নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তহুরা মরিয়ম মিষ্টি

মিষ্‌টি

মিষ্‌টি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গেম বনাম বাস্তব জীবন

১২ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫

"দোস্ত, আমার জলদি বাসায় ফিরতে হবে, নয়তো আমার সব মিষ্টি কুমড়া নষ্ট হয়ে যাবে।"
"দোস্ত, আজ ফূল ক্লাস করতে পারব না, আমার গরুকে মাঠে ঘাস খেতে দিতে হবে।"

উপরের ঘটনাটির প্রেক্ষাপট হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সনামধন্য বিভাগের দুই বান্ধবীর কথোপকথন। যে বেক্তি এত দুশ্চিন্তায় আছে, সে জন্ম থেকেই ঢাকায় বড় হয়েছে এবং খুবই আধুনিক। তবে এমন একজন কীভাবে এইসব কাজ নিয়ে এত উদ্বিগ্ন? খুবই অবাক করা বিষয়, তাইনা? ঠিক ধরতে পারছেন না নিশ্চয়ই যে বেপারটা কি?

আরে, সে তার অনলাইন গেম "Farmville" নিয়ে উদ্বিগ্ন! হ্যা, যারা ফেইসবুক ব্যবহার করেন তাদের মধ্যে ২ টা শ্রেণী রয়েছে: এক শ্রেণী এসব গেম এর ধরে কাছেও যায় না কিন্তু তাদের বন্ধুরা এসব গেম রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে পরিচিত করে, আর দ্বিতীয় শ্রেণী নিজেরা তো সব ধরনের গেম খেলেই এবং অন্যদেরও খেলার রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে বিরক্ত করে। এখন কথা হচ্ছে, তাহলে কি গেম খেলা কে খারাপ দৃষ্টিতে দেখছি? নাহ! কম্পিউটার এবং মোবাইল গেমসগুলো মস্তিস্কের উন্নতির ক্ষেত্রে অনেক উপকারি। কিন্তু অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল নয়। আর এসব গেম বাচ্চা থেকে বুড়ো, সবাইকে এতই আসক্ত করে রাখে যে এদের চারপাশের কি হচ্ছে না হচ্ছে তা থেকে এরা পুরাই দূরে সরে যায়। পাশে যে কোন মানুষ বসা সেটাও ভুলে যায়। সামনে যে খাবার দেয়া আছে সেটাও খেয়াল করে না। বেপারটা যখন এই পর্যায়ে পৌছায় তখন অবশ্যই সেটাকে ভালোভাবে গ্রহন করা যায় না!

আমার বোনের ৫ বছর বয়সী কন্ন্যাকে ভাত খাওয়ানোর সময় ওর হাতে মোবাইল দেয়া হয় যেন ও গেম খেলতে থাকে আর খাবার নিয়ে কোন প্রশ্ন না করে।যথাযথ এই নিয়মে খাওয়ানোর কিছুক্ষন পরে বাচ্চাটি ওর মা কে জিগ্যেস করে, "মা আজ আমাকে ভাত খাওয়াবে না?"

আমার হাজবেন্ড; সারাদিন স্পেসশিপ নিয়ে গোলাগুলি করে, অনেক শত্রুপক্ষ কে মারে, কেউ তাকে হামলা করলে বীরের মত তাদের সাথে লড়াইও করে। কিন্তু আমি জানি যে, কেউ যদি তার সামনে সত্যিকারের অস্ত্র নিয়ে আসে তাহলে সে নিজের কাছে থাকা সব কিছুই দিয়ে দিবে। তাহলে কি লাভ ঐ ভার্চুয়াল বাহাদুরীর?

আমার ছোট ভাই তো ঘুমের মধ্যেও ঘুষাঘুষি করে! বেচারার ভবিষ্যত সংসার জীবন নিয়ে আমি খুবই সন্দিহান।

আর যারা শাকসবজি, হাস-মুরগী অনলাইনে লালন পালন করে, অন্যদিকে আবার চাকরি নেই তাই হা-হুতাশ করে, তাদেরও অনলাইনে ঢুকিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা গেলে হয়ত তাদের হা-হুতাশটা একটু কমতো!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪০

বিজন রয় বলেছেন: খারাপ লেখেন নি।
++++

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

মজিদুল হক মুনির বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপনি।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

মাহমুদা আক্তার সুমা বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন তো। ভাল লাগল।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: একদা আমার গেমের নেশা বন্ধ করতে বাড়িতে আমার খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। খুবই বাজে নেশা, অনেক গেমাসক্ত মান্সিক হাসপাতালে আছে শুনেছি।

৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮

মিষ্‌টি বলেছেন: গেম খেলা আমিও পছন্দ করি। কিন্তু এটা টাইম পাসের জন্য মানায়, আসক্ত হওয়াটা খারাপ।

৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

বিপরীত বাক বলেছেন: খারাপ কিছু দেখছি না।
অন্তত নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত আছে। অন্যের ক্ষতি তো করছে না।
আপনি কি আশা করেন গেম না খেলে এর ওর পিছনে লেগে পরশ্রীকাতর আলোচনায় মত্ত থাকা আরও ভাল?

৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

মিষ্‌টি বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তরও আমার উপরের কমেন্টটাই দিয়ে দেয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.