নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
আপনি যদি "ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি" লিখে সার্চ দেন আট থেকে দশটি নিউজ পাবেন যেখানে দেখা যাচ্ছে- স্কুল শিক্ষক গ্রেফতার, আনসার সদস্য গ্রেফতার, শিক্ষক বরখাস্ত ইত্যাদি অর্থাৎ ধর্ম নিয়ে কটূক্তির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ অভিযোগ জানালে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তারপরেও কেন এ সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিন্দুদের বাড়িঘর জালিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটছে?
ফেসবুক ব্যবহার কারী প্রত্যেকের নিউজ ফিডে প্রতিদিন অসংখ্য হিন্দু ধর্মকে লক্ষ করে কটুক্তিমুলক স্ট্যাটাস ছবি দেখা যায়। তাঁর বিরুদ্ধে হিন্দুরা মুসলমানদের ঘরবাড়িতে আগুন দিতে যায় না। এই যে তাঁরা চুপচাপ থাকে তাঁর মানে কিন্তু এই নয় যে তাঁরা সংযমী। বিষয়টা হচ্ছে তাঁরা জানে যে, আমরা সংখ্যালঘু আমরা একটি হামলা চালালে মুসলমানরা দশটি হামলা চালাব অতএব চুপচাপ থাকাটাই মঙ্গল। ঠিক এর বিপরীত কারণে এদেশের মুসলমানরা কারণে অকারণে ইস্যু তৈরি করে হিন্দুদের উপর চড়াও হয়।
এখানে ধর্ম মুখ্য নয়।
ইসলাম কখনোই এই সহিংসতা সমর্থন করে না। মহানবী(সঃ) তাঁর জীবনে বহু অত্যাচার সয়েছেন। ক্ষমতা থাকা স্বত্বেও প্রতিশোধ নেন নি। আমরা তায়েফের ঘটনা জানি। আমরা মক্কা বিজয়ের পর তাঁর গণহারে ক্ষমা করে দেয়ার ঘটনা জানি। আমরা মহানবীর পথে কাটা বিছিয়ে রাখা বুড়ীর ঘটনা জানি। এমনকি এও জানি; একদা এক বেদুঈন মসজিদে পেশাব করলো। লোকেরা উঠে (তাকে মারার জন্য) তার দিকে গেল। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তার পেশাব করা বন্ধ করো না। তারপর তিনি এক বালতি পানি আনালেন এবং পানি পেশাবের উপর ঢেলে দেয়া হলো। (আবদুল্লাহ ইবনু আবদস ওহহাব (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, সহিহ বুখারি ৫৬০০)
অতএব যারা ইসলামের মান বাঁচানোর নামে মহানবী(সঃ) এর আদর্শকে বুড়ো আঙুল দেখায় তাঁরা আর যাই হোক ইসলামকে ভালবেসে যে এ সব করছে না তা বলাই বাহুল্য।
প্রশ্ন হল তাহলে তাঁরা কেন করছে। এর পেছনে দুটি কারণ বিদ্যমান। এক, যারা পেছন থেকে উস্কানি দেয় তাঁদের দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকে হিন্দু সম্পত্তির দিকে আর দুই, যারা সামনে থেকে এই জঘন্য কাজগুলো করে, তাদের মধ্যে আমিত্বের অহংকার প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। তাঁরা মনে করে এ দেশটা মুসলমানদের। এখানে মুসলমানের বিরুদ্ধে কথা বলা মানুষের বেঁচে থাকারই অধিকার নেই। এক কথায় এর পেছনে ধর্ম নয় কাজ করে ক্ষমতার দম্ভ আর সম্পত্তি লাভের আশা।
ভালভাবে লক্ষ করলে দেখা যায় এই সব সহিংস ঘটনার সাথে যারা প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত তাদের মধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলিম খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর। এরা মাঝে মাঝে দু' এক রাকআত সালাত আদায় করলেও কোন দিনই ভোঁর রাতে ঘুম ভেঙ্গে ফজরের নামাজ করতে যায় না। বরং মুসলমানের দাবীটা বজায় রাখতে তাঁরা প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজে হাজির হতেই বেশি আগ্রহী থাকে।
সপ্তাহের একদিন এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে যারা মুসলমানের দাবী করে তাদের দ্বারা এ সব কর্মকাণ্ড ঘটাই স্বাভাবিক।
অনেকে হয়ত বলবেন আমি কেবল নামাজ আদায়কেই মুসলামানের একমাত্র মাপকাঠি বানিয়ে ফেলছি। হ্যাঁ, সেটা আমি সচেতনভাবেই করছি কেননা, সূরা মরিয়মে মহান আল্লাহ্ নিজেই বলেছেন।
"তাদের পর এল অপদার্থ উত্তরসূরীরা, তারা নামাজ নষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুগামী হল, তাই তারা অচিরেই মন্দ পরিণাম প্রত্যক্ষ করবে। কিন্তু, তারা ব্যতীত, যারা তওবা করেছে এবং ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করেছে, তারাই তো জান্নাতে প্রবেশ করবে – তাদের প্রতি সামান্য জুলুমও করা হবে না। (সূরা মারইয়াম ১৯:৫৯-৬০)
লক্ষ করুন ৫৯ নং আয়াতে নামাজ ত্যাগকারীদের অপদার্থ বলা হয়েছে। আর তারা কিভাবে আবার সুপথগামী হতে পারবে তার বর্ণনা করতে যেয়ে ৬০ নং আয়াতে তাদেরকে তওবা করে আবার ঈমান আনতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ নামাজ ত্যাগকারী অবস্থায় তাদের ঈমান চলে গিয়েছিল, অর্থাৎ তারা অমুসলিম হয়ে গিয়েছিল। আর এ কারনেই যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে না তাদের নিজেদের মুসলমা দাবী করাটাকেই আমি প্রতারনা বলে মনে করি।
তবে সব থেকে লজ্জাজনক বিষয়টি হল এর বিরুদ্ধে সবথেকে বড় প্রতিবাদটা যেখান থেকে আশা উচিৎ সেটা আসছে না। আমাদের দেশের আলেম সমাজ সব জেনে বুঝেও এ ক্ষেত্রে নীরব থাকেন। সেটা কি মসজিদে দানের পরিমাণ কমে যাওয়ার ভয়ে নাকি মিলাদের ডাক না আসার ভয়ে তা তারাই ভাল জানেন। তবে শেষ বিচারে তারাই যে সবার আগে ধৃত হবেন সেটা নিশ্চিত করেই বলতে পারি।
মহানবী(সঃ) ইসলাম প্রচার করেছেন তাঁর সুমহান আদর্শ দিয়ে। তরবারি দিয়ে নয়। তরবারি তিনি কেবল মাত্র অস্তিত্ব রক্ষার্থেই ব্যবহার করেছেন। ইসলাম তাঁর প্রতিবেশীর প্রতি দায়িত্ববান হতে বলেছে হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদ করতে বলেনি অথচ এই সব মানুষ মুসলিম পরিচয়ে যা করে বেড়াচ্ছে তাতে ইসলাম সম্পর্কে এবং মহানবী(সঃ) সম্পর্কে বিধর্মীদের মনে ভুল ধারনা তৈরি হচ্ছে যা ইসলাম বিদ্বেষীদের রসদ জোগাতে সাহায্য করছে। এর বিরুদ্ধে আলেম সমাজ কখনোই প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেনি বরং কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা গেছে স্থানীয় মসজিদের ইমামদের উস্কানি দিতে। যা কোন ভাবেই কাম্য নয়।
এ সব ঘটনা রোধে সরকারের উচিৎ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে স্থানীয় মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনা। এটা আমরা সবাই জানি ধর্মীয় বিষয়ে মসজিদের ইমাম গনের মতামত স্থানীয়দের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা যেন নিজেদের সেই গুরুত্বটা কাজে লাগান। শেষ বিচারের দিনে মহান আল্লাহর দরবারে তাদের যেন লজ্জিত হতে না হয়। তাতে ইসলামেরই সেবা করা হবে। বেঁচে যাবে সমাজ ও দেশ। আমরা একটি সু শৃংখল সমাজ দেখতে পাব।
[email protected]
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ এম আর তালুকদার আপনাকে।
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ইসলাম কখনোই এই সহিংসতা সমর্থন করে না। মহানবী(সঃ) তাঁর জীবনে বহু অত্যাচার সয়েছেন। ক্ষমতা থাকা স্বত্বেও প্রতিশোধ নেন নি। আমরা তায়েফের ঘটনা জানি। আমরা মক্কা বিজয়ের পর তাঁর গণহারে ক্ষমা করে দেয়ার ঘটনা জানি। আমরা মহানবীর পথে কাটা বিছিয়ে রাখা বুড়ীর ঘটনা জানি। এমনকি এও জানি; একদা এক বেদুঈন মসজিদে পেশাব করলো। লোকেরা উঠে (তাকে মারার জন্য) তার দিকে গেল। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তার পেশাব করা বন্ধ করো না। তারপর তিনি এক বালতি পানি আনালেন এবং পানি পেশাবের উপর ঢেলে দেয়া হলো। (আবদুল্লাহ ইবনু আবদস ওহহাব (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, সহিহ বুখারি ৫৬০০)
