নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
রোজিনা তার রিপোর্টিং এর জন্য সচিবালয়ে গিয়েছিলেন। তথ্য সংগ্রহ করাই ছিল তার উদ্দেশ্য। কাজেই তথ্য পেলে তিনি তা সংগ্রহ করবেন এটাই স্বাভাবিক। তিনি যা করেছেন বলে বলা হচ্ছে সেটাও কোন ক্রিমিনাল অফেন্স নয়। তা ছাড়াও একজন সাংবাদিককে আঁটকে রাখার ক্ষমতা তো রাষ্ট্র সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দেয় নি। তারা চাইলে সাথে সাথেই আইনের আশ্রয় নিতে পারতেন, তা না করে তাকে পাচ ঘন্টা আঁটকে রেখে তারা নিজেরাই তো আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। তার অসুস্থ্যতা, বাসায় তার ছোট বাচ্চা আছে কোন কিছুই ধর্তব্যে নেয়া হয়নি। টিভির রিপোর্ট অনুযায়ী শাহবাগ থানাও প্রথমে মামলা গ্রহন করতে চায়নি। তাদের উপর প্রভাব খাটিয়ে মামলা নিতে বাধ্য করা হয়েছে। পুলিশের আচরনেই বোঝা যায় রোজিনা এমন কোন অপরাধ করেন নি।
রোজিনার বিরুদ্ধে ঢাকার শাহবাগ থানায় ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ১৯২৩ সালের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের’ ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যদিও রোজিনা ইসলাম ওই অফিস থেকে কোনো নথি সরানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বেলা সাড়ে ৪টার দিকে রোজিনা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সচিবের সাথে দেখা করতে আমি তার একান্ত সচিব সাইফুলের কক্ষে আসি। এরপর হঠাৎ করে পুলিশ ডেকে এনে আমাকে এই কক্ষে আটক করা হয়।”
আটকের পর দেহ তল্লাশি করা হয়েছে জানিয়ে এই সাংবাদিক বলেন, “মিজান নামে এক পুলিশ সদস্য আমাকে নাজেহাল করেছে। এ দপ্তর থেকে কোনো ধরনের নথি আমি নিইনি।”
বিডি নিউজের ঐ একই রিপোর্টে সচিবালয়ে কী ঘটেছে জানতে চাইলে রোজিনার ছোট বোন সাবিনা পারভীন সুমী বলেন, “সোর্সের কাছ থেকে ও কিছু ডকুমেন্ট পায়। এরপর স্বাস্থ্য সচিবের রুমে যাবে, সেজন্য কনস্টেবল মিজানকে বলে। উনি বলছে যে, ‘কেউ নাই, আপনি ভেতরে বসেন’। তখন আপু বলে যে, ‘না আমি বসব না। আমি কিছু তথ্য নিতে আসছি।’ এরপর মিজান বলে, ‘আপনি ভেতরে বসেন অসুবিধা নাই।
“এর কিছুক্ষণ পর কনস্টেবল মিজানসহ দুই তিনজন এসে ওর ব্যাগ কেড়ে নেয়। বলে যে, ‘আপনি এতদিন অনেক রিপোর্ট করেছেন, স্বাস্থ্য খাত নিয়ে অনেক নেতিবাচক রিপোর্ট করছেন। আপনাকে মাটিতে পুঁতে ফেলব’।”বিডি নিউজ ২৪.কম
সীমাহীন দুর্নীতিতে নিমজ্জিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা যে রোজিনার একের পর এক অনুসন্ধানী রিপোর্ট এর জন্য তার উপর আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন সেটা তাদের আচরনে সহজেই বোঝা যাচ্ছে। তারা রোজিনার প্রতি আক্রোশের বসেই কাজটি করেছেন তাতে সন্দেহ নেই। এর মধ্য হতে তারা দুর্নীতির পাশাপাশি তাদের ঔদ্ধত্যের আসল রূপটিও প্রকাশ করে ফেললেন। এই ঘটনার পরম্পরায় এবার যেন সাপগুলো বাচ্চা সমেত বেড়িয়ে আসে এটাই কাম্য।
রোজিনাকে অভিনন্দন তার সাহসী সাংবাদিকতার জন্য। রোজিনা অনুপ্রেরণা হোক সকল অনুসন্ধানী রিপোর্টারদের। আমরা রোজিনার বিজয় দেখতে চাই আমরা সকল দুর্নীতিবাজ দাম্ভিক কর্মকর্তাদের উপযুক্ত শাস্তি কামনা করছি।
১৮ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:০০
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: প্রতিবাদ চলুক।
২| ১৮ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:০২
রাজীব নুর বলেছেন: সব ঠিক আছে কিন্তু মহিলার গায়ে হাত দেওয়া ঠিক হয় নাই। গলা ধরাটা অন্যায় হয়েছে। একজন সাংবাদিক এর টার্গেট ই থাকে তথ্য সংগ্রহ করা।
১৮ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সব ঠিক আছে ! কিভাবে?
৩| ১৮ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৩২
আমি সাজিদ বলেছেন: রাজিব ভাই সব ঠিক আছে বলে আপনি অপরাধ মনের অজান্তে ক্ষমা করে দিবেন। আমাদের সমস্যা আমরা টপিকে থাকি না, ন্যায় অন্যায় বুঝি না। এইজন্যই লালমনিরহাটে বন্যা আর ঢাকায় মেট্রোরেল। বিশাল উন্নয়ন। বেকুব জনগনের জন্য এমনই হওয়া উচিত।
১৮ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৮
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমাদের সমস্যা আমরা টপিকে থাকি না,
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩১
আমি সাজিদ বলেছেন: শুধু স্বাস্থ্যেরটা চোখে পড়ছে, বাকি সব সেক্টরেও পুকুর চুরি হচ্ছে। দেশের বিগত দশ বছরের ঘটনাবলী বিশ্লেষণ করলে এর কারনটা সবারই চোখে পড়বে।
প্রতিবাদ চলুক।