নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
ভীষণ জরুরী একটি বিষয় নিয়ে অন্তর্জালে আলোচনা শুরু হয়েছে, অবশ্য এই আলোচনাটি অনেক আগেই শুরু করা উচিৎ ছিল। তারপরেও যে এতদিনে আলোচনা শুরু হয়েছে এটাই স্বস্তির, বিষয়টি হল। নবম শ্রেণীতে বিভাগ নির্বাচন কতটা যৌক্তিক।
আমি ব্যক্তিগতভাবে এই বিভাগ নির্বাচন, দুটি কারণে এস এস সি'র পর থেকে শুরু হওয়া উচিৎ বলে মনে করি।
প্রথম কারণটি হল, সদ্য অষ্টম শ্রেণী পাশ করা একজন ছাত্র ছাত্রী এত অল্প বয়সে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের মত পরিপক্ব হয়ে ওঠে না। ফলে সিদ্ধান্তটি প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রেই তার পরিবার এবং শিক্ষক দের দ্বারা তার উপরে চাপিয়ে দেয়া হয় অথচ এই সিদ্ধান্তটি তার জীবনের গতিপথকে সুনির্দিষ্ট করে ফেলে। এটা অন্যায়। চাপিয়ে দেয়া এই সিদ্ধান্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক সিদ্ধান্ত বলে বিবেচিত হয় না। ফলে শিক্ষার্থীরা আনন্দ চিত্তে পাঠ ক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারে না। পড়ালেখার প্রতি তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। শেষে অনেকটা বাধ্য হয়েই সে লেখাপড়া চালিয়ে যায়। যা তাকে শিখতে অনুপ্রাণিত করে না, সে তখন ভাল ফল লাভকেই লেখাপড়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনা করে এবং যেন তেন উপায়ে ভাল ফল লাভের চেষ্টা করে যায়। যা আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি।
দ্বিতীয় কারণটি হল, সুনাগরিক হিসেবে তৈরি হবার জন্য একজন শিক্ষার্থীর সকল বিষয়ের উপরেই প্রাথমিক ধারনা থাকা জরুরী। এস এস সি অবধি আমাদের যে সিলেবাস, তাকে আমরা বলতে পারি বিজ্ঞান, মানবিক অথবা ব্যবসা সব শাখারই প্রাথমিক স্তর। এটুকু জ্ঞান অর্জন সকলের জন্যই বাধ্যতামূলক হওয়া উচিৎ।
একজন মানবিক শাখার শিক্ষার্থীর যেমন ব্যবসায় উদ্যোগ কিংবা রসায়ন ও পদার্থ বিজ্ঞান সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান থাকা জরুরী ঠিক তেমনি জরুরী বলে মনে করি একজন বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীর পৌরনীতি ও নাগরিকতা বা বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা সম্পর্কে সম্যক ধারনা থাকা।
অনেকে হয়ত বলবেন এতে শিক্ষার্থীদের উপর চাপ পরে যাবে। সে ক্ষেত্রে বলব, যাতে চাপ কম পরে সে অনুযায়ী পাঠক্রম ঢেলে সাজান। তাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়ান। এতে একদিকে যেমন তারা কোন বিষয়েই একেবারে অন্ধকারে থাকবে না তেমনি একইসাথে বিশেষ অধ্যায়নের ক্ষেত্রে যে শাখাটি বেছে নিতে চাইবে পুর্বেই তার একটি সম্যক ধারনা লাভ করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা জেনে বুঝে তাদের পথ বেছে নিতে পারবে।
এখন যেটা হচ্ছে সেটা তো অনেকটা জোর করে দেয়া বাল্য বিয়ের মত। যেখানে দুটি নিতি মানা হয়। এক হল, পরিবারের ইচ্ছেই হচ্ছে শেষ কথা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, মানিয়ে গুছিয়ে নিতে হবে। কিন্তু তাতে আখেরে লাভটি কি হল সে প্রশ্ন এখানে অবান্তর।
আজকেই এই সময়ে এসে আমরা যেমন এটা বুঝতে পারছি। বাল্য বিয়ে শুধু শারীরিকভাবেই মানুষের ক্ষতির কারণ নয় একইভাবে এটি একটি সারা জীবনের জন্য মানসিক পীড়নও বটে। আজ আমরা দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মধ্যেও যেমন তাদের অমতে জোর করে বিয়ে দেওয়াকে অপরাধ বলে স্বীকার করি। ঠিক একইভাবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্র ছাত্রীদেরকে তাদের জানায় অজানায় জীবনের পতি পথ নির্দিষ্ট করে দেওয়াও এক ধরনের অপরাধ বৈকি। আজ না হোক কাল একদিন এ সত্যও আমরা স্বীকার করে নেব। যত দ্রুত সেটা স্বিকার করে নেব ততই মঙ্গল।
২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: বিষয়টা নিয়ে কৃতপক্ষ ভাবছে না। আমরা আমাদের মত করে বিষয়টিকে নিয়ে আলোচনা করছি। আমরা যদি যৌক্তিক আলোচনা করতে পারি এক সময়ে কর্তৃপক্ষ হয়ত বিষয়টা আমলে নেবে। আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৩:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কোন বিষয়ে পন্ডিত?
২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৮
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সেই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার যোগ্যতা একমাত্র আপনিই রাখেন।
৩| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: নবম শ্রেণীতে বিভাগ নির্বাচন অযৌক্তিক। তবে প্রশ্ন ফাসের এই যুগে এসব বিষয়ের প্রায়োরিটি অনেক পরে। আগে প্রশ্ন ফাস বন্ধ হোক।
২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫০
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: প্রশ্ন ফাসের পেছনেও কিন্তু লেখাপড়ার প্রতি অনাগ্রহ সবথেকে বেশি দায়ী। অতএব আগে পরে নেই সবটাই আমলে নিতে হবে। ধন্যবাদ উম্মু আবদুল্লাহ আপনাকে।
৪| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত হতে পারলাম না। তবু আমি আপনার মতামতকে সম্মান করি।
২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫১
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: কোন একটি বিষয়ে সকলের একমত হওয়া কিন্তু অস্বাভাবিক। কিন্তু আপনার দ্বিমতের বিষয়টি আলোচনা করলে লেখাটি সমৃদ্ধ হত। ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫৮
সিগন্যাস বলেছেন: আপনার সাথে শতভাগ একমত।এই দেশের শিক্ষাবিদরা সবগুলো গরু গোত্রের অন্তর্ভুক্ত।তাই এই ধরনের বাজে বিভাজন ব্যবস্থা এই দেশে রয়েছে।বিভাজন হওয়ার কথা ছিল ইউনিভার্সিটিতে
২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমি সেটাই মনে করি, বিভাজন হওয়ার কথা ছিল ইউনিভার্সিটিতে।
৬| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ৯ম শ্রেণীতে সিদ্ধান্ত না নিলে তো আবার আগের মত বিজ্ঞান থাকার পরও হিসাব বিজ্ঞান থাকবে কিংবা মানবিক থাকার পরও গণিত করতে হবে। বরং বিভাগ ঠিক রেখে বিষয় আরো কমানো উচিত...
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:০৯
রাকু হাসান বলেছেন: আপনার সাথে আমি শতভাগ একমত পোষণ করছি । হুম এটা বাল্যবিবাহের মতই । আমি অনেকের দেখিছি আপসোস করতে যে কেন বিজ্ঞান পড়লাম না আগে । শুনে ভাল লাগছে যে বিষয়টা নিয়ে কৃতপক্ষ ভাবছে । প্রত্যাশা করি ভাল কিছু সিদ্ধান্ত নিবে ।
আমি নিজে উপলব্ধি আমার জ্ঞান থাকা দরকার আমার বিভাগ বর্হিভূত বিভাগের । কিন্ত আমার স্বপ্রোণোদিত হয়ে বই পড়া ছড়া বিকল্প কিছু না নেই । কিন্ত এই জ্ঞান টা যদি আগে পেতাম কিছুটা হলেও অল্পতেই অপূর্ণতা কিছু টা হলেও পূর্ণতার মুখ দেখতো ।
কত দেখলাম শিক্ষক-অভিবাবকরা বলে দিচ্ছে এটা নাও ,সেটাও ..আমার দেখা অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা ভালমন্দ না বুঝে নিচ্ছে এবং জিজ্ঞাসাও করে কোন নিব ,কোনটা ভাল হবে এই সব । অথচ তারও আগে বেঁচে নেওয়ার জ্ঞান টা হওয়া উচিত ছিল । যেহেতু সে জ্ঞান শিক্ষার্থীদের হচ্ছে না তাই আরও পরে এ িসুযোগ রাখলে নিসন্দেহে ভাল হবে ।