নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The only person u should try to be better than, is the person u were yesterday.

ত্রিভকাল

আমি গ্রামের একজন সহজ সরল প্রথমশ্রেণীর আবুল, যে কিনা ছিঁড়া লেপের তলায় শুয়ে কোটিপতি হবার স্বপ্ন দেখতে ভীষণ ভালোবাসে। কৃপণ, কাইষ্টা মানুষের নাকি অনেক টাকা পয়সা হয়, সে হিসাব অনুযায়ী আমি অক্সফোর্ড কোটিপতি হবো। নিজের টাকা নিজেই খাইয়ম .... ফেইসবুক লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/Sabbirahmed069 ওয়েবসাইট লিন্ক : http://bkadda.blogspot.com http://www.trivokal.com http://www.votku.com htttp://www.likilose.com http://trivokal.wordpress.com/ http://www.vokalab.com

ত্রিভকাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

এলিয়েন, ধর্ম ও প্রাচীন সভ্যতার কিছু নিদর্শন

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

এলিয়েন বা ভিনগ্রহীদের নিয়ে আগ্রহটা আমার সেই ছোটবেলা থেকেই। অবশ্য আমার ধারণা এই ‘আগ্রহ’ কম বেশী আমাদের সবারই আছে। আসলে আমাদের সেই সকল বিষয়গুলোতেই খুব বেশী আগ্রহ থাকে যেটা কিনা আমাদের চিরচেনা চারপাশের সাথে সামঞ্জস্য না। সেদিন হিস্টোরি চ্যানেলে এলিয়েন বিষয়ে একটা প্রোগ্রাম দেখে আগ্রহটা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তাই ভাবলাম এতোদিনের আগ্রহ নিয়ে একটা পোষ্ট না দিলে আগ্রহটার দাম থাকলো না কোন। তাই আজকের পোষ্টটি শুধুমাত্র এলিয়েনদের নিয়ে।



পোষ্ট শুরু করার আগে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এলিয়েনদের নিয়ে কোন ধর্মে কি বলে তা দেখে নেই প্রথমে।



খ্রিষ্টান ধর্মঃ

খ্রিষ্টান ধর্মে পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে যে এলিয়েন বলতে কিছু নেই। গড শুধুমাত্র পৃথিবীই তৌরি করেছে মানুষের জন্য।



হিন্দু ধর্মঃ

হিন্দু ধর্মে স্পষ্টভাবেই বিভিন্ন দেব দেবীর কথা বলা আছে যাদের অস্থিত্ব এই পৃথিবীতে মাটিতে হয়নি।



তার মানে কি বুঝাতে চাচ্ছে তা হয়তো আপনারা বুঝতেই পারছেন।



বোদ্ধ ধর্মঃ

বোদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ‘ত্রিপিটক’ এর ১১ নং ভলিয়মের ৬১ নং পৃষ্ঠায়, ভলিয়ম ২৩ সুতানটাপিডক ২৫ (Buddhism Theravada) এ বুদ্ধা অন্য গ্রহের প্রাণের অস্থিত্ব নিয়ে কথা বলেছেন।



