নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
মানুষ খুন করতে আমি ভিষন ভালোবাসি। খুন হওয়া দেখতে আমার আরো বেশি ভাল লাগে কেননা সে ক্ষেত্রে নিজের কোন বিপদের আশঙ্কা থাকে না অথচ একজন মানুষ খুন করার সবটুকু স্বাদ পাওয়া যায়। আক্রান্ত মানুষের আর্তচিতকার, বাচার আকুতি সব, সবটাই দেখতে পাওয়া যায়। সমস্যা হল এমন দৃশ্য তোঁ আর সব সময় দেখতে পাওয়া যায় না তাই আমি সুযোগ পেলে তার ভিডিও করে রাখি। কি পাঠক, বিশ্বাস হচ্ছে না? সত্যি বলছি। আমি একা নই আয়নার সামনে দাড়িয়ে দেখুন আপনিও আমার গোত্রভুক্ত। প্রমান চান?
ধরুন আপনি নিরস্ত্র। আপনার সামনে একজন মানুষকে কুপিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। আপনি হাতের কাছে কি একটি লাঠিও পেলেন না; যেটা দিয়ে হত্যাকারীকে দু'ঘা মারতে পারেন। বাঁচাতে পারেন আক্রান্ত মানুষটাকে?
পারেন, কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছেন না। এমনকি হত্যাকারী একা আর আপনার সাথে দশজন লোক থাকলেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি না। কারন একটাই, আপনি নিজেও একজন হত্যাকারী।
মানুষের মধ্যে নুন্যতম যে বিবেক বোধ কাজ করার কথা আপনার আমার মধ্যে সেটি কাজ করছে না। করছে না বলেই- সিলেট এমসি কলেজে প্রকাশ্যে সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের এক ছাত্রীকে কোপাতে পারল এক নরপশু। শুধু তোঁ এই একটি নয় এমন অজস্র ঘটনা নিত্য ঘটে চলেছে আমাদের সম্মুখে। আমরা প্রতীকারে এগিয়ে যাচ্ছি না। কোন প্রতীবাদ করছি না। যদি আক্রান্ত মানুষটি হত নিজের বোন বা ভাই? তাহলে কি করতাম? এভাবেই চুপ করে থাকতাম?
যে লোকটা হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে সে তার এই অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে হয়ত একশ একটা যুক্তি তুলে ধরবে। যে সব যুক্তির মধ্যে দুএকটি হয়ত যুক্তিগ্রাহ্যও মনে হবে। যদিও তার কোণটাই কাউকে হত্যার বৈধতা দেবে না। তবে আমি আপনি যে নিশ্চল-নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম, তার পক্ষে কিন্তু একটি যুক্তিও তুলে ধরতে পারবেন না। তাহলে আমরা কেন খুনের দায়ে অভিযুক্ত হব না?
মানুষ যদি মানুষের বিপদে এগিয়েই না আসে তাহলে সে কেন সমাজবদ্ধ হয়ে থাকবে? তার তো জলে জঙ্গলে গিয়ে বাস করা উচিৎ।
আমরা এগিয়ে যাচ্ছি না শুধু নয়। আপনি আমি বা আমাদের মধ্যের কেউ কেউ কিন্তু সেই নৃশংসতা ভিডিও করছি! কেন বলুন তো?
কারন ওটাও এক ধরনের পৈশাচিক আনন্দ লাভের উপায়।
এক দল মানুষ এই নৃশংসতার পাশে দাঁড়িয়ে দর্শকের ভুমিকা পালন করে। কিছু মানুষ ভিডিও করে রাখে অমন দৃশ্য বার বার দেখতে পাবে বলে!
পিশাচের কথা শুনেছেন দেখা পান নি। অথচ আপনার পাশেই দাঁড়িয়ে আছি আমি, এক জলজ্যান্ত পিশাচ। ভাল করে লক্ষ করে দেখুন কে জানে আমার পাশে হয়ত নিজেকেও দেখতে পাবেন একই চেহারায়!
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ঐ ছাত্র আমার আলোচ্য নয়। আমার আলোচনার কেন্দ্রটি হচ্ছে উপস্থিত মানুষগুলো। আমি বিশ্বাস করি যতদিন না পর্যন্ত সাধারন মানুষ জেগে উঠবে ততদিন পর্যন্ত এ সব চলতেই থাকবে। অনেক ধন্যবাদ আবিদা সিদ্দিকী আপনাকে।
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮
প্রথমকথা বলেছেন: সত্যি লজ্জাজনক ব্যপার।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: পিশাচের লজ্জা থাকে না। অশেষ ধন্যবাদ @ প্রথমকথা
৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
অস্ত্রধারী কারো বিপক্ষে নিরস্ত্র কারো কিছু করারও থাকে না।
তবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করা, ভিডিও করার চেয়ে সাহায্যের জন্য মানুষ সংগ্রহ করাই ভাল। এটা করার সাহস হলেও এসব ঘটনার সংখ্যা কমানো সম্ভব।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২৯
আবিদা সিদ্দিকী বলেছেন: আসলে আমরা বাস করি ভয়ের জগতে। প্রতিবাদ করতে পারি না, রক্ষা করার চেষ্টা করতে পারি না, কেবল ভেতরে ভেতরে পুড়ে খাক হই। তবে ওই ছাত্রনেতাকে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে।