নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তহুরা মরিয়ম মিষ্টি

মিষ্‌টি

মিষ্‌টি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রূপকথার গল্প "ক্রস ফায়ার"

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১৪

“ক্রস ফায়ার” শব্দটার সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত...। বাংলাদেশে এই ধারণাটির উদ্ভাবন হয় র্যা ব গঠনের মাধ্যমে, ২০০৪ সালে...। প্রথম দিকে এটি খুব জনপ্রিয়তা পাচ্ছিলো, যেহেতু আগে যেসব সন্ত্রাসীদের গায়ে হাত দেয়ারও কারো সাহস ছিল না সেসব সন্ত্রাসীদের রাতারাতি মেরে ফেলে র্যায়ব ওভার নাইট হিরো হয়েগিয়েছিল...। কিন্তু ক্ষমতার সাথে সাথে কিছু রেস্পন্সিবিলিটিও থাকে...। যেসব ক্ষমতাবানেরা তাদের ক্ষমতার পাশাপাশি এই রেস্পন্সিবিলিটি পালন না করতে পারে তারা অচিরেই জনপ্রিয়তা হারাতে শুরু করে...। র্যা বও এর বহির্ভূত নয়...। জনপ্রিয়তায় প্রথম ধাক্কাটা এসেছিল যখন র্যা বের ভুলের কারনে ‘লিমন’ নামের একটা দরিদ্র নিরীহ ছেলে পঙ্গু হয়ে গেল...। যদিও এটা একান্তই কিছু নির্দিষ্ট মিডিয়া কভারেজ এবং ফলোআপের কারনে পুরো দেশের সমর্থন পাওয়া সম্ভব হয়েছিল...।

যাইহোক, ধীরে ধীরে সবাই ক্রস ফায়ার নামক সাজানো গল্প শুনে আসছি যার আজ পর্যন্ত র্যা ব এবং ঐ মৃত সন্ত্রাসী বাদে কোন চাক্ষুস প্রমান বা সাক্ষী পাওয়া যায়নি...। “র্যা ব” যারা এই গল্পের ব্যাপারে যেকোন ধরনের জবাবদিহিতার উর্ধে অবস্থান করে, আর বাকি রইল ঐ “মৃত ব্যাক্তিরা” যাদের ব্যাখ্যা শোনার কোন প্রশ্নই আসে না...।ফলস্বরূপ এই ক্রস ফায়ারের গল্প গুলো রূপকথার গল্পের মতই থেকে যাচ্ছে যেখানে রয়েছে – হ্যাপি এন্ডিং; যার আগে পিছে আর কোন প্রশ্ন নেই...। আমি খুবই অবাক দেশে এত লেখক, প্রতিবাদী ব্লগার রয়েছেন তারা কেউ এই ক্রস ফায়ারের রূপকথার গল্প নিয়ে কোন প্রশ্ন কেন তুলে না...? আজ পর্যন্ত কোনদিন কি কেউ এই দুই পক্ষের গুলি, পাল্টা গুলির শব্দ পর্যন্ত শুনতে পেয়েছে...? আর বাংলা সিনেমার মত কয়জনই বা রোজরোজ অস্ত্র হাতে সবার সামনে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়...! আর সব থেকে অবাক করা বিষয় হল ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে এমন কোন ঝোপঝাড় বা মাঠ আছে যেখানে এত ক্রস ফায়ারের অ্যাকশান সিন গুলো হয় আর আশেপাশের কোন মানুষই তা কোনদিন টের পেলোনা...!

ক্ষমতার অপব্যাবহার করা খুবই সহজ কিন্তু ক্ষমতার পাশাপাশি ঐ যে দায়িত্বের একটা প্রশ্ন থাকে সেটা কোথায় যেন হারিয়ে যায়...! প্রতিবাদী লেখক, ব্লগার, মিডিয়া সবাই যার যার গা বাঁচিয়ে চলে...। হয়ত সবার মনেই এই প্রশ্নটা আসে, কিন্তু কারো কখনও বলা হয়ে উঠেনি...। বাঙ্গালির সমস্যাই এটা- যতক্ষণ নিজের স্বার্থে না লাগে ততক্ষন কেউই কোন সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেনা...। কিন্তু কাউকে তো শুরু করতে হবে...! বিপদাশঙ্কাটা যখন রক্ষকদের কাছে থেকে আসে সাবধান হওয়াটা তখন অতি জরুরী নয় কি...?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.