![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনার পরিচয় সম্পর্কে কিছ লিখুন
রাত থেকেই খুব বৃষ্টি হলেও সকালে বৃষ্টির
ঝোকটা একটু কমেছে। নাসতাটা না করেই বাড়ি
থেকে বের হয়ে যায় লিমা। কেননা বেশি দেরি
করলে বাসটা মিস করবে। আর অটো কিংবা
টেক্সিতে যাওয়ার মত সামর্থ্য ওর নেই। বাস
স্টপে পৌছানর আগেই আবার মুশুল ধারে বৃষ্টি
শুরু হয়। যদিও কাছে ছাতা ছিল তারপরও বৃষ্টির
ঝাপ্টায় কিছুটা ভিজে যায় ও। ওই যত সামান্য
ভিজা শরীর নিয়েই বাস স্টপে দাড়ায়। এত সকালে
যাত্রিদের মধ্যে মহিলা বলতে লিমা একাই।
সামান্য ভিজা আছে বলে তাই যেন চোখ দিয়েই
সবাই ওকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। খুব অসহ্য
লাগছিল ওর। বাসটা তারাতারি আসলেই ও বেচে
যায়। বাসে অন্তত কিছু মহিলা থাকবে,তখন একটু
স্বাভাবিক লাগবে ওর। এই খারাপ পৃথীবিতে আর
কাওকে বিশ্বাস হয় না ওর। বাবা মারা যাবার পর
যদি দুই একটা টিউসনি না করত তবে এত দিনে
হয়ত বা পড়াশুনাটাও বন্ধ হয়ে যেত ওর। আর দু
বেলা দু মুঠো খাবারের জন্য হাজার কথা শুনতে
হয় সত ভাই আর ভাবিদের কাছে থেকে। এসব
আর ভাল লাগে না ওর। যদি কোন চাকরি পেত
তবে অনেক আগেই চলে যেত এই সংসার ছেরে
কিন্তু পড়া কপাল অনার্স দ্বীতিয় বর্ষে পড়ে।
ওকে চাকরি দিবে কে। এসব ভাবতে ভাবতে বাস
চলে আসে। তারাহুর করে বাসে উঠে কিন্তু
দূর্ভাগ্য একটিও মহিলা নেই। নেমে যেতেও
পারবে না, তাহলে বৃষ্টিতে ভিজে এত দুর আসা
বৃথা হয়ে যাবে। তাই একটা ফাকা সিট দেখে বসে
পরে। অনেকে হয়ত চেস্টা করছে পাশে বসার
কিন্তু অনেক যায়গা আছে বলে হুট করে একটি
মেয়ের পাশে বসার সাহস পাচ্ছে না। কিন্তু হুট
করেই একটি ছেলে পাশে বসে। লিমা একটু
চারদিকে তাকিয়ে দেখল, সব সিটে মানুষ বসে
গেছে তাই মজাটা নেয়ার সুযগ এই ছেলেটাই পেল।
সবাই হা করে তাকিয়ে আছে, ছেলেটা মজা নেয়ার
কোন চেষ্টা করছে কিনা। খুব অসহ্য লাগছিল
লিমার। আর ছেলেটার ওপর রাগ হচ্ছিল। হঠাত
চারদিকে তাকিয়ে ছেলেটি উঠে দাড়াল, আর লিমার
দিকে তাকিয়ে একটি স্বস্তিকর ইশারা করল।
এতক্ষন পর একটি মনুষত্বের মুখ দেখল লিমা।
ছেলেটা খুব ভদ্র মনে হল ওর কাছে।তারপর ভয়
হয় লিমার, ছোট বেলা থেকে একা থাকে লিমা
সহজে কাওকে বিশ্বস বা মিশতে পারে না। বাস
ভার্সিটির কাছে আসতেই নেমে পরে লিমা। পিছনে
তাকিয়ে দেখে ছেলেটাও ওই খানেই নামে। অবশ্য
আগে কখনো ছেলেটাকে দেখেনি। ছেলেটা প্রায়
লিমার সাথেই ভার্সিটিতে প্রবেশ করে। সেদিন
কার মত ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফিরে আসে লিমা।
বাড়িতে একটুও ভাল লাগে না ওর। ভাই ভাবিরা
যেন ওকে চোখর বিষ মনে করে। মাঝে মাঝে
নিজের জীবনকে শেষ করে দিতে মন চায় ওর।
কিন্তু সাহস হয় না।
পরের দিন আবার ছেলেটার সাথে লিমার বাসে
দেখা হয়। কেন জানে না ছেলেটার ওপর খুব
বিশ্বাস হচ্ছে লিমার। হয়তবা একটু অস্বস্তিকর
সময়ে একটু মনুষত্বের পরিচয় দেয়ার জন্য হয়ত
এই বিশ্বাসটি এসেছে লিমার, যথা সময় বাস
স্টপে নেমে যায় ও ।ছেলেটাও পেছন পেছন নামে,
