| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফুলার রোড। বিকাল বেলা। বৃষ্টির দিন। মাহিমা চৌধুরী গাড়ি চালাচ্ছেন। স্কুলের সামনে একটা জায়গায় এসে গাড়ি থামালেন। বের হয়ে তিনি বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলেন।
অপর দিক থেকে অমিত আসছিল। হাতে একটি বল। মাহিমা চৌধুরীকে দেখে সে থমকে দাঁড়াল। এই সেই মহিলা যে আমি যেখানে টিউশনি করি। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে লক্ষ করার পর তার কাছে গেল সে। তিনি আপনমনে বৃষ্টিতে ভিজছিলেন। কেউ যে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এটা তখনো টের পায়নি।
টের পেল। তিনি পাশে তাকাতেই চোখে চোখ পড়ল। তিনি অমিতের দিকে তাকিয়ে রইল। কিছুটা বিস্মিত। তুমি?
আমাকে আপনি চেনবেন না। কিন্তু আপনি এখানে?
তোমাকে দেখেছি মনে হয়।
হ্যাঁ। আমি সুরভীর টিচার। আপনার পাশের ফ্লাটের কনক চৌধুরীর ছোট মেয়েকে আমি পড়াই। আমি কয়েকদিন সেখানে দেখেছি আপনাকে। হঠাৎ এখানে দেখে দাঁড়িয়ে গেলাম।
ও। আমি চিনেছি। তুমি সুরভীর টিচার।
আমি এখানেই পড়ি। পাশের হলে থাকি। বৃষ্টিতে ভিজছেন। ভালো লাগছে। খেলতে গিয়েছিলাম। ডিপার্টমেন্টের খেলা। তাই প্রাকটিস করতে গিয়েছিলাম। আমি যাই। পরে দেখা হবে।
কাল এসো। কথা হবে।
মাহিমা চৌধুরী তাকিয়ে রইল অমিতের দিকে।
কনক চৌধুরীর ফ্ল্যাট। অমিত সুরভীকে পড়াচ্ছে। সুরভীর মা পাশে বসে আছে। অমিতের সাথে কথা বলছে। অমিতের পড়াশুনা, ক্যারিয়ার চিন্তা, পছন্দ-অপছন্দ, প্রেম-ভালোবাসা বিভিন্ন দিক সম্পর্কে কথা বলছে। অনেকক্ষণ গল্প করার পর তিনি চলে গেলেন। অমিত এবার সুরভীকে পড়ানোর কাজে মনোযোগ দিল। কিছক্ষণ পড়ানোর পর সুরভীকে ছুটি দিল সে। সে বের হচ্ছে রুম থেকে।
বের হতেই দেখল মাহিমা চৌধুরী ফরমাল একটা গেটআপে কোথাও যেন বের হচ্ছে। প্রথমে তার চোখ পড়ল। হেয়! তুমি ভালো আছো?
জি। আপনি?
ভালো। খুব ভালো।
কোথায় যাচ্ছেন?
হ্যাঁ। একটা অনুষ্ঠানে।
কী অনষ্ঠান?
আমার এক বন্ধু তার একটা ছবির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠান হবে।
আপনার বন্ধু ফিল্ম মেকার!
হ্যাঁ। আচ্ছা। ভালো থেকো।
এই তো পেয়েছি রাস্তা। ম্যাডামকেই ধরতে হবে। যদি ভাগ্য খুলে যায়। অমিত ভাবে। ম্যাডাম কি এই ব্যাপারে আমাকে সহযোগিতা করতে পারে? কাইন্ড হার্টেড তো মনে হচ্ছে। হতে পারে। চেষ্টা করে দেখি।
©somewhere in net ltd.