বুদ্ধা তিনটি গ্রহ নিয়ে কথা বলেছেনঃ



১। Amornrakoyan

- দ্বীপ এবং সাগর আছে

- প্রাণের অস্তিত্ব আছে, মানুষ অবয়বের কিন্তু মুখাকৃতি চাদের মতো।

- উচ্চতা ৩০০ সেন্টিমিটার

- জীবণকাল ৫০০ বছর



২। Buppaviteha

- দ্বীপ আছে

- প্রাণের অস্থিত্ব মানুষের ন্যায় কিন্তু মুখাকৃতি কাপের মতো।

- উচ্চতা ৪৫০ সেন্টিমিটার

- জীবণকাল ৭০০ বছর

-

৩। Auttrarakuru

- সমতলভূমি

- প্রাণের অস্থিত্ব মানুষের ন্যায় কিন্তু মুখাকৃতি ঘনআকৃতির মতো।

- উচ্চতা ৬৫০ সেন্টিমিটার

- জীবণকাল ১০০০ বছর



ইসলাম ধর্মঃ

আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ধর্মে বিশ্বাসীও নই আবার অবিশ্বাসীও নই। তবে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে যতই তথ্য জানার চেষ্টা করেছি, ততোই অভিভূত হয়েছি। অভিভূত হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ‘পবিত্র কোরআন’। কোরান শরীফের আয়াতগুলো এখন পর্যন্ত পরিবর্তন না হলেও আমার ধরণা এক একটি আয়াত নিয়েই প্রচুন গবেষণা করা সম্ভব। কারণ অনেক আয়াতই আছে যেগুলোর অর্থ একজন ব্যাক্তি বিভিন্নভাবে নিতে পারবে। অর্থ্যাত এক এক জনে ব্যাখ্যা এক এক রকম হয়ে থাকে। তাই হয়তো কোরআনের অনুবাদ যখন তফসির সহ করা হয় তখন তার অর্থ এক এক অনুবাদে কিছুটা পরিবর্তিত হতে দেখা যায়। যা সত্যিই অভূতপূর্ব একটি বিষয়। অভূতপূর্ব একারণেই বলছি কারণ আজ থেকে ২০০ বছর আগে যদি কোনো আয়াত এর অর্থ মেনে নিয়ে একজন জীবণ-যাপন করতো, সেই আয়াতই হয়তো আজ অন্যভাবে নিয়ে আজকের মানুষ জীবণ-যাপন করছে। আমি বলছি না যে আয়াতের অর্থ ভিন্ন, বরং আমি বলতে চাচ্ছি তা সময়ের সাথে খাপ খাচ্ছে খুব সুন্দরভাবে। আর আমার মনে হয় এখানেই কোরআনের সার্থকতা। একটু উদাহরণ দিয়ে বললে হয়তো আপনাদের আমি বুঝাতে পারবো বিষয়টা কিছুটা। ধরুন একটি আয়তে মানুষ এবং পৃথিবীর জীব জন্তু ছাড়া অন্য কোনো অস্থিত্বের কথা বলা আছে। এখন কেউ যদি ঐ অস্তিত্বকে ‘জ্বীন’ জাতি হিসেবে দেখতে চায় তাহলে তা সেই হিসেবেই ধরে নিতে পারে। আবার কেউ যদি তা অন্য কোনো প্রাণী বা এলিয়েন হিসেবে ধরতে চায় তাহলে সে তা ঐ অর্থেই ধরে নিতে পারে। আর এই জন্যেই হয়তো সূরা গাফের ৫৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে,



لَخَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَكْبَرُ مِنْ خَلْقِ النَّاسِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ



যার ইংরেজী অনুবাদ হচ্ছে,



The creation of the heavens and the earth is definitely a greater thing than creation of mankind, however, most of mankind knows not.



আর এর বাংলানুবাদ হচ্ছে



"মানুষের সৃষ্টি অপেক্ষা নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের সৃষ্টি কঠিনতর। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বোঝে না।"



আবার কিছু জায়গায় বলা হয়েছে সেসব জিনিস নিয়ে অনুসন্ধান করতে না যাওয়ার জন্য, যেসব জিনিসের অর্থ আমরা আমাদের সীমিত জ্ঞান দিয়ে ভেবে কুলিয়ে উঠতে পারবো না। সময়ই আমাদেরকে আমাদের উত্তরে পৌছে দিবে।



এর মানে কি এটা বুঝাচ্ছে না যে সব সময়য়ের জন্য সবরকম কৌতহল আমরা মিটাতে পারব না ?



সে যাই হোক এবার আসি এলিয়েন নিয়ে কোরআনে কি কোনো কিছু বলা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে।



সূরা আত-তালাক এর ১২ নং আয়াতে বলা হয়েছে



اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَمِنَ الْأَرْضِ مِثْلَهُنَّ يَتَنَزَّلُ الْأَمْرُ بَيْنَهُنَّ لِتَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا



যার একটি ইংরেজী অনুবাদ হচ্ছেঃ

Allah is He Who created seven heavens and of the earth also their like.23 His Command descends among them. (This you are being told) so that you may know that Allah has power over everything, and that Allah's knowledge encompasses all.



আরেকটি ইংরেজী অনুবাদ হচ্ছেঃ

It is Allah Who has created seven heavens and of the earth the like thereof (i.e. seven). His Command descends between them (heavens and earth), that you may know that Allah has power over all things, and that Allah surrounds (comprehends) all things in (His) Knowledge.