অতএব যারা ইসলামের মান বাঁচানোর নামে মহানবী(সঃ) এর আদর্শকে বুড়ো আঙুল দেখায় তাঁরা আর যাই হোক ইসলামকে ভালবেসে যে এ সব করছে না তা বলাই বাহুল্য। প্রশ্ন হল তাহলে তাঁরা কেন করছে। এর পেছনে দুটি কারণ বিদ্যমান। এক, যারা পেছন থেকে উস্কানি দেয় তাঁদের দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকে হিন্দু সম্পত্তির দিকে আর দুই, যারা সামনে থেকে এই জঘন্য কাজগুলো করে, তাদের মধ্যে আমিত্বের অহংকার প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। তাঁরা মনে করে এ দেশটা মুসলমানদের। এখানে মুসলমানের বিরুদ্ধে কথা বলা মানুষের বেঁচে থাকারই অধিকার নেই। এক কথায় এর পেছনে ধর্ম নয় কাজ করে ক্ষমতার দম্ভ আর সম্পত্তি লাভের আশা।
ভালভাবে লক্ষ করলে দেখা যায় এই সব সহিংস ঘটনার সাথে যারা প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত তাদের মধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলিম খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর। এরা মাঝে মাঝে দু' এক রাকআত সালাত আদায় করলেও কোন দিনই ভোঁর রাতে ঘুম ভেঙ্গে ফজরের নামাজ করতে যায় না। বরং মুসলমানের দাবীটা বজায় রাখতে তাঁরা প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজে হাজির হতেই বেশি আগ্রহী থাকে।
সপ্তাহের একদিন এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে যারা মুসলমানের দাবী করে তাদের দ্বারা এ সব কর্মকাণ্ড ঘটাই স্বাভাবিক।
অনেকে হয়ত বলবেন আমি কেবল নামাজ আদায়কেই মুসলামানের একমাত্র মাপকাঠি বানিয়ে ফেলছি। হ্যাঁ, সেটা আমি সচেতনভাবেই করছি কেননা, সূরা মরিয়মে মহান আল্লাহ্ নিজেই বলেছেন।
"তাদের পর এল অপদার্থ উত্তরসূরীরা, তারা নামাজ নষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুগামী হল, তাই তারা অচিরেই মন্দ পরিণাম প্রত্যক্ষ করবে। কিন্তু, তারা ব্যতীত, যারা তওবা করেছে এবং ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করেছে, তারাই তো জান্নাতে প্রবেশ করবে – তাদের প্রতি সামান্য জুলুমও করা হবে না। (সূরা মারইয়াম ১৯:৫৯-৬০)
লক্ষ করুন ৫৯ নং আয়াতে নামাজ ত্যাগকারীদের অপদার্থ বলা হয়েছে। আর তারা কিভাবে আবার সুপথগামী হতে পারবে তার বর্ণনা করতে যেয়ে ৬০ নং আয়াতে তাদেরকে তওবা করে আবার ঈমান আনতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ নামাজ ত্যাগকারী অবস্থায় তাদের ঈমান চলে গিয়েছিল, অর্থাৎ তারা অমুসলিম হয়ে গিয়েছিল। আর এ কারনেই যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে না তাদের নিজেদের মুসলমা দাবী করাটাকেই আমি প্রতারনা বলে মনে করি।
-সুন্দর বলেছেন। সহমত। ধন্যবাদ।
এ সব ঘটনা রোধে সরকারের উচিৎ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে স্থানীয় মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনা।
-প্রস্তাব খারাপ রাখেন নি। তবে, স্থানীয় মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনার পূর্বে তাদের প্রতি সরকার বা রাষ্ট্রের দায়-দায়িত্ব পালনের মানসিকতা এবং পথও থাকা উচিত, যেমনটা জনপ্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে রয়েছে। আপনার মহল্লার মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনের বেতন দেন আপনারা মহল্লাবাসী মুছল্লীগন। তো, সামগ্রিকভাবে আপনাদের অর্থে প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন বুঝি জবাবদিহি করতে যাবেন...। হাস্যকর মনে হচ্ছে।