কিন্তু আজ চুপ থাকে না।কথা বলে লিমার সাথে।
কথার প্রসঙ্গেই জানতে পারে ওর নাম চয়ন। খুব
ভদ্র ভাবেই কথা বলে ছেলেটা, কথা বলার সময়
কেমন জানি একটা মায়া ছিল ছেলেটার চোখে।
৩ মাস পর
এখন প্রতিদিনি চয়নের সাথে কথা হয় লিমার ।
কেমন জানি বিশ্বাস করতে মন চায় ওকে । কথা
বলতেও ভাল লাগে । এই ভাল লাগা হয়ত বা
ভালবাসার রূপ নিয়েছে অনেক আগেই, লিমা
বুঝেও না মানার চেষ্টা করছে । চয়ন ওকে
ভালবাসে কিনা , না শুধু বন্ধু ভাবে কে জানে ।
মাঝে মাঝে লিমার মনে হয় সে চয়নকে বলে দেয়
"চয়ন আমি তোমাকে ভালবাসি " কিন্তু কোন
এক অজানা শক্তি ওকে আটকে ফেলে । এদিকে
লিমার বাড়ি থেকেও চাপ দিচ্ছে বিয়ের জন্য,
লিমার অমত সত্তেও একটি ছেলের সাথে ওর
বিয়ে ঠিক করে ওর ।কিন্তু
লিমা চয়ন ছারা অন্য কাউকে মেনে নিতে পারছে
না । শেষ এক রকম কোন রাস্তা না পেয়ে লিমা
চয়নকে ওর মনের কথা বলে দেয় । সেদিন চয়ন
ওকে ফিরিয়ে দেয়নি । লিমা ওর সব সমস্যার
কথা চয়নকে বলে, চয়ন ওর সব সভস্যা মেনে
নিতে প্রস্তুত কিন্তু তখন আর কোন রাস্তা
ছিল না । বিয়ের সকল প্রস্তুতি হয়ে গেছে,
এখন রাস্তা বলতে চয়নের হাত ধরে দূরে কথাও
চলে যাওয়া ছারা আর কিছু না । ঠিক হয় কালই
ওরা দূরে কোথাও চলে যাবে । আজ সকালে লিমা
ভার্সিটি যাবার নাম করে বের
হয়েছে । আর বাড়িতে সবার জন্য রেখে এসেছে
ছোট একটি চিঠি । শহর থেকে একটু বাইরে
দাড়াবে লিমা ওই খান থেকেই চয়ন আর লিমা
একসাথে চলে যাবে, যেখানে আর কেউ ওদের
মাঝে আসবে না ।
লিমা যথা সময় নির্দিষ্ট জায়গাতে পৌছেছে ।
কিন্তু চয়ন এখনও আসেনি । কিন্তু লিমা আজ
অনেক খুশি , চয়নের সাথে ও নিজের মত করে
বাঁচবে , আর দু বেলা খাবারের জন্য কারো কথা
শুনতে হবে না । প্রায় দুপুর হয়ে আসছে কিন্তু
চয়ন আসার কোন নাম নেই । এত দেরি করার কথা
ছিল না চয়নের ।
লিমা প্রথমে ভাবল সব ঠিক ঠাক করে অসতে
দেরি হচ্ছে । কিন্তু যখন বিকেল হয়ে অসল তখন
আর মন
মানতে চাইছিল না । লিমা কোন ভূল করছে
নাতো । চয়ন কি ওকে ফাকি দিল । কিছু বুঝতে
পারছে না । আর বাড়ি ফিরার কোন রাস্তা নেই ।
বাড়ি থেকে ওকে আর মেনে নিবে না ।আর
এখনতো তারিয়ে দেওয়ার রাস্তাও পেয়ে গেছে
। রাত হয়ে এসেছে চয়ন আসেনি , ক্ষুদার্থ
শরীর আর দাড়িয়ে থাকতে চাইছে না । অন্ধকারে
হঠাত্ একটা অপরিচিত আওয়াজ শুনে চমকে
ওঠে লিমা "এই মেয়ে যাবি " মানুষটাকে চিনে না
লিমা, জানেও না কেন ডাকছে । ক্ষুদার্থ শরীরে
আর কিছু ভাবতে পারছে না লিমা । চুপ
চাপ শুধু গাড়িতে উঠে গিয়ে বসে লিমা । ও কিন্তু
এখনও যানে না,যে ও কথায় যাচ্ছে আর কেনই
বা যাচ্ছে..........
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।
৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪০
তৌফিকুর রহমান বিডি বলেছেন: ধন্যবাদ
ভাইয়া
৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩
তৌফিকুর রহমান বিডি বলেছেন: জী
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১২
মানুষ বলেছেন: লেখাটা বেশ সরু।