নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উচ্চতমনি তঞ্চঙ্গ্যা

উচ্চতমনি তঞ্চঙ্গ্যা

মনচাই এমন একটি ব্লক যেখানে থাকবে গল্প,ইতিহাস,কবিতা,প্রবন্ধ,নির্বন্ধ, কৌতুক,আলোচনা সমালোচনা আলাদা আলাদা কিন্তু করতে জানি নাতো এমন করতে। যিনি এই ব্লগে লেখার সূযোগ করে দিলেন তাঁকে চিনলাম নাতো! তথাপি অচেনা এই কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা চিত্তে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

উচ্চতমনি তঞ্চঙ্গ্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৭



দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া.

ঘর থেকে দুই পা ফেলিয়া।

কবি গুরু রবী ঠাকুরের এই কথাটি এত ধ্রুব সত্য,যা বিশ্লেষন করার সাধ্য আমার নেই। আমাদের একটি প্রবাদ আছে ,“ কোন ঝাড়ে কোন বাঘ আছে আজো ঠাহর করোনি। ” কিংবা নিজের চোখের ময়লা নাকি নিজেই দেখে না,অন্যরা দেখে। আলো ভেবে আলেয়ার পেছনে কত যে ঘুরেছি যার ফল একেবারে শূন্য, জায়গা জমি এমন কি সহধম্মিনীর প্রিয় স্বর্ন পর্যন্ত বিক্রি করে যে অর্থ পেয়েছি তা বৃথা অপচয় করেছি আলেয়ার পেছনে। আমার বাড়ীর পার্শ্বে নবাগত এক প্রতিবেশী, যাকে ইতালিয়ান জেভেরিয়ান পুরোহিত ফাদার লুইসি লুপি সংগ্রহ ও পূনবাসিত করেছেন তার চলনা আর লোভ সামাল দিতে না পেরে জায়গা/জমি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় করেছি। কারন ”শান্তিচুক্তির” পরবর্তীতে পার্বত্য এলাকায় এনজিও প্রতিষ্ঠার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল।ভ’লে গিয়েছিলাম চাকরীর কথা, ভ’লে গিয়েছিলাম লেখা লেখি কল্যান মিত্রদের কথা। দু:খের দহনে করুন রোদনে তিলে তিলে যেন ক্ষয় হয়ে যাচ্ছি আজ। আমার তারুন্যে সেই আর্শীবাদকারী গুরুরা আজ অনেকেই বেঁচে নেই। যারা বেঁচে আছে তারাও ব্যস্ত। অজ্ঞতা থেকে অন্ধভাবে যে সব এলাকায় ঘুরেছি আজকে নিজেকে বানরের মতই লাগছে। পড়ন্ত বিকেলে নিজের ভ’ল গুলো মনে পড়ছে বারংবার।

আজ পরম শ্রদ্ধেয় মৃত্তিকা চাকমার ই-বুক,সিএইচটি-বিডি,হিল ইডু ইত্যাদি ব্রাউস করে মনে হল “সবে মাত্র আমার নিদ্রা ভঙ্গ হয়েছে”। এখনো এইসব লেখা পরিপূর্ণ ভাবে দেখা সম্ভব হয়নি। না জানি কত আধুনিক কবি সাহিত্যিক অনলাইনে চলে এসেছেন। ফেসবুক চার্ট করলে ভাষায় শুধুই অনুমান করতে পারি,কে জৈষ্ঠ আর কে কনিষ্ঠ ,চেনার কোন উপায় নেই। শ্রদ্ধেয় মৃত্তিকা বাবুকে নিয়ে সেই অনেক আগে থেকে কৌতুহল ছিল । তাঁর রচিত গান শুনেই আমি তাঁর ভক্ত হয়ে যায়। কৌতুহল ছিল “জুম ইষ্টেটিক কাউন্সিল” এর প্রতি। চাকুরী জীবনে ব্যস্ত থাকার কারনে এবং অন্য সঙ্গীদের সান্নিধ্যে থাকায় তেমন ভাল সর্ম্পক গড়ে উঠেনি তথাপি প্রাক্তন বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য চিংয়ং ম্রো একবার এই কাউন্সিলের সভাপতি ঝিমিত ঝিমিত চাকমার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। দেখা হলে লক্ষ্য করলাম উভয়ের মস্তকে কাঁশবন।সেই যে তারুন্যে সবুজের তপস্যাকালে দেখা হয়েছিল। আমাদের বড় ভাই কৃঞ্চ চন্দ্র চাকমা যিনি “আরুক” নামে একটি চাকমা ভাষায় সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা এবং দক্ষিনাঞ্চলে আমার সাথে লেখা লেখির মাধ্যমে যোগসূত্র রচনা করেন। বর্তমানে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ এ নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মরত।

