঁলের ঘরে দেয়...তারাই বৌদ্ধ বিহারে আগুন দেয়... পাহাড় থেকে চাকমাদের তাড়ায়ে দেয়। এরা আর দ্যাশ-স্বাধীনের আগে পরে যারা 'হিন্দুরা বাংলাদেশি না' ধারনা তৈরি করতে চেয়েছিলো তাদের উদ্দ্যেশ্য এক ও অভিন্ন।

কিন্তু মানুষ কি আর কথা শুনে! দেশে হিন্দুর মনেও আজান শুনে ভাবাবেগ আসে, আর মুস্লিম'ও পুঁজার নাড়ু খাওয়ার জন্য নাক উঁচিয়ে বসে থাকে, হাজার হাজার এলাকায় একই পারায় কদম দূরত্বে মসজিদ আর মন্দির দেখা যায়... মাগরিবের আজানের কিছুক্ষণ পরেই মন্দিরের ঘন্টার আওয়াজ পাওয়া যায়... পাশাপাশি বাসার ভাবী আর বৌদিরা নিজেদের ভাবে একই পরিবারের মানুষ হিসেবে -
এই ব্যাপারগুলো স্বীকার করে নিলে তো নিজের গায়ে 'সুশীল' তখমা লাগানো যাবেনা, নিজেকে 'ধর্মের উর্ধে' বলে যাহির করা যাবেনা... ফেসবুকে 'মুস্লিমরা হিঁন্দু তাঁড়িয়ে দিলো দ্যাশ থেকে" ... 'দেশে আগামী ৩০ বছরে আর কোনো হিন্দু থাকবেনা" - এগুলো লেখা যাবেনা।। নিজের মনের শান্তির জন্য, আসলে যা করে ফেলছি সবাই তা হলো ওই আগুন দেওয়া মানুষদের মার্কেটিং করে দিচ্ছি, আর যে ক্রাইসিসটা আদৌতে নাই সেটা তৈরির একটা প্রিমাইসেস সেট করে দিচ্ছি।।

ভালো থাকুক দেশের মানুষ। ভালো থাকুক দ্যাশ।
কিন্তু বিজয় দিবসে আমার ক্যানো জানি বারবার নুরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.