নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তহুরা মরিয়ম মিষ্টি

মিষ্‌টি

মিষ্‌টি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকৃতি নিয়ে ভাবার সময় এখনই।

০৪ ঠা মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

ভুমিকম্প হচ্ছে..? আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে..? পাপ বৃদ্ধি পেয়েছে তাই এসব হচ্ছে বুঝি..? এটা খুবই অবিবেচক ধারণা..। হাঁ, কুরআন শরীফে লেখা রয়েছে যে, 'কিয়ামতের আগে অনেক ভুমিকম্প হবে এবং মানুষ বলবে যে পৃথিবীর এ কি হয়েছে..?' তবে একবারও কি যুক্তি দিয়ে ভেবে দেখেছেন যে অন্য কোন কারনও হতে পারে..? প্রকৃতিকে নিজের শরীরের মত করে ভাবেন সব উত্তর পেয়ে যাবেন..।
সব কিছুই আল্লাহ্‌ একটা সিস্টেমের মধ্যে রেখেছে, আর আমরা সুন্দর করে নিজেদের সুবিধা মত সেই সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছি..। একবার ভাবেন তো আপনি একটানা ৩ দিন শুধু সিগারেট খেয়ে আছেন, আপনার শরীরের সিস্টেম কি ঠিক থাকবে..? থাকবেনা..। ঠিক তেমনই শুধু এই সিগারেটের কাল ধোঁয়া (বাকি কলকারখানার ধোঁয়ার কথা না হয় বাদই দিলাম) প্রতিদিন একটু একটু করে পরিবেশের সিস্টেমও নষ্ট করে দিচ্ছে..। আমাদের বাতাস দুষিত করছে, ওজনস্তর নষ্ট করে দিচ্ছে, নানা প্রকার চর্মরোগ, শ্বাসকষ্ট, ক্যান্সার বৃদ্ধি পাচ্ছে..।
সকল খাবারে উচ্চফলনশীল সার মিশিয়ে, ফরমালিন ব্যাবহার করে একদিকে মানুষের শরীরের যেমন ক্ষতি হচ্ছে ঠিক ঐভাবে মাটি, পানি, এবং বায়ুও দুষিত হচ্ছে..। যখন একটার পর একটা গাছ কাটছেন তখন মাটি তার ভিত্তি হারাচ্ছে, মাটির ক্ষয় হচ্ছে এবং নদী ভাঙন হচ্ছে..। ঠিক যেমন কেউ আপনার বাড়ির পিলার ভেঙ্গে দিলে বা আপনার মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিলে যা হয় তাই..। গাছ কাঁটার নামে সবাই রাজী কিন্তু লাগানোর কথা কারো মাথায়ও আসে না..। আপনার একটা গাছ কাঁটা আপনার কাছে ঠিক যতটাই সাধারন ব্যাপার, বৃহত্তর পরিসরে ঠিক ততটাই মারাত্মক..।
আপনি আপনার আরাম আয়েসের জন্য ভূগর্ভ থেকে সকল সম্পদ আহরন করে যাচ্ছেন..। ভূগর্ভ ধীরে ধীরে খালি হয়ে যাচ্ছে যে জায়গাটা পূরন করার জন্য নতুন কোন সম্পদ কিন্তু এমনি এমনি তৈরি হচ্ছে না..! কারন ভূগর্ভের সম্পদ গুলো নবায়নযোগ্য নয়( মানে নতুন ভাবে সৃষ্টি হয় না এবং এক সময়ে শেষ হয়ে যাবে)..। ঠিক যেমন আমাদের পেটে খুদা লাগলে, পেট খালি হয়ে গেলে আমরা পাগলের মত করি; প্রকৃতিও এখন সে কষ্টেই আছে..। ভূগর্ভ যদি খালিই হয়ে যায় ওই জায়গাটা পূরণ করতে উপর থেকে মাটি নিচে নেমে যাবে যার ফল হিসেবে ভুমিকম্প হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছুই না..। বরং আমরা অনেক ভাগ্যবান যে বড়সড় কিছু এখনও হয়নি (ইনশা-আল্লাহ্‌ হবেও না)..।
আপনি পানির কলটা ব্যাবহার শেষেও খোলা রাখেন, গ্যাসের চুলাটা ম্যাচের কাঠি বাঁচানোর জন্য জ্বালিয়ে রাখেন, রুমের ফ্যান-লাইট দরকার ছাড়াও চালিয়ে রাখেন ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক দৈনন্দিন জিনিসই আপনার কাছে খুবই তুচ্ছ ব্যাপার মনে হবে কিন্তু এই কাজটাই যখন আরো ৫০ কোটি মানুষ ( পৃথিবীর ৬০০ কোটি মানুষের মধ্যে) করে তখন কিন্তু অনেক বড় একটা অংশ অপচয় হচ্ছে এবং যা অপচয় করছেন সেটা কিন্তু পুনরায় সৃষ্টি হবে না..। তাই এসব করার আগে একবার ভাববেন যে আপনার পরবর্তী প্রজন্ম কি ব্যাবহার করবে..?
আজকে বৈশাখ মাসেও বাংলাদেশে ঠাণ্ডা পড়ছে, গতবছর নভেম্বরেও শীত আসেনি, প্রতিদিন অস্বাভাবিক ঝড় হচ্ছে, এসব কি শুধু শুধুই হচ্ছে..? মোটেই না..। আপনি, আমি কিংবা আমাদের বাবা-মা, দাদা-দাদি কেউই আবহাওয়ার এই তুমুল পরিবর্তন আগে কখনও দেখিনি..। ভেবে দেখেন আমাদের সন্তানদের আমরা বইতে পড়াতে পারবো কিনা যে বাংলাদেশে ছয়টি ঋতু..। তখন হয়তো দুইটা ঋতু থাকবেঃ ১- অস্বাভাবিক, ২- স্বাভাবিক..।
আপনি আমি প্রকৃতির উপর এত বেঈমানি করছি, আর প্রকৃতি আমাদের ছেড়ে দিবে..? নাহ..! কিছুতেই না..।
Nature will pay back, in fact may be the payback has started already..
P.S. Try to treat nature as if it is your own body..

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

সুশান্ত হাসান বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন,,,, জোন পরিবর্তনই আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়না তেমন!!!

২| ২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:২৩

মিষ্‌টি বলেছেন: ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.