বাংলানুবাদঃ

"আল্লাহ্‌ই তিনি যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান, আর পৃথিবীর বেলায়ও তাদের অনুরূপ। বিধান অবতরণ করে চলেছে তাদের মধ্যে, যেন তোমরা জানতে পার যে আল্লাহ্ সব-কিছুর উপরে সর্বশক্তিমান, আর এই যে আল্লাহ্ সব-কিছুকে ঘিরে রেখেছেন জ্ঞানের দ্বারা।"



যার প্রথম লাইনটার অর্থ অনেকটা এরকম দাঁড়ায়, 'আল্লাহ সপ্ত আসমান এবং সমপরিমান পৃথিবীর ন্যায় তৌরি করেছেন এবং তাদের মাঝে প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়েছেন।



সূরা আশ-শুরা এর ২৯ নং আয়াতটি বলা হয়েছে,



وَمِنْ آيَاتِهِ خَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَثَّ فِيهِمَا مِن دَابَّةٍ وَهُوَ عَلَىٰ جَمْعِهِمْ إِذَا يَشَاءُ قَدِيرٌ



যার ইংরেজী অনুবাদ হচ্ছেঃ

"And of his signs is the creation of the heavens and earth and what He has dispersed throughout them of creatures. And He, for gathering them when He wills, is competent."



আরেকটি ইংরেজী অনুবাদ হচ্ছেঃ

"Among His signs is the creation of the heavens and the earth, and the living creatures that He has scattered through them: and He has power to gather them together when He wills."



বাংলানুবাদঃ

"তাঁর এক নিদর্শন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের মধ্যে তিনি যেসব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি যখন ইচ্ছা এগুলোকে একত্রিত করতে সক্ষম।"



প্রাণের অস্থিত্ব’ আর ‘ছড়িয়ে দিয়েছেন’ এই দুটো শব্দ এর অর্থ যাচাই করলে কি এই দাঁড়ায় না যে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলেও প্রাণের অস্বিত্ব রয়েছে ?

সব থেকে চমকপ্রদ তথ্য যেটা আমাকে পুরোপুরি বিস্মিত করেছে সেটা হচ্ছে সূরা আল-আম্বিয়া এর ৩০ নং আয়াত।



أَوَلَمْ يَرَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنَاهُمَا وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاءِ كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ أَفَلَا يُؤْمِنُونَ



ইংরেজী অনুবাদঃ

Have those who disbelieved not considered that the heavens and the earth were a joined entity, and We separated them and made from water every living thing? Then will they not believe?



বাংলানুবাদঃ

“কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?”



এই আয়াতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে আল্লাহ প্রাণের সৃষ্টি করেছেন ‘পানি’ থেকে। আর বর্তমানে বিজ্ঞানীরা আমাদের বলছে ‘প্রাণের’ সৃষ্টি হয়েছে সাগরের পানি থেকে। আর তাই তারা গ্রহে নভোযান পাঠিয়ে যেটা সর্বপ্রথম দেখতে এবং জানতে চাচ্ছে তা হচ্ছে সেই গ্রহে ‘পানি’ আছে কিনা !!



ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ যেই রেফারেন্সটা দিতে চাচ্ছি সেটা হচ্ছে স্বয়ং আল্লাহ তায়লার একটি নাম। আর সেটা হচ্ছে ‘আল-আমিন’। যার অর্থ হচ্ছে "The Lord of the worlds". এখানে ‘Worlds’ দিয়ে কি বুঝাতে চাচ্ছে না যে পৃথিবী ছাড়াও আরও অনেক গ্রহ রয়েছে যেখানে আল্লাহর তৌরি প্রাণ রয়েছে ?



যাইহোক ইসলাম ধর্মের লোকজনদের কাছে উপরের রেফারেন্সগুলো যদি মানতে চায় তাহলে মানতে পারে। কিন্তু অন্যধর্মালম্বীদের কাছে এগুলো হয়তো মোটেও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। তাই আমি কোরআন থেকে আর কোন লজিক তুলে ধরতে চাচ্ছি না।



