নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টাইটান ১

আমি টাইটান । ভালোবাসি অন্য সবার মতো নতুন চিন্তা করতে এবং তা কাগজে কাঠামো বদ্ধ করতে। ভালো লাগে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ভ্রমন কাহিনী । তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে উপন্যাস।

টাইটান ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাহিমা চৌধুরী - পর্ব-২

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩



তখন গভীর রাত। অমিত পড়ার টেবিলে। সে পড়ছে না। তবে চেয়ারে হেলান দিয়ে মুখ আকাশের দিকে তুলে চিন্তা করছে। কীভাবে ম্যাডামের সাথে একটা সম্পর্ক তৈরি করে সেটাকে আরও গভীরতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়? বিভিন্ন চিন্তাভাবনার জালে সে আটকে পড়ল। তার ঘুম আসছে না। সে মাহিমা চৌধুরীর সাইকোলোজিটা বোঝার চেষ্টা করছে। সবাইকে দিয়েই তো সব কাজ হয় না। মাহিমা চৌধুরী সত্যিই সত্যিই তার কাজটির জন্য সহযোগিতা করবেন কিনা-সহযোগিতা করার মন-মানসিকতা তার আছে কিনা এসব জানা প্রয়োজন।

তার বেডমেট সোনাই ঘুম থেকে উঠে গেল।

লাইটটা অফ কর না? সকালে পড়িস।

অমিত লাইটটা অফ করে দিল। তারপর অন্ধকারে বসেই সে চিন্তা করছে চেয়ারে হেলান দিয়ে।



অমিত এবার কনক চৌধুরীর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে মাহিমা চৌধুরীর দরজার সামনে কলিংবেল টিপল। মাহিমা চৌধুরী বই পড়ছিল। কে?

আমি অমিত।

মাহিমা চৌধুরী দরজা খুলল। তিনি অমিতকে দেখে খুশি হলেন।

এসো ভেতরে এসো। পড়ানো শেষ?

হ্যাঁ। চলে যাচ্ছিলাম। ভাবলাম আপনার সাথে একটু দেখা করে যায়।

ভালো করেছো। একা একা থাকি। কেউ থাকলে ভালো লাগে।

আপনার বাসায় কেউ নেই?

না। আমি একাই থাকি। আমার মেয়ে ছিল। ও পড়তে চলে যাওয়ার পর আমি একাই থাকি।

আপনার মেয়ে কোথায় পড়ে?

ও ইংল্যান্ডের লিডস্ ইউনিভার্সিটিতে ইকোনোমিক্স পড়ছে।

ভালো।

তোমার নাম তাহলে অমিত?

হ্যাঁ। অমিত। আমি আমার জীবন সম্পর্কে একটু জানাতে চাই আপনাকে। আমার জানানো প্রয়োজন।

আমাকে জানানো প্রয়োজন!

হ্যাঁ। প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কী রকম বলো তো একটু শুনি।

আমি লিটরেচারের স্টুডেন্ট। ইংলিশ লিটরেচার।

গুড। ভেরি গুড।

আমি লেখালেখি করি। বাজারে কয়েকটা বই আছে। ইচ্ছা ছিল রাইটার হওয়ার। এখনো আছে। আমি কাহিনী লিখি। আমার একটা ফিল্ম স্ক্রিপ্ট আছে। আমি ডিরেক্টিং সম্পর্কে জানি। একটা ওয়ার্কশপও করেছিলাম।

কোথায়?

বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট।

ও তানভীর মোকাম্মেলের প্রতিষ্ঠান।

হ্যাঁ।

আমি করতে পারি?

আমি চাই ঐ স্ক্রিপ্টের ওপর ছবি বানাতে। কিন্তু কেউ আমার কাহিনী নিয়ে ছবি বানাতে চায় না। আমি বিশ্বাস করি আমার লেখা ছবিটা দর্শকপ্রিয়তা পাবে যদি আমি ডিরেক্শান দিই।

মানে তুমি চাও যে আমি আমার বন্ধুকে বলে তোমার ছবিটা করতে।

ঠিক তাই। প্রডিউস করতে। আমি আপনার প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। আমার খুবই ইচ্ছা একজন ফিল্ম মেকার হওয়ার।

তোমার স্ক্রিপ্ট তুমি এনেছ?

আমি এনেছি।

অমিত স্ক্রিপ্টটা ব্যাগ থেকে বের করে এগিয়ে দিল। মাহিমা চৌধুরী সেটা হাতে নিয়ে পড়তে লাগল। ভালো কাহিনী। আর্ট ফিল্ম টাইপ। আমি কথা বলব তোমার ব্যাপারে।

ধন্যবাদ ম্যাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.