| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাহিমা চৌধুরী অফিসে কাজ করছেন। এমন সময় ফোন এল।
তিনি ফোন তুলে
হ্যাঁ। বল।
দোশত। আমি স্ক্রিপ্টটা পড়েছি। কাহিনী ভালো। তবে ব্যবসায়িকভাবে এসব ছবি হিট করে না। একটু বিনোদনধর্মী মারপিট না থাকলে ছবি ব্যবসা করে না। ছেলেটা ভালো লিখে। ওকে একটু পরামর্শ দিস। আর এটা নিয়ে ছবি এই মুহূর্তে করা সম্ভব নয়। সরি। তুই বলেই আমি ভেবেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারিনি। আমার পর পর দুইটা ছবিই ফ্লপ। এবার ভালো একটা কাহিনী নিতে হবে।
ওকে ঠিক আছে। সমস্যা নেই। তুই তোর কাজ চালিয়ে যা।
মাহিমা চৌধুরী অমিতকে সব ব্যাপার বলল। অমিতের চেহারাটা অন্যরকম হতাশায় আক্রান্ত হল। আমি কী করব ভেবে পাচ্ছি না। প্রায় সব জায়গায় নক করা হয়ে গেলো। এতবার আশা ভেঙ্গে গেল। আর কী করব ভেবে পাচ্ছি না।
তুমি ছবিটা করতেই চাও?
এটা আপনাকে বোঝানো যাবে না। আমি ছবিটা করতে কত আগ্রহী। তো থ্যাঙ্কস যা করেছেন তা ভুলব না।
পড়ালেখা শেষ করো। ভালো জবে ঢুকো। তখন ছবি করিও।
আমি পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছি অনেক আগে থেকে। রাইটার হবো। ফিল্ম মেকার হবো। এসবের জন্য জীবনটাকে অন্য দিকে নিয়েছি।
আশ্চর্য তো। লেখাপড়া ছেড়েছ কেন? তুমি এই ভুল করেছ কেন?
লিখব বলে। পড়াশুনা করব বলে।
লেখালেখি পরে করা যাবে। তুমি আগে পড়ালেখা শেষ করো। এই ভুল করো না।
এটা আমার কাছে ভুল নয়। আমি আমার কাজের জন্য এটাকে সঠিক মনে করেছি। তাই করেছি। আমি ফিল্ম মেকার হবো।
এমন সময় বৃষ্টি এল।
গাড়ির মধ্যে এসো।
মাহিমা চৌধুরী ও অমিত গাড়ির মধ্যে বসল।
এটা তুমি ভুল করছ।
ভুল করেও যে শান্তি পাচ্ছি ম্যাম।
তাই। আমি প্রথম দেখাতেই বুঝেছি তুমি অন্যরকম। একটা স্পিরিট। সাহসী। ফিলোসফিক্যাল। আমার কেমন জানি ভালো লাগছে তোমাকে।
ভালো লাগাটাকে ভয় করি। কারণ আমাকে সবাই ছেড়ে চলে যায়। যদিও প্রথমে তাদের ভালো লাগে।
তোমার গার্ল ফ্রেন্ড আছে?
না। আমি উদাসীন। আসলে মেয়েরা যেভাবে ছেলেদের চাই আমি সেরকম ছেলে হতে পারিনি। তাতে আমার কোনো আক্ষেপ নেই। একাকী চলতে ভালো লাগে আমার।
মাহিমা চৌধুরী হাসছেন ঠোঁট টিপে। আমি জানি না তোমার সাথে আমার রিলেশান কেমন হবে? তবে তোমাকে ভালো লাগছে সত্যিই ভালো লাগছে।
এবার অমিত হাসল।
আমারও ভালো লাগে খুব আপনাকে। কাছে এলে কষ্ট হালকা হয়ে যায়।
তুমি আসবে আমার কাছে। তোমার যখন মন চাই চলে আসবে।
©somewhere in net ltd.