ইন্টারনেটে যে সব সুন্দর সুন্দর ব্লক,ওয়েভ,ই-বুক দেখছি তার পেছনে নি:শ্চয় স্পন্সর বা দাতা সংস্থা রয়েছে। এত অনুসন্ধান করলাম, আমরা পেলাম কোথায়? কলেজ-ইউনিভার্সিটির পড়–য়া ফেসবুক সাথীরা আমাকে এই সব ব্লক,ওয়েভ ও ই-বুকের কথা বলেন,অনুরোধ করেন। পড়ন্ত বিকেলে মাথায় কাঁশফুল নিয়ে এই সব শেখার সময় কোথায়? ইংরেজীতে নিজের দূর্বলতা থেকে রেহায় পেতে “লন্ডন ইউনিভার্সিটির ডিসটেন্স লার্নিং প্রোগ্রাম” পর্যন্ত যোগাযোগ করলাম কিন্তু প্রোগ্রাম শেষ করতে পারলাম কোথায়?। আইটি সেক্টরে প্রশিক্ষন নেয়ার বয়স আছে কি? জীবনে অনেক প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষন নিয়েছিলাম। যেমন; বি,এম,ডি,সি( বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট ডেভলাপমেন্ট সেন্টার),চট্টগ্রাম ,বার্ড ( বাংলাদেশ রুরাল ডেভলাপমেন্ট একাডেমী)কুমিল্লা, আর,ডি,টি,আই( রুরাল ডেভলাপমেন্ট ট্রেনিং ইন্সষ্টিটিউট)সিলেট,নিউট্রেশন এন্ড ফুড সায়েন্স ইন্সষ্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়, ব্রিটিশ চাইল্ড কেয়ার সেন্টার, মহাখালী কলেরা হাসপাতাল,পঙ্গু হাসপাতাল, সোহরওয়াদী হাস পাতাল, জাতীয় সমাজ কল্যান পরিষদ ইত্যাদি। এত প্রশিক্ষন নিলাম, এই প্রশিক্ষন কাজে লাগল কোথায়?

আজ থেকে দুয়েক বছর আগে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের ওয়েভ সাইট ব্রাউসিং করে চাকমা .মার্মা ও অন্যান্য আদিবাসী সর্ম্পকে জানলেও তঞ্চঙ্গ্যা সর্ম্পকে কোন অস্তিত্ব খুঁজে পেলাম না। তাই কমেন্টে আমি মাননীয় জেলা প্রশাসক কে প্রশ্ন করে দু’লাইন লেখলাম। জেলা প্রশাসক নয়, পররাস্ট্র বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের তখনকার সহকারী কমিশনার জনাব সুমন জলিল সাহেব আমার লেখার জবাবে জানালেন,ওয়েভ সাইটে অবশ্যই তঞ্চঙ্গ্যা দের সর্ম্পকে তুলে ধরা হবে, সেই ব্যাপারে আমি সহযোগীতা করতে পারব কিনা? কিন্তু আমার ইচ্ছা আছে সাধ্য নেই অবস্থা। আমি রাজস্থলীর আমার মামা যোগেশ তঞ্চঙ্গ্যার সাথে যোগাযোগ করলাম যিনি ইংরেজী সাহিত্যে মাষ্টার্স পর্যন্ত পড়া লেখা করেছেন। তিনি লেখা তো দূরের কথা, জেলা পরিষদে ক্ষমতাসীনদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, প্রকল্প নেবে তারা,কলুর বলদের মত কাজ করবো আমরা? এটা হবে না। আমি বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য প্রসন্নকান্তি তঞ্চঙ্গ্যা কে এই ব্যাপারে বলতেই টিসিআইতে তঞ্চঙ্গ্যাদের নাচ গানের বিশাল আয়োজন করে বসলেন। সিডি বের করে নিজের ব্যক্তিসত্ত্বা প্রচার শুরু করে দিলেন।

গত বছর ”বান্দরবান জেলা ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সস্টিটিউটে-কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সম্বর্ধনা সভায় যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মি: প্রমোদ মানকিন।সে সভায় ৩০০নং বান্দরবান আসনের এম,পি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বীর বাহাদূর শত শত মানুষের সামনে নিজের দূর্বলতা প্রকাশ করে বললেন, জাতীয় সংসদে আমার মত বোদায় এমপি আর নেই,যে নাকি ল্যাপটপ ও চালাইতে জানি না। যাকে বান্দরবানে ডিজিটালের রূপকার হিসেবে প্রচার করা হয়, তার যদি এই অবস্থা হয়, আমাদের কোন অবস্থা? আমি আজো “ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠী,বান্দরবানের ওয়েভ সাইট সর্ম্পকে জানি না এবং সেখানে তঞ্চঙ্গ্যা সর্ম্পকে লেখা আছে কিনা তাও জানি না।

শুনেছি রাংগামাটিতে এনজিওদের উদ্দ্যোগে তঞ্চঙ্গ্যা অভিধান রচনা করা হচ্ছে। এটা হলে নিশ্চয় ব্লক,ওয়েভ ও হবেএবং বিশ্বে প্রতিটি পরতে সবাই পরখ করতে সক্ষম হবে। আসল সত্য হচ্ছে আমি নিজের সর্ম্পকে নিজে কিছুই জানি না।জানি না পাশে প্রতিবেশী সর্ম্পকে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.