নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে অর্থমন্ত্রী বললেন, 'হল মার্ক-সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে কারো কারো বিরুদ্ধে কিছু করা যাচ্ছে না নিজেদের লোকজনের কারণে। আমি খুবই ক্ষুব্ধ।'
অর্থমন্ত্রী কথাটি বললেন বটে কিন্তু তাতে লাভটা কি হল? অর্থমন্ত্রীই সম্ভবত এই সরকারের সবথেকে সিনিয়র প্রভাবশালী সদস্য। আর সেই তিনিই কিনা অসহায়ের মত কথা গুলো বললেন!
বলার অপেক্ষা রাখে না এর বেশি বলাটা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না বলেই তিনি বলেননি ঠিক। কিন্তু মনে প্রাণে চেয়েছেন এই কথার সূত্র ধরে অন্তত একটা হইচই হোক। চারিদিকে শোরগোল পড়ে যাক। একটা বড় ধরনের আওয়াজ উঠুক। গণদাবীতে পরিণত হোক- কারা সেই দলীয় লোক তাদের নাম প্রকাশ করা হোক। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
অথচ কি আশ্চর্য কোন আওয়াজই উঠল না। কেউ এসে তার পাশে দাঁড়াল না! না সরকার দল না তথাকথিত বিরোধী দল থেকে। না সুশীল সমাজ এমনকি মাঠের বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি পর্যন্ত তেমন করে আলোড়ন তুলল না। কেন?
এই ক্ষমতাধররা প্রত্যেকের উপর প্রভাব বিস্তার করে আছে! কিভাবে?
সরকারের মধ্যের বা বাইরের দেশপ্রেমিক শক্তিটা তাহলে কোথায় মিইয়ে গেল?
অপরাধ সঙ্ঘটিত হবে, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাও নেয়া হবে এটাই স্বাভাবিক। কিছু কিছু অপরাধ সমাজের বা রাষ্ট্রের এমন সব স্থান থেকে সংগঠিত হয় যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে কাউকে না কাউকে সাহস নিয়ে এগিয়ে আসতে হয়। আর তখনই তার পেছনে জড় হতে থাকে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র শক্তিসমূহ। যা এক সময় প্রতিপক্ষ যত বড় শক্তিশালীই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে প্রবল প্রতাপশালী রূপে দাঁড়িয়ে যায়। আর তখন সে অপরাধীকে খুব সহজেই নামিয়ে আনা যায় মাটিতে। বিচারের সম্মুখীন করা যায় তাকে। যা পরবর্তীতে সকলের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকেসেই বিচার।
এ ক্ষেত্রে কি হল? মাননীয় অর্থমন্ত্রী সেই সাহায্যটা কোন গোষ্ঠীর কাছ থেকেই পেলেন না। আর এর সুরাহাটাও করতে পারলেন না। হয়ত পারবেনও না।
এরপুর্বে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর 'বোগাস' 'রাবিশ' নিয়েও যে পরিমাণ কাটাচ্ছেরা করা হয়েছে সেটুকু করা হল না। তার এই সৎ এবং সাহসী উচ্চারণ নিয়ে।
তিনি যে 'রাবিশ' বলেন সেটাই তো ঠিক। তার বা আমার কিংবা আপনার চারপাশে যা আছে যারা আছে তা 'রাবিশ' ছাড়া আর কি?
আওয়ামী লীগ সরকার টিকে থাকলে এই দেশ এগুবে এটা ঠিক কিন্তু এই ক্ষমতাধররা শেষ পর্যন্ত দলটিকে ক্ষমতায় থাকতে দিবে তো? দিলেও কতদিন? প্রশ্নটা এখানেই। সোনার বাংলা সোনার ডিম পারবে আর ক্ষমতাধররা তা গিলে খাবে। এটাই কি ভবিতব্য?