যাক, ভাল থাকুন।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০১
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: বেতন ভাতা স্থানীয় জনগনের দানের টাকায় হয় বলেই যে ইমাম-মুয়াজ্জিনেরা স্থানীয় জনগনের কাছে মাথা বেঁচে দেন তা তো নয়। আর জবাবদিহিতা তো রাষ্ট্রের কছে সবার এটা হাস্যকর কেন মনে হল সেটাই তো আশ্চর্য।
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪
নতুন নকিব বলেছেন:
জবাবে কৃতজ্ঞতা।
প্রশ্ন হচ্ছে, ইমাম-মুয়াজ্জিনের বেতন-ভাতা রাষ্ট্র কেন বহন করবে না? আপনার-আমার-আমাদের দয়ার উপরে তাদের নির্ভর হতে হবে কেন? সভাপতি, মোতাওয়াল্লি আর আপনার বক্তব্য মতে, বেনামাজী কিংবা সাপ্তাহিক নামাজী কিছু সংখ্যক ব্যক্তির কাছে মাথা তো একরকম বিক্রি করেই এদের চাকরিতে যোগদান করতে হয়। এটাতে আবার নতুন করে আশ্চর্য হওয়ার কি আছে? প্রত্যেক নাগরিকের রাষ্ট্রের প্রতি সাধারনভাবে যে জবাবদিহিতা ও দায়দায়িত্ব রয়েছে, ইমাম-মুয়াজ্জিনগনও তার বাইরে নন। আর সেটাকে অস্বীকার করার কথাও বলা হয় নি।
ভাল থাকুন, ভাই।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এটা অন্য আলোচনা আমি শুধু বলব, ব্যক্তিগতভাবে আমি ইমাম, মুয়াজ্জিন যে একটি চাকুরি সেটারই পক্ষে নই।
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: লুটপাঠই মূখ্য ্স্বার্থ।ফেসবুকে যে কারো নামে আইডি খোলা যায়।এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে লুটপাঠকারীরা।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এটা তো যে কেউ বুঝবে যে কোন সুস্থ মানুষ কখনোই নিজের আইডি ব্যবহার করে এ সব কাজ করার সাহস পাবে না। তারপরেও যখন এর উপর ভিত্তি করেই সহিংসতা চালানো হয় তখন এ প্রশ্ন তো উঠবেই যে আসল উদ্দেশ্য কি? ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭
এভো বলেছেন: বাংলাদেশটা আর সাম্প্রদায়িক সম্পৃিতির দেশটি আর নেই । সংখ্যালঘুদের উপর নিপিড়নের মাত্রা দিন দিন বেড়ে চলেছে , এটা খুবই দু:খজনক । কে নষ্ঠ করলো এই দেশটা কে ???
আপনি যদি "ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি" লিখে সার্চ দেন আট থেকে দশটি নিউজ পাবেন যেখানে দেখা যাচ্ছে- স্কুল শিক্ষক গ্রেফতার, আনসার সদস্য গ্রেফতার, শিক্ষক বরখাস্ত ইত্যাদি অর্থাৎ ধর্ম নিয়ে কটূক্তির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ অভিযোগ জানালে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তারপরেও কেন এ সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিন্দুদের বাড়িঘর জালিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটছে?
খুব সত্য কথা বলেছেন একমত । সরকার এই ধরনের কোন অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছে ।
ফেসবুক ব্যবহার কারী প্রত্যেকের নিউজ ফিডে প্রতিদিন অসংখ্য হিন্দু ধর্মকে লক্ষ করে কটুক্তিমুলক স্ট্যাটাস ছবি দেখা যায়। তাঁর বিরুদ্ধে হিন্দুরা মুসলমানদের ঘরবাড়িতে আগুন দিতে যায় না। এই যে তাঁরা চুপচাপ থাকে তাঁর মানে কিন্তু এই নয় যে তাঁরা সংযমী। বিষয়টা হচ্ছে তাঁরা জানে যে, আমরা সংখ্যালঘু আমরা একটি হামলা চালালে মুসলমানরা দশটি হামলা চালাব অতএব চুপচাপ থাকাটাই মঙ্গল। ঠিক এর বিপরীত কারণে এদেশের মুসলমানরা কারণে অকারণে ইস্যু তৈরি করে হিন্দুদের উপর চড়াও হয়।
খুব সত্য কথা বলেছেন -- ফেস বুকে ওয়াজে মহফিলে প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনা ঘটছে ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: কে নষ্ট করলো এই দেশটা কে ?
এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর হল আমাদের নোংরা রাজনীতি আর সামাজিক বিভেদ। যার সাথে যুক্ত হয়েছে লোভী মানুষের ক্ষমতা প্রাপ্তি।
৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩
আল ইফরান বলেছেন: এইদেশে ফেইসবুক ব্যবহারের উপর সেন্সরশিপ (অথবা পয়সা) জারী করাটা অনেকটাই অত্যাবশ্যকীয় হয়ে দাড়িয়েছে।
অশিক্ষিত জনগনের হাতে প্রযুক্তির অপব্যবহার ঠেকানোর এর চাইতে ভালো কোন রাস্তা আমার জানা নেই।
যেইদেশের মানুষ কীবোর্ডে জিহাদ ঘোষণা করে, তাদের দেশে ফেইসবুক নিরাপদ মাধ্যম হতে পারে না।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৫
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ভূল ভাবছেন কাজটা অশিক্ষিতরা করছে না, করছে কুশিক্ষিতরা আর তা করছে সচেতন ভাবেই। প্রয়োজন আইনের কঠোর প্রয়োগ। ধন্যবাদ আল ইফরান আপনাকে।
৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০১
এভো বলেছেন: ভাই ফেসবুকের লিংক থেকে এই ভিডিওটি পেলাম , এই ব্যপারে আপনার অভিমত কি সেটা জানালে খুশি হব ----
Video Link -------- Please watch it !!!!!
১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৩
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ভিডিওটা আমি অনেক আগেই দেখেছি, এভাবে একজনকে দিয়ে যেমন সকলের বিচার চলে না ঠিক তেমনি এভাবে খন্ডিত বয়ানের উপর নির্ভর করে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোটাও ঠিক নয়। তবে এই উস্কানির কথা অস্বিকার করার কোন উপায় নেই যা আমি আমার লেখাতেও উল্লেখ করেছি। ধন্যবাদ এভো আপনাকে।
৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭
মো: নিজাম গাজী বলেছেন: এক্কেবারে মনের মতো একখান কথা কইছেন। ধন্যবাদ লেখক।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: নিজাম ভাই আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৬
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: স্বার্থ তো আছেই, সঙ্গে আছে হুজুগ। যেমন বললেন শুক্রবারে নামাজ পড়ে কেবল বাকি সময় নামাজের ধারেকাছেও থাকে না, এমন কি এরা পেশাব করে নুনু ধোয় না, মদ-গাঁজাতেও সামনের কাতারে তেমন মানুষই কিন্তু এমন হুজুগে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৫
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আপনার সাথে দ্বিমত পোষনের কোন সুযোগ নেই। এই হুজুগে লোকগুলিই ব্যবহৃত হয় এদেশের নোংরা রাজনৈতিক কর্মকান্ডে এরাই ব্যাবহৃত হয় সকল ধ্বংসাত্মক কাজে। অনেক ধন্যবাদ ভাই জুলিয়ান সিদ্দিকী আপনাকে। ভাল থাকুন অনেক ভাল।
১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪২
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন ,
ভালো লিখেছেন , তবে যাদের জন্যে লিখেছেন তাদের কানে পানি ঢুকবেনা কখনও । কারন স্বার্থটাই আগে .............
১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১১
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এখানে স্বার্থটাই যে আগে সেটা সাধারন মানুষকে বুঝতে হবে। ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই আপনাকে।
১১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সহমত। আমাদের আলেমরাও দায় এড়াতে পারেন না। তেনারা এত এত মতের, এত এত পথের যে এক হয়ে যে সাধারণ মুসলমানদের এসব থেকে বিরত রাখবেন তার সময় হয় না। সাধারণ মুসলমানদের বোঝাতে হবে, আইনের উপর শ্রদ্ধা রাখতে হবে। দরকার হলে, সুশৃঙ্খল ভাবে প্রশাসনের কাছে গিয়ে বলতে হবে ধর্ম অবমাননার ব্যপারে, কোন ভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবেনা...
১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ভাই, ভাল থাকুন নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫
এম আর তালুকদার বলেছেন: টোকাই থেকে শুরু করে সবাই যখন ফেসবুক ব্যবহারকারী তখন কতটা আর ঠেকানো যাবে। অাপনার সাথে একটা বিষয়ে সহমত তা হল ধর্ম নয় স্বার্থই সহিংসতার জন্য দায়ী।