এবার আসি লজিকেঃ



এমনিতে যদি লজিক দিয়ে বলি তাহলে মিসরের পিরামিড, ইস্টার আইল্যন্ডের এলিয়ান সদৃশ্য বিশাল বিশাল পাথরের শত শত মাথার (একেকটির ওজন ১ টনের ও বেশী) কথা, স্টোনহেঞ্জ, মায়ান সভ্যতার বৃহদাকার পিরামিড যার ভিতরের খোদাই শিলালিপিটির কথা যেখানে কিনা রকেট সদৃশ্য মানষ্য জানের দৃশ্য খোদাই করা আছে। আর এসব তৌরি হয়েছে খৃষ্টপূর্ব ৫০০০ বছর আগে। অর্থাৎ খৃস্টান ধর্ম আসার ৫০০০ বছর আগে, যখন কিনা ক্রেন ও ছিল না আবার মেশিন ও ছিল না যেটা দিয়ে টনের পর টন একই মাপের পাথরের খন্ড একটার উপর আরেকটি রাখা যায়।



স্টোনহেঞ্জঃ



স্টোনহেঞ্জ এর কথা যদি বলি তাহলে তা হচ্ছে, খৃষ্টপূর্ব ৩০০০ থেকে ২০০০ বছর আগে এসব বৃহদকার পাথরের খন্ড সার্কেল ওয়াইজ সাজানো হয়েছিল। অজানা বিষয় হচ্ছে এর আশে পাশে কয়েক মাইলের মধ্যে এই ধরণের পাথরের কোনো অস্তিত্ব খুজে পায়নি আর্কিওলজিষ্টরা। আর তাই স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে মনে তাহলে সেই সময়ের মানুষরা ক্রেন, বৃহদাকার ট্রাক ছাড়া এগুলো এখানে আনলোই বা কিভাবে বা সার্কেল ওয়াইজ নিখুতভাবে সাজালোই বা কিভাবে !! ঠিক একই কাহিনী ঘটছে 'ইষ্টার আইলেন্ড' নামক দ্বীপে।



ইষ্টার আইল্যান্ডঃ

ইষ্টার আইল্যান্ডের পুরো দ্বীপের চারপাশ ঘিরে আকাশের দিকে মুখ করে বিশাল বিশাল মুখ সদৃশ্য পাথরের খোদাই করা পাথর রয়েছে যার আকৃতি মুখ সদৃশ্য হলেও তা যে মানুষের মুখ দেখে তৌরি করা হয়নি তা স্পষ্টই বুঝা যায়। আর আসল বিষয় হচ্ছে ওই দ্বীপে এই ধরণের পাথরের মূর্তি ছাড়া এই আকৃতির আর কোনো পাথরই নেই। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় এরকম যে এগুলো তাহলে আসলো কোথা থেকে !!



নাজিকা লাইনসঃ

এরপর বলতে হয় 'নাজিকা লাইনস' এর কথা যা কিনা সম্ভবত 'এরিক ভন দানিক্যান' সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেছিল প্লেনে করে যাওয়ার সময়। সাউথ আমেরিকার পেরুতে অবস্থিত বিশাল জায়গা জুড়ে একধরণের চিত্রকর্ম তিনি দেখতে পান যা কিনা সমতল ভূমি থেকে দেখে ধারণাও করা যায় না এগুলো কি আদো চিত্র কর্ম না অন্যকিছু। তবে আকাশ থেকে দেখলে এসব লাইনস গুলো স্পট হয়ে উঠে যে এসব চিত্রকর্ম।



মায়ান সভ্যতাঃ

এবার আসি মায়ান সভ্যতার দিকে। মায়ান সভ্যতাকে বলা হয়ে থাকে প্রাচীন সভ্যতাগুলোর মধ্যে সব থেকে সমৃদ্ধশালী একটি সভ্যতা। আমরা অনেকেই হয়তো মায়ান সভ্যতার নাম শুনেছিলাম ২০১২ সালে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ধারণা থেকে। মায়ান সভ্যতার তৌরি করা ক্যালেন্ডারের শেষ দিনটি হচ্ছে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের কোন একদিন। তবে সেখানে স্পট করে কিছু বলাছিল না যে এর পরে কি হবে। সে যাই হোক মায়ান সভ্যতার একটি পিড়ামিড ৪ বছর ধরে খুড়ে একটি সমাধিস্থল আবিষ্কার করেছিল প্রত্নতাত্ত্বিকরা যে সমাধিস্থলটার কারুকাজ ছিল হতবাগ করার মতো। কারণ কারুকাজটিতে দেখা যায় একজন মানুষ (যার সমাধিস্থল) স্পেসশিপ টাইপের একটি যন্ত্রে বসে আসে!



