![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গ্রামের একজন সহজ সরল প্রথমশ্রেণীর আবুল, যে কিনা ছিঁড়া লেপের তলায় শুয়ে কোটিপতি হবার স্বপ্ন দেখতে ভীষণ ভালোবাসে। কৃপণ, কাইষ্টা মানুষের নাকি অনেক টাকা পয়সা হয়, সে হিসাব অনুযায়ী আমি অক্সফোর্ড কোটিপতি হবো। নিজের টাকা নিজেই খাইয়ম .... ফেইসবুক লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/Sabbirahmed069 ওয়েবসাইট লিন্ক : http://bkadda.blogspot.com http://www.trivokal.com http://www.votku.com htttp://www.likilose.com http://trivokal.wordpress.com/ http://www.vokalab.com
আমার পোষ্টটির টাইটেল পড়ে হয়তো অনেকেই ভাবছেন ‘এটা কি ধরণের টাইটেল হলো আবার!’ বা ‘সুবিধা বঞ্চিত শিশু এবং প্রতিবন্ধিদের সাহায্য করে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব!!’। আবার অনেক হয়তো টাইটেল পড়েই আমাকে ‘বাটপার’ আখ্যায়িত করে বসে আছেন। আসুন পোষ্ট শুরু করার আগে একটি ছোট শর্ট ফিল্ম দেখে নেওয়া যাক...
[yt|http://www.youtube.com/watch?v=6_zU9gsEi34
লিংক কাজ না করলে, নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে ফেইজবুক পেইজ থেকে দেখে আসতে পারেন।
এখানে ক্লিক করুন
আমিও আপনার মতোই একজন সাধারণ স্বল্প আয়ের একজন মানুষ, যে কিনা দিনে এনে দিনে খেয়ে দিনযাপন করছি। আমার মতোই হয়তো আপনারা নিজেদের জীবন-যাপন চালিয়ে যেতে রীতিমত যুদ্ধ করে যাচ্ছে প্রতিটি মূহুর্তে। আর তাই হয়তো রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ‘সুবিধা বঞ্চিত শিশু বা অবহেলিত প্রতিবন্ধীদের’ দিকে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নেই লজ্জায়... ওদের জন্য কিছু না করতে পারার লজ্জায় হয়তো আমাদের পাশ কাটিয়ে না তাকিয়ে চলে যেতে হয় যার যার গন্তব্যে। অবশ্য লজ্জা পাওয়ারও কোনো কারণ নেই। কেননা আমরা নিজেরাই হয়তো জীবন যুদ্ধে টিকে আছি বহু কষ্টে, তাদের দিকে তাকানোর সময়টাই বা কোথায় !!
আবার আমরা অনেকেই হয়তো মুখিয়ে আছি চাকুরির সন্ধানে। যা কিনা বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘সোনার হরিণ’ এর চাইতে ‘প্লাটিনাম হরিণ’ বললেই মানানশই লাগে। অনেকেই বর্তমানে লাখ লাখ টাকা খরচ করে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রেজুয়েশন শেষ করে আবার সেই নিজ শহরে চলে যাচ্ছে চাকুরি না পেয়ে। কেউ কেউ উদ্যোক্তা হতে চাইলে ঠিক কিভাবে শুরু করবে নিজের সেই ব্যবসাটি তা ভেবে পাচ্ছে না। কারো কারো আবার বদ্ধমূল ধারণা আছে যে ব্যবসায় নামলে প্রচুর টাকা দিয়ে প্রাথমিক মূলধন খাটানো লাগে। তবে আমি ব্যাক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, ব্যবসা করতে টাকার চাইতে যে জিনিসটি বেশী জরুরী তা হচ্ছে ‘মাথা’। আর তাই লাখ লাখ টাকা মূলধন খাটিয়ে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ‘মাথা’র ব্যাবহার না করতে পারলে বিজনেজ চলে যাবে অতল গহ্বরে।
তবে আমি এমন একটি ব্যাবসায় শুরু করার চিন্তা করছি যেখানে ‘টাকা’ খাটানোর চাইতেও নিজের সৃজনশীলতা বেশী লাগবে। আর পাশাপাশি সুবিধা বঞ্চিত শিশু এবং অবহেলিত প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়ানো যাবে। অবশ্য এক্ষেত্রে তাদেরকে আমরা অনুগ্রহ দেখাবো না, বরং তারা নিজেরাই নিজেদের পায়ে দাঁড়াবে। অর্থাৎ তারা হবে আমাদের বিজনেস পার্টনার।
আমাদের প্রোডাক্টঃ
আমাদের প্রোডাক্ট বানানোর Raw Materials কিন্তু আমাদের আশে পাশেই পরে আছে। তাই ফিনিসড প্রোডাক্ট বানাতে আমাদের তেমন কোনো Raw Materials ই কিনা লাগছে না। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে ফিনিসড প্রোডাক্ট ঠিক কি রকম হতে পারে। নিচের ছবিগুলো তাহলে দেখুন।
এটি বানাতে আধাকেজি পুরনো খবরের কাগজও লাগবে না। সর্বোচ্চ ১০ টাকা খরচ হবে প্রোডাক্টটি বানাতে।
আপনিই বলুন, কত হলে কিনবেন এটি ?
