![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের শরীরে বাসা বেঁধে রয়েছে হরেক প্রজাতির জীবাণু, ফাঙ্গাস, ভাইরাস এমনকি অন্যান্য প্রাণী। এই মুহূর্তেই আপনার নাকের আশেপাশের এলাকায় বাস করছে দুই প্রজাতির অতিক্ষুদ্র মাইট বা মাকড়। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, মানুষের একেবারে শরীরের ওপর বাস করা এই প্রাণীর ব্যাপারে খুব বেশি জানা নেই বিজ্ঞানীদের।
আমাদের যা জানা আছে, তা হলো Demodex মাইট হলো অতিক্ষুদ্র মাকড় যারা আমাদের পরিচিত মাকড়সার দূরসম্পর্কের আত্মীয়। এরা বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীর ত্বকের ভেতরে এবং ওপরে বাস করে থাকে। মানুষের ত্বকেও বাস করে এরা। আসলে প্লাটিপাস ছাড়া মোটামুটি সব স্তন্যপায়ী প্রাণীতেই এদেরকে পাওয়া যায়। সাধারণত এরা মানুষের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে জীবন কাটিয়ে দেয়। কিন্তু মাঝে মাঝে কোনো কারণে এদের সংখ্যা বেশি বেড়ে গেলে রোসেশি, ব্লেফারাইটিস এর মতো চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। আমরা সাধারণত এদের ব্যাপারে কিছু না জেনেই সারা জীবন পার করে দেই।
১) সবার শরীরেই আছে এসব মাকড়
হ্যাঁ, আপনার শরীরেও আছে এসব মাইট বা মাকড়। মাইক্রোস্কোপ ছাড়া এদেরকে দেখা যায় না বলে এদেরকে আমরা খেয়ালও করি না। মৃত মানুষের মুখ থেকে নমুনা নিয়ে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই এদেরকে পাওয়া যায়। আমামদের মুখ থেকে ঠিকভাবে নমুনা নিলেও এদেরকে পাওয়া যাবার কথা।
২) মানুষের ত্বকে পাওয়া যায় ভিন্ন ভিন্ন দুই প্রজাতির মাকড়
ধারণা করা হয়, অনেক প্রাচীন সময় থেকে মানুষ এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ীর শরীরে বাস করে আসছে। এসব প্রাণীর বিবর্তনের সাথে সাথে এদের শরীরে বাস করা মাকড়ের বিবর্তনও একইভাবে ঘটে। এভাবে চিন্তা করলে ধরে নিতে হয় আমরা আমাদের বানরজাতীয় পূর্বপুরুষের থেকে পেয়েছি এসব মাকড়কে। তাই যদি হতো তবে আমাদের শরীরে বসবাস করা দুইটি Demodex প্রজাতির মাঝে অনেক মিল থাকতো, কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। Demodex folliculorum হলো লম্বাটে শরীরের, আবার Demodex brevis হলো একটু গোলগাল শরীরের মাকড়। কুকুরের শরীরে যে মাইট থাকে তার সাথে brevis এর মিল আছে। যদিও এর পেছনে তেমন কোনো প্রমাণ নেই, তারপরেও ধারণা করা যায় যে বিবর্তনের কোনো এক সময়ে কুকুরের শরীর থেকে আমাদের শরীরে বাসা বাধে brevis মাকড়টি।
৩) মানুষের ইতিহাসের ব্যাপারে ধারণা দিতে পারে এসব মাকড়
খুব সম্ভবত এসব মাকড় আমাদের সাথে আছে অনেক অনেক আগে থেকে। যখন মানুষ আফ্রিকা থেকে বের হয়ে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে তখন তারা সাথে করে নিয়ে বেড়ায় এসব মাকড়। brevis এর ওপরে গবেষণা করে দেখা যায় চীনের মাকড়ের চাইতে আমেরিকার মাইট অনেকটা অন্যরকম। আজ থেকে প্রায় ৪০ হাজার বছর আগে পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপের জনগোষ্ঠী আলাদা হয়ে যায় এবং দেখা যাচ্ছে, এই মাকড়েরাও তার সাথে আলাদা হয়ে যায় এবং আলাদাভাবে বিবর্তিত হতে থাকে। অন্যদিক দিয়ে দেখা যায়, চীন এবং আমেরিকার folliculorum জাতীয় মাকড়ের মাঝে পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায় না। সম্ভবত এর কারণ হলো, brevis আমাদের রোমকূপের বেশ গভীরে বাস করে এবং অন্য মানুষের সংস্পর্শে এলেও তারা এক শরীর থেকে অন্য শরীরে স্থানান্তরিত হয় না। অন্য দিক দিয়ে দেখা যায়, folliculorum প্রজাতির মাইট আবার খুব সহজে এক শরীর থেকে অন্য শরীরে চলে যায়।
২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩
amhabib বলেছেন: আমাদের পূর্ব পুরুষ কখনই বানর ছিল না হুদাই ফাউল মার্কা কথা বলবেন না , বাকি সব কথা ভালো লিখছেন গবেষণামূলক!!
৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এটা কি আপনার নিজের লেখা? এই লেখাটি কি পূর্বে কোথাও প্রকাশিত হয়েছে?
এই ব্যাপারে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: কত অজানারে!!
মুখের ভিতরে বাস করা হাজার প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া নিয়াও লিখেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি ভয়ংকর!!!!!!!!!!!!!!
আসলেই আমাদের দেহের মাঝৈ যে রহস্য তা খুজতেই কত জীবন পেরিয়ে যাবে কে জানে!!!!
অথচ আমরা কিনা বড়াই করি সবজান্তার
+++