আর মায়ানদের ভাষা উদ্ধার করে প্রত্নতাত্ত্বিকরা দেখেছে তাদের শুক্র গ্রহের গতিপথ নিয়ে ভালো ধারণা ছিল। শুধু ধারণা বললে ভুল হবে বরং তারা তা নিয়ে রীতিমতো গবেষণাও করেছে। প্রশ্নটা হচ্ছে, শুক্র গ্রহের গতিপথ নির্ণয়ের জন্য তাদের কমপক্ষে ৪০০০ থেকে ৫০০০ বছর লাগার কথা ছিল (কারণ গতিপথ নির্ণয় করা সময় সাপেক্ষ বিষয়, আর পাশাপাশি তখন কোন টেলিস্কোপ ও ছিল না যে যা দিয়ে তারা তা নির্ণয় করতে পারবে), তাহলে তারা প্রায় নিখুত তথ্য পেলো কাদের কাছ থেকে !!

তাই বিজ্ঞানী এবং প্রত্নতাত্তিকদের ধরণা মায়ান সভ্যতা গড়ে উঠার পিছনে যাদের মূখ্য ভূমিকা রয়েছে তারা এই পৃথিবীর কেউ না। আবার এলিয়নরা যে অনেকদিনের জন্য এসেছিল বিষয়টা আবার তাও না। কারণ মায়ানদের খোদাই করা শিলালিপি থেকে দেখা গিয়েছে তারা তাদের এই আগান্তুক দের ফিরে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরণে তপস্যা, মূর্তি, বলি ইত্যাদি দিয়ে এসেছে। আর এসব খোদাই করা মূর্তি থেকে বোঝা মুশকিল যে আদো তারা কল্পনাপ্রসূত এগুলো তৌরি করেছে কিনা। কারণ মানুষ আসলে সেসব জিনিসই তাদের কল্পনা এবং সৃষ্টিকর্মে রেখে যায় যা তারা কিনা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে পায়। এমন কিছুই বানায় না বা পারে না বানাতে যা তাদের অভিজ্ঞতা তে নেই।

.....................................................................................................

আজ তাহলে আসি, দেখা হবে আবার যদি কিনা আমরা একই পথে থা্কি...

.....................................................................................................

বিদ্রঃ সময় সল্পতার কারণে পিকচার এড করতে পারলাম না। পরবর্তী আপডেটে আরো তথ্য নিয়ে ছবি আপলোড করবো, সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

নতুন বলেছেন: কোরআনের কাহিনি অনুযায়ী আমরাই এলিয়েন এই পৃথিবিতে... :)

প্রথমে আদম ও হাওয়া সৃস্টি>> তারা থাকতো বেহেস্তে !!!

কিন্তু তখনই পৃথিবি সৃস্টি করেছেন সৃস্টিকতা`.....

তার মানে দুনিয়ার সব সৃস্টি আর আদমের সৃস্টি দুই রকমের >>>

দুনিয়াতে প্রানের আভি`ভাব এভিলিউসনের মাধ্যমে হইলে তা আদমের সাথে কোন সম্পক নাই....

কোন ধ`মেই ডাইনাসোরের কথা বলানাই... কারন মানুষ পৃথিবিতে যখন আসছে তখন ডাইনোসার বিলুপ্ত হইয়া গেছে.... আর যারা ঐ ধম`গ্রন্হ লিখছে তারা ফসিলে ডাইনোসারের প্রমান পায়নাই... তাই তা লেখাহয়নাই কোথাও....

বত`মান প্রযুক্তিতেও একটা পিরামিড তৌরি কস্টকর.... তাই ৫০০০ বছর আগে তা কিভাবে সম্ভব হইলো তা সত্যই রহস্যজনক...

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

ত্রিভকাল বলেছেন: হু আপনার মতমত এর সাথে অনেকাংশেই একমত। অনেক কিছুই বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে নেই..

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ভালো লাগলো। হয়তো আরো তথ্য কহুল হতে পরতো লেখাটা!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

ত্রিভকাল বলেছেন: চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে আরো বিশদভাবে দেওয়ার জন্য..

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: তথ্য বহুল*

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: এসব বিষয়ে যে কোন লেখা আমি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ি এবং আপনারটাও পরতেও খুব ভালো লাগলো ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

ত্রিভকাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে..

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: এসব বিষয়ে যে কোন লেখা আমি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ি এবং আপনারটাও পরতেও খুব ভালো লাগলো ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

ত্রিভকাল বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ আপনাকে...

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

বাধা মানিনা বলেছেন: কোরআন এ সামু ব্লগের কথাও লেখা নাই। তাইলে কি কিছু প্রমান করা যায়? পাগল আর কি বলবে......

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

ত্রিভকাল বলেছেন: বাধা মানিনা, মানবো না...

৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

নূর আদনান বলেছেন: তবে ভাই আগেকার মানুষ তো অনেক শক্তিশালী আর বিশলাকার ছিল । আপনি ইতিহাস পড়লে এবং পবিত্র কোরআনেও বলা আছে পূর্বের জাতির মানুষ গুলো কেমন বিশালাকার ছিল । আর তাদের জীবনকাল ও ছিল শত শত বছর এমন কি হাজার হাজার বছর!!!
আপনি যে যুক্তি দেখিয়েছেন তার উত্তর হইতে পারে, তখনকার মানুষের এমন বিশাল আকৃতি।

আপনি আদ এবং সামুত জাতির কথা চিন্তা করেন । তারা কত বিশাল ও শক্তিশালী ছিল । বড় বড় গাছ তারা একহাতে খুব সহজেই উপরে ফেলতো।
এক কাঁধ থেকে আরেক কাঁধের দূরত্ব ছিল নাকি ২২ হাত !!!!!! B:-) B:-)

আমার মনে হয় ওইসব পূর্বেকার জাতির লোকজন এসব পাথর নিয়ে টানাটানি করে থাকতে পারে ;)

তাছাড়া আপনি তো দেখছি জ্বীন জাতির কথা ভুলেই গেলেন :| :)
তারাও কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী, এসব পাথর তাদের কাছে কোন ব্যাপারই না /:)

নতুন বলেছেন: কোরআনের কাহিনি অনুযায়ী আমরাই এলিয়েন এই পৃথিবিতে... :)
ভাই..........নিজেকে এলিয়েন ভাবতে......সেরাম লাগতেছে..... :P =p~ =p~

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

ত্রিভকাল বলেছেন: আমারও সেরাম লাগতেছে B-)

৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৩

এম আর ইকবাল বলেছেন: আমার বিশ্বাস আমাদের মত আরো পৃথিবী আছে ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

ত্রিভকাল বলেছেন: আমারও বিশ্বাস..

৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ছোট কিন্তু ইন্টারেস্টিং।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

ত্রিভকাল বলেছেন: প্রোফেসর সাহেব, আপনাকে ধন্যবাদ... সামনে আরো বিশদভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করবো..

১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

সাদরিল বলেছেন: যে সকল আর্কিোলজিকাল আবিস্কারের কথা বলেছেন সেগুলোর রেফারেন্স দিলে ভাল হতো।পোস্ট প্রিয়তে

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

ত্রিভকাল বলেছেন: সব দিবো ভাইজান, শুধু কিছুদিন অপেক্ষা করেন...

১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০৮

আজব গোয়েন্দা বলেছেন: আমি যতটুক কুরআনে আদম হাওয়া সম্পর্কিত আয়াত পড়েছি..সেখানে আদম হাওয়া সৃষ্টির আগেই পৃথিবী ছিল এবং পৃথিবীতে জ্বীন জাতির বসবাস ছিল বলে বলা হয়েছে। কুরআনের ভাষায়, জ্বীন জাতিরও প্রাণ আছে। আদম হাওয়াকে সৃষ্টিই করা হয়েছিল পৃথিবীতে পাঠানোর জন্য । সুতরাং কুরআনে আছে আদম হাওয়ার সৃষ্টির পর পৃথিবী সৃষ্টি করা হয়েছে বা আদম হাওয়া থাকত বেহেস্তে তখনই পৃথিবী সৃষ্টি করলেন সৃষ্টিকর্তা এটা বলা কুরআন সম্পর্কে অজ্ঞতা আর মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই না।

//আমি বলছি না যে আয়াতের অর্থ ভিন্ন, বরং আমি বলতে চাচ্ছি তা সময়ের সাথে খাপ খাচ্ছে খুব সুন্দরভাবে। আর আমার মনে হয় এখানেই কোরআনের সার্থকতা। //

যা হোক পোস্টটা ভালো লাগল..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.