নষ্ট টায়ার দিয়ে বানানো ফুলদানী
নষ্ট কি বোর্ড এর কি গুলোদিয়ে বানানো শো পিস
ফেলে দেওয়া ক্যান এর মুখ দিয়ে তৌরি ক্যান্ডেল হোল্ডার।
এরকম হাজার হাজার ফিনিসড প্রোডাক্ট তৌরি করা সম্ভব শুধু মাত্র মনের জোড়েই তৌরি করে বিক্রি করা সম্ভব।
বিজনেস স্ট্রেটেজিঃ
আমরা রিসাইকেলিং আইটেম দিয়ে ফিনিসড প্রোডাক্ট বানাবো যা বানাতে খরচ পড়বে গড়ে ১০ টাকার ও কম। আর সেসব প্রোডাক্ট আমরা সেল করবো ‘সুবিধা বঞ্চিত শিশু এবং অবহেলিত প্রতিবন্ধীদের’ দিয়ে। এক্ষেত্রে আপনারা যদি ভেবে থাকেন এটি অন্যায়, বা তাদেরকে দিয়ে আমরা সুবিধা কোনোভাবেই গ্রহণ করতে পারি না, তাহলে আমি বলবো “আমার কথাটি একটু মনযোগ দিয়ে শুনুন দয়াকরে”
আমরা গ্রাজুয়েশন শেষ করে বিভিন্ন কোম্পানিতে মার্কেটিং বিভাগে ‘সেলস এক্সিকিউটিভ’ হিসেবে ঢুকি। ভদ্র ভাষায় ‘সেলস এক্সিকিউটিভ’ বললেও আমাদের কাজটি কিন্তু উক্ত কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল করা। অভদ্র ভাষায় যদি বলি আমরা কিন্তু ‘সেলসম্যান’ ই। আর এটাতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নাই। আর আমাদেরকে কোম্পানি নিয়োগ করে শুধুমাত্র আমাদের ডিগ্রি বা চেহারা দেখেই নয়, বরং আমরা উক্ত কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল করার জন্য যোগ্য কিনা তা ও যাচাই করা হয়। আর আমাদের রিসাইক্লিং প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য ‘সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা এবং প্রতিবন্ধী’ রাই সব চাইতে যোগ্য। আর তাঁরা আমাদের প্রোডাক্ট সেল করবে নিজেদের যোগ্যতা বলেই। আর এক্ষেত্রে তাদের যোগ্যতাটি হচ্ছে তাদের এতোদিন ধরে মেনে নেওয়া ‘দূর্বলতাটি’। আর এই ‘যোগ্যতার’ বলেই ক্রেতারা কিছুটা আবেগে এবং আমাদের প্রোডক্টের সৌন্দর্য দেখে কিনবে।
যারা আমার প্রোপজালে আগ্রহী আছেন তাঁরা নিন্মোক্ত ফেইসবুক গ্রুপে এড হতে পারেন। ওখানে বিস্তারিত আলোচনা করবো আমরা।
এখানে ক্লিক করুন
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
ত্রিভকাল বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ... আশা করি গ্রুপে দেখা হবে...
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দারুণ উদ্যোগ!!
মনে ধরেছে আপনার প্লেন।
শুভকামনা রইলো।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬
ত্রিভকাল বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ.. দোয়া করবেন..
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬
সেলিম মোঃ রুম্মান বলেছেন: কিভাবে কি করতে হবে বিস্তারিত বলবেন কি? আমার কোন ফেসবুক একাউন্ট নেই, করতেও চাই না। অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
ত্রিভকাল বলেছেন: আপনার আগ্রহ দেখে খুবই ভালো লাগলো.. আপনি যদি ইমেইল ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনি চাইলে ইমেইল এড্রেসটি আমাকে সেন্ড করতে পারেন। আমার ইমেইল এড্রেস হচ্ছে [email protected]। আমি আপনাকে ডিটেইলস জানিয়ে মেইল পাঠাবো।
৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৪
অপরাজিতা মুন্নি বলেছেন: খুব ভালো উদ্যোগ । সবাই যদি এভাবে এগিয়ে আসে ,তাহলে আমরা পথশিশুদের সমস্যাগুলো কিছুটা হলেও দূর করতে পারবো। আপনার উদ্যোগ সফল হোক । শুভকামনা রইলো ।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০০
ত্রিভকাল বলেছেন: আপনার শুভকামনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ...
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২২
নূর আদনান বলেছেন: আমি আছি যান......