এত বড় অর্থ কেলেঙ্কারির পড়েও তারা সরকারের 'ভাসুর' হয়েই রইল। তাদের নাম স্বয়ং অর্থমন্ত্রীও মুখে আনতে পারলেন না! এ সত্যিই বড় লজ্জার। আরও বেশি লজ্জা এবং একই সাথে আশংকার বিষয় হল এই দেশটাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আমাদের হাতে এই একটিই মাত্র বিকল্প আছে।
এই দলটির কাছেই আমাদের সকল প্রত্যাশা।
[email protected]
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:১৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: বেদনার বালুচরে আপনাকে ধন্যবাদ। যদি এটাই ভবিতব্য হয়ে থাকে তবে তাকে যে কোন উপায়েই হোক বদলাতে হবে।
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: আপনার লেখা ভালো , দল মতের উরধে সবার জন্য লেখেন ( যা এই ব্লগে খুব কম ব্লগারের কাছে দেখা যায় ) । আপনার এই লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়লাম , সত্যি হতাশার ।
বর্তমান আওয়ামীলীগ কে ডুবাচ্ছেন আওয়ামীলীগের ই কিছু প্রভাবশালি লোক , তারা কি এসব জেনে করছেন নাকি না জেনে করছেন ?
যে অপরাধি তার বেলায় কোন ছাড় নেই , সে আওয়ামীলীগের যত বড় আব্বা হোক । এই দলটা কোন হেজি পেজি দল না , এই দল উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীনতম দল , যাদের ঝুলিতে রয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ।
কিছু মূর্খের জন্য এই দলের সুনাম নষ্ট হতে দেয়া যাবে না ।
প্রধানমন্ত্রী কে ধন্যবাদ , সর্বশেষ পিলু খান কে বহিষ্কার করে দেয়ার জন্য ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২৫
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সাদী ফেরদৌস এমন উৎসাহ ব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আওয়ামীলীগের মত এত বেশী আত্নশুদ্ধির চেষ্টা এ দেশে অন্য কোন দল কখনোই করেনি এটা ঠিক তবে আমার দৃষ্টিতে আওয়ামীলীগ উদ্যোগী হতে এত বেশী দেরী করে যাতে তার সুফলটা আর পাওয়া যায় না। সেই সাথে যে বার্তাটা তারা দিতে চায় তারও গুরুত্ব অনেকখানিই কমে যায়।
আওয়ামী লীগ যদি "কিছু মূর্খের জন্য এই দলের সুনাম নষ্ট হতে দেয়া যাবে না" এই একটিই নিতিতেই অবিচল থাকে তাহলেই কেবল লীগ বেঁচে যাবে। বেঁচে যাবে দেশটাও।
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন ,
হ্যাঁ .... এটাই আমাদের ভবিতব্য ।
ঠিকই বলেছেন - কাউকে না কাউকে সাহস নিয়ে এগিয়ে আসতে হয়। আর তখনই তার পেছনে জড় হতে থাকে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র শক্তিসমূহ। যা এক সময় প্রতিপক্ষ যত বড় শক্তিশালীই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে প্রবল প্রতাপশালী রূপে দাঁড়িয়ে যায়। আর তখন সে অপরাধীকে খুব সহজেই নামিয়ে আনা যায় মাটিতে। বিচারের সম্মুখীন করা যায় তাকে। যা পরবর্তীতে সকলের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে সেই বিচার ...
আমরা বলি, সকল স্তরে মানসিকতার পরিবর্তন হলেই তবে সোনার বাংলা সোনার ডিম পারবে । কিন্তু এই পরিবর্তন হবে কবে ????????????
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস আপনাকে।
আপনি ঠিকই বলেছেন প্রয়োজন সকল স্তরে মানসিকতার পরিবর্তন । আর সেটা কবে হবে তা তোঁ সময়ের গর্ভেই লুকায়িত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২৩
বেদনার বালুচরে বলেছেন: উপরের মন্তব্যটি সঠিকভাবে আসেনি বিধায় বাতিল করার জন্য অনুরোধ করা হলো। আসলে মন্তব্যটা হবে নিম্নরুপ-
কমপক্ষে বর্তমানতব্য তো বটে। ভবিতব্য কি-না, তা ভবিষ্যত-